ত্রিমোহনী রেলওয়ে স্টেশন

ত্রিমোহনী জংশন রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার একটি রেলওয়ে স্টেশন[১]

ত্রিমোহনী রেলওয়ে স্টেশন
বাংলাদেশের রেলওয়ে স্টেশন
অবস্থানগাইবান্ধা জেলা রংপুর বিভাগ
 বাংলাদেশ
মালিকানাধীনবাংলাদেশ রেলওয়ে
পরিচালিতপশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে
লাইনসান্তাহার-কাউনিয়া লাইন
ট্রেন পরিচালকবাংলাদেশ রেলওয়ে
নির্মাণ
গঠনের ধরনমানক
পার্কিংআছে
সাইকেলের সুবিধাআছে
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকারআছে
অন্য তথ্য
অবস্থাসক্রিয়
ইতিহাস
চালু১৯০৫
পরিষেবা
আছে
অবস্থান

ইতিহাসসম্পাদনা

ত্রিমোহনী রেলওয়ে স্টেশন থেকেই ব্রহ্মপুত্র নদের বালাসী ফেরিঘাট এবং বোনারপাড়া-সান্তাহার সেকশনে ট্রেন চলাচল করত। বালাসী-বাহাদুরাবাদঘাট ফেরি পারাপারের মাধ্যমেই দেওয়ানগঞ্জ-জামালপুর-ময়মনসিংহ হয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে ছিল উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলার ট্রেন যোগাযোগ। যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে রেল ও সড়ক যোগাযোগ চালু হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এই রুটের রেলফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় ত্রিমোহিনী-বালাসীঘাট রুটে রেল চলাচল।[২]

পরিষেবাসম্পাদনা

ত্রিমোহনী রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

ত্রিমোহনী-বালাসি ঘাট লাইনসম্পাদনা

বৃটিশ সরকার ১৯৩৮ সালে ঢাকার সাথে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় তিস্তামুখ ঘাট ও জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাটে যমুনা নদীতে রেলফেরি সার্ভিস চালু করে। ১৯৯০ সালের পর যমুনা নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরী সার্ভিসটি তিস্তামুখ ঘাট থেকে বালাসীঘাটে স্থানান্তর করা হয়। ২০০১ সালে যমুনা সেতু চালুর পর যমুনা নদীর ভাঙ্গন ও নাব্যতা হ্রাসের অজুহাতে গাইবান্ধার বালাসি ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন থেকে ত্রিমোহনী জংশন থেকে বালাসি ঘাট পর্যন্ত লাইনটি অব্যবহৃত অবস্থায় আছে।[৩]

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "বাদিয়াখালী-ত্রিমোহনী রেললাইন মেরামতে সময় লাগবে ২০ দিন"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০২ 
  2. "ত্রিমোহিনী স্টেশন বন্ধ, যাত্রীদের ভোগান্তি"www.dainikamadershomoy.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০২ 
  3. Khobor, Gobi (২০১৫-১১-১৩)। "বালাসীঘাট বাহাদুরাবাদঘাটে ১৫ বছর ধরে রেল ফেরি সার্ভিস বন্ধ"গোবি খবর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০২