ফিলিপাইন জাতীয় ফুটবল দল
ফিলিপাইন জাতীয় ফুটবল দল (তাগালগ: Pambansang koponan ng futbol ng Pilipinas) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিলিপাইনের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ফিলিপাইনের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিলিপাইন ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৩০ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯১৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তারিখে, ফিলিপাইন প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে ফিলিপাইন চীনকে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
ডাকনাম | আজকাল | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | ফিলিপাইন ফুটবল ফেডারেশন | ||
কনফেডারেশন | এএফসি (এশিয়া) | ||
প্রধান কোচ | খালি | ||
অধিনায়ক | স্টেফান শ্রোক | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | ফিল ইয়াঙ্গাসব্যান্ড (১০৮) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | ফিল ইয়াঙ্গাসব্যান্ড (৫২) | ||
মাঠ | পানাদ স্টেডিয়াম | ||
ফিফা কোড | PHI | ||
ওয়েবসাইট | pff | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৪০ (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[১] | ||
সর্বোচ্চ | ১১১ (মে ২০১৮) | ||
সর্বনিম্ন | ১৯৫ (সেপ্টেম্বর–অক্টোবর ২০০৬) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৮৩ ১ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[২] | ||
সর্বোচ্চ | ১৩৬ (জুন ২০১৫) | ||
সর্বনিম্ন | ২১৮ (জানুয়ারি ২০০০, ডিসেম্বর ২০০২, নভেম্বর ২০০৬) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
ফিলিপাইন ২–১ চীন (ম্যানিলা, ফিলিপাইন; ১ ফেব্রুয়ারি ১৯১৩) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
জাপান ২–১৫ ফিলিপাইন (টোকিও, জাপান; ১০ মে ১৯১৭)[৩] | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
জাপান ১৫–০ ফিলিপাইন (টোকিও, জাপান; ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭) | |||
এএফসি এশিয়ান কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১ (২০১৯-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ পর্ব (২০১৯) | ||
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ৩ (২০০৬-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | রানার-আপ (২০১৪) | ||
এএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ | |||
অংশগ্রহণ | ১১ (১৯৯৬-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | সেমি-ফাইনাল (২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৮) |
২০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট পানাদ স্টেডিয়ামে আজকাল নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ফিলিপাইনের পাসিগে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন ইউনাইটেড সিটির মধ্যমাঠের খেলোয়াড় স্টেফান শ্রোক।
ফিলিপাইন এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপে ফিলিপাইন এপর্যন্ত মাত্র ১ বার অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে তারা শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে। এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে ফিলিপাইন এপর্যন্ত ৩ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০১৪ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা ফিলিস্তিনের কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। এছাড়াও, এএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফিলিপাইনের সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০১০, ২০১২, ২০১৪, এবং ২০১৮ এএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে পৌঁছানো।
ফিল ইয়াঙ্গাসব্যান্ড, জেমস ইয়াঙ্গাসব্যান্ড, এমেলিও কামিগদং, আনহেল গুইরাদো এবং স্টেফান শ্রোকের মতো খেলোয়াড়গণ ফিলিপাইনের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
র্যাঙ্কিং
সম্পাদনাফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ২০১৮ সালের মে মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে ফিলিপাইন তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১১১তম) অর্জন করে এবং ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৯৫তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে ফিলিপাইনের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১৩৬তম (যা তারা ২০১৫ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২১৮। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
- ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
১৩৮ | লিথুয়ানিয়া | ১০৮৬.৯৩ | |
১৩৯ | বুরুন্ডি | ১০৮৬.৬২ | |
১৪০ | ফিলিপাইন | ১০৮৬.১৭ | |
১৪১ | তুর্কমেনিস্তান | ১০৭৮.২৫ | |
১৪২ | অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা | ১০৭২.৬৬ |
- বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
১৮২ | ২ | সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি | ১০৫৭ |
১৮৩ | ১ | ফিলিপাইন | ১০৫০ |
১৮৪ | ১০ | মরিশাস | ১০৪৪ |
১৮৫ | ৬ | মন্টসেরাট | ১০২২ |
প্রতিযোগিতামূলক তথ্য
সম্পাদনাফিফা বিশ্বকাপ
সম্পাদনাফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৩৪ | |||||||||||||||
১৯৩৮ | |||||||||||||||
১৯৫০ | প্রত্যাহার[৪] | প্রত্যাহার[৪] | |||||||||||||
১৯৫৪ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৫৮ | |||||||||||||||
১৯৬২ | |||||||||||||||
১৯৬৬ | অগৃহীত[৪] | অগৃহীত[৪] | |||||||||||||
১৯৭০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৭৪ | প্রত্যাহার[৪] | প্রত্যাহার[৪] | |||||||||||||
১৯৭৮ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৮২ | |||||||||||||||
১৯৮৬ | |||||||||||||||
১৯৯০ | |||||||||||||||
১৯৯৪ | |||||||||||||||
১৯৯৮ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ০ | ১০ | ||||||||
২০০২ | ৬ | ০ | ১ | ৫ | ২ | ২৯ | |||||||||
২০০৬ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
২০১০ | |||||||||||||||
২০১৪ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ১ | ১ | ২ | ৬ | ৬ | ||||||||
২০১৮ | ৮ | ৩ | ১ | ৪ | ৮ | ১২ | |||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | ০/২০ | ২১ | ৪ | ৩ | ১৪ | ১৬ | ৫৭ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"। ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"। eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ Motoaki Inukai 「日本代表公式記録集2008」 Japan Football Association p.206
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "History of the FIFA World Cup Preliminary Competition (by year)" (পিডিএফ)। FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১০।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- ফিফা-এ ফিলিপাইন জাতীয় ফুটবল দল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ অক্টোবর ২০১১ তারিখে (ইংরেজি)
- এএফসি-এ ফিলিপাইন জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি)