টড অ্যাসলে
টড ডানকান অ্যাসলে (ইংরেজি: Todd Astle; জন্ম: ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৬) পালমারস্টোন নর্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ২০১০-এর দশকের সূচনালগ্ন থেকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। তবে, ২০১৫ সালের পূর্ব-পর্যন্ত আর কোন আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করতে পারেননি তিনি। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের ক্রিকেটেই তার অংশগ্রহণ রয়েছে। কিন্তু, নিয়মিতভাবে আঘাতপ্রাপ্তিজনিত সমস্যা ও অন্যান্য স্পিনারের সাথে তাকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হবার ফলে কোন স্তরের ক্রিকেটেই তিনি নিয়মিত খেলার সুযোগ পাননি। জানুয়ারি, ২০২০ সালে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মনোসংযোগ ঘটানোর লক্ষ্যে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন তিনি।[১]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | টড ডানকান অ্যাসলে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পালমারস্টোন নর্থ, নিউজিল্যান্ড | ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক, গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | অ্যালেক অ্যাসলে (পিতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৫৭) | ২৫ নভেম্বর ২০১২ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩ জানুয়ারি ২০২০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৯৩) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৬০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৬৮) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৬ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই শার্ট নং | ৬০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন টড অ্যাসলে। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ ব্রেক কিংবা গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী তিনি।
শৈশবকাল
সম্পাদনা১৯৮৬ সালে পালমারস্টোন নর্থ এলাকায় টড অ্যাসলে’র জন্ম। তার পিতা অ্যালেক অ্যাসলে ১৯৭০-এর দশকে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।[২][৩] খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। পরবর্তীতে লেগ স্পিন বোলিং সহযোগে অল-রাউন্ডারে পরিণত হন।[৪][৫]
২০০৬ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের সদস্য হন। তিনি ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন তবে, কোন বোলিং করেননি। ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হয়েছিলেন। কেবলমাত্র চেতেশ্বর পুজারা ও ইয়ন মর্গ্যান তার তুলনায় এগিয়েছিলেন।[৫]
২০০৮ ও ২০০৯ সালে অ্যাবারডিনশায়ার সি. সি.র পক্ষে বিদেশী পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে ব্যাট ও বল হাতে খেলেছিলেন।[৬] তন্মধ্যে, ২০০৯ সালে ক্লাবটি ইতিহাস রচনা করেন। এসএনসিএল প্রিমিয়ার লীগ ও স্কটিশ কাপ জয় করে।[৭][৮]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনাউদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে টড অ্যাসলে তার ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। ২০০৬ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে, ক্যান্টারবারির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলাকালীন অল-রাউন্ডার হিসেবে পরিচিতি পান।
২০০৫ সাল থেকে টড অ্যাসলে’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। ক্যান্টারবারির পক্ষে এক পর্যায়ে মাঝারিমানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের মর্যাদা লাভ করলেও পরবর্তীতে নিচেরদিকে ব্যাট করতে থাকেন ও উদীয়মান লেগ স্পিনার হিসেবে ২০০৯ সালে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেন। প্রথম বছরের পাঁচটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার মধ্যে তিনবার পাঁচ-উইকেট দখল করেন অল-রাউন্ডারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। পরের দুই মৌসুমের প্রত্যেকবারই ত্রিশোর্ধ্ব উইকেট লাভ করেছিলেন। তবে, নতুন ভূমিকা অবতীর্ণ হবার পাশাপাশি ব্যাট হাতে তেমন বড় ধরনের ইনিংস খেলতে সক্ষম হননি। তাসত্ত্বেও, ফিল্ডার হিসেবেও যথেষ্ট দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র আঘাতপ্রাপ্তি ও তরুণ নেথুলা’র ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্বলমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের কারণে নভেম্বর, ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে নিউজিল্যান্ডের দুই টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে অন্তর্ভুক্ত হন।
ডিসেম্বর, ২০০৫ সালে প্লাঙ্কেট শীল্ড প্রতিযোগিতায় ক্যান্টারবারির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার।[৯] পরবর্তী চার বছর তিনি মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।[৫]
স্বর্ণালী সময়
সম্পাদনাব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যান্টারবারির পক্ষে তেমন ভালো খেলতে পারেননি ও দলে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।[৫] মার্চ, ২০১০ সালে তার খেলোয়াড়ী জীবনের মোড় ঘুরে যায়। প্লাঙ্কেট শীল্ডে ওতাগোর বিপক্ষে ক্যান্টারবারির সদস্যরূপে তাকে খেলানো হয়নি। কিন্তু, ক্যান্টারবারির ফাস্ট বোলার ক্রিস মার্টিনকে দুই দিন পূর্বে জাতীয় দলে খেলার আমন্ত্রণ জানানো হলে তার শূন্যতা পূরণে তাকে দলে রাখা হয়। শেষ ইনিংসে তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজস্ব প্রথম পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পান। খেলায় তার দল ১৫৮ রানে জয়লাভ করেছিল।[৫][১০] ২০১০-১১ মৌসুমে ২৯.০৮ গড়ে ৩৭ উইকেট পান।[১১] উভয় ক্ষেত্রেই তিনি ক্যান্টারবারির সেরা বোলারে পরিণত হন ও চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। এরপর, ২০১১-১২ মৌসুমেও আরেকবার সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। ৩১ উইকেট দখল করেন তিনি।[৫]
অক্টোবর, ২০১৯ সালে প্লাঙ্কেট শীল্ডের ওয়েলিংটনের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় টড অ্যাসলে ক্যান্টারবারির প্রথম বোলার হিসেবে ৩০০ প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন।[১২] জুন, ২০২০ সালে ক্যান্টারবারি কর্তৃপক্ষ ২০২০-২১ মৌসুমের ঘরোয়া ক্রিকেটকে ঘিরে চুক্তির প্রস্তাবনা দেয়।[১৩][১৪]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্ট, নয়টিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিক ও তিনটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন টড অ্যাসলে। ২৫ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
২০১২ সালে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্ত হন। ঐ বছর শ্রীলঙ্কা গমনার্থে তাকে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে রাখা হয়।[৪] ২৫ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্ল্যাকক্যাপসদের সদস্যরূপে তার টেস্ট অভিষেক হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫ রান তুলেন। এ রান সংগ্রহকালে রস টেলরের সাথে ১০৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে প্রসন্ন জয়াবর্ধনের উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।[১৫] দীর্ঘ খেলোয়াড়ী জীবনের সুন্দর অভিষেক সত্ত্বেও কয়েক বছর আর তাকে টেস্ট খেলতে দেখা যায়নি। ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র আঘাতের কারণে আরও কয়েকজন স্পিনারকে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলে খেলানো হয়।[১৬]
দলে প্রত্যাবর্তন
সম্পাদনাপরবর্তী তিন বছরে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে কোন স্তরের ক্রিকেটেই তাকে রাখা হয়নি।[১৭] ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ড এ দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। শ্রীলঙ্কা এ দলের বিপক্ষে প্রথম শ্রেণীর খেলায় দ্বিতীয়বারের মতো নিজস্ব দশ উইকেট পান। প্রথম ইনিংসে চারটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে সাত উইকেট নিয়ে খেলায় সর্বমোট এগারো উইকেট দখল করেন।[১৮] সুন্দর ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন ও ২০১৫-১৬ মৌসুমের ফোর্ড ট্রফিতে সফলতা লাভের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে পুনরায় জাতীয় দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। জানুয়ারি, ২০১৬ সালে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টি২০আই সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে নিউজিল্যান্ড দলে রাখা হয়।[১৭] ১৫ জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার অভিষেক হয়।[১৯]
তিন খেলা নিয়ে গঠিত সিরিজের প্রথম দুইটিতে তার অংশগ্রহণ ছিল। তিনি কোন উইকেট লাভে সক্ষম হননি। দুই খেলায় সর্বমোট ৪ ওভারে ৪১ রান খরচ করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে, সিরিজের শেষ খেলা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয় ও ক্যান্টারবারি দলে খেলার জন্য ফিরে যান।[২০]
এক পর্যায়ে নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বিশেষতঃ সীমিত ওভারের ক্রিকেট ও[২১] প্লাঙ্কেট শীল্ডে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন।[২২] ফলশ্রুতিতে, নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ এনে দেয়। ২০১৬-১৭ মৌসুমের গ্রীষ্মকালে আঘাতপ্রাপ্ত মিচেল স্যান্টনারের পরিবর্তে জাতীয় দলে স্থলাভিষিক্ত হন। ঐ মৌসুমে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে একমাত্র স্পিনে দক্ষ বোলার হিসেবে তাকে দলে রাখা হয়।[২৩] দলে তার অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি মন্তব্য করেন যে, টড অ্যাসলে আকর্ষণীয় পছন্দের ও আক্রমণাত্মক স্পিনার।[২৪][২৫] সিরিজের প্রথম ও নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন তিনি। তবে, তিনি কোন রান সংগ্রহ করতে পারেননি। কেবলমাত্র চার ওভার বোলিং করেছিলেন।[২৬]
এরপর, ২০১৬-১৭ মৌসুমের চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি খেলার উদ্দেশ্যে নিজ দেশে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবার জন্যে নিউজিল্যান্ড দলে যুক্ত হন।[২৭][২৮] তবে, সিরিজের কোন খেলাতেই তাকে রাখা হয়নি।[২৯]
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি
সম্পাদনা২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড এ দলের সদস্যরূপে ভারত গমন করেন। ঐ দলটিতে সেরা বোলার ছিলেন তিনি। ভারত এ দলের বিপক্ষে একদিনের খেলায় ৪/২২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। সাবেক ভারতীয় টেস্ট ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড় মন্তব্য করেন যে, ভারতীয় পরিবেশে তার দেখা অন্যতম সেরা লেগ স্পিন বোলিং করেছেন তিনি।[২৯] অক্টোবর, ২০১৭ সালে ভারত গমনার্থে তাকে নিউজিল্যান্ডের ওডিআই দলে রাখা হয়। ঐ সফরে তার ওডিআইয়ে অভিষেকের সুযোগ দেয়া হয়।[২১][৩০] তবে, ভারতীয় সভাপতি একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় মাত্র তিনটি বল ছোঁড়ার পর কুঁচকিতে টান পড়ে তার।[২৯] এ আঘাতের ফলে তাকে মাঠের বাইরে চলে আসতে হয় ও দলের বাইরে থাকেন।[৩১][৩২]
দেশে ফিরে শারীরিকভাবে সুস্থ হবার পর ক্যান্টারবারির পক্ষে নিজস্ব শততম প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন।[২৯] এরপর, ২০১৭-১৮ মৌসুমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে পুনরায় নিউজিল্যান্ড দলে যুক্ত হন।[৩৩] অবশেষে, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭ তারিখে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ওডিআইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার।[৩৪] প্রথম ওডিআই সিরিজগুলোর মধ্যে এটিই বেশ সফল ছিল। অভিষেক খেলায় ৩/৩৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। রং ’আনকে বেশ ভালোভাবে ব্যবহার করেন ও খুব কমই দূর্বলমানের বোলিং করেছিলেন।[৩৪][৩৫] এরপর, দ্বিতীয় ওডিআইয়ে ৪৯ রান করেন। হেনরি নিকোলসের সাথে ১৩০ রানে জুটি গড়েন। ষষ্ঠ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ সংগ্রহ।[৩৬][৩৭]
মার্চ, ২০১৮ সালে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্যে নিউজিল্যান্ড দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন তিনি। আঘাতের কারণে দল থেকে ছিটকে পড়া মিচেল স্যান্টনারের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।[৩৮] অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দিবা-রাত্রির টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। দূর্ভাগ্যজনকভাবে আবারও তিনি ঐ খেলায় কুঁচকির সমস্যায় আক্রান্ত হন। ফলশ্রুতিতে, নিজ শহরের হ্যাগলে ওভালে অনুষ্ঠিত পরবর্তী টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।[২২] তাসত্ত্বেও, ওডিআই ও টেস্টে তার খেলার মান বজায় থাকার কারণে ২০১৮-১৯ মৌসুমের জন্যে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ তাকে চুক্তির আওতায় রাখে।[২২][৩৯][৪০]
২০১৮-১৯ মৌসুমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার উদ্দেশ্যে এজাজ প্যাটেল ও ইশ সোধি’র সাথে তিনজন স্পিনারের অন্যতম হিসেবে দলে রাখা হয়। এ সিরিজকে ঘিরে নিউজিল্যান্ড এ দলের সদস্যরূপে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রস্তুতিমূলকখেলায় অংশ নেন ও দলে নিজ অবস্থানকে দৃঢ় করেন।[৪১] নিউজিল্যান্ড এ দলের পক্ষে ভালোমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের পর হাঁটুর ব্যথা দূরীকরণার্থে কয়েকদিন বিশ্রামে থাকেন। শুরুতে তাকে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওডিআইয়ে মাঠের বাইরে থাকার আশঙ্কায় রাখা হয়।[৪২] পরবর্তীতে তাকে এ সফর থেকে বাদ দেয়া হয় ও শুরুরদিকেই তাকে দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়।[৪৩]
আঘাত থেকে সেড়ে উঠে নিউজিল্যান্ডীয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সক্রিয় হন। ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে প্লাঙ্কেট শীল্ডের খেলায় ক্যান্টারবারির শীর্ষ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। মার্ক প্রিস্টের সংগৃহীত ২৯০ ডিসমিসালকে পিছে ঠেলে দেন।[৪৪][৪৫]
বাংলাদেশের মুখোমুখি
সম্পাদনাফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে নিজ দেশে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে পুনরায় নিউজিল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৪৬][৪৭] ঘরোয়া ক্রিকেটে সুন্দর ক্রীড়াশৈলীর বিপরীতে ইশ সোধি’র দূর্বলমানের খেলা প্রদর্শনের ফলে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে মিচেল স্যান্টনারের সাথে নিউজিল্যান্ড দলের দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে মনোনীত হন। তবে, এপ্রিল, ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ দলের সদস্য মনোনয়নকালে মন্তব্য করে যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইশ সোধি’র অভিজ্ঞতার কারণে টড অ্যাসলেকে দলে রাখা হয়নি।[৪৮]
বিশ্বকাপের পর ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কা গমনার্থে দলের চারজন স্পিন বোলারের অন্যতম হন। সাত বছর পূর্বে সেখানেই তার টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল।[৪৯][৫০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Todd Astle ends first-class career to focus on limited overs"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Todd Astle"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Alec Astle"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ Brown, Michael (২৪ অক্টোবর ২০১২)। "Cricket: NZ chasing Murali's help on Sri Lanka tour"। Otago Daily Times। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Alderson, Andrew (১৬ নভেম্বর ২০১২)। "Todd Astle: the new Vettori?"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Overseas Players"। Aberdeenshire Cricket Club। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৩।
- ↑ "Dons do double by D_L"। Cricket Scotland। ২০১২-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Lloyds TSB Scotland League Premier Division 2009"। Cricket Scotland। ২০১২-০৪-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Full Scorecard of Canterbury vs Wellington, State Championship"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Full Scorecard of Otago vs Canterbury, Plunket Shield"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Plunket Shield, 2010/11 Cricket Team Records & Stats"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Plunket Shield round-up: Latham hits 224, Wagner and Boult sound warning"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Daryl Mitchell, Jeet Raval and Finn Allen among major domestic movers in New Zealand"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০২০।
- ↑ "Auckland lose Jeet Raval to Northern Districts, Finn Allen to Wellington in domestic contracts"। Stuff। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০২০।
- ↑ "Sri Lanka v New Zealand 2012-13" । CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Geenty, Mark (২২ অক্টোবর ২০১৩)। "Neil Wagner shines as NZ come back off ropes"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "Todd Astle called up for Pakistan T20s"। ESPNcricinfo। ১০ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Todd Astle's 11-for seals sweep for NZ A"। ESPNcricinfo। ২৬ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Full Scorecard of New Zealand vs Pakistan 1st T20I 2016"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Geenty, Mark (২২ জানুয়ারি ২০১৬)। "Todd Astle released from Black Caps squad for Pakistan decider"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "Glenn Phillips and Todd Astle in line for ODI debut as Black Caps announce squad for India series"। Stuff.co.nz। ১৪ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ গ Egan, Brendon (১৬ মে ২০১৮)। "Perseverance pays off for Todd Astle with long-awaited NZ Cricket contract"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Guptill left out for Pakistan Tests; Raval, Todd Astle picked"। ESPNcricinfo। ১১ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Mickey Arthur: Todd Astle certainly an attacking spinner"। Cricket Country। ১১ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Martin, Wayne (১১ নভেম্বর ২০১৬)। "Pakistan cricket coach Mickey Arthur respectful of New Zealand test selections"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Full Scorecard of New Zealand vs Pakistan 1st Test 2016"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Debutant Lockie Ferguson named in Black Caps' squad for Chappell Hadlee series"। TVNZ। ২৫ নভেম্বর ২০১৬। ২৫ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Lockie Ferguson earns first call-up to Black Caps ODI squad"। Radio Sport। ২৫ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ Egan, Brendon (১৪ নভেম্বর ২০১৭)। "Rahul Dravid praise lifts Todd Astle's confidence for home summer"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Phillips and Astle picked in updated New Zealand squad"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "Sodhi replaces injured Astle in New Zealand squad"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "Ish Sodhi Replaces Injured Todd Astle for India ODIs"। CricketNext। ১৯ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "New Zealand include Lockie Ferguson, Todd Astle in ODI squad for West Indies"। The Indian Express। ১২ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "Full Scorecard of New Zealand vs West Indies 1st ODI 2017"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Cricket: Mystery surrounds Chris Gayle's absence"। The New Zealand Herald। ২০ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Full Scorecard of New Zealand vs West Indies 2nd ODI 2017"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Egan, Brendon (২৪ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Henry Nicholls targets permanent place in ODI side after career-best knock"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Santner ruled out for six to nine months"। International Cricket Council। ১৩ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Todd Astle bags his first New Zealand contract"। ESPNcricinfo। ১৫ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৮।
- ↑ "Todd Astle handed central contract for the first time"। International Cricket Council। ১৬ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৮।
- ↑ Geenty, Mark (১৬ অক্টোবর ২০১৮)। "Potential test duo Ajaz Patel, Todd Astle help spin NZA to victory in the UAE"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Geenty, Mark (৬ নভেম্বর ২০১৮)। "Todd Astle in doubt, Corey Anderson tour over as Black Caps injuries hit"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Uncapped 34-year-old Will Somerville replaced injured Todd Astle in Blackcaps Test squad"। International Cricket Council। ৮ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Black Cap Todd Astle becomes Canterbury's leading wicket taker"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "Cricket: Defending champions CD Stags lose 21-match trot, top-rung perch after Canterbury win"। The New Zealand Herald। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ Cully, Paul (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "Black Caps leg spinner Todd Astle says injured knee is 'ready to roll'"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Todd Astle returns, Ajaz Patel misses out for Bangladesh Tests"। International Cricket Council। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Egan, Brendon (৩ এপ্রিল ২০১৯)। "Ish Sodhi edges Todd Astle in hotly contested Black Caps Cricket World Cup squad"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Egan, Brendon (১২ আগস্ট ২০১৯)। "Black Caps legspinner Todd Astle faces critical juncture in test career in Sri Lanka"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ France-Presse, Agence (২৯ জুলাই ২০১৯)। "New Zealand Test squad - Todd Astle, Will Somerville, Ajaz Patel, Mitchell Santner"। Cricket Country। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে টড অ্যাসলে (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে টড অ্যাসলে (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)