জর্জ ম্যাকাউলি
জর্জ গিবসন ম্যাকাউলি বা, জর্জ ম্যাকাউলে (ইংরেজি: George Macaulay; জন্ম: ৭ ডিসেম্বর, ১৮৯৭ - মৃত্যু: ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৪০) ইয়র্কশায়ারের থার্সক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৩ থেকে ১৯৩৩ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জর্জ গিবসন ম্যাকাউলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | থার্সক, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড | ৭ ডিসেম্বর ১৮৯৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৩ ডিসেম্বর ১৯৪০ সালম ভো, শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, স্কটল্যান্ড | (বয়স ৪৩)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ১০.৫ ইঞ্চি (১.৭৯ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট, অফ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২১১) | ১ জানুয়ারি ১৯২৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ জুলাই ১৯৩৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯২০–১৯৩৫ | ইয়র্কশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট ও অফ স্পিন বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে সবিশেষ পারদর্শীতা প্রদর্শন করেছেন ৫ ফুট ১০.৫ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী জর্জ ম্যাকাউলি।[১]
১৯২০ থেকে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত ইয়র্কশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেট জীবন চলমান ছিল তার। ১৯২৪ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৭.৬৪ গড়ে ১,৮৩৮টি উইকেট পেয়েছেন। তন্মধ্যে, চারবার হ্যাট্রিকের সন্ধান পান।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন জর্জ ম্যাকাউলি। ইংল্যান্ডের ২১১তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন জর্জ ম্যাকাউলি। ১ জানুয়ারি, ১৯২৩ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। অভিষেক টেস্টের প্রথম বলেই উইকেট লাভ করার ন্যায় অতি দূর্লভ কৃতিত্বের সাথে স্বীয় নামকে জড়িয়ে রেখেছেন স্ব-মহিমায়। ২২ জুলাই, ১৯৩৩ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।
ইয়র্কশায়ার দলের শীর্ষস্থানীয় সদস্যের মর্যাদা পান। এ সময়ে দলটি কাউন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্তরে অবস্থান করছিল। জর্জ ম্যাকাউলি পরিবর্তনশীল চরিত্রের অধিকারী ছিলেন ও আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমায় খেলা উপহার দিতেন। পেশাদার ক্রিকেটার হবার মানসে ব্যাংকের চাকরি ত্যাগ করেন। ফাস্ট বোলার হিসেবে ২৩ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। তবে, সীমিত সাফল্য লাভের পরিপ্রেক্ষিতে অফ স্পিন বোলিংয়ের সাথে পেস বোলিংয়ের সংমিশ্রণ ঘটান। এ প্রক্রিয়াটি গ্রহণের ফলে তাকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দেয়। ফলশ্রুতিতে, ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট খেলার জন্য আমন্ত্রিত হন। তবে, সর্বোচ্চ স্তরের ক্রিকেটে দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। ১৯২৬ সালের অ্যাশেজ সিরিজের টেস্টে ব্যর্থতার কারণে তাকে আরও কয়েকটি টেস্টে অংশগ্রহণের প্রতিবন্ধকতা গড়ে তোলে। ১৯২০-এর দশকের শেষদিকে আঘাতও তার নিত্য সহযোদ্ধা ছিল। তবে, ১৯৩০-এর দশকের শুরুরদিকে আরোগ্যলাভের প্রেক্ষিতে আবারও তাকে ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দ্বিতীয় খেলাতেই নিজেকে মেলে ধরেন। তবে, ১৯৩৪ সালে আবারও আঘাতের কবলে পড়েন। এরফলে দলে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে পড়ে ও ১৯৩৫ সালেই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ থেকে সড়ে আসেন। তাসত্ত্বেও, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পূর্ব-পর্যন্ত ক্লাব ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে থাকেন।
রয়্যাল এয়ার ফোর্সের পাইলট অফিসার ছিলেন। তবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৪০ তারিখে ৪৩ বছর বয়সে শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের সালম ভো এলাকায় জর্জ ম্যাকাউলি’র দেহাবসান ঘটে।
শৈশবকাল
সম্পাদনা৭ ডিসেম্বর, ১৮৯৭ তারিখে থার্স্কে জর্জ ম্যাকাউলি’র জন্ম। বাবাসহ কাকা স্থানীয় পর্যায়ে বেশ জনপ্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন।[২] বার্নার্ড ক্যাসলে অধ্যয়ন করেছেন। শেষদিকের বছরগুলোয় জনপ্রিয় ক্রিকেটারদের দলে অন্তর্ভুক্ত হন ও বিদ্যালয়ের বার্ষিক খেলায় বিদ্যালয় একাদশের বিপক্ষে খেলেন।[৩] বিদ্যালয় জীবন ত্যাগ করার পর ওয়াকফিল্ডের একটি ব্যাংকে কেরাণী হিসেবে কাজ করতে থাকেন।[৪] ঐ এলাকাসহ কাছাকাছি অসেটে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলায় অংশ নিতেন।[৫] প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন রয়্যাল ফিল্ড আর্টিলারিতে যোগদান করেন।[৬] এরপর একই ব্যাংকের লন্ডন কার্যালয়ে কাজে যোগ দেন।[৪] কাজের ফাঁকে কেন্টের হার্ন বে এলাকায় ক্লাব ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতেন।[২][৫]
কাউন্টি ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯২০ সালে ইয়র্কশায়ার কর্তৃপক্ষ দলের বোলিং আক্রমণ বৃদ্ধির কথা উপলদ্ধি করে। এরপূর্বে দলের সফলতম বোলারদের মধ্যে মেজর বুথ যুদ্ধে নিহত হন। অল্প কিছুদিন পর অ্যালঞ্জো ড্রেক অসুস্থ অবস্থায় মারা যান ও জর্জ হার্স্ট তার সেরা খেলা প্রদর্শন করতে পারছিলেন না। অন্যদিকে উইলফ্রেড রোডস স্পিন বোলার হিসেবে ঠিকই সেরা খেলা উপহার দিচ্ছিলেন। ফলে নতুন বোলার হিসেবে পেসার খুঁজছিলেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ।[২][৭] কেন্টের সাবেক ক্রিকেটার স্যার স্ট্যানলি ক্রিস্টোফারসনের বদান্যতায় জর্জ ম্যাকাউলিকে ক্লাবের পক্ষে খেলার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়।[৫] এরপর ১৯শ শতাব্দীর ইয়র্কশায়ারীয় ক্রিকেটার হ্যারি হেলি তার খেলার ধরন পর্যবেক্ষণ করেন ও কাউন্টি দলের অনুশীলনীতে প্রেরণ করেন।[২] ১৯২০ মৌসুমের শুরুতে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে দুইটি প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নেন। একদিনের খেলায় ৬/৫২ এবং দুই দিনের খেলায় ৪/২৪ ও ২/১৯ লাভ করেন।[জ ১][৮] ফলশ্রুতিতে, ১৫ মে, ১৯২০ তারিখে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। তবে, খেলায় তিনি একটিমাত্র উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখিয়েছিলেন।[৮] মৌসুমের প্রথমার্ধ্বে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৫/৫০ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। এটিই তার প্রথম ৫-উইকেট লাভ করা ছিল। এরপর ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৬/৪৭ পেয়েছিলেন।[২][৮]
জুনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত খেলতে থাকেন। তবে, সারের বিপক্ষে হতাশাজনক ফলাফলের কারণে দলের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হন।[৮][৯] দশটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২৪.৩৫ গড়ে ২৪ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি।[১০] ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ১৫ রান তুলতে পেরেছিলেন।[১১] উইজডেনের মতে, তিনি বলে পেস কিংবা দম ধরে রাখতে পারছিলেন না।[৫] পরবর্তীতে জানা যায়, নিজের ক্ষমতার বাইরে বলে গতি আনয়ণের চেষ্টা চালিয়েছিলেন জর্জ ম্যাকাউলি। তাসত্ত্বেও, তিনি পেশাদার ক্রিকেটার হবার সিদ্ধান্তের কথা জানান। জর্জ হার্স্ট ও উইলফ্রেড রোডস তার পেস কমানোর কথাসহ নিখুঁত নিশানায় বল ফেলার দিকে মনোঃসংযোগ ঘটানোর পরামর্শ দেন। এছাড়াও, বলকে স্পিন করার কথা বলা হয়। পরবর্তী মৌসুমের কথা চিন্তা করে ১৯২০-২১ মৌসুমের পুরো শীতে অনুশীলন কর্ম চালাতে থাকেন।[২][৩]
মিডিয়াম পেস ও নতুন ধরনের অফ স্পিনের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বোলিংয়ের দিকে অগ্রসর হন।[১২] ১৯২১ সালে ২৭ খেলায় অংশগ্রহণ ছিল তার। মৌসুমের শুরুতে বেশ ধীরলয়ে যাত্রা শুরু করেন। নিজস্ব চতুর্থ খেলায় ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে মাত্র দশ রানে ছয় উইকেট নিয়ে ৭২ রানে গুটিয়ে দিতে সক্ষম হন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আরও চার উইকেট নিয়ে ইয়র্কশায়ারকে বড় ব্যবধানের জয় এনে দেন। ঐ খেলা তিনি ৬৫ রান দিয়ে প্রথমবারের মতো দশ উইকেট পান।[৮] এরপর ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে মাত্র তিন রানের বিনিময়ে ছয় উইকেট নিয়ে ২৩ রানে গুড়িয়ে দেন ও সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হন।[৩][৮] পরবর্তীতে সারের বিপক্ষে দশ উইকেট পেলেও তার দল হেরে যায়।[৮] ঐ মৌসুমে ১৭.৩৩ গড়ে ১০১টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছিলেন জর্জ ম্যাকাউলি।[১০] এরফলে ইয়র্কশায়ার দলে বোলিং গড়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছিলেন।[১৩] পাশাপাশি ব্যাট হাতে ২২.৫৯ গড়ে ৪৫৭ রান তুলে ধারাভাষ্যকারদের বিস্ময়ের পাত্রে পরিণত হন ও স্বীয় সক্ষমতার কথা জানান দেন।[১১] এ রান সংগ্রহকালীন নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরির সন্ধান পান। দলীয় সংগ্রহ ২১১/৭ থাকাকালীন তিনি মাঠেন নামেন। এরপর ২২৮/৮ হবার পর অপরাজিত ১২৫ রান তুলেন। এরফলে ইয়র্কশায়ার দল ৪৩৮/৯ সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা দেয়। এ পর্যায়ে তার দল ২৬৪ রানে এগিয়ে যায় ও খুব সহজেই জয় তুলে নেয়।[২][১৪] সামগ্রিকভাবে ঐ মৌসুমে তার সুন্দর ক্রীড়াশৈলী দলে স্থান পাকাপোক্ত করতে সহায়তা করে।[২]
১৯২২ সালে তার বোলিং রেকর্ড আরও উন্নততর হয়। ১৪.৬৭ গড়ে ১৩৩ উইকেট নেন।[১০] এ মৌসুমে তিনি আরও একটি সেঞ্চুরি করে বসেন।[১১] ইয়র্কশায়ারকে ধারাবাহিকভাবে চারটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ের প্রথমটিতে ভীষণ অবদান রাখেন।[১৫] এ মৌসুমে বোলিং গড়ে উইলফ্রেড রোডসের পর দলের দ্বিতীয় সফলতম বোলারে পরিণত হন।[জ ২][১৬] ঐ মৌসুমের প্রথম দুই খেলায় ম্যাকাউলি দূর্দান্ত বোলিং করেন। নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ৬/৮ ও ৫/২৩ নিয়ে দশ উইকেটে জয় এনে দেন। পরের খেলায় গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ৬/১২ নিয়ে প্রতিপক্ষকে ৭৮ রানে গুটিয়ে দেন ও দল ইনিংস ব্যবধানে জয় পায়। দ্বিতীয় ইনিংসে একটিমাত্র উইকেট পেলেও প্রথম তিন ইনিংসে ৪৩ রান খরচায় ১৭ উইকেট শিকার করেন তিনি।[৮] তিনি তার উইকেট শিকার করা অব্যাহত রাখেন।
জুনে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ সফলতা পান। লর্ডসে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) সদস্যদের সামনে মিডলসেক্সের বিপক্ষে ৫/৩১ নিয়ে ১৩৮ রানে অল-আউট করেন। সকলেই বিস্ময়াভূত হন ও জুলাইয়ে একই মাঠে জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে প্লেয়ার্সের মধ্যকার খেলার জন্য তাকে মনোনীত করা হয়। মৌসুমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলায় ৪৩০ রানের ইনিংসে তিনি ৩/৯৭ পান।[জ ৩][২][৮][১৮] এ সাফল্যগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ঐ মৌসুমের শীতকালে এমসিসি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[জ ৪] তবে তার শারীরিক সক্ষমতা অপর্যাপ্ত ছিল।[২] পরিসংখ্যানগতভাবে এগিয়ে থাকা জর্জ ম্যাকাউলি অল্প কিছুদিন পরই গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। ৭/৪৭ বোলিং পরিসংখ্যানসহ খেলায় তিনি বারো উইকেট পান।[৮] এছাড়াও, তিনি ১৭.৩৫ গড়ে ৪৮৬ রান তুলেন।[১১]
টেস্ট অভিষেক
সম্পাদনা১৯২২-২৩ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। এ সফরের প্রথম আটটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। ১৬.৩৭ গড়ে ২৯ উইকেট দখল করেন জর্জ ম্যাকাউলি।[১০] প্রিটোরিয়ার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা প্রথম-শ্রেণীর বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৬/১৮। ট্রান্সভালের বিপক্ষে খেলায় আট উইকেট পান। গুরুত্বহীন খেলাগুলোয় বেশ সফলতা পেয়েছিলেন। ইস্ট র্যান্ডের বিপক্ষে ৫/৪০ ও জুলুল্যান্ডের বিপক্ষে ৬/১৯ পান।[৮] সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড দল পরাজয়বরণ করে। উইজডেনের মতে, বোলিংয়ের দূর্বলতাই এ পরাজয়ের কারণ ছিল। ফলে, দ্বিতীয় টেস্টে গ্রিভিল স্টিভেন্সের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি ও ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[২০][২১][২২] নিজস্ব প্রথম বলেই জর্জ হার্নের উইকেট লাভ করার কৃতিত্ব দেখান। এরফলে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের চতুর্থ বোলার হিসেবে প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছেন।[২৩] প্রথম ইনিংসে তিনি ২/১৯ পান। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা দল একপর্যায়ে ১৫৭/১ তুলে। তবে, আরও ১৩ রান যুক্ত করতে ম্যাকাউলি চার উইকেট তুলে নেন। ঐ ইনিংসে তিনি ৫/৬৪ পান।[২২]
উইজডেন খেলায় তার বোলিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করে। এগারো নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে জয়সূচক রান সংগ্রহের মাধ্যেম ইংল্যান্ডকে এক উইকেটের জয় এনে দেন।[২২][২৪] পরবর্তী তিন টেস্টেও তিনি অংশ নেন। ২০.৩৭ গড়ে ১৬ উইকেট পান জর্জ ম্যাকাউলি।[২৫] ইংল্যান্ড ঐ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পায়। তবে, উইজডেন সংবাদদাতা ইংরেজ দলের খেলার ধরনে মোটেই সন্তুষ্ট হননি। তার মতে, দলে কার্যকরী বোলারের উত্থান ঘটেনি।[২৬] এ সফরে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। উইজডেন মন্তব্য করে যে, ম্যাকাউলি ১৯২৩ মৌসুমে চমৎকার ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন।[২] তার এই দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন। এতে তার ক্ষিপ্রতা, স্পিন ও সকল ধরনের পিচে বোলিং করার কথা তুলে ধরা হয়। তবে, পরিস্থিতি প্রতিকূলে চলে গেলে তিনি খুব সহজেই নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন ও নেতিবাচকভাবে খেলতেন।[২]
এ পর্যায়ে নিজস্ব সেরা মৌসুম অতিবাহিত করেন। ১৩.৮৪ গড়ে ১৬৬ উইকেট নিয়ে ইয়র্কশায়ার ও জাতীয় বোলিং গড়ে তৃতীয় স্থানে চলে আসেন।[১১][২৭][২৮] মৌসুমের প্রথম খেলায় ব্যক্তিগত সেরা খেলা উপস্থাপন করেন। গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ৭/১৩ নিয়ে প্রতিপক্ষ দলকে ৬৩ রানে গুটিয়ে ফেলতে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।[৮] মৌসুমের শেষদিকে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে হ্যাট্রিকের সন্ধান পান। ঐ ইনিংসে ৫/৪২ পান তিনি।[২৯] ব্যাট হাতে ১৮.৫২ গড়ে ৪৬৩ রান তুলেন।[১১] ঐ মৌসুমে কোন আন্তর্জাতিক খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে, টেস্ট প্রস্তুতিমূলক খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাদ-বাকী একাদশের সদস্যরূপে মাত্র একটি উইকেট পান তিনি।[জ ৫][৮]
১৯২৪ সালে জর্জ ম্যাকাউলি নিজের সংগ্রহশালা বৃদ্ধিতে আরও অগ্রসর হন। ১৩.২৩ গড়ে ১৯০ উইকেট পান। এরফলে, জাতীয় গড়ে শীর্ষস্থানে চলে আসেন।[১০][৩০][৩১] তবে, ব্যাট হাতে তেমন সফলতার স্বাক্ষর রাখেননি। ১১.৯৬ গড়ে ৩৯৫ রান তুলেন।[১১] আরও একটি টেস্ট প্রস্তুতিমূলক খেলার জন্যে মনোনীত হলেও সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেননি। লিডসে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। দক্ষিণ আফ্রিকার উভয় ইনিংসে একটি করে উইকেট পান। ফলশ্রুতিতে, সিরিজের শেষ দুই টেস্ট খেলা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়।[৮] মৌসুমে সফলতা পেলেও শীতকালে এমসিসি দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমনের জন্যে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ঐ সফরে শীর্ষস্থানীয় বোলার মরিস টেটও দলকে খুবই কম সহযোগিতা করেছিলেন।[১২]
বিতর্কিত ভূমিকা
সম্পাদনা১৯২৪ সালে মাঠে বিতর্ক সৃষ্টির সাথে জর্জ ম্যাকাউলির নাম জড়িত ছিল। ঐ সময়ে ফিল্ডিংকালে ইয়র্কশায়ার দল তাদের আক্রমণাত্মক আচরণের কারণে পরিচিত ছিল।[৩২] ১৯২৪ সালে শেফিল্ডে মিডলসেক্সের বিপক্ষে আয়োজন দলের সমর্থকদের রোষানলে পড়লে এমসিসি তদন্ত করে। এতে ইয়র্কশায়ারীয় বোলার অ্যাব ওয়াডিংটন দর্শকদেরকে ক্ষেপিয়ে তোলেন।[৩৩] সারের বিপক্ষেও একই ধরনের ঘটনার পুণরাবৃত্তি ঘটে।[৩৪] চারজন খেলোয়াড়ের ক্ষুদ্র জোটটি ইয়র্কশায়ারের দূর্বলমানের শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে উইজডেন সম্পাদক দোষারোপ করেন। তাদের অন্যতম হিসেবে ম্যাকাউলির নাম উল্লেখ না করলেও, তিনি লক্ষ্য করেন যে, ইয়র্কশায়ারের সভাপতি লর্ড হকের আশীর্বাদপুষ্ট হিসেবে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্যে ম্যাকাউলির নাম থাকলেও নিজের দোষে তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।[৩৫] এছাড়াও, ঐ সময়ে অনুষ্ঠিত একটি খেলায় সম্ভবতঃ জর্জ ম্যাকাউলি প্রকাশ্যে ইংল্যান্ড দলনায়ক আর্থার জিলিগানের অধিনায়কত্ব ও বোলিং নিয়ে সমালোচনায় মুখরিত হয়েছিলেন।[৩৬]
১৯২৩ সাল থেকে তার ইয়র্কশায়ারীয় দলীয় সঙ্গী হার্বার্ট সাটক্লিফকে সাথে নিয়ে লিডস ও ওয়াকফিল্ডে ক্রিকেটের সাজ-সরঞ্জামের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে থাকেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠা দাড় করাতে নিজের মায়ের কাছ থেকে £২৫০ পাউন্ড-স্টার্লিং কর্জ করেন। ১৯২৪-২৫ মৌসুমে ঐ প্রতিষ্ঠানটি লিমিটেড কোম্পানীতে রূপান্তরিত হয় ও ম্যাকাউলি এর অন্যতম পরিচালক হন।[৪][৩৭] সাটক্লিফের আত্মজীবনীকার অ্যালেন হিলের অভিমত, জর্জ ম্যাকাউলি খুব দ্রুত আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এক বছর পরই প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ঘটান। তবে, সাটক্লিফ ঠিকই সফলতার মুখ দেখেন।[৩৭] পদত্যাগকালীন তিনি £৯০০ পাউন্ড-স্টার্লিং লাভ করেন।[৪]
স্বর্ণালী শিখরে আরোহণ
সম্পাদনা১৯২৫ সালে উইকেটের দিক দিয়ে সর্বাপেক্ষা সফলতম মৌসুম অতিবাহিত করেন। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড উত্তাপে ব্যাটিং উপযোগী পিচ হলেও তিনি এ সফলতা পান। ১৫.৪৮ গড়ে ২১১ উইকেট লাভ করে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে গড়ে শীর্ষস্থান দখল করেন জর্জ ম্যাকাউলি।[১০][৩৮][৩৯] ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইয়র্কশায়ারের পক্ষে উইলফ্রেড রোডস, জর্জ হার্স্ট ও বব এপলইয়ার্ড ঠিক ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরেছিলেন।[৪০] ১৯২৫ সালে অন্যতম সেরা খেলা উপহার দেন তিনি। ২৬৩ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় অগ্রসরমান সাসেক্স দল ২২৩/৩ সংগ্রহ করে। চূড়ান্তদিনের মধ্যাহ্নবিরতির পরক্ষণেই জ্বলে ওঠেন। সম্ভবতঃ তবে, প্রমাণবিহীন অবস্থায় ম্যাকাউলি বিরতিকালে মদ্যপান করেছিলেন বলে জানা যায়।[৪০] ৩৩ বলে আট রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট লাভের ন্যায় দূর্দান্ত স্পেল খেলেন। ইনিংসে তিনি ৭/৬৭ পান।[৪১][৪২] রপর ক্লান্ত দেহে মাঠ ত্যাগ করেন তিনি। ক্রিকেট ইতিহাসবেত্তা মিক পোপ এ খেলা সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, ম্যাকাউলি তার শেষ পরীক্ষা দিয়েছেন যাতে তার হারানোর কিছুই ছিল না।[৪৩] জেন্টলম্যানের বিপক্ষে খেলার জন্য জর্জ ম্যাকাউলিকে আবারও প্লেয়ার্সের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। লর্ডসে অনুষ্ঠিত খেলাটিতে তিনি পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন।[৮] ব্যাট হাতে ২৩.৮৮ গড়ে ৬২১ রান তুলেন। তবে, মাত্র দুইবার পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছিলেন।[১১]
১৯২৬ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের মুকুট লাভের আশা ত্যাগ করতে হয় ইয়র্কশায়ার দলকে। ১৯২১ সালে শিরোপাবিহীন অবস্থায় থাকার পর এবারই প্রথম এ ঘটনা ঘটে।[১৫] উইজডেন লক্ষ্য করে যে, উইলফ্রেড রোডসের পূর্বের সাথে তুলনান্তে কম কার্যকরী বোলিং করলেও ইয়র্কশায়ারের বোলিং আক্রমণে তিনিই ব্যতিক্রম ছিলেন।[৩৮] ম্যাকাউলি কম ওভার বোলিং করেছেন। ১৭.৭৮ গড়ে ১৩৪ উইকেট নিয়ে ইয়র্কশায়ারের বোলিং গড়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করেন।[১০][৪৪] টেস্ট প্রস্তুতিমূলক খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়। তবে, কোন উইকেট পাননি। উইজডেনে তার ক্রীড়াশৈলীকে নিষ্প্রাণরূপে আখ্যায়িত করে।[৪৫] ক্রিকেট লেখক নেভিল কারদাস মন্তব্য করেন যে, তিনি পুনরায় তার সেরা খেলা প্রদর্শন করা থেকে দূরে সরে গিয়ে ইয়র্কশায়ার একাদশের বাইরে চলে যাচ্ছেন।[৪৬] জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়নি ও আর কখনো প্লেয়ার্সের প্রতিনিধিত্ব করেননি তিনি।[৮]
অ্যাশেজ সিরিজ, ১৯২৬
সম্পাদনাহেডিংলিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের জন্যে জর্জ ম্যাকাউলিকে মনোনীত করা হয়। ইংরেজ অধিনায়ক আর্থার কার বোধহয় ধারণা করেছিলেন যে, পিচ হয়তোবা স্পিনারদের সহায়তা করবে। অস্ট্রেলীয়রা জর্জ ম্যাকাউলি সম্পর্কে সচেতন ছিল ও তাদের ব্যাটিংয়ে প্রভাব বিস্তার করার কথা ভাবে। তবে, খেলায় বোলার হিসেবে জর্জ ম্যাকাউলি তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। খেলার শুরুতেই চার্লি ম্যাককার্টনি আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান। উইজডেনের মতে, তিনি তার খেলোয়াড়ী জীবনের অন্যতম সেরা ইনিংস উপহার দিয়েছেন। নির্দয়ভাবে ইংরেজ বোলিং আক্রমণের উপর চড়াও হন। মধ্যাহ্নবিরতির পূর্বেই সেঞ্চুরি করার ন্যায় বিরল অর্জনের সাথে জড়িয়ে পড়েন। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান তার অধিনায়ককে জিজ্ঞেস করেন যে, যদি তিনি ম্যাকাউলিকে পেটাতে থাকেন তাহলে ইয়র্কশায়ারীয় বোলারের উপর দ্রুত প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবেন। এক পর্যায়ে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়। তবে, শর্ট বলে শূন্যে বল মারলে কট আউটে বিদায় নেন ম্যাকার্টনি। এটিই ঐ ইনিংসে ম্যাকাউলির সফলতা ছিল। ম্যাকাউলি ৩২ ওভারে ১২৩ রান খরচ করে ফেলেন। অস্ট্রেলিয়া দল ৪৯৪ রানে ইনিংস শেষ করে।[৪৭][৪৮][৪৯] দশ নম্বরে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন জর্জ ম্যাকাউলি। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ১৮২/৮ ও পরাজয়ের সমূহ আশঙ্কায় ধুকছিল। আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন ও দশটি চারের মারে ৭৬ রান তুলেন। এ পর্যায়ে জর্জ গিয়েরির সাথে ১০৮ রান তুলে ইংল্যান্ডের উত্তরণ ঘটান ও ড্র করতে সক্ষম হয় তার দল।[৪৭][৫০]
তাসত্ত্বেও, সিরিজের শেষ দুই টেস্টে তাকে খেলানো হয়নি।[৮] ঐ মৌসুমের শেষদিকে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৯২ রান খরচায় চৌদ্দ উইকেট পান। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় ইনিংসে ৮/৪৩ পান। ঐ খেলায় তিনি তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন।[৮] টেস্টে ব্যাটিংয়ে সফলতার সাথে আরও দুইটি অর্ধ-শতক খেলেন। এছাড়াও, সমারসেটের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন তিনি।[৮][১১]
দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন
সম্পাদনাপরবর্তী চার মৌসুম ইয়র্কশায়ার চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ের সন্ধান পায়নি। তবে, দলটি পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানের মধ্যে অবস্থান করতো।[৫১] বোলিং বিভাগে দলটি দূর্বল পর্যায়ে চলে যেতে থাকে। ১৯২৮ সালে রয় কিলনারের মৃত্যু বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রধান বোলারেরা বয়সের ভারে ন্যূহ ও আঘাতগ্রস্ত ছিল। কেবলমাত্র জর্জ ম্যাকাউলিই তার বোলিংয়ের স্বর্ণালী শিখরে অবস্থান করছিলেন।[৫২] তাসত্ত্বেও প্রত্যেক বছরেই তার খেলা দূর্বলতর হতে থাকে। ১৯২৬ সালের ন্যায় ১৯২৭ সালে এসেও প্রায় একই পর্যায়ে থাকে। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক মৌসুমেই উইকেট লাভ করা কমতির দিকে যেতে থাকে।[১০]
১৯২৭ সালে ১৮.২৬ গড়ে ১৩০ উইকেট পেয়েছিলেন জর্জ ম্যাকাউলি।[১০] ১৯২৮ সালে পায়ের আঘাতের কারণে ছন্দে ফিরে আসতে কিছুটা সময় খেলার বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন।[৫৩] উইকেট পান ১২০টি ও গড়ে ২৪.৩৭ রান খরচ করেন।[১০] ১৯২৯ সালে উইকেট সংখ্যা আরও কমে ১০২টি হয় ও ২০-এর অধিক গড়ে রান প্রদান করতে হয়। ১৯৩০ সালের প্রায় পুরোটা সময় পায়ের আঘাতে ভুগতে থাকেন। অভিষেক মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো ১০০ উইকেট লাভ করা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করেন। এ পর্যায়ে ২৫.১২ গড়ে রান দেন যা তার খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বোচ্চ গড় ছিল।[জ ৬][১০][৫৮]
ঐ মৌসুমগুলোয় তিনি মাত্র একবার প্রতিনিধিত্বমূলক খেলায় অংশগ্রহণের জন্যে মনোনীত হয়েছিলেন। ১৯২৮ সালে টেস্ট প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নিয়েও কোন উইকেট লাভ করতে পারেননি জর্জ ম্যাকাউলি।[৮] একই সময়ে তার ব্যাটিং স্ফীত হতে থাকে। ১৯২৭ সালে তিনি তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের সন্ধান পান। ছয়বার অর্ধ-শতক ইনিংস খেলেন। ২৫.১১ গড়ে ৬৭৮ রান পান। ১৯২৮ সালে ব্যাটিং গড়কে আরও সমৃদ্ধ করেন। আরও চারটি অর্ধ-শতক সহযোগে ২৫.৮৫ গড়ে ৫১৭ রান সংগ্রহ করেন তিনি। কিন্তু, ১৯২৮ সালের পর ব্যাট হাতে ১৬.২৬ গড়ের বেশি রান তুলতে পারেননি। এরপর আর মাত্র দুইটি অর্ধ-শতকের ইনিংস খেলেন। এগুলো ১৯২৯ সালে করেন।[১১]
ছন্দে প্রত্যাবর্তন
সম্পাদনা১৯৩১ মৌসুম থেকে ইয়র্কশায়ার দল আরও একবার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে প্রাধান্য বিস্তার করতে থাকে। এবার দলটি ধারাবাহিকভাবে তিনবার শিরোপা জয়ে সক্ষমতা দেখায়।[১৫] এ সফলতা লাভের ক্ষেত্রে বোলিং শক্তিমত্তা বৃদ্ধি বিরাট ভূমিকা রাখে।[৫৯] ১৯৩১ সালে উইকেট লাভের ক্ষেত্রে ৯১ থেকে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭-এ নিয়ে যান। ২৫.১২ গড় থেকে ১৫.৭৫-এ নিয়ে যান।[১০] হেডলি ভেরিটি ও বিল বোসের পর ইয়র্কশায়ারের গড়ে তৃতীয় স্থান দখল করেন। তারা উভয়ই শতাধিক উইকেট লাভ করেন ও অত্যন্ত শক্তিশালী বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দেন।[৫৯][৬০] ঐ মৌসুমে জর্জ ম্যাকাউলি আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্য মনোনীত হন। সারের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় £১,৬৩৩ পাউন্ড-স্টার্লিং লাভ করেন।[৩][৬১] ২০০৮ সালের হিসেব অনুযায়ী এ অর্থের পরিমাণ প্রায় £৮২,৭০০ পাউন্ড-স্টার্লিং।[৬২] তবে, ঐ সময়ে একজন ইয়র্কশায়ারীয় ক্রিকেটারের জন্যে বেশ দূর্বলমানের অর্থসংগ্রহরূপে পরিগণিত হয়েছিল।[৩]
পরবর্তী মৌসুমে জর্জ ম্যাকাউলি আরও কম উইকেট পান। ১৯.০৭ গড়ে ৮৪ উইকেট পান তিনি।[১০] এরফলে, ইয়র্কশায়ার দলে তিনি পঞ্চম স্থানে চলে যান।[৬৩] সফররত ভারতীয় একাদশের বিপক্ষে ৮/২১ নিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান।[৮] এ পর্যায়ে জর্জ ম্যাকাউলি স্পিন বোলিংয়ের দিকে ধাবিত হন ও পেস বোলিং থেকে দূরে সরে আসেন। বিল বোস ও আর্থার রোডস ইয়র্কশায়ারের বোলিং আক্রমণ উদ্বোধনে নামতেন।[৬৪] ১৯৩৩ মৌসুমে জর্জ ম্যাকাউলি তার খেলার মান উত্তরণের সঙ্কেত দেন। উইজডেন মন্তব্য করে যে, তিনি পুরোপুরি নিখুঁত নিশানা, স্পিন ও বৈচিত্র্যময় পেসের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষমতা প্রদর্শন করেছেন।[৪০] দলের যে-কোন বোলারের তুলনায় অধিকসংখ্যক ওভার বোলিং করেন। ১৯২৯ সালের পর প্রথমবারের মতো শতাধিক উইকেট পান। এ সংখ্যাটি তার খেলোয়াড়ী জীবনের দশম ও শেষবারের মতো ছিল। ১৬.৪৫ গড়ে ১৪৮ উইকেট দখল করেন তিনি।[১০][৬৫] নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ৭/৯ পান। ফলে প্রতিপক্ষীয় দলটি মাত্র ২৭ রানে গুটিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খেলায় তিনি ৩৪ রান খরচায় তেরো উইকেট পেয়েছিলেন।[৮] ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে খেলায় তিনি ৪৯ রানের বিনিময়ে বারো উইকেট পান। এক পর্যায়ে পাঁচ বলে হ্যাট্রিকসহ চার উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।[৬৬] এছাড়াও, লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে বারো উইকেট পেয়েছিলেন।[৮]
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি, ১৯৩৩
সম্পাদনাতার খেলার উত্তরণ ঘটায় সাত বছর পর পুনরায় টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শুরুরদিকে তাকে দলে না নেয়ায় উইজডেন বিরূপ মন্তব্য করে। তবে, খেলা শুরুর পূর্বে ই. ডব্লিউ. ক্লার্ক বাদ পড়লে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলেন।[৬৭] প্রথম ইনিংসে এক উইকেট পান জর্জ ম্যাকাউলি। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪/৫৭ নিয়ে উইজডেন থেকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লাভ করেন।[৮][৬৭]
দ্বিতীয় টেস্টেও তাকে দলে রাখা হয়। তবে, মাত্র ১৪ বোলিং করার পর ফিল্ডিংকালে পায়ে আঘাত পান। এরপর খেলায় আর অংশ নেননি।[৮][৬৮] তৃতীয় টেস্টে তিনি খেলেননি। তবে, স্কারবোরা উৎসবের খেলায় জন্য পূর্ববর্তী শীতকালে অস্ট্রেলিয়া গমনকারী এমসিসি দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত দলের সদস্য হন। তখনও তিনি আঘাতগ্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন ও ঐ সফরে তিনি অংশ নেননি।[৬৯] ইয়র্কশায়ারের বোলিং গড়ে জর্জ ম্যাকাউলি দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন।[৭০] মৌসুমের পর্যালোচনায় উইজডেন তার খেলার ধরন প্রসঙ্গে উল্লেখ করে যে, শুরুরদিকে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের একজন ছিলেন।[৪০]
চূড়ান্ত মৌসুম
সম্পাদনাজর্জ ম্যাকাউলির শেষ দুই মৌসুম আঘাত নিয়ে কাটে। এছাড়াও, ক্রমবর্ধমান বাতরোগও এর সাথে যুক্ত হয়।[৭১] ১৯৩৪ মৌসুমে ক্যাচ তালুবন্দীকালে বলকে স্পিন করানোয় ব্যবহৃত তর্জনীতে আঘাত পান।[৩] জুন মাসের পূর্ব-পর্যন্ত ইয়র্কশায়ারের পক্ষে খেলেননি তিনি।[৭২] তবে, ২৩.৪৩ গড়ে ৫৫ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।[১০] পরের মৌসুমটি তার সর্বশেষ মৌসুম ছিল। এ মৌসুমে তিনি মাত্র নয় খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[১১] ২০.০৯ গড়ে ২২ উইকেট পেয়েছিলেন।[১০] ঐ বছর শেষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ইয়র্কশায়ার কর্তৃপক্ষ ২৫০ পাউন্ড-স্টার্লিংয়ের বিশেষ মঞ্জুরী পুরস্কার হিসেবে তাকে প্রদান করে।[৩] ইয়র্কশায়ার ফ্রাঙ্ক স্মেইলসকে ম্যাকাউলির স্থানে রাখার উপযোগী হিসেবে বিবেচনা করে।[৬৫] তবে, ১৯৩৭ সালের পূর্ব-পর্যন্ত ঐ স্থানটির উপযোগী কাউকে পায়নি। অবশেষে নতুন অফ-স্পিনার হিসেবে এলিস রবিনসন তার ঘাটতি মোকাবেলা করতে কিছুটা সক্ষম হয়েছিলেন।[৭৩]
১৭.৬৫ গড়ে ১,৮৩৭টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভের মাধ্যমে জর্জ ম্যাকাউলি তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপণ ঘটান। সর্বমোট আট টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল তার। ২৭.৫৮ গড়ে ২৪ উইকেট দখল করেন তিনি। পাশাপাশি, ১৮.০৭ গড়ে ৬,০৫৫ রান ও ৩৭৩ ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন তিনি।[৭৪] দশ মৌসুমে শতাধিক উইকেট লাভের কৃতিত্ব রয়েছে তার। তার তুলনায় কেবলমাত্র চারজন ইয়র্কশায়ারীয় বোলার এগিয়ে রয়েছেন। মৌসুমে দুই শতাধিক উইকেট লাভের দিক দিয়ে কেবলমাত্র আরও তিনজন ইয়র্কশায়ারীয় বোলার রয়েছেন।[৭৫] এছাড়াও চারটি হ্যাট্রিক করেছিলেন।[৭৬]
অবসর
সম্পাদনাক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর শুরুতে বাতজনিত ঔষধ প্যাটেন্ট করার চেষ্টা চালান। তবে, দ্রুত এ ব্যবসাটি মুখথুবড়ে পড়ে। এরপর তিনি লিডসে ক্রীড়া সরঞ্জাম বিক্রয় কেন্দ্র খুলেন। এ ব্যবসাটিও আশানুরূপ সাড়া জাগাতে পারেনি।[৪] অর্থের অভাব ও অন্যান্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণেই এরজন্যে তিনি দায়ী করেন। এছাড়াও, ১৯৩৭ সালে দেউলিয়া হিসেবে ঘোষণা দেন।[৭৭]
জর্জ ম্যাকাউলি তার আর্থিক দূরাবস্থার জন্যে ইয়র্কশায়ার কর্তৃপক্ষের বিপক্ষে অভিযোগ আনেন। আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলায় অর্জিত অর্থ থেকে তিনি সর্বমোট £৫৩০ পাউন্ড-স্টার্লিং গ্রহণ করেছিলেন। তিনি মনে করেন যে, সর্বমোট অর্থ থেকে তিনি ধার নিয়েছেন। এভাবেই তিনি তার ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। ইয়র্কশায়ার কর্তৃপক্ষ ঐ অর্থ বিনিয়োগ করে ও তা থেকে লভ্যাংশ তাকে দেয়া হয়েছিল। এ বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অর্থ প্রদানের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে ম্যাকাউলি প্রত্যুত্তরে জানান যে, কারণ আমি এটি উপার্জন করেছি।[৭৮] পাবলিক হাউজে মদ্যপানের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।[৭৮] দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তির কথাও তিনি অস্বীকার করেছিলেন।[৪] অফিসিয়াল রিসিভার ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে ম্যাকাউলির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন। ম্যাকাউলি মন্তব্য করেন যে, বিনিয়োগকৃত অর্থ তিনি ঋণদাতাদের মাঝে বিলিয়ে দিবেন। ম্যাকাউলি নতুন কাজের সাথে যুক্ত হন।[৭৭] শুনানী অল্প কয়েকদিন পর জানা যায় যে, তিনি ওয়েলসে পেশাদার ক্রিকেট খেলবেন।[৭৯]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব-পর্যন্ত ওয়েলস ও ল্যাঙ্কাশায়ারের লীগ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতেন। ১৯৩৭ সালে এব ভ্যাল ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে পেশাদারী পর্যায়ে অংশ নেন।[৭৯] ১৯৩৮ ও ১৯৩৯ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে টডমর্ডেনের পক্ষে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। ওরস্লি কাপের চূড়ান্ত খেলায় র্যামসবটমের বিপক্ষে ৯/১০ পান। র্যামসবটম ৪৭ রানে গুটিয়ে গেলে তার দল ২৬ রানে জয় তুলে নেয়।[৩][৮০][৮১]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে রয়্যাল এয়ার ফোর্স ভলান্টিয়ার রিজার্ভে যোগ দেন। ১৯৪০ সালে পাইলট অফিসার হিসেবে বার্কস্টোন অ্যাশের কাছাকাছি চার্চ ফেন্টনে অবস্থান করেন। সেখানেই সস্ত্রীক এডিথকে নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। ঐ বছরের শেষদিকে শেটল্যান্ড আইল্যান্ডসে স্থানান্তরিত হন। সেখানে সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হন।[৮২] ৪৩তম জন্মদিনের[৮২] ছয়দিন পরই ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৪০ তারিখে সালম ভো আরএএফ ঘাঁটিতে নিউমোনিয়ায় তার দেহাবসান ঘটে। শেটল্যান্ডের লারউইক সমাধিক্ষেত্রে তাকে সমাহিত করা হয়।[৮৩][৮৪]
খেলার ধরন
সম্পাদনাব্যাটসম্যান হিসেবে জর্জ ম্যাকাউলি তুলনামূলকভাবে ভালো খেলেন। সম্ভবতঃ পরিসংখ্যানের চেয়েও তা ভালো ছিল। দলের আপদকালীন সময়েই তিনি ভালো খেলতেন। তবে, ইয়র্কশায়ারের দলনেতার কাছ থেকেই তিনি বোলিংয়ের দিকে মনোনিবেশ ঘটিয়েছিলেন।[৫] সচরাচর, দলের অল-রাউন্ডারদের খেলার পর নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন তিনি।[৮৫] ম্যাকাউলির ফিল্ডিংও বেশ নজরকাড়া ছিল। ব্যাটসম্যানের কাছে অবস্থান নিতেন।[৩] তবে, নিজের বোলিংয়ের সময় তার দরকার পড়তো না।[৫]
বোলার হিসেবে জর্জ ম্যাকাউলি দুই ধরনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। ইনিংসের শুরুতে নতুন ও শক্ত বলে বোলিং উদ্বোধনে নামতেন। মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন ও তা ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দিক থেকে দূরে সুইং করতো। এ ধরনের বোলিংয়ে তিনি খুব নিখুঁতভাবে মারতেন ও প্রতিপক্ষীয় সবেমাত্র নতুন ব্যাটসম্যানদেরকে লক্ষ্য করে বৈচিত্র্যময় বোলিং করতেন। ক্রিকেট লেখক আর. সি. রবার্টসন-গ্লাসগো’র অভিমত, ১৯২০-এর দশকে ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়াম পেস বোলার মরিস টেট বাদে তার সমকক্ষ অন্য বোলার ছিল না।[১২] খেলার অবস্থান ও পিচের ধরনের উপর নির্ভর করে মিডিয়াম থেকে ফাস্ট বোলিং করতেন।[৮৬] পিচে বল স্পিন করলে তিনি মিডিয়াম পেস অফ ব্রেক বোলিং করতেন।[১২] উইজডেন মন্তব্য করে যে, বৃষ্টিবিঘ্নিত পোতানো পিচে তার গতিময় স্পিন বোলিং অন্য যে-কোন বোলারের তুলনায় অধিকতর কার্যকর ছিল।[২] তার স্মরণে আরও বলা হয়, উপযুক্ত পরিবেশে অফ ব্রেক ব্যবহারে ব্যাটসম্যান খুব কমই তার হাত থেকে রেহাই পেতেন।[৩] তার বলগুলো প্রায়শই ব্যাটসম্যানদের মোকাবেলা করা অসম্ভব হয়ে পড়তো। একই সময়ে তার বল থেকে রান সংগ্রহও বেশ কঠিন হতো।[৩] রবার্টসন-গ্লাসগো লেখেন যে, বৃষ্টিবিঘ্নিত পিচে তিনি স্ব-মহিমায় নিজেকে উপস্থাপন করতেন।[১২] তিনি ফিল্ডারদের অবস্থানের বিষয়ে খুব কমই সমঝোতায় আসতেন। উইকেটের ভিন্ন জায়গা থেকে বল আসায় প্রায়শঃই মুখের ভাব তুলে ধরতেন। রবার্টসন-গ্লাসগো বলেছেন, কেবলমাত্র সেরা বল থেকে রক্ষা পাওয়া বেশ আশ্চর্যের বিষয় ছিল।[১২] এছাড়াও তিনি ম্যাকাউলিকে সেরা বোলার হিসেবে বর্ণনা করেছেন।[৮৬]
ক্রিকেট লেখক জিম কিলবার্ন মন্তব্য করেন যে, ম্যাকাউলি সেরা ক্রিকেটার ছিলেন। গাণিতিকভাবে তিনি হয়তোবা সেরা নন; তবে, ক্রিকেটের ক্ষেত্রে সেরা ছিলেন।[৮৭] তার সমসাময়িক ক্রিকেটারদের মতে, জর্জ ম্যাকাউলির বোলিং ভঙ্গীমা বেশ হালকা মেজাজের ও চেষ্টাহীন ছিল।[৩][৮৬] কিলবার্ন লিখেছেন, তার দৌড়ানোর ভঙ্গী অনেকটা অর্ধ-খোড়াকৃতি লোকের মতো। স্বল্প পদক্ষেপ ও কাঁধ আন্দোলিত করে অগ্রসর হলেও পা ত্রুটিহীনভাবে ফেলতেন এবং বল ডেলিভারির পূর্ব-মুহুর্ত পর্যন্ত ধরে রাখতেন।[৮৭] তবে, ক্রিকেটবোদ্ধা ও দলীয় সঙ্গীরা তাকে বোলিংকালে ধৈর্য্যশীল, অতিথিবৎসল ও অগ্নিশর্মা বলে জানতেন।[৬] কিলবার্ন বলেন যে, ব্যাটসম্যানেরা ম্যাকাউলির মৃত শত্রুস্বরূপ।[৮৭] ব্যাটসম্যানদেরকে আউট কিংবা অপ্রস্তুত রাখতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতেন। তন্মধ্যে, পিচে বল না ফেলে তাদের মাথার উপর দিয়ে সোজাভাবে মারতেন যা বেশ ভয়ঙ্কর ও অখেলোয়াড়ীসূলভ ছিল।[৮৮]
জর্জ ম্যাকাউলির মৃত্যুর পর ইয়র্কশায়ার পোস্ট মন্তব্য করে যে, দলের সামান্যতম জয়ের সম্ভাবনা থাকলে তিনি নিজেকে উজাড় করে দিতেন।[৮৯] তবে, কোন বিষয় তার বিপক্ষে চলে গেলে জর্জ ম্যাকাউলি নিজেকে ধরে রাখতে পারতেন না।[৫] বিল বোস মন্তব্য করেন যে, কীভাবে ও কখন তার বোলিং কার্যকরী ছিল। বোলিংকালে তিনি এক দৃষ্টিতে ও শ্বাস ফেলে বিড়বিড় করতেন। তখন তার শক্তি পূর্ণমাত্রায় বহমান থাকতো।[৯০] বোলিংকালে কোন ফিল্ডার ভুল করলে তীক্ষ্ন ও ছোঁচালো মন্তব্য ছুঁড়তেন। তখন তা ফিল্ডারের হজম করতে ক্ষাণিকটা সময় নিতো ও তার ক্রোধানল দলীয় সঙ্গীদেরকে দূরে সরিয়ে দিতো।[৬][৯১] আবার, তার বোলিং থেকে দক্ষ ব্যাটসম্যান রান পেলেও বিস্ময়বনে যেতেন। এরফলে, সহকর্মীরা তার কাছ থেকে কি চাচ্ছেন তা বছরের পর বছর ধরেও নিশ্চিত হতে পারছিলেন না।[৯২] হার্বার্ট সাটক্লিফ বলেন যে, খেলা না থাকলে তিনি বেশ খোশমেজাজে থাকতেন। তখন তার বুদ্ধি বেশ তীক্ষ্ণ থাকতো।[৬] রবার্টসন-গ্লাসগো তাকে কখনো বিখ্যাত প্রতিপক্ষ হিসেবে জাহির করেননি। তিনি সেরা ক্রিকেটার ছিলেন ও হাজারো জনের মধ্যে একজন ছিলেন।[১২]
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ Bowling figures are given in the form of six for 52; the first figure refers to how many wickets the bowler took in the innings and the second figure shows how many runs he gave away. In this case, Macaulay took six wickets and conceded 52 runs.
- ↑ The placings for Yorkshire bowling averages include only bowlers who took ten wickets or more in that season.
- ↑ As a concentration of the best talent in the country, the Gentlemen v Players matches each season served as a thorough examination of a player's ability—some players believed these games more demanding than a Test trial match.[১৭]
- ↑ The MCC was responsible for the administration of English cricket, including the England Test team. The England team toured under the MCC name and playing colours.[১৯]
- ↑ The Rest was a team which represented the rest of England, the best players not included in the Test team.
- ↑ During this period from 1927 to 1930, Macaulay's bowling figures kept him near the head of the Yorkshire bowling averages. He was top in 1927 and in the leading four for the next two seasons.[৫৪][৫৫][৫৬] ১৯৩০ সালে উইকেটের লাভের দিক দিয়ে ষষ্ঠ স্থানে চলে যান।[৫৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Answers to Correspondents"। Sheffield Daily Telegraph/British Newspaper Archive। Sheffield। ২৭ জুন ১৯২৩। পৃষ্ঠা 7। (সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য))।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড "Wisden – George Macaulay"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। ১৯২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ "Wisden – Obituaries during the war, 1940"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। ১৯৪১। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Former County Cricketer: Leeds Bankruptcy Court Examination"। Yorkshire Post and Leeds Intelligencier। Leeds। ১৩ জানুয়ারি ১৯৩৭। পৃষ্ঠা 3। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪। (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ Woodhouse, p. 306.
- ↑ ক খ গ ঘ Hodgson, p. 109.
- ↑ Rogerson, Sidney (১৯৬০)। Wilfred Rhodes। London: Hollis and Carter। পৃষ্ঠা 120–21।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম "Player Oracle GG Macaulay"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১০।
- ↑ Woodhouse, p. 305.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত "First-class Bowling in Each Season by George Macaulay"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট "First-class Batting and Fielding in Each Season by George Macaulay"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ Robertson-Glasgow, p. 136.
- ↑ "First-class Bowling for Yorkshire in 1921"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Nottinghamshire v Yorkshire in 1921"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ ক খ গ "County Champions 1890–present"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১০।
- ↑ "First-class Bowling for Yorkshire in 1922"। CricketArchive। ৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ Marshall, pp. 100–101.
- ↑ "Gentlemen v Players in 1922"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ "MCC History"। Marylebone Cricket Club। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ "South Africa v England 1922–23"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। ১৯২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ "South Africa v England in 1922/23 (first Test)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ ক খ গ "South Africa v England in 1922/23 (second Test)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ "Wicket with first ball in career"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ "South Africa v England 1922–23"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। ১৯২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ "Test Bowling in Each Season by George Macaulay"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ "MCC team in South Africa 1922–23"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। ১৯২৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১০।
- ↑ "First-class Bowling for Yorkshire in 1923"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Woodhouse, p. 327.
- ↑ "Warwickshire v Yorkshire in 1923"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ "First-class Bowling for Yorkshire in 1924"। CricketArchive। ৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ Woodhouse, p. 333.
- ↑ Hill, p. 106.
- ↑ Hill, pp. 106–07.
- ↑ Hill, p. 107.
- ↑ Pardon, Sydney (১৯২৫)। "Notes by the Editor"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১০।
- ↑ Marshall, p. 106. Marshall claims that the incident took place in the 1924 Lord's Test, but Macaulay did not play in that game.
- ↑ ক খ Hill, pp. 77–78.
- ↑ ক খ Rogerson, p. 142.
- ↑ "First-class Bowling for Yorkshire in 1925"। CricketArchive। ৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১০।
- ↑ ক খ গ ঘ Pope, p. 166.
- ↑ "Remarkable Bowling by Macaulay"। The Times। London। ১৯ আগস্ট ১৯২৫। পৃষ্ঠা 6। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১০। (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ "Yorkshire v Sussex in 1925"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১০।
- ↑ Pope, pp. 165–66.
- ↑ "First-class Bowling for Yorkshire in 1926"। CricketArchive। ৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১০।
- ↑ Caine, Stewart (১৯২৭)। "Notes by the Editor"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১০।
- ↑ Cardus, Neville (১৯৭৯)। Play Resumed with Cardus। London: MacDonald Queen Anne Press। পৃষ্ঠা 19। আইএসবিএন 0-356-19049-8।
- ↑ ক খ "England v Australia 1926"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। ১৯২৭। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১০।
- ↑ Cardus, Neville (১৯৫৯)। "Charles Macartney and George Gunn"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১০।
- ↑ Perry, Roland (২০০২)। Bradman's best Ashes teams: Sir Donald Bradman's selection of the best ashes teams in cricket history। Milsons Point, New South Wales: Random House Australia। পৃষ্ঠা 110–12। আইএসবিএন 1-74051-125-5।
- ↑ "England v Australia in 1926"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১০।
- ↑ Woodhouse, pp. 344, 350, 358, 366–67.
- ↑ Woodhouse, pp. 358, 367.
- ↑ Hodgson, p. 122.
- ↑ "First-class Bowling for Yorkshire in 1927"। CricketArchive। ৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১০।
- ↑ "First-class Bowling for Yorkshire in 1928"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "First-class Bowling for Yorkshire in 1929"। CricketArchive। ৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১০।
- ↑ "First-class Bowling for Yorkshire in 1930"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Hodgson, p. 128.
- ↑ ক খ Woodhouse, p. 368.
- ↑ "First-class Bowling for Yorkshire in 1931"। CricketArchive। ৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১০।
- ↑ Bowes, p. 72.
- ↑ Calculated using the Retail Price Index in £ at, Lawrence H. Officer। "Five Ways to Compute the Relative Value of a UK Pound Amount, 1830 to Present"। Measuringworth.com। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১০।
- ↑ "First-class Bowling for Yorkshire in 1932"। CricketArchive। ৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১০।
- ↑ Hodgson, p. 132.
- ↑ ক খ Hodgson, p. 136.
- ↑ "Lancashire v Yorkshire in 1933"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১০।
- ↑ ক খ "England v West Indies 1933"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। ১৯৩৪। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১০।
- ↑ "England v West Indies 1933"। Wisden Cricketers' Almanack। London: John Wisden & Co। ১৯৩৪। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১০।
- ↑ "Scarborough Festival"। The Times। London। ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৩। পৃষ্ঠা 5। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১০। (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ "First-class Bowling for Yorkshire in 1933"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Hodgson, p. 138.
- ↑ "First-Class Matches played by George Macaulay"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ Hodgson, p. 145.
- ↑ "George Macaulay"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১০।
- ↑ "Most wickets in a Season for Yorkshire"। CricketArchive। ২২ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১০।
- ↑ "Hat-Tricks for Yorkshire"। CricketArchive। ২২ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১০।
- ↑ ক খ "County Cricketers Benefit: Complaints Answered"। The Manchester Guardian। Manchester। ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭। পৃষ্ঠা 13। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১২। (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ ক খ "Cricketer and his Benefit: Amount which was invested"। The Manchester Guardian। Manchester। ১৩ জানুয়ারি ১৯৩৭। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১২। (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ ক খ "Ebbw professional"। The Manchester Guardian। Manchester। ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১২। (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ Woodhouse, pp. 306–07.
- ↑ "Todmorden v Ramsbottom in 1938"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১০।
- ↑ ক খ Pope, pp. 166–67.
- ↑ Woodhouse, p. 307.
- ↑ Swanton, p. 61.
- ↑ Marshall, p. 38.
- ↑ ক খ গ Robertson-Glasgow, p. 135.
- ↑ ক খ গ Kilburn, J. M. (১৭ ডিসেম্বর ১৯৪০)। "George Macaulay"। The Yorkshire Post and Leeds Intelligencer। Leeds। পৃষ্ঠা 2।
- ↑ Bowes, pp. 29–30.
- ↑ Quoted in Pope, p. 167.
- ↑ Bowes, p. 64.
- ↑ Bowes, pp. 76–77.
- ↑ Bowes, p. 81.
আরও দেখুন
সম্পাদনা- সিস পার্কিন
- জর্জ আলফ্রেড লরেন্স হার্ন
- উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার
- ১৯৩২ ভারত ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর
- আনুষ্ঠানিক কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী দলের তালিকা
- সামরিকবাহিনীতে অবস্থানকালীন নিহত ক্রিকেটারদের তালিকা
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেটলাভকারী বোলারদের তালিকা
- টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে ৫ উইকেট লাভকারী ইংরেজ ক্রিকেটারদের তালিকা
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Bowes, Bill (১৯৪৯)। Express Deliveries। London: Stanley Paul। ওসিএলসি 643924774।
- Hill, Alan (২০০৭)। Herbert Sutcliffe: Cricket Maestro। Stroud, Gloucestershire: Stadia। আইএসবিএন 978-0-7524-4350-8।
- Hodgson, Derek (১৯৮৯)। The Official History of Yorkshire County Cricket Club। Ramsbury, Marlborough, Wiltshire: The Crowood Press। আইএসবিএন 1-85223-274-9।
- Marshall, Michael (১৯৮৭)। Gentlemen and Players: Conversations with Cricketers। London: Grafton Books। আইএসবিএন 0-246-11874-1।
- Pope, Mick (২০১৩)। Headingley Ghosts: A Collection of Yorkshire Cricket Tragedies। Leeds: Scratching Shed Publishing। আইএসবিএন 978-0-9568043-9-6।
- Robertson-Glasgow, R. C. (১৯৪৩)। Cricket Prints: Some Batsmen and Bowlers 1920–1940। London: T. Werner Laurie Ltd.। ওসিএলসি 651926233।
- Swanton, E. W. (১৯৯৯)। Cricketers of My Time। London: Andre Deutsch। আইএসবিএন 0-233-99746-6।
- Woodhouse, Anthony (১৯৮৯)। The History of Yorkshire County Cricket Club। London: Christopher Helm। আইএসবিএন 0-7470-3408-7।