জর্জ বেইলি
জর্জ জন বেইলি (ইংরেজি: George John Bailey; জন্ম: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২) তাসমানিয়ার লানসেস্টনে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। ইতোমধ্যেই তিনি অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষ হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি তাসমানিয়ান ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে শেফিল্ড শিল্ড ও রিওবি ওয়ান-ডে কাপের খেলায় অংশ নিচ্ছেন। জর্জ বেইলি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে চেন্নাই সুপার কিংস এবং বিগ ব্যাশ লীগে মেলবোর্ন স্টার্স দলের পক্ষ হয়ে টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট খেলছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জর্জ জন বেইলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | [১] লানসেস্টন, তাসমানিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | স্মাইলি, হেক্টর, গ্যারোনিমো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৭৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৩৬) | ২১ নভেম্বর ২০১৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩ নভেম্বর ২০১৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৯৫) | ১৬ মার্চ ২০১২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১২ জানুয়ারি ২০১৬ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ২ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৫৫) | ১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৩ মার্চ ২০১৪ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২- | তাসমানিয়া (জার্সি নং ১০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭-২০১৪ | স্কটল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯-২০১২ | চেন্নাই সুপার কিংস (জার্সি নং ১০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-২০১২ | মেলবোর্ন স্টার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২- | হোবার্ট হারিকেন্স (জার্সি নং ১০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩-বর্তমান | হ্যাম্পশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪-বর্তমান | কিংস এলেভেন পাঞ্জাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫ | সাসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ১২ জানুয়ারি ২০১৬ |
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনাসাউথ লনসেস্টন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষ হয়ে জুনিয়র ক্রিকেটে অংশ নেন। এরপর তিনি ২০০৫/০৬ মৌসুমে অন্যান্য খেলোয়াড়দের আঘাতপ্রাপ্তিজনিত কারণে তাসমানিয়ায় প্রথম অন্তর্ভুক্ত হন। ঐ মৌসুমে তিনটি সেঞ্চুরিসহ ৭৭৮ রান করেন। ২০০৯/১০ মৌসুমে ড্যানিয়েল মার্শের পরিবর্তে স্থায়ীভাবে তাসমানিয়া দলের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্তি লাভ ঘটে তার।[২] ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ তারিখে তাসমানিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দিয়ে ৫ উইকেট লাভসহ অপরাজিত ১৬০ রান করেন। এরফলে তার দল শেফিল্ড শিল্ডে ভিক্টোরিয়ার বিরুদ্ধে জয়লাভ করে। চূড়ান্ত সেশনে ১৩০ রানের দরকার পড়লে জেমস ফকনারকে নিয়ে শেষ দিনে ৯১ ওভারের মাথায় তাসমানিয়াকে জয়ের মুখ দেখায় ও পয়েন্ট তালিকায় নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট দলের পিছনে দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে যায়।[৩] ২০১০/১১ মৌসুমে তাসমানিয়ার দ্বিতীয় শিরোপায় অধিনায়ক ছিলেন ও বেলেরিভ ওভালে অনুষ্ঠিত খেলায় নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট দলকে হারায়।
অধিনায়ক
সম্পাদনা২০১২ সালে টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে বেইলিকে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তিনি ক্যামেরন হোয়াইটের স্থলাভিষিক্ত হন ও সিরিজে ১-১ ড্র হয়। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে তিনি হচ্ছেন দ্বিতীয় খেলোয়াড় যিনি কোনরূপ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলেই অধিনায়কের দায়িত্ব পান। তার পূর্বে ১৮৭৬-৭৭ মৌসুমে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সর্বপ্রথম টেস্টে এ ধরনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ডেভ গ্রিগরি।[৪]
১ মে, ২০১৩ তারিখে বেইলিকে ২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলীয় একদিনের আন্তর্জাতিক দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[৫] মাইকেল ক্লার্কের অনুপস্থিতির কারণে তিনি ভারত সফরে অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
টেস্ট ক্রিকেট
সম্পাদনা১২ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘোষিত ২০১৩-১৪ অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টের জন্যও দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।[৬] অতঃপর ২১ নভেম্বর তারিখে প্রথম টেস্টে অভিষেক ঘটে তার। অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ৫৩ রান সংগ্রহের মাধ্যমে প্রথম অর্ধ-শতক পান। ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখে পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ডে অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের ২য় ইনিংসে জিমি অ্যান্ডারসনের এক ওভারে ২৮ রান সংগ্রহ করেন।[৭] এরফলে তিনি ব্রায়ান লারা’র সংগৃহীত সর্বোচ্চ ২৮ রান সংগ্রহের বিশ্বরেকর্ডের সমতুল্য হন।[৮]
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
সম্পাদনা২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ১১ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ অস্ট্রেলিয়া দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করে। তন্মধ্যে, বেইলিকেও দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৯] ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ-পর্বের খেলায় অংশ নিয়ে ৫৫ রান তুলে দলের জয়ে সহায়তা করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "George Bailey"। cricket.com.au। Cricket Australia। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ Bailey handed Tasmania captaincy | Australia Cricket News | ESPN Cricinfo
- ↑ "Bailey sees Tigers home - Cricket - Sportal Australia"। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "Australia v India 2011-12 : Australia v India 2011-12: George Bailey named Australia's Twenty20 captain, Brad Hogg recalled | Cricket News | Australia v India | ESPN Cricinfo"। ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "George Bailey beats Matthew Wade to Australian vice-captaincy for Champions Trophy"। NDTV। ২০১৩-০৫-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-০১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Bailey named in Test squad
- ↑ George Bailey equals world record with 28 runs off James Anderson over, collect: 16 December, 2013
- ↑ "Test matches – Batting records – Most runs off one over"। Cricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০০৯।
- ↑ "Clarke named in World Cup squad"। ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৫।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জর্জ বেইলি (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জর্জ বেইলি (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
পূর্বসূরী ড্যানিয়েল মার্শ |
তাসমানিয়ান ক্রিকেট প্রথম-শ্রেণীর অধিনায়ক ২০০৯/১০ - বর্তমান |
উত্তরসূরী বর্তমান |
পূর্বসূরী ড্যানিয়েল মার্শ |
তাসমানিয়ান একদিনের ক্রিকেট অধিনায়ক ২০০৯/১০ - বর্তমান |
উত্তরসূরী বর্তমান |
পূর্বসূরী ক্যামেরন হোয়াইট |
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক(টি২০ আন্তর্জাতিক) ২০১২ |
উত্তরসূরী অ্যারন ফিঞ্চ |