চান্দা (চলচ্চিত্র)
চান্দা হচ্ছে একটি পাকিস্তানি উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র যা ৩ আগস্ট, ১৯৬২ তারিখে পাকিস্তানে মুক্তি পায়। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রহমান ও সুলতানা জামান। এটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) নির্মিত প্রথম উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র[১] এছাড়াও এটি শবনম অভিনীত প্রথম উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র।[২] বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর ৬ বছর পরে এই চলচ্চিত্র মুক্তি পায়।
চান্দা | |
---|---|
چندا | |
পরিচালক | এহতেশাম |
প্রযোজক | এফএ দোসানি |
রচয়িতা | গল্প ও চিত্রনাট্য: এহতেশাম সংলাপ: সুরূর বরাবানভি |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | রবিন ঘোষ |
চিত্রগ্রাহক | এমকিউ জামান |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক |
|
মুক্তি |
|
দেশ | পাকিস্তান |
ভাষা | উর্দু |
অভিনয়ে
সম্পাদনাসঙ্গীত
সম্পাদনাশিরোনামহীন |
---|
চন্দা সাউন্ডট্র্যাক – ট্র্যাক তালিকা | ||||
---|---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | গীতিকার | কণ্ঠশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
১. | "আখিয়ান তোরি রহ নিহারেন, হে পরদেশিয়া, আ জা..." | সুরূর বরাবানভি | ফেরদৌসী রহমান | |
২. | "চাঁদনি, ভেগি ভেগি হাওয়া, না জানায়, দিল কাহান খো গেয়া..." | সুরূর বরাবানভি | আঞ্জুমান আরা বেগম | |
৩. | "ছালকে গাগরিয়া, ভেগে চুনারিয়া, এমনে না দেখো, সানওয়ারিয়া..." | সুরূর বরাবানভি | ফেরদৌসী রহমান, ফরিদা ইয়াসমিন | |
৪. | "লুট গেয়া খুশি কা ডেরা, খো গেয়া, হে পেয়ার মেরা..." | সুরূর বরাবানভি | ফেরদৌসী রহমান | |
৫. | "মাউত কি হ্যায় পুকার, দীপ বুঝা দো..." | সুরূর বরাবানভি | ফেরদৌসী রহমান, নাজমুল হুদা | |
৬. | "নয়নো বল ঘূণঘাট কোই লায়ে, নজর শর্মায়ে..." | সুরূর বরাবানভি | ||
৭. | "রং রূপ, জওয়ানি, রুত সাওয়ান কি সুহানি..." | সুরূর বরাবানভি | ফেরদৌসী রহমান, ফরিদা ইয়াসমিন | |
৮. | "সানভাল কে ও আলবেলি, কাহান চালি হ্যায় আকেলি..." | সুরূর বরাবানভি | আখতার আব্বাস, আঞ্জুমান আরা বেগম | |
৯. | "সায়ান, বেদারদি মোরা, দর্দ না জানা রে..." | সুরূর বরাবানভি | ফরিদা ইয়াসমিন |
মুক্তি
সম্পাদনাচলচ্চিত্রটি পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ছবি মুখ ও মুখোশ নির্মাণের সাত বছর পর ৩রা আগস্টে মুক্তি পায়। জেসি আনন্দ তার পরিবেশক কোম্পানি এভারেডি পিকচার্সের মাধ্যমে পাঞ্জাব ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেন। আনিস দোসানি কমিশনের ভিত্তিতে চলচ্চিত্রটি পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশ ও অঞ্চলে বিতরণের ব্যবস্থা করেম। এটি টানা ২৫ সপ্তাহ ধরে প্রেক্ষাগৃগুলোতে দেখানো হয়েছিলো।[৪]
অভ্যর্থনা
সম্পাদনাচলচ্চিত্রটি দেশে ব্যবসাসফল হয় ও সুপার ডুপার হিট তকমা পায়। অনুপম হায়াতের মতে ছবিটি পাকিস্তানে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।[৫] এটি ঢালিউডের ভাগ্যকে ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন করে।[৬] চলচ্চিত্র পরিচালক আজিজুর রহমান চলচ্চিত্রটির পোস্টার নিয়ে সমালোচনা করেন। তার মতে, চলচ্চিত্রের মূল উপজীব্য পোস্টারে উপস্থাপন করা হয়নি।[৭]
দেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা আলমগীর কবির ১৯৬৯ সালে ছবিটি নিয়ে তার ভাবনা প্রকাশ করেন,
The industry was fast heading for a disaster when a director dared to go a little bit further and made an Urdu language film. The film was “Chanda” (1962) directed by Etesham. It proved a money-spinner in both East and West Pakistan. “Chanda’s” performance naturally encouraged a trend of Urdu filmmaking in East Pakistan.
[অনু. শিল্প দ্রুত বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছিল যখন একজন পরিচালক সাহস করে একটু এগিয়ে গিয়ে একটি উর্দু ভাষার ছবি তৈরি করেন। এহতেশাম পরিচালিত ‘চন্দা’ (১৯৬২) ছবিটি। এটি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবসাসফল প্রমাণিত হয়েছিল। "চন্দার" পারফরম্যান্স স্বাভাবিকভাবেই পূর্ব পাকিস্তানে উর্দু চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রবণতাকে উৎসাহিত করেছিল।]
— আলমগীর কবির, The cinema of Pakistan [দ্য সিনেমা অফ পাকিস্তান]। ঢাকা: সন্ধানী পাবলিকেশন্স। ১৯৬৯। পৃষ্ঠা ৪৪।
পুরস্কার
সম্পাদনাপুরস্কার শিরোনাম | শ্রেণী | পুরস্কারপ্রাপ্ত | ফলাফল | সূত্র |
---|---|---|---|---|
৬ষ্ঠ নিগার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | এহতেশাম | বিজয়ী | |
শ্রেষ্ঠ সহকারী অভিনেত্রী | শবনম | বিজয়ী | [৮] | |
শ্রেষ্ঠ কৌতুকাভিনেতা | সুভাষ দত্ত | বিজয়ী |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাউদ্ধৃতি
সম্পাদনা- ↑ "Chanda" [চন্দা]। পাকম্যাগ.নেট (ইংরেজি ভাষায়)। পাকিস্তান ফিল্ম ম্যাগাজিন। ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ সৈয়দা আফরিন মল্লিক (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Shabnam: Memorable moments in the life of an actress"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
- ↑ "রানী সরকারকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন"। মানবজমিন। ৭ জুলাই ২০১৮। ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
- ↑ নূরানি, আসিফ; আরশাদ, সুলতান (১১ ডিসেম্বর ২০১৬)। "The Way We Were"। ডন (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
- ↑ হায়াত, অনুপম (১৭ ডিসেম্বর ২০২১)। "লোকজ কাহিনি থেকে জনপ্রিয় উর্দু ধারার দিকে যাত্রা"। আজকের পত্রিকা। ২৮ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
- ↑ জাকির হোসেন রাজু (২০১৭)। Bangladesh Cinema and National Identity: In Search of the Modern? (ইংরেজি ভাষায়)। রাউটলেজ। পৃষ্ঠা ৮৪। আইএসবিএন 9780815392200। ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
- ↑ শফিক, সালেহ (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "যেভাবে পোস্টার হলো বাংলা ছবির মেন্যু কার্ড"। টিবিএসনিউজ.নেট। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ৯ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
- ↑ The Phrenological Journal and Miscellany, Volume 10 (ইংরেজি ভাষায়)। পালালা প্রেস। ২০১৫। পৃষ্ঠা ৬৯। ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- হোয়েক, লোটে (৫ জানুয়ারি ২০১৫)। Cross-wing Filmmaking: East Pakistani Urdu Films and Their Traces in the Bangladesh Film Archive। সেজ পাবলিশিং।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে চান্দা (ইংরেজি)