জিম্বাবুয়ে জাতীয় ফুটবল দল

জিম্বাবুয়ে জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Zimbabwe national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম জিম্বাবুয়ের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জিম্বাবুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৬৫ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৮০ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯২৯ সালের ২৬শে জুন তারিখে, জিম্বাবুয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; রোডেশিয়ার সালিসবারিতে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে জিম্বাবুয়ে দক্ষিণ রোডেশিয়া হিসেবে ইংল্যান্ডের কাছে ৪–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

জিম্বাবুয়ে
দলের লোগো
ডাকনামযোদ্ধা
অ্যাসোসিয়েশনজিম্বাবুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনক্যাফ (আফ্রিকা)
প্রধান কোচজ্রাভকো লোগারুশিচ
অধিনায়কনলেজ মুসোনা
সর্বাধিক ম্যাচপিটার এনদলোভু (১০০)
শীর্ষ গোলদাতাপিটার এনদলোভু (৩৭)
মাঠবিভিন্ন
ফিফা কোডZIM
ওয়েবসাইটzifa.org.zw
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১২৫ হ্রাস ১ (২০ জুলাই ২০২৩)[১]
সর্বোচ্চ৪০ (এপ্রিল ১৯৯৫)
সর্বনিম্ন১৩১ (অক্টোবর ২০০৯, ফেব্রুয়ারি–মার্চ ২০১৬)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৩০ হ্রাস ২৯ (৩০ এপ্রিল ২০২২)[২]
সর্বোচ্চ৫৬ (এপ্রিল ১৯৯৫)
সর্বনিম্ন১২৮ (মার্চ ২০১১)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
দক্ষিণ রোডেশিয়া দক্ষিণ রোডেশিয়া ০–৪ ইংল্যান্ড ইংল্যান্ড
(সালিসবারি, রোডেশিয়া; ২৬ জুন ১৯২৯)
বৃহত্তম জয়
 বতসোয়ানা ০–৭ জিম্বাবুয়ে
(গাবোরনি, বতসোয়ানা; ২৬ আগস্ট ১৯৯০)
বৃহত্তম পরাজয়
 দক্ষিণ আফ্রিকা ৭–০ রোডেশিয়া রোডেশিয়া
(দক্ষিণা আফ্রিকা; ৯ এপ্রিল ১৯৭৭)
আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্স
অংশগ্রহণ৪ (২০০৪-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (২০০৪, ২০০৬, ২০১৭, ২০১৯)

যোদ্ধা নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারেতে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন জ্রাভকো লোগারুশিচ এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন ইউপেনে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় নলেজ মুসোনা

জিম্বাবুয়ে এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সে জিম্বাবুয়ে এপর্যন্ত ৪ বার অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে প্রত্যেকবার তারা শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে।

পিটার এনদলোভু, নরমান মাপেজা, তিনাশে নেঙ্গোমাশা, নলেজ মুসোনা এবং খামা বিল্লিয়াতের মতো খেলোয়াড়গণ জিম্বাবুয়ের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং সম্পাদনা

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৫ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে জিম্বাবুয়ে তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৪০তম) অর্জন করে এবং ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৩১তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৫৬তম (যা তারা ১৯৯৫ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১২৮। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২০ জুলাই ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১২৩     মালাউই ১১৪০.৬৫
১২৪     তানজানিয়া ১১৩৮.৭৯
১২৫     জিম্বাবুয়ে ১১৩৮.৫৬
১২৬     মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ১১৩৩.৫
১২৭     লিবিয়া ১১৩০.৭৫
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
৩০ এপ্রিল ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১২৮   ১০   লাইবেরিয়া ১৩২১
১২৮     তানজানিয়া ১৩২১
১৩০   ২৯   জিম্বাবুয়ে ১৩১৮
১৩১     মালাউই ১৩১১
১৩২   ২৬   সুদান ১৩০৫

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য সম্পাদনা

ফিফা বিশ্বকাপ সম্পাদনা

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
  ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
  ১৯৩৪
  ১৯৩৮
  ১৯৫০
  ১৯৫৪
  ১৯৫৮
  ১৯৬২
  ১৯৬৬
  ১৯৭০ উত্তীর্ণ হয়নি উত্তীর্ণ হয়নি
  ১৯৭৪
  ১৯৭৮ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
  ১৯৮২ উত্তীর্ণ হয়নি
  ১৯৮৬
  ১৯৯০ ১০
  ১৯৯৪ ১০ ১১ ১০
  ১৯৯৮ ১০ ১০
    ২০০২ ১১
  ২০০৬ ১২ ১৭ ১৬
  ২০১০
  ২০১৪
  ২০১৮ বহিষ্কার[৩] বহিষ্কার
  ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ৫৮ ২১ ১৬ ২৩ ৬০ ৭১

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২০ জুলাই ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২ 
  3. "Zimbabwe expelled from the preliminary competition of the 2018 FIFA World Cup Russia"। FIFA.com। ১২ মার্চ ২০১৫। ১৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা