বেলিন্ডা ক্লার্ক
বেলিন্ডা জেন ক্লার্ক, এএম (ইংরেজি: Belinda Jane Clark; জন্ম: ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০) নিউ সাউথ ওয়েলসের নিউক্যাসলে জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় মহিলা ক্রিকেটার। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন বেলিন্ডা ক্লার্ক। মহিলাদের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনিই প্রথম খেলোয়াড়, যিনি দ্বি-শতক রান হাঁকিয়েছেন।[১]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | নিউক্যাসল, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৭০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ-ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১১৯) | ২৬ জানুয়ারি ১৯৯১ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৪ আগস্ট ২০০৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬৬) | ১৭ জানুয়ারি ১৯৯১ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১ সেপ্টেম্বর ২০০৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১ মার্চ ২০১৭ |
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনাভারতে অনুষ্ঠিত ১৯৯৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ডেনমার্কের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেন। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে মুম্বইয়ের মিডল ইনকাম গ্রুপ গ্রাউন্ডের খেলায় দূর্বলতম দল ডেনমার্কের মুখোমুখি হয় তার দল। ঐ খেলায় তিনি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ অপরাজিত ২২৯* রান করেছিলেন।[২] পুরুষ বা নারী - যে কোন ক্ষেত্রে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ওডিআইয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ করার নজির গড়েছিলেন।[৩] তার এ রানের কল্যাণে গ্রুপ পর্বের ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ৪১২/৩ দাঁড় করায়।[৪]
অবসর
সম্পাদনা১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৫ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ তারিখে বেলিন্ডা ক্লার্ক খেলোয়াড়ী জীবন থেকে তার অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। এ সময়কাল পর্যন্ত ১১৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং ১৫টি টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও, সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটি মহিলা টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ও ৮৯টি মহিলাদের জাতীয় ক্রিকেট লীগের খেলায় অংশ নিয়েছেন।[৫] এরপর ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট একাডেমিতে ম্যানেজারের নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
সম্মাননা
সম্পাদনাস্বদেশী কারেন রোল্টনকে সাথে নিয়ে ১৯৯০-এর দশক থেকে ২০০০-এর দশক পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার পুরষ দলের পাশাপাশি দুর্দণ্ড প্রতাপে খেলেছেন। ঠিক ঐ কারণেই ১৯৯৮ সালে উইজডেন অস্ট্রেলিয়া বছরের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে তাকে নির্বাচিত করেছিল। ১৯৯৪ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার প্রমিলা টেস্ট দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি উইম্যান’স ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী ছিলেন।
জানুয়ারি, ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়া দিবস উপলক্ষে অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া পদকে ভূষিত হন বেলিন্ডা। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে বলা হয়, 'ক্রিকেট খেলায় তার অসামান্য ভূমিকা রয়েছে বিশেষতঃ অস্ট্রেলিয়ার প্রমিলা ক্রিকেট দলকে অগ্রসর করার পাশাপাশি নারী ও বালিকাদের খেলায় উদ্দীপনা যোগানোসহ উজ্জ্বীবিতকরণে সবিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।'
২০১০ সালে রাচায়েল হেহো-ফ্লিন্ট নামীয় সাবেক ইংরেজ প্রমিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ককে ১৯৭৩ সালের মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের স্মরণীয় সাফল্যের প্রেক্ষিতে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে প্রথম নারীরূপে অন্তর্ভুক্ত[৬] করার পর ২০১১ সালে দ্বিতীয় প্রমিলা খেলোয়াড় হিসেবে ক্লার্ককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Jenny Roesler and Nishi Narayanan (মার্চ ২৬, ২০০৯)। "The mothers of invention"। ESPN Cricinfo। ২০১০-০১-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-২৪।
- ↑ "Women's One Day Internationals: List of Centuries". ESPNcricinfo. ESPN. Retrieved 5 February 2016.
- ↑ "Clark second woman to enter Hall of Fame". ESPNcricinfo. ESPN. 12 September 2011. Retrieved 21 September 2011."Ambrose, Davidson, Belinda Clark inducted into Hall of Fame". The Times of India. Bennett, Coleman & Co. Ltd. 12 September 2011. Retrieved 21 September 2011. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে
- ↑ "Australia Women's One-Day Internationals - Team highest totals"। Cricinfo। সংগৃহীত ১৫ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "CricketArchive - Belinda Clark"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ "Rachael Heyhoe-Flint first woman inducted into cricket's Hall of Fame"। The Guardian। London। ৬ অক্টোবর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ Davidson, Spofforth inducted into ICC Hall of Fame cricinfo 12 September 2011. Retrieved 12 September 2011