রানী সরকার

বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী

রানী সরকার বা মোসাম্মৎ আমিরুন নেসা খানম (মৃ. ৭ জুলাই ২০১৮)[১] ছিলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন।[২] বাংলা চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করে।[৩]

রানী সরকার
রানী সরকার.jpeg
জন্ম
মোসাম্মৎ আমিরুন নেসা খানম

মৃত্যু৭ জুলাই ২০১৮(2018-07-07) (বয়স ৮৬–৮৭)
ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা
মৃত্যুর কারণবার্ধক্যজনিত রোগ
সমাধিআজিমপুর কবরস্থান, ঢাকা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৫৮–২০১৭
উল্লেখযোগ্য কর্ম
পিতা-মাতা
  • সোলেমান মোল্লা (বাবা)
  • আছিয়া খাতুন (মা)
পুরস্কারজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

প্রাথমিক জীবনসম্পাদনা

রানী সরকার বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার সোনাতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তার পিতার নাম সোলেমান মোল্লা এবং মাতার নাম আছিয়া খাতুন। তিনি সাতক্ষীরার সোনাতলা গ্রামের ইউপি স্কুল থেকে প্রাথমিক পাঠক্রম শেষ করেন। এরপর তিনি খুলনা করোনেশন গার্লস স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন।[৫]

অভিনয় জীবনসম্পাদনা

রানী সরকারের অভিনয় জীবন শুরু করেন ১৯৫৮ সালে বঙ্গের বর্গী মঞ্চনাটকের মাধ্যমে [৪]। এই বছরই তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় এ জে কারদার পরিচালিত দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।[৬] এরপর ১৯৬২ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশামুর রহমান পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র চান্দাতে অভিনয় করেন [৪]। সেই ছায়াছবির পর থেকে তার পিতৃপ্রদত্ত নাম মেরীর বদলে নতুন নাম হয় রানী সরকার। চান্দা চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর উর্দু ছায়াছবি তালাশ ও বাংলা ছায়াছবি নতুন সুর এ কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছায়াছবি দুটিও বেশ জনপ্রিয় হয়। এরপর তিনি প্রায় ২৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[৭]

মৃত্যুসম্পাদনা

রানী সরকার দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত ছাড়াও পিত্তথলিতে পাথর, বাতজ্বর, জটিল কোলেলিথিয়েসিস রোগে ভুগে ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ঢাকার ধানমন্ডি ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতালে ইউনিটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[৮] তাকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।[৯]

চলচ্চিত্রের তালিকাসম্পাদনা

পুরস্কার ও সম্মাননাসম্পাদনা

আরও দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "অভিনেত্রী রানী সরকার আর নেই"দৈনিক প্রথম আলো। ৭ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৮ 
  2. "বাংলা সিনেমার এক কালের নায়িকা রানী সরকারের দুরবস্থা দেখার কেউ নাই"দি ঢাকা টাইমস। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১২ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন রানী সরকার"ভোরের কাগজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৩ মে ২০১৬। ১১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৬ 
  4. "চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন রানী সরকার - Feminaera"feminaera.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৭-০৮ 
  5. "বেলা অবেলা সারাবেলা'য় অভিনেত্রী রানী সরকার"দৈনিক মানবকণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১ মার্চ ২০১৪। ৬ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৬ 
  6. "প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ রানী সরকার"দৈনিক যায় যায় দিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৩ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৬ 
  7. "আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন রানী সরকার"দৈনিক জনকণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৬ 
  8. "না ফেরার দেশে অভিনেত্রী রানী সরকার"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৭ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৮ 
  9. "আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন রানী সরকার"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ৭ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৮ 
  10. "কাঁচের দেয়াল"দৈনিক সমকাল। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৯ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  11. আলাউদ্দীন মাজিদ (৪ এপ্রিল ২০১৬)। "দীর্ঘদিন পর অভিনয়ে রানী সরকার"দৈনিক ইনকিলাব। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  12. আলাউদ্দীন মাজিদ (২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "আজীবন সম্মাননায় রানী সরকার ও সৈয়দ হাসান ইমাম"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৬ 
  13. "প্রদান করা হলো ট্রাব অ্যাওয়ার্ড- ২০১৭"দৈনিক ইত্তেফাক। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। ১৫ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০২০ 

বহিঃসংযোগসম্পাদনা