প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত দল

এখানে ফুটবল প্রবেশদ্বারের নির্বাচিত দল বিভাগে স্থান পাওয়া নিবন্ধগুলো উল্লেখ করা হয়েছে:

টেমপ্লেট সম্পাদনা

নোট অ-স্ক্রলিং প্যানোরামার জন্য ব্যবহার করুন ডিফল্ট "size=" (size=150px)। ব্যাপক আকারগুলো একটি অনুভূমিক স্ক্রল বার অন্তর্ভুক্ত করবে।

{{প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত দল/বিন্যাস
  | image = 
  | size = 
  | caption = 
  | text = 
  | link = 
}}<noinclude>
[[বিষয়শ্রেণী:ফুটবল প্রবেশদ্বার]]
</noinclude>

নির্বাচিত দলের তালিকা সম্পাদনা

প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত দল/১

আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দল (স্পেনীয়: Selección de fútbol de Argentina) বিশ্ব ফুটবলে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করে। এটি আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থা (এএফএ) দ্বারা পরিচালিত। এস্তাদিও মনুমেন্টাল আন্তোনিও বেস্পুসিও লিবের্তি হচ্ছে আর্জেন্টিনার ঘরের মাঠ, যেখানে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এপর্যন্ত আর্জেন্টিনা মোট পাঁচবার ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে। যার মধ্যে রয়েছে ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রথম বিশ্বকাপ, যেখানে তারা উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ৪–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। অতঃপর ১৯৭৮ সাল তারা নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ২–১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলে। সর্বশেষ, ২০১৪ সালে তারা ফাইনালে উঠে এবং মারিও গোটজের করা গোলে জার্মানির বিরুদ্ধে ১-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত দল/২

ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল (পর্তুগিজ: Seleção Brasileira) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্বকারী ফুটবল দল। এই দলটিকে নিয়ন্ত্রণে করে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। ১৯২৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফার সদস্য হয়। এর পূর্বেই ১৯১৬ সাল থেকে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন কনমেবলের অন্যতম সদস্য দেশ। ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে সফলতম দলটি হচ্ছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দলটি পাঁচবার (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪২০০২) বিশ্বকাপ জয় করেছে; যা একটি রেকর্ড। অর্থাৎ, "ইংল্যান্ডের আবিষ্কার, আর ব্রাজিলের পরিপূর্ণতা দান"। এছাড়া এলো’র রেটিং অনুসারে ব্রাজিল বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর ফুটবল জাতি। এপর্যন্ত ব্রাজিল-ই একমাত্র দল যারা বিশ্বকাপের সবগুলো আসরেই অংশগ্রহণ করেছে।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত দল/৩

জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল (জার্মান: Die deutsche Fußballnationalmannschaft) হচ্ছে ১৯০৮ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে জার্মানির প্রতিনিধিত্ব করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করে জার্মান ফুটবল এসোসিয়েশন; যা ১৯০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৫০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই দলটিকে পশ্চিম জার্মানি হিসেবে অভিহিত করা হতো; কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ডিবিএফ মূলত ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানিকে কেন্দ্র করেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এবং এই ফেডারেল রিপাবলিককে ১৯৪৯ থেকে ১৯৫০ পর্যন্ত পশ্চিম জার্মানি হিসেবে অভিহিত করা হতো। ১৯৫০ ফিফা বিশ্বকাপের পর ফিফার দ্বারা ডিবিএফ পশ্চিম জার্মানির ফুটবল দলের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তবে সেসময় জার্মানির ফিফা দ্বারা স্বীকৃত দল ছিল, যার মধ্যে সারাল্যান্ড দল (১৯৫০–৫৬) এবং পূর্ব জার্মানি ফুটবল দল (১৯৫২–৯০) উল্লেখযোগ্য।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত দল/৪

ইতালি জাতীয় ফুটবল দল (ইতালীয়: Nazionale di calcio dell'Italia) আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইতালির প্রতিনিধিত্ব করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করে ইতালির জাতীয় ফুটবল সংস্থা ফেদেরাজিওনে ইতালিয়ানা জিউয়োকো কালচো, সংক্ষেপে এফআইজিসি। ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপে শিরোপা অর্জন করার মাধ্যমে ইতালি ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করেছিল। আন্তর্জাতিক ফুটবলের অন্যতম সাফল্যমণ্ডিত দলগুলোর মধ্যে ইতালির জাতীয় দল অন্যতম। সেই সাথে তারা ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপাধারী দল। ইতালি মোট চারবার বিশ্বকাপ শিরোপা অর্জন করেছে (১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৮২২০০৬)। ইতালির চেয়ে বেশি শিরোপাজয়ী একমাত্র দল হচ্ছে ব্রাজিল; যারা পাঁচবার বিশ্বকাপ শিরোপা অর্জন করেছে।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত দল/৫

ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করে। দলটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা হচ্ছে ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনউয়েফার সদস্য হিসেবে ফ্রান্স বিভিন্ন ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ১৯৩০ সালে ফ্রান্স প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশ নেয়। সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপে ফ্রান্স ছিল অংশ নেওয়া চারটি ইউরোপীয় দলের মধ্যে একটি। ১৯৯৮ সালে দলটি প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জয়লাভ করে। সেবারের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশও ছিলো ফ্রান্স। ফাইনালে তারা ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছিল। আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় দল হিসেবে ফ্রান্স ফিফা আয়োজিত তিনটি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ ফুটবল প্রতিযোগীতার শিরোপা জয়লাভ করে। এই তিনটি প্রতিযোগিতা হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ, কনফেডারেশন্স কাপঅলিম্পিকে ফুটবল


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত দল/৬

উরুগুয়ে জাতীয় ফুটবল দল হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ উরুগুয়ের প্রতিনিধি। এখন পর্যন্ত দলটি দুইবার ফিফা বিশ্বকাপ জয় করেছে। বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম শিরোপাটি উরুগুয়ের দখলে। ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের এই ফাইনালে উরুগুয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪–২ গোলে পরাজিত করে। দলটি তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে ১৯৫০ সালে। সেবার তারা স্বাগতিক ব্রাজিলকে ফাইনালে ২–১ গোলে পরাজিত করে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকেও উরুগুয়ে সফল একটি দল। তারা দুইবার (১৯২৪ ও ১৯২৮) গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ফুটবলে স্বর্ণপদক জয় করেছে। ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই তারা এ দুটি স্বর্ণপদক জয়লাভ করেছিল। উরুগুয়ে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সফল একটি দল। এখন পর্যন্ত দলটি ১৮টি উঁচু মর্যাদাবিশিষ্ট শিরোপা অর্জন করেছে।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত দল/৭

ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দল ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার দল এবং ফুটবল এসোসিয়েশন কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়, যা ইংল্যান্ডে ফুটবলের প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাজ্যের অংশ হলেও বিভিন্ন পেশাদারী প্রতিযোগিতার জন্য ইংল্যান্ডের নিজস্ব দল আছে। তবে অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ড একা প্রতিনিধিত্ব করেনা, বরং পুরো যুক্তরাজ্য অলিম্পিকে একসাথে অংশগ্রহণ করে। যুক্তরাজ্যের জাতিগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ডই সবচেয়ে সফল ফুটবল দল, তারা ৫৪ বার ব্রিটিশ হোম চ্যাম্পিয়নশিপ জয়লাভ করেছে এবং ১ বার ফিফা বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে। তারা অবশ্য কখনো উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জয়লাভ করতে পারেনি, তবে ২ বার সেমি-ফাইনালে উঠেছিল। ঐতিহাসিকভাবে ইংল্যান্ড ফুটবল দলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে স্কটল্যান্ড


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত দল/৮

স্পেন জাতীয় ফুটবল দল (স্পেনীয়: Selección de fútbol de España) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে স্পেনের প্রতিনিধি। দলটি রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। স্পেনের জাতীয় ফুটবল দলকে সাধারণত লা ফুরিয়া রোহা (La Furia Roja) অর্থাৎ "লাল শিখা" বা কেবল লা রোহা অর্থাৎ "লাল" নামে সম্বোধন করা হয়। স্পেন ২০০৮ সালে উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জার্মানিকে পরাজিত করে। ২০১২ সালে ইতালিকে ৪–০ গোলে পরাজিত করে স্পেন একমাত্র দল হিসেবে টানা দুবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এছাড়া স্পেন ১৯৬৪ সালে ইউরোপীয়ান নেশনস কাপ জয়লাভ করেছিল ও ১৯৮৪ সালে ফাইনাল পর্যন্ত উন্নীত হয়। এখন পর্যন্ত দলটি ১৪ বার ফিফা বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত দল/৯

নেদারল্যান্ডস জাতীয় ফুটবল দল হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেদারল্যান্ডসের প্রতিনিধি। এটি নিয়ন্ত্রণ করে রয়্যাল নেদার‌ল্যান্ডস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। (KNVB)। দলটি ১৯৮৮ সালে উয়েফা ইউরো ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়লাভ করেছে। বিশ্বকাপে তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় স্থান অধিকার। কিন্তু দুইবারই তারা স্বাগতিক দেশ যথাক্রমে পশ্চিম জার্মানি ও আর্জেন্টিনার কাছে পরাজিত হয়। ১৯৭০-এর দশকে দলটি তাদের সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করছিলো। সেসময় টোটাল ফুটবল খেলা দলটি সুন্দর পাসিংয়ের জন্য ডাকনাম হয় ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ (Clockwork Orange)। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে দলটির বর্তমান অবস্থান চতুর্থ, এবং বিশ্ব এলো রেটিংয়ে এই অবস্থান তৃতীয়। নেদারল্যান্ডস তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলাটি খেলে ৩০ এপ্রিল, ১৯০৫ সালে।


প্রবেশদ্বার:ফুটবল/নির্বাচিত দল/১০ বেলজিয়াম জাতীয় ফুটবল দল আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে ১৯০৪ সাল থেকে বেলজিয়ামের জাতীয় ফুটবল দলের প্রতিনিধিত্ব করছে। সমর্থকদের কাছে দলটি রেড ডেভিলস ডাকনামে পরিচিত। বেলজিয়াম ফুটবলে পরিচালনা পরিষদরূপে রয়্যাল বেলজিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক বেলজিয়াম দল পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। ব্রাসেলসে অবস্থিত কিং বৌদোইন স্টেডিয়াম দলের নিজস্ব স্টেডিয়াম ও অনুশীলনী মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শুরুতে সহকারী ম্যানেজারের দায়িত্বে নিয়োজিত মার্ক উইলমটস মে, ২০১২ সাল থেকে জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছেন। ১ মে, ১৯০৪ তারিখে অনুষ্ঠিত ইভেন্স কপি ট্রফি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বেলজিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রথম খেলায় অংশ নেয়। ঘটনাবহুল খেলায় ফ্রান্সের সাথে খেলাটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়। এ খেলাটি উভয় দলের জন্য প্রথম ছিল।