উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ
উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ব্রিটিশদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ ভারতের একটি প্রদেশ। ১৯০১ সালে এই প্রদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এই প্রদেশ পাকিস্তানের অংশ হয়।
উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ | |
---|---|
পাকিস্তানের প্রদেশ | |
৯ নভেম্বর ১৯০১–১৪ অক্টোবর ১৯৫৫ | |
পতাকা | |
পাকিস্তানের মানচিত্রে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ চিহ্নিত | |
রাজধানী | পেশাওয়ার |
আয়তন | |
• | ৭০,৭০৯ বর্গকিলোমিটার (২৭,৩০১ বর্গমাইল) |
ইতিহাস | |
• প্রতিষ্ঠিত | ৯ নভেম্বর ১৯০১ |
• বিলুপ্ত | ১৪ অক্টোবর ১৯৫৫ |
Government of Khyber Pakhtunkhwa |
প্রদেশের আয়তন ছিল ৭০,৭০৯ বর্গকিমি। এর মধ্যে বর্তমান খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অধিকাংশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে সাবেক দেশীয় রাজ্য আম্ব, চিত্রল, দির, ফুলরা এবং সোয়াত এর অংশ ছিল না। পেশাওয়ার ছিল প্রদেশের রাজধানী শহর। পেশাওয়ারের তিনটি বিভাগ ছিল। এগুলো হল পেশাওয়ার, ডিরা ইসমাইল খান ও মালাকান্ড। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রদেশের উত্তর সীমান্ত পাঁচটি দেশীয় রাজ্য, উত্তরপূর্বে ক্ষুদ্র রাজ্য গিলগিত এজেন্সি, পূর্বে পশ্চিম পাঞ্জাব এবং দক্ষিণে বালুচিস্তান প্রদেশ দ্বারা বেষ্টিত ছিল। উত্তর পশ্চিমে ছিল আফগানিস্তান।
ইতিহাস
সম্পাদনাপ্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চল ১৮শ শ্তাব্দী থেকে ১৮২০ এর দশক পর্যন্ত মূলত দুররানি সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। মহারাজা রণজিৎ সিং আফগানদের অন্তর্দ্বন্দ্ব্বের সুযোগে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং এই অঞ্চলকে তার সাম্রাজ্যের সাথে একীভূত করে নেন। দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধের সময় পাঞ্জাব ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে আসে। সীমান্তের উপজাতীয় এলাকাসহ এই অঞ্চল আফগানিস্তানের সাথে বাফার অঞ্চল হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। ১৯০১ সালে প্রদেশ গঠিত হয়। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রদেশ পাকিস্তানের অংশ হয়। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত প্রদেশটি টিকে ছিল। এরপর এক ইউনিট নীতির মাধ্যমে চারটি প্রদেশ একীভূত করে নতুন পশ্চিম পাকিস্তান প্রদেশ গঠিত হয়। এক ইউনিট নীতি বাতিলের পর পুরনো নামে প্রদেশ পুনপ্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই নাম বহাল ছিল। এরপর প্রদেশের নাম বদলে খাইবার পাখতুনখোয়া রাখা হয়।
জনসংখ্যা
সম্পাদনাউত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে পশতুনদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ পশতুন ছিল মুসলিম। সেসাথে অল্প সংখ্যক হিন্দু ও শিখ সংখ্যালঘু ছিল। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের প্রচলিত ভাষার মধ্যে রয়েছে পশতু, হিন্দকো, কোহিস্তানি ও অন্যান্য ভাষা। অধিকাংশ জনগণের ভাষা পশতু। ব্রিটিশদের আগমনের পূর্বে ফার্সি সরকারি ভাষা ছিল।
সরকার
সম্পাদনামেয়াদ | গভর্নর [২] |
---|---|
১৪ আগস্ট ১৯৪৭ – ৮ এপ্রিল ১৯৪৮ | স্যার জর্জ কানিংহাম |
৮ এপ্রিল ১৯৪৮ – ১৬ জুলাই ১৯৪৯ | স্যার এম্ব্রোস ডুন্ডাস ফ্লাক্স ডুন্ডাস |
১৬ জুলাই ১৯৪৯ – ১৪ জানুয়ারি ১৯৫০ | সাহেবজাদা মুহাম্মদ খুরশিদ |
১৪ জানুয়ারি ১৯৫০ – ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ | মুহাম্মদ ইবরাহিম খান ঝাগরা (ভারপ্রাপ্ত) |
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ – ২৩ নভেম্বর ১৯৫১ | ইসমাইল ইবরাহিম চুন্দ্রিগড় |
২৪ নভেম্বর ১৯৫১ – ১৭ নভেম্বর ১৯৫৪ | খাজা শাহাবউদ্দিন |
১৭ নভেম্বর ১৯৫৪ – ১৪ অক্টোবর ১৯৫৫ | কুরবান আলি খান |
১৪ অক্টোবর ১৯৫৫ | উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ বিলুপ্ত |
মেয়াদ | মুখ্যমন্ত্রী [২] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|
১ এপ্রিল ১৯৩৭ – ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৭ | স্যার সাহেবজাদা আবদুল কাইয়ুম খান | সরকারি মনোনয়নপ্রাপ্ত নির্দলীয় ব্যক্তি |
৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৭ – ১০ নভেম্বর ১৯৩৯ | ড. খান সাহেব (প্রথম দফা) | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
১০ নভেম্বর ১৯৩৯ – ২৫ মে ১৯৪৩ | গভর্নরের শাসন | |
২৫ মে ১৯৪৩ – ১৬ মার্চ ১৯৪৫ | সর্দার আওরঙ্গজেব খান | মুসলিম লীগ |
১৬ মার্চ ১৯৪৫ – ২২ আগস্ট ১৯৪৭ | ড. খান সাহেব (২য় দফা) | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
১৪ আগস্ট ১৯৪৭ | পাকিস্তানের স্বাধীনতা | |
২৩ আগস্ট ১৯৪৭ – ২৩ এপ্রিল ১৯৫৩ | খান আবদুল কাইয়ুম খান | পাকিস্তান মুসলিম লীগ |
২৩ এপ্রিল ১৯৫৩ – ১৮ জুলাই ১৯৫৫ | সর্দার আবদুর রশিদ খান | |
১৯ জুলাই ১৯৫৫ – ১৪ অক্টোবর ১৯৫৫ | সর্দার বাহাদুর খান | |
১৪ অক্টোবর ১৯৫৫ | উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ বিলুপ্ত |
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- জারওয়ালি খান; ইসলামি পণ্ডিত
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Khyber Pakhtunkhwa | province, Pakistan"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৯।
- ↑ ক খ Ben Cahoon, WorldStatesmen.org। "Pakistan Provinces"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-০৩।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা