ইসরায়েল

মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্র
(ইস্রায়েল থেকে পুনর্নির্দেশিত)
এটি একটি পরীক্ষিত সংস্করণ, যা ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে পরীক্ষিত হয়েছিল।

ইসরায়েল ( হিব্রু ভাষায়: מְדִינַת יִשְׂרָאֵל‎ – মেদিনাৎ য়িস্রা'এল্‌ ; আরবি: دَوْلَةْ إِسْرَائِيل-দাউলাৎ ইস্রা'ঈল্‌) পশ্চিম এশিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্র। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি স্বত্বেও বিশ্বের ২৮টি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি প্রদান করেনি। ভৌগোলিকভাবে দেশটি ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ–পূর্ব তীরে ও লোহিত সাগরের উত্তর তীরে অবস্থিত। এর উত্তর স্থলসীমান্তে লেবানন, উত্তর-পূর্বে সিরিয়া, পূর্বে জর্দানফিলিস্তিন (পশ্চিম তীর), পশ্চিমে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মিশর অবস্থিত।[২৩]

ইসরায়েল

জাতীয় সঙ্গীত: হাতিকভাহ
(বাংলা: "আশা")
গাঢ় সবুজে দেখানো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে ইসরায়েল; ইসরায়েল-অধিকৃত অঞ্চল হালকা সবুজে দেখানো হয়েছে
রাজধানী
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
জেরুসালেম
(সীমিত স্বীকৃতি)[fn ১][fn ২]
৩১°৪৭′ উত্তর ৩৫°১৩′ পূর্ব / ৩১.৭৮৩° উত্তর ৩৫.২১৭° পূর্ব / 31.783; 35.217
সরকারি ভাষাহিব্রু[]
বিশেষ মর্যাদাআরবি[টীকা ১]
নৃগোষ্ঠী
(২০২২)[১৩]
ধর্ম
(২০২২ আনু.)[১৩]
জাতীয়তাসূচক বিশেষণইসরায়েলি
সরকারএককেন্দ্রিক সংসদীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র
আইজ্যাক হারজোগ
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু
আমির ওহানা
যিটজক অমিত (ভারপ্রাপ্ত)
আইন-সভানেসেট
প্রতিষ্ঠা
১৪ই মে ১৯৪৮[১৪]
১১ই মে ১৯৪৯
১৯ জুলাই ২০১৮
আয়তন
• মোট
২০,৭৭০–২২,০৭২ কিমি (৮,০১৯–৮,৫২২ মা)[১৫][১৬][ক] (১৪৯তম)
• পানি (%)
২.৭১ [১৭]
জনসংখ্যা
• ২০২৪ আনুমানিক
১০,০০৯,৮০০ [১৮] (৯৩তম)
• ২০২২ আদমশুমারি
৯,৬০১,৭২০[১৯][fn ৩]
• ঘনত্ব
২,২০,২৭২/কিমি (৫,৭০,৫০১.৯/বর্গমাইল) (২৯তম)
জিডিপি (পিপিপি)২০২৪ আনুমানিক
• মোট
বৃদ্ধি $৫৪১.৩৪৩ বিলিয়ন[২০] (৪৭তম)
• মাথাপিছু
বৃদ্ধি $৫৪,৪৪৬[২০] (২৯তম)
জিডিপি (মনোনীত)২০২৪ আনুমানিক
• মোট
বৃদ্ধি $৫২৮.০৬৭ বিলিয়ন (২৯তম)
• মাথাপিছু
বৃদ্ধি $৫৩,১১০[২০] (১৮তম)
জিনি (২০২১)নেতিবাচক বৃদ্ধি ৩৭.৯[২১]
মাধ্যম · ৪৮তম
মানব উন্নয়ন সূচক (২০২২)বৃদ্ধি ০.৯১৫[২২]
অতি উচ্চ · ২৫তম
মুদ্রাইসরায়েলি শেকেল (‎) (ILS)
সময় অঞ্চলইউটিসি+২:০০ (ইসরায়েলি মান সময়)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
ইউটিসি+৩:০০ (ইসরায়েলি গ্রীষ্ম সময়)
তারিখ বিন্যাস
গাড়ী চালনার দিকডান
কলিং কোড+৯৭২
আইএসও ৩১৬৬ কোডIL
ইন্টারনেট টিএলডি.il
.ישראל
  1. ^ ২০,৭৭০ কিমি হলো গ্রিন লাইনের মধ্যে ইসরায়েল। ২২,০৭২ কিমি এর মধ্যে আত্মসাৎকৃত গোলান মালভূমি (আনুমানিক ১,২০০ কিমি (৪৬০ মা)) এবং পূর্ব জেরুসালেম (আনুমানিক ৬৪ কিমি (২৫ মা)) অন্তর্ভুক্ত।

ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত তেল আবিব হলো দেশটির অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত প্রাণকেন্দ্র ও বৃহত্তম মহানগর এলাকা। [২৪] ইসরায়েল সমগ্র জেরুসালেম শহরকে নিজের রাজধানী হিসেবে দাবী করে আসছে, যদিও এই মর্যাদা সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রই স্বীকার করে না।[২৫] শহরের পশ্চিমভাগ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এখানে দেশটির সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি অবস্থিত। [টীকা ২] ইসরায়েলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গুয়াতেমালা ও ইতালি ব্যতীত অন্য ৮৭টি দেশের দূতাবাস তেল আবিব নগর বা জেলায় অবস্থিত (২০২১ সালের তথ্যানুযায়ী)। [২৬] এছাড়া হাইফাবে-এরশেভা এর আরও দুইটি বৃহৎ মহানগর এলাকা।

অর্থনৈতিকভাবে ইসরায়েল একটি অত্যন্ত উন্নত শিল্প -প্রধান রাষ্ট্র এবং স্থূল আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হিসেবে ইসরায়েল বিশ্বের ৩৪তম বৃহত্তম অর্থনীতি। ইসরায়েল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার সদস্যরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে জাপানদক্ষিণ কোরিয়ার সাথে এটি এশিয়ার মোট ৩টি উচ্চ-আয়ের রাষ্ট্রগুলির একটি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতে এটি বিশ্বের ৩৯টি অগ্রসর অর্থনীতিসমৃদ্ধ দেশগুলির একটি।

ইসরায়েলে প্রায় ৯৩ লক্ষ লোক বাস করে এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ; এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৪২৫ জন অধিবাসী বাস করে। এদের মধ্যে ৬৭ লক্ষ ইহুদী জাতি ও ধর্মাবলম্বী ও ১৯ লক্ষ আরব জাতিভুক্ত (যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান)। এটিই বিশ্বের একমাত্র ইহুদী সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। এর জনগণ অত্যন্ত উচ্চশিক্ষিত; এখানকার প্রায় অর্ধেক জনগণের (২৫-৬৪ বছর বয়সী) বিশ্ববিদ্যালয় বা তার সমপর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, যা বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ।[২৭] দেশের জীবনযাত্রার মান গোটা মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ; এশিয়াতে ৫ম ও বিশ্বে ১৯তম।[২৮]

ইসরায়েল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির নিরিখে বিশ্বের সেরা দেশগুলির একটি। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রকাশিত ব্লুমবার্গ নবীকরণ সূচকে ২০১৯,২০২০ এবং ২০২১ সালে ইসরায়েল যথাক্রমে ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম সেরা নবীকারক হিসেবে স্থান পেয়েছিল (দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের পরে এশিয়াতে তৃতীয়)। অন্যদিকে মার্কিন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ও আরও কিছু সহযোগী সংস্থার প্রকাশিত বৈশ্বিক নবীকরণ সূচকে দেশটি ২০২০ সালে ১৩তম স্থান লাভ করে। শেষোক্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসরায়েলে প্রতি ১০ লক্ষ অধিবাসীর জন্য ৮৩৪১ জন বিজ্ঞানী, গবেষক এবং প্রকৌশলী আছেন, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। ইসরায়েল তার বাৎসরিক বাজেটের প্রায় ৫% বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উন্নয়নের জন্যে বরাদ্দ করে, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। গবেষণামূলক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সহযোগিতার নিরিখে এটি বিশ্বের ১ নম্বর দেশ। ইসরায়েলের বৈদেশিক বাণিজ্যের ১৩% তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা রপ্তানিতে নিয়োজিত, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। ইসরায়েল প্রতি একশত কোটি মার্কিন ডলার স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হিসেবে বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ করে। জ্ঞানের বিস্তারে দেশটি বিশ্বের ২য় সেরা দেশ; ১৫- ৬৫ বছরের প্রতি ১০ লক্ষ ইসরায়েলির উইকিপিডিয়ায় সম্পাদনার সংখ্যা ৯৪, যা বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ।[২৯]

ইসরায়েল নিজেকে একটি ইহুদীবাদী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবী করে। এখানে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। দেশটির এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভার নাম ক্নে‌সেত। প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম, ইতিহাস ও রাজনীতি মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলির সাথে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এটি ১৯৬৭ সাল থেকে অর্ধ-শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি-অধ্যুষিত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকা সামরিকভাবে দখল করে আছে। এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিকভাবে আধুনিক ইতিহাসের দীর্ঘতম সামরিক দখলের ঘটনা হিসেবে গণ্য করা হয়। [fn ৪][৩৩] ২০২১ সালে এসে জাতিসংঘের ১৯২টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ১৬৪টি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও ২৮টি রাষ্ট্র (মূলত মুসলমান অধ্যুষিত) এখনও ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব মেনে নেয়নি এবং এর সাথে তাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। [৩৪] তাদের মতে, ইসরায়েল স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের একটি অংশের অবৈধ দখলদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ড। তবে নিকটতম দুই আরব প্রতিবেশী মিশরজর্দানের সাথে ইসরায়েল শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং দেশ দুইটির স্বীকৃতিও লাভ করেছে।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাতে ঐতিহাসিক গবেষণা ও দালিলিক যুক্তিপ্রমাণসহ দাবী করা হয় যে ইসরায়েলি সরকার প্রণালীবদ্ধভাবে ইসরায়েলের ইহুদীদেরকে অগ্রাধিকার প্রদান করে এবং অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনিদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে। সংস্থাটির মতে ইসরায়েলের আইন, নীতি ও ইসরায়েলের উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তাদের বিবৃতিতে সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে জনপরিসংখ্যান, রাজনৈতিক ক্ষমতা ও ভূমির উপরে ইহুদী ইসরায়েলিদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার মূল লক্ষ্যটি ইসরায়েলি সরকারের সমস্ত নীতিকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। এই লক্ষ্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনিদের জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন মাত্রায় তাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে গণহারে ভূমি জবরদখল, অব্যাহতভাবে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ ও সুউচ্চ প্রাচীর নির্মাণ করে ফিলিস্তিনিদেরকে ছিটমহলে অবরুদ্ধকরণ ও বলপূর্বক পৃথকীকরণ, তাদের বসবাসের অধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ ও তাদের উপরে দমন-নিপীড়নের মতো কাজগুলি সম্পাদন করে চলেছে। কিছু কিছু এলাকায় এই ধরনের বৈষম্য এতই প্রবল যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে ইসরায়েলি সরকারের আচরণগুলি একটি অলিখিত সীমা লঙ্ঘন করেছে এবং এগুলি জাতিবিদ্বেষভিত্তিক পৃথকাবাসন (আপার্টহাইট) ও নিপীড়নের মতো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবার যোগ্য।[৩৫] এর আগে ২০১৭ সালে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দেয় যে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূমি জবরদখল, ছয় লক্ষ ইহুদীর জন্য ২৮০টির মতো (আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে) অবৈধ বসতি স্থাপন, ফিলিস্তিনিদের বাসভূমি থেকে উচ্ছেদের পাশাপাশি অবাধ বৈষম্যমূলক আচরণের দ্বারা প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদেরকে কর্মস্থলে গমন, বিদ্যালয়ে গমন, বিদেশে গমন, আত্মীয়দের সাক্ষাৎ, অর্থ উপার্জন, প্রতিবাদে অংশগ্রহণ, কৃষিভূমিতে কাজ করার ক্ষমতা, এমনকি বিদ্যুৎ ও সুপেয় জলের লভ্যতার মতো মৌলিক অধিকারগুলি প্রণালীবদ্ধভাবে লঙ্ঘন করে চলেছে।[৩৬]

ব্যুৎপত্তি

১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা লাভের সময় নাম রাখা হয় 'স্টেট অব ইসরায়েল', হিব্রু ভাষায় নাম রাখার কথা ভাবা হয়েছিলো যেমন: ইস্রায়েল দেশ, সিয়োন অথবা যিহূদিয়া। তবে ইসরায়েল নামটি হিব্রু এবং আরবি দুটো ভাষারই হওয়াতে এই নামই রাখারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।[৩৭]

ইতিহাস

মধ্যযুগ

খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে আদি খ্রিস্টধর্ম রোমান পৌত্তলিকতাকে স্থানচ্যুত করে, কনস্টান্টিন খ্রিস্টান ধর্মকে গ্রহণ ও প্রচার করে এবং থিওডোসিয়াস প্রথম এটিকে রাষ্ট্রীয় ধর্মে পরিণত করে। ইহুদি ও ইহুদি ধর্মের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আইনের একটি ধারা পাশ করা হয়েছিল, এবং গির্জা ও কর্তৃপক্ষ উভয়ের দ্বারাই ইহুদিরা নির্যাতিত হয়েছিল। অনেক ইহুদি সমৃদ্ধ প্রবাসী সম্প্রদায়ের অভিবাসিত হয়েছিল, যদিও সেখানে স্থানীয়ভাবে খ্রিস্টান অভিবাসন ও স্থানীয় ধর্মান্তর উভয়ই ছিল। পঞ্চম শতাব্দীর মাঝামাঝি, সেখানে খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। পঞ্চম শতাব্দীর শেষের দিকে, শমরীয় বিদ্রোহ শুরু হয়, যা ৬ষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে এবং এর ফলস্বরূপ শমরীয় জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। জেরুজালেমে সাসানিয়ান বিজয় ও ৬১৪ খ্রিস্টাব্দে হেরাক্লিয়াসের বিরুদ্ধে স্বল্পস্থায়ী ইহুদি বিদ্রোহের পর, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুনঃসংহত করে।

রাশিদুন খিলাফত ৬৩৪–৬৪১ খ্রিস্টাব্দে লেভান্ট জয় করে। পরবর্তী ছয় শতাব্দীতে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ উমাইয়া, আব্বাসীয়, ফাতিমীয় খিলাফত এবং পরবর্তীকালে সেলজুকআইয়ুবী রাজবংশের মধ্যে হস্তান্তরিত হয়। পরবর্তী কয়েক শতাব্দীতে এলাকার জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়, রোমান ও বাইজেন্টাইন আমলে জনসংখ্যা আনুমানিক ১০ লাখ থেকে উসমানীয় যুগের প্রথম দিকে প্রায় ৩ লাখে নেমে আসে, এবং সেখানে আরবায়ন ও ইসলামিকরণ একটি স্থির প্রক্রিয়া বিদ্যামান ছিল। একাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ক্রুসেড নিয়ে আসে, জেরুজালেম ও পবিত্র ভূমিকে মুসলিম নিয়ন্ত্রণ থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার এবং ক্রুসেডার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের প্যাপলি অনুমোদিত আক্রমণ। মিশরের মামলুক সুলতানদের দ্বারা ১২৯১ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম শাসন সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করার আগে আইয়ুবিরা ক্রুসেডারদের এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল।

আধুনিক যুগ

১৫১৭ সালে এটি উসমানীয় সাম্রাজ্যভুক্ত হয়; ইহুদীরা সপ্তম শতাব্দী থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়িয়েছে এবং পরে তারা ইউরোপ মহাদেশে পাড়ি জমায়।[৩৮]

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর ইসরায়েল (যদিও তা ফিলিস্তিন নামে একটি দেশ ছিল তবে তারা অর্থাৎ ইহুদিরা দেশটি জোরপূর্বক দখল করে নেয়) দেশটি ব্রিটিশরা তাদের অধীনে নিয়ে নেয় এবং নাম রাখে 'মেন্ডেটরি প্যালেস্টাইন'।[৩৯] ১৯১৭ সালের ২রা নভেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীবাদীদেরকে লেখা এক পত্রে ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের আলাদা রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয় এবং বিপুলসংখ্যক ইহুদী ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপন করতে থাকে।

১৯২৩ সালে স্বাধীন তুরস্কের জন্ম হলে এই অঞ্চলে ইহুদীরা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য উদগ্রীব হয়ে যান। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, নরওয়ে, পোল্যান্ড, গ্রীস এবং সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী ইহুদীদেরকে নেতারা আহ্বান জানান ইসরায়েলে বসতি গড়তে। তাছাড়া ব্রিটিশ সরকার ইহুদীদেরকে তাদের নিজস্ব ভূমি ছেড়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রায় আড়াই লাখ ইহুদী মানুষ ইসরায়েল ভূখণ্ডে পাড়ি জমায়।[৪০]

১৯২১ সালে ইহুদীরা 'হাগানাহ' নামের এক বাহিনী তৈরি করে।[৪১] এ বাহিনী ইহুদীবাদীদের রাষ্ট্র তৈরির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইহুদীবাদীদের সহায়তা করা হাগানাহ বাহিনীর দায়িত্ব হলেও পরবর্তীকালে তারা আধা-সামরিক বাহিনীতে পরিণত হয় এবং জোরপূর্বক ফিলিস্তিন দখলের পর এই বাহিনী ইসরায়েলের মূল সামরিক বাহিনী গঠন করে।[৪২]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ইউরোপ থেকে আরো ইহুদী মানুষ ইসরায়েলে আসে এবং তাদের অনেককেই হাগানাহ সহ অন্যান্য বাহিনীতে নেওয়া হয় ভবিষ্যৎ যুদ্ধের মোকাবেলা করার জন্য।[৪৩]

১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডকে দ্বিখণ্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করার প্রস্তাব পাশ করে ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনীদের এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি ইহুদীবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।[৪৪] এভাবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ড্যাভিড বেন গুরিয়ন ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[৪৫]

১৯৪৮ সালের ১৭ মে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরায়েলকে প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[৪৬] ১৯৪৯ সালের মার্চ মাসে তুরস্ক সরকার ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম মুসলিমসংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ছিলো।[৪৭][৪৮]

সরকার এবং রাজনীতি

 
কনেসেট কক্ষ, যা ইসরায়েলি সংসদ কক্ষ।

ইসরায়েলে সংসদীয় ব্যবস্থা, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব এবং সার্বজনীন ভোটাধিকার বিদ্যমান। সংসদ সদস্যদের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান সাধারণত প্রধানমন্ত্রী হন। প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারের প্রধান এবং মন্ত্রিসভার প্রধান।[৪৯][৫০] রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপ্রধান, যার দায়িত্ব সীমিত এবং মূলত আনুষ্ঠানিক।[৫১]

ইসরায়েল ১২০ সদস্যের সংসদ দ্বারা শাসিত, যা কনেসেট নামে পরিচিত। কনেসেটের সদস্যপদ রাজনৈতিক দলগুলোর আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়,[৫২][৫৩] যেখানে নির্বাচনী সীমা ৩.২৫%। এটি বাস্তবে জোট সরকার গঠনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিম তীরে অবস্থিত ইসরায়েলি বসতির বাসিন্দারাও ভোটাধিকার পায়।[৫৪] ২০১৫ সালের নির্বাচনের পর কনেসেটের ১২০ সদস্যের মধ্যে ১০ জন (৮%) ছিলেন বসতি স্থাপনকারী।[৫৫] সংসদীয় নির্বাচন প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অস্থিতিশীল জোট বা অনাস্থা ভোটের কারণে সরকার তার আগেই ভেঙে যেতে পারে।[৫৬] প্রথম আরব-নেতৃত্বাধীন দল ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৫৭] ২০২২ সাল পর্যন্ত, আরব-নেতৃত্বাধীন দলগুলো কনেসেটের প্রায় ১০% আসন ধারণ করে।[৫৮] কনেসেটের বেসিক ল (১৯৫৮) এবং এর সংশোধনী অনুযায়ী, কোনো দল কনেসেট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না যদি তার উদ্দেশ্য বা কার্যক্রম ইসরায়েলকে ইহুদি জনগণের রাষ্ট্র হিসেবে অস্বীকার করার সঙ্গে সম্পর্কিত হয়।

ইসরায়েলের মৌলিক নীতিসমূহ সংবিধানের ভূমিকা পালন করে। এই আইনে ইসরায়েল নিজেকে একটি "ইহুদি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র" এবং "শুধুমাত্র ইহুদি জনগণের জাতি-রাষ্ট্র" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে।[৫৯] ২০০৩ সালে, কনেসেট এই আইনের ভিত্তিতে একটি আনুষ্ঠানিক সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু করে।[৬০][৬১]

ইসরায়েলের কোনো আনুষ্ঠানিক ধর্ম নেই।[৬২][৬৩][৬৪] তবে "ইহুদি ও গণতান্ত্রিক" রাষ্ট্র হিসেবে সংজ্ঞায়নের কারণে এটি ইহুদিধর্মের সঙ্গে গভীর সংযোগ বজায় রাখে। ১৯ জুলাই ২০১৮ সালে, কনেসেট একটি বেসিক ল পাস করে, যেখানে ইসরায়েলকে প্রধানত "ইহুদি জনগণের জাতি-রাষ্ট্র" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এতে হিব্রুকে অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং আরবি ভাষাকে একটি "বিশেষ মর্যাদা" দেওয়া হয়।[৬৫] একই বিল ইহুদিদের জাতীয় আত্ম-নির্ধারণের বিশেষ অধিকার প্রদান করে এবং দেশটিতে ইহুদি বসতি স্থাপনকে "জাতীয় স্বার্থ" হিসেবে উল্লেখ করে। সরকারকে এই স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নিতে ক্ষমতা দেওয়া হয়।[৬৬]

ইসরায়েলের নাগরিকত্ব আইন

ইসরায়েলি নাগরিকত্ব সম্পর্কিত দুটি প্রধান আইন হলো ১৯৫০ সালের প্রত্যাবর্তন আইন এবং ১৯৫২ সালের নাগরিকত্ব আইন। প্রত্যাবর্তন আইন ইহুদিদের জন্য ইসরায়েলে অবাধে অভিবাসন ও নাগরিকত্ব লাভের অধিকার প্রদান করে। দেশে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পান, যদি অন্তত একজন অভিভাবক নাগরিক হন।[৬৭]

ইসরায়েলি আইন ইহুদি জাতীয়তাকে ইসরায়েলি জাতীয়তার থেকে আলাদা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে, এবং ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে "ইসরায়েলি জাতীয়তা" বলে কিছু নেই।[৬৮][৬৯] একজন ইহুদি জাতীয় সেই ব্যক্তি হিসেবে সংজ্ঞায়িত, যিনি ইহুদি ধর্ম পালন করেন এবং তাদের বংশধরেরা।[৭০] ২০১৮ সাল থেকে আইন অনুযায়ী ইসরায়েলকে ইহুদি জনগণের জাতিরাষ্ট্র হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।[৭১]

বৈদেশিক সম্পর্ক

 
  কূটনৈতিক সম্পর্ক
  কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত
  সাবেক কূটনৈতিক সম্পর্ক
  কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, কিন্তু সাবেক বাণিজ্য সম্পর্ক
  কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই

ইসরায়েল ১৬৫টি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের পাশাপাশি হলি সি (ভ্যাটিকান), কসোভো, কুক দ্বীপপুঞ্জ এবং নিয়ুর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।[৭২] দেশটির ১০৭টি কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। বেশিরভাগ মুসলিম দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।[৭৩] আরব লীগের ২২টি দেশের মধ্যে ছয়টি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধাবস্থা রয়েছে, যা ১৯৪৮ সাল থেকে অবিচ্ছিন্নভাবে বজায় আছে। একইভাবে, লেবাননের সঙ্গেও ২০০০ সালে লেবানন গৃহযুদ্ধের অবসানের পর থেকে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধাবস্থা বজায় রয়েছে। ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত এখনো কোনো চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়নি।

মিশরের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সত্ত্বেও, মিশরীয়দের মধ্যে ইসরায়েলকে এখনো ব্যাপকভাবে শত্রু দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[৭৪] ইরান ইসলামিক বিপ্লবের সময় ইসরায়েলকে স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে।[৭৫] ইসরায়েলি নাগরিকরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া সিরিয়া, লেবানন, ইরাক, সৌদি আরব এবং ইয়েমেন ভ্রমণ করতে পারেন না।[৭৬] ২০০৮–০৯ গাজার যুদ্ধের পর মৌরিতানিয়া, কাতার, বলিভিয়া এবং ভেনেজুয়েলা ইসরায়েলের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করে।[৭৭] তবে বলিভিয়া ২০১৯ সালে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন করে।[৭৮]

 
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সাথে অসলো চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইতিজাক রাবিন এবং ইয়াসির আরাফাত

যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরায়েল রাষ্ট্রকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া দুটি দেশ, যারা প্রায় একই সময়ে এই ঘোষণা দিয়েছিল।[৭৯] ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয় এবং ১৯৯১ সালে পুনরায় স্থাপিত হয়।[৮০] যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে তার "সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার" মনে করে,[৮১] যা "গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং নিরাপত্তা স্বার্থের" উপর ভিত্তি করে।[৮২] ১৯৬৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে $৬৮ বিলিয়ন সামরিক সহায়তা এবং $৩২ বিলিয়ন অনুদান দিয়েছে,[৮৩] যা ২০০৩ সাল পর্যন্ত অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি।[৮৪][৮৫][৮৬] বেশিরভাগ মার্কিনরা ইসরায়েলের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে।[৮৭][৮৮] যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক "স্বাভাবিক" হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি পূর্বে ফিলিস্তিনের ওপর ব্রিটিশ ম্যান্ডেট পরিচালনা করেছিল।[৮৯] ২০০৭ সালের মধ্যে জার্মানি ইসরায়েল এবং ইসরায়েলি হলোকাস্ট বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের জন্য ২৫ বিলিয়ন ইউরো ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে।[৯০] ইসরায়েল ইউরোপীয় ইউনিয়নের "ইউরোপীয় প্রতিবেশী নীতিতে" অন্তর্ভুক্ত।[৯১]

তুরস্ক ১৯৪৯ সালে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিলেও, ১৯৯১ সাল পর্যন্ত পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি।[৯২] তুরস্কের অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে কখনো কখনো আরব ও মুসলিম দেশগুলোর চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক সীমিত রাখতে হয়েছে।[৯৩] ২০০৮–০৯ সালের গাজার যুদ্ধ এবং গাজা ফ্লোটিলায় ইসরায়েলের অভিযানের পর এই সম্পর্ক খারাপ হয়।[৯৪] তবে ১৯৯৫ সাল থেকে গ্রিস এবং ইসরায়েলের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে।[৯৫] উভয় দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি রয়েছে, এবং ২০১০ সালে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী গ্রিসের হেলেনিক বিমানবাহিনীর সঙ্গে একটি যৌথ মহড়া পরিচালনা করে। লেভিয়াথান গ্যাসক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে সাইপ্রাস-ইসরায়েলের তেল এবং গ্যাস অনুসন্ধান গ্রিসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর সাইপ্রাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।[৯৬] বিশ্বের দীর্ঘতম সাবমেরিন পাওয়ার কেবল, ইউরোএশিয়া ইন্টারকানেক্টর, সাইপ্রাস-ইসরায়েলের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করেছে।[৯৭]

আজারবাইজান মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে একটি, যারা ইসরায়েলের সঙ্গে কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।[৯৮] কাজাখস্তানও ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব বজায় রেখেছে।[৯৯] ভারত ১৯৯২ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং সামরিক, প্রযুক্তিগত এবং সাংস্কৃতিক অংশীদারিত্ব উন্নত করেছে।[১০০] ভারত ইসরায়েলি সামরিক সরঞ্জামের সবচেয়ে বড় ক্রেতা এবং রাশিয়ার পরে ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক অংশীদার।[১০১] আফ্রিকায় ইথিওপিয়া ইসরায়েলের প্রধান মিত্র, যা রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং নিরাপত্তা স্বার্থের কারণে।[১০২]

সামরিক শক্তি

 
ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (IDF) হল ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর একমাত্র সামরিক শাখা এবং এটি তার জেনারেল স্টাফের চিফ, রামাতকাল দ্বারা পরিচালিত হয়, যা মন্ত্রিসভার অধীনস্থ। IDF-এ সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনী অন্তর্ভুক্ত। এটি ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে হেগানাহসহ অন্যান্য প্যারামিলিটারি সংগঠনকে একত্রিত করে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১০৩] IDF সামরিক গোয়েন্দা অধিদপ্তর (অ্যামান)-এর সম্পদও ব্যবহার করে।[১০৪] IDF বিভিন্ন প্রধান যুদ্ধ এবং সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িত হয়েছে, যা এটিকে বিশ্বের অন্যতম প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছে।[১০৫]

প্রায় সব ইসরায়েলি নাগরিক ১৮ বছর বয়সে বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা গ্রহণ করেন। পুরুষরা দুই বছর আট মাস এবং নারীসাধারণত দুই বছর সেবা দেন।[১০৬] বাধ্যতামূলক সেবার পর, ইসরায়েলি পুরুষরা রিজার্ভ বাহিনীতে যোগ দেন এবং সাধারণত তাদের চিরকালীন রিজার্ভ সেবা দিতে হয়, যা বছরে কয়েক সপ্তাহ হতে পারে, কখনও কখনও তাদের চল্লিশের দশক পর্যন্ত। বেশিরভাগ মহিলাকে রিজার্ভ সেবা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ইসরায়েলের আরব নাগরিকদের (ড্রুজ বাদে) এবং যারা পূর্ণকালীন ধর্মীয় অধ্যয়নে যুক্ত, তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়, যদিও যিশিভা ছাত্রদের অব্যাহতি একটি বিতর্কের বিষয় হয়েছে।[১০৭][১০৮] যেসব ব্যক্তির বিভিন্ন কারণে অব্যাহতি দেয়া হয়, তাদের জন্য একটি বিকল্প হলো শেরুত লেউমি বা জাতীয় সেবা, যা সামাজিক কল্যাণ কার্যক্রমে সেবা প্রদানের একটি প্রোগ্রাম।[১০৯] ইসরায়েলি আরবদের একটি ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু অংশও সেনাবাহিনীতে স্বেচ্ছায় যোগ দেয়।[১১০] তাদের বাধ্যতামূলক সামরিক সেবার মাধ্যমে, IDF প্রায় ১৭৬,৫০০ সক্রিয় সৈন্য এবং ৪৬৫,০০০ রিজার্ভিস্ট বজায় রাখে, যা ইসরায়েলকে বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চ শতাংশের সামরিক প্রশিক্ষিত নাগরিকদের একটি দেশ করে তুলেছে।[১১১]

 
আয়রন ডোম হল বিশ্বের প্রথম অপারেশনাল অ্যান্টি-আর্টিলারি রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী উচ্চ-প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যবস্থার উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যা ইসরায়েলে ডিজাইন এবং তৈরি করা হয়েছে, পাশাপাশি কিছু বিদেশি আমদানি করা অস্ত্রও রয়েছে। অ্যারো মিসাইলটি বিশ্বের কয়েকটি কার্যকরী অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমের মধ্যে একটি।[১১২] পাইথন এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল সিরিজটি ইসরায়েলের সামরিক ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হয়।[১১৩] ইসরায়েলের স্পাইক মিসাইলটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাপকভাবে রপ্তানি হওয়া অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলগুলির একটি।[১১৪] ইসরায়েলের আয়রন ডোম অ্যান্টি-মিসাইল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমটি গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ছোঁড়া শত শত রকেট আটকানোর পর বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।[১১৫][১১৬] ইয়ম কিপুর যুদ্ধে পর, ইসরায়েল একটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে।[১১৭] অফেক প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইসরায়েল একমাত্র সাতটি দেশগুলোর মধ্যে একটি, যারা এ ধরনের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম।[১১৮]

ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র ধারণকারী দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়[১১৯] এবং ১৯৯৩ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, রাসায়নিক এবং জীবাণু অস্ত্রও তাদের possession-এ থাকতে পারে।[১২০][তারিখের তথ্য] ইসরায়েল নিউক্লিয়ার নন-প্রোলিফারেশন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি[১২১] এবং এর পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পর্কে একটি অস্পষ্টতা বজায় রাখার নীতি অনুসরণ করে।[১২২] ইসরায়েলের নৌবাহিনীর ডলফিন সাবমেরিনগুলি পারমাণবিক মিসাইল বহন করে বলে বিশ্বাস করা হয়, যা দ্বিতীয় আক্রমণ ক্ষমতা প্রদান করে।[১২৩] ১৯৯১ সালের গালফ যুদ্ধের পর থেকে, ইসরায়েলের সব বাড়িতেই একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা কক্ষ, মেরখাভ মুগান থাকতে বাধ্য করা হয়েছে, যা রাসায়নিক এবং জীবাণু পদার্থের বিরুদ্ধে অগ্রাধিকার পায়।[১২৪]

ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠা থেকে, দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (GDP) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে সামরিক খরচ বরাদ্দ করা হয়েছে, ১৯৭৫ সালে এটি সর্বোচ্চ ৩০.৩% ছিল।[১২৫] ২০২১ সালে, ইসরায়েল মোট সামরিক খরচের ক্ষেত্রে বিশ্বের ১৫তম স্থানে ছিল, যা ছিল ২৪.৩ বিলিয়ন ডলার, এবং GDP এর একটি শতাংশ হিসেবে প্রতিরক্ষা খরচের দিক দিয়ে ৬ষ্ঠ স্থানে, ৫.২%।[১২৬] ১৯৭৪ সাল থেকে, যুক্তরাষ্ট্র একটি উল্লেখযোগ্য সামরিক সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে।[১২৭] ২০১৬ সালে স্বাক্ষরিত একটি স্মারক চুক্তির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ইসরায়েলকে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেটের প্রায় ২০%।[১২৮] ২০২২ সালে, ইসরায়েল বিশ্বের ৯ম স্থানে ছিল অস্ত্র রপ্তানি করার দিক দিয়ে।[১২৯] ইসরায়েলের অস্ত্র রপ্তানির বেশিরভাগই নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রকাশিত হয় না।[১৩০] ইসরায়েল নিয়মিতভাবে গ্লোবাল পিস ইনডেক্সে নিম্ন রেটিং পায়, ২০২২ সালে এটি ১৬৩টি দেশের মধ্যে ১৩৪তম অবস্থানে ছিল।[১৩১]

অর্থনীতি

ইসরায়েলের অর্থনীতি আধুনিক পশ্চিমা অর্থনীতির সমপর্যায়ের। ইসরায়েলের নিজস্ব সম্পদের পরিমাণ খুব কম। দেশটি ১৯৭০-এর দশক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনুদান পেয়ে আসছে, তবে ১৯৯৮-এর পর এই অনুদানের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়। ইসরায়েল ও.ই.সি.ডি. (অরগ্যানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো - অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট) এর সদস্য। দেশটির মানুষের জীবনযাত্রার মান খুবই উন্নত এবং ২০১২ সাল অনুযায়ী দেশটির মাথাপিছু আয় ৩৫,০০০ মার্কিন ডলার।[১৩২][১৩৩] ইসরায়েলের উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা এবং সরকারের ভালো সদিচ্ছা থাকার কারণে দেশটিতে বেকারত্ব খুবই কম।[১৩৪]

পর্যটন

ইসরায়েলের পর্যটন মূলত ইহুদী, ইসলাম ধর্মের পবিত্র ও ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। দেশটির সর্বত্র ইহুদী ধর্মের ও সভ্যতার স্মৃতিবিজড়িত নানা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ইহুদীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় শহর এবং মুসলিম ও খ্রিস্টানদেরও গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হল জেরুজালেম শহর। জেরুজালেমের ইহুদী মন্দির ও পশ্চিম দেওয়াল বিখ্যাত। এছাড়া আছে যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান বেথেলহেম, বাসস্থান নাজারেথ।এখানে হারাম আল শরীফ তথা আল-আকসা মসজিদ অবস্থিত।ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ যা মুসলিমদের প্রথম কিবলা হিসাবে পরিচিত। ভূমধ্যসাগরের তীর জুড়ে রয়েছে অনেক অবকাশ যাপন কেন্দ্র। আরও আছে লবণাক্ত মৃত সাগর, যার পানিতে ভেসে থাকা যায়। লোহিত সাগরের উপকূল এবং গ্যালিলির সাগরের উপকূলেও অনেক অবকাশ কেন্দ্র আছে।[১৩৫]

ভূগোল

 
ইসরায়েলের ভূপ্রকৃতি অবস্থান মানচিত্র
দিন ও রাতের সময়ে ইসরায়েল এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর স্যাটেলাইট চিত্র।

ইসরায়েল পশ্চিম এশিয়াতে ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। এই ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল ধরে সমভূমি অবস্থিত। ইসরায়েলের দক্ষিণে রয়েছে বিশাল নেগেভ মরুভূমি আর উত্তরে আছে বরফাবৃত পর্বতমালা। দক্ষিণে লোহিত সাগরে এক চিলতে প্রবেশপথ আছে।[১৩৬][১৩৭]

১৯৪৯ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তির সীমারেখা অনুযায়ী (এবং ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল দ্বারা দখল করা অঞ্চল বাদে) ইসরায়েলের সার্বভৌম ভূখণ্ডের মোট আয়তন প্রায় ২০,৭৭০ বর্গকিলোমিটার (৮,০১৯ বর্গমাইল), যার দুই শতাংশ জলভাগ।[১৩৮] তবে ইসরায়েল এতটাই সরু (উত্তর-দক্ষিণে ৪০০ কিলোমিটার লম্বা, কিন্তু প্রস্থে সর্বাধিক ১০০ কিলোমিটার) যে ভূমধ্যসাগরে দেশটির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তার স্থলভাগের দ্বিগুণ।[১৩৯] ইসরায়েলি আইন অনুসারে মোট অঞ্চল (পূর্ব জেরুজালেম ও গোলান মালভূমি সহ) ২২,০৭২ বর্গকিলোমিটার (৮,৫২২ বর্গমাইল),[১৪০] আর সামরিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ও আংশিক ফিলিস্তিনি শাসিত পশ্চিম তীরসহ ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন মোট এলাকা ২৭,৭৯৯ বর্গকিলোমিটার (১০,৭৩৩ বর্গমাইল)।[১৪১]

ছোট আয়তনের সত্ত্বেও, ইসরায়েলে ভৌগোলিক বৈচিত্র্য বিদ্যমান। দক্ষিণে নেগেভ মরুভূমি থেকে উর্বর জিজরিয়েল উপত্যকা পর্যন্ত এবং উত্তরে গালিলি, কারমেল ও গোলানের পাহাড়ি অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত ইসরায়েলি উপকূলীয় সমতলভূমি দেশের বেশিরভাগ জনগণের বাসস্থান।[১৪২] কেন্দ্রীয় উচ্চভূমির পূর্বে জর্দান রিফট উপত্যকা রয়েছে, যা ৬,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্রেট রিফট ভ্যালির একটি ছোট অংশ। জর্দান নদী হুলা উপত্যকা ও গ্যালিলি সাগর পেরিয়ে মৃত সাগর পর্যন্ত প্রবাহিত হয়, যা পৃথিবীর নিম্নতম স্থলপৃষ্ঠ। আরও দক্ষিণে আরাভা মরুভূমি রয়েছে, যা লোহিত সাগরের অংশ এলাত উপসাগরে শেষ হয়। নেগেভ ও সিনাই উপদ্বীপে "মাখতেশ" বা "ক্ষয় চক্রাকৃতি" নামে পরিচিত ভৌগোলিক গঠন দেখা যায়, যার মধ্যে মাখতেশ রামন সবচেয়ে বড়, দৈর্ঘ্য ৩৮ কিলোমিটার।[১৪৩] ইসরায়েল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে প্রতি বর্গমিটারে সবচেয়ে বেশি উদ্ভিদ প্রজাতির বাসস্থান।[১৪৪] দেশটিতে চারটি স্থলজ বাস্তুসংস্থান রয়েছে: পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় শঙ্কুযুক্ত–স্ক্লেরোফিলাস–বিস্তৃত পাতাবিশিষ্ট বন, দক্ষিণ আনাতোলীয় পার্বত্য শঙ্কুযুক্ত ও পর্ণমোচী বন, আরব মরুভূমি এবং মেসোপটেমিয়ান ঝোপঝাড় মরুভূমি।[১৪৫] ১৯৪৮ সালে বনভূমি দেশের ২% ছিল, যা ২০১৬ সালে বেড়ে ৮.৫%-এ পৌঁছায়। এটি ইহুদি জাতীয় তহবিলের বৃহৎ বনায়ন কর্মসূচির ফল।[১৪৬][১৪৭]

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

 
তেল আবিব মহানগর এলাকা, ইসরায়েল

ইসরায়েলে ছয়টি জেলা আছে, এগুলো হলোঃ জেরুসালেম জেলা, উত্তর জেলা, হায়ফা জেলা, মধ্য জেলা, তেল আবিব জেলা এবং দক্ষিণ জেলা এবং জুডিয়া এ্যান্ড সামারিয়া এলাকা।[১৪৮]

জনসংখ্যা

 
১৯৪৮-২০১৫ সালের মধ্যে ইসরায়েলে অভিবাসন। এর মধ্যে দুটি শীর্ষ সময় ছিল ১৯৪৯ এবং ১৯৯০ সালে।

ইসরায়েল বিশ্বের সর্বাধিক ইহুদি জনগোষ্ঠীর দেশ এবং এটি একমাত্র দেশ যেখানে ইহুদিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।[১৪৯] ২০২৪ সালের ৩১ মে অনুযায়ী, দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৯,৯০৭,১০০ জন। ২০২২ সালে, সরকারের তথ্য অনুযায়ী জনসংখ্যার ৭৩.৬% ইহুদি, ২১.১% আরব, এবং ৫.৩% "অন্যান্য" (অ্যারাব নন-খ্রিস্টান এবং যারা কোনো ধর্মের তালিকাভুক্ত নয়) হিসেবে বিবেচিত হয়।[১৫০] গত দশকে, রোমানিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী কর্মী ইসরায়েলে বসবাস শুরু করেছে। এদের সঠিক সংখ্যা জানা যায় না, কারণ অনেকে অবৈধভাবে বসবাস করছে।[১৫১] তবে ধারণা করা হয় এই সংখ্যা ১,৬৬,০০০ থেকে ২,০৩,০০০ এর মধ্যে।[১৫২] ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ৬০,০০০ আফ্রিকান অভিবাসী ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে।[১৫৩]

ইসরায়েলের প্রায় ৯৩% মানুষ শহরাঞ্চলে বাস করে।[১৫৪] ৯০% ফিলিস্তিনি ইসরায়েলিরা গ্যালিলি, ট্রায়াঙ্গেল এবং নেগেভ অঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ ১৩৯টি শহর ও গ্রামে বসবাস করে, বাকি ১০% মিশ্র শহর ও পাড়ায় বসবাস করে।[১৫৫] ২০১৬ সালে OECD এর মতে, ইসরায়েলের গড় আয়ু ছিল ৮২.৫ বছর, যা বিশ্বের মধ্যে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ।[১৫৬] ইসরায়েলি আরবদের গড় আয়ু ৩ থেকে ৪ বছর পিছিয়ে,[১৫৭][১৫৮] তবুও এটি অধিকাংশ আরব এবং মুসলিম দেশের তুলনায় বেশি।[১৫৯][১৬০] দেশটির জন্মহার OECD এর মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এটি একমাত্র দেশ যেখানে প্রতিস্থাপন হারের (২.১) চেয়ে বেশি।[১৬১] ১৯৪৮ সাল থেকে ইসরায়েলের জনসংখ্যা ধরে রাখার হার অন্যান্য ব্যাপক অভিবাসনপ্রবণ দেশের তুলনায় সমান বা বেশি।[১৬২] ইসরায়েল থেকে ইহুদি অভিবাসন (যাকে ইয়রিদা বলা হয়), প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়, জনসংখ্যাবিদরা এটিকে নগণ্য হিসেবে উল্লেখ করলেও,[১৬৩] ইসরায়েলি সরকারি মন্ত্রণালয়গুলো এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে।[১৬৪][১৬৫]

প্রায় ৮০% ইসরায়েলি ইহুদি ইসরায়েলে জন্মগ্রহণ করেছে, ১৪% ইউরোপআমেরিকা থেকে আগত অভিবাসী এবং ৬% এশিয়াআফ্রিকা থেকে আগত অভিবাসী।[১৬৬] ইউরোপ এবং প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আসা ইহুদি এবং তাদের ইসরায়েলে জন্মগ্রহণ করা বংশধরেরা, যাদের মধ্যে আশকেনাজি ইহুদি অন্তর্ভুক্ত, ইসরায়েলি ইহুদিদের প্রায় ৪৪%। আরব ও মুসলিম দেশ থেকে আসা ইহুদি এবং তাদের বংশধরেরা, যাদের মধ্যে মিজরাহি ও সেফারদি ইহুদি অন্তর্ভুক্ত,[১৬৭] ইহুদি জনসংখ্যার বাকি বড় অংশ তৈরি করে।[১৬৮]

ইহুদি বিবাহের হার ৩৫% এর বেশি এবং সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, সেফারদি ও আশকেনাজি উভয় বংশধরের ইসরায়েলিদের সংখ্যা প্রতি বছর ০.৫% করে বাড়ছে। বর্তমানে স্কুলপড়ুয়া শিশুদের ২৫% এর বেশি উভয় বংশ থেকে এসেছে।[১৬৯] প্রায় ৪% ইসরায়েলি (প্রায় ৩০০,০০০ জন) "অন্যান্য" হিসাবে চিহ্নিত, যাদের মধ্যে রাশিয়ান বংশোদ্ভূত পরিবার রয়েছে। এদের ইহুদি ধর্মীয় আইনে ইহুদি হিসেবে গণ্য করা হয় না, তবে তারা ল অফ রিটার্ন অনুযায়ী নাগরিকত্ব পেয়েছে।[১৭০][১৭১][১৭২]

সবুজ রেখার (গ্রিন লাইন) বাইরের ইসরায়েলি বসতিতে ৬ লক্ষাধিক (ইসরায়েলি ইহুদি জনসংখ্যার প্রায় ১০%) লোক বাস করে।[১৭৩] ২০১৬ সালে, ৩৯৯,৩০০ ইসরায়েলি পশ্চিম তীরের বসতিগুলোতে বাস করত,[১৭৪] যার মধ্যে হেব্রন ও গুশ এতজিয়নের মতো শহর অন্তর্ভুক্ত। পূর্ব জেরুজালেমে ২ লক্ষাধিক[১৭৫] এবং গোলান মালভূমিতে ২২,০০০ জনেরও বেশি ইহুদি বাস করত।[১৭৬] গাজা উপত্যকার গুশ কাটিফ বসতিগুলোতে প্রায় ৭,৮০০ ইসরায়েলি বাস করত, তবে ২০০৫ সালে সরকারের বিচ্ছিন্নকরণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।[১৭৭]

ইসরায়েলি আরবরা (পূর্ব জেরুজালেম ও গোলান মালভূমির আরব জনসংখ্যা সহ) মোট জনসংখ্যার ২১.১% বা প্রায় ১৯,৯৫,০০০ জন।[১৭৮] ২০১৭ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৪০% আরব নাগরিক নিজেদের "ইসরায়েলের আরব" বা "ইসরায়েলের আরব নাগরিক" হিসেবে চিহ্নিত করে। ১৫% নিজেদের "প্যালেস্টাইনি", ৮.৯% "ইসরায়েলে প্যালেস্টাইনি" বা "ইসরায়েলের প্যালেস্টাইনি নাগরিক" এবং ৮.৭% শুধুমাত্র "আরব" বলে পরিচয় দেয়। জরিপে আরও দেখা গেছে, ৬০% ইসরায়েলি আরব ইসরায়েল রাষ্ট্র সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা রাখে।[১৭৯][১৮০]

প্রধান শহুরে এলাকা

তেল আবিব মেট্রোপলিটন এলাকা দেখুন

ইসরায়েলে চারটি প্রধান মহানগর এলাকা রয়েছে: গুশ দান (তেল আভিভ মহানগর এলাকা; জনসংখ্যা ৩,৮৫৪,০০০), জেরুজালেম (জনসংখ্যা ১,২৫৩,৯০০), হাইফা (৯২৪,৪০০) এবং বেয়ারশেবা (৩৭৭,১০০)।[১৮১] ইসরায়েলের বৃহত্তম পৌরসভা হলো জেরুজালেম, যার জনসংখ্যা ৯৮১,৭১১ এবং এলাকা ১২৫ বর্গকিলোমিটার (৪৮ বর্গমাইল)।[১৮২] জেরুজালেমের পরিসংখ্যানের মধ্যে পূর্ব জেরুজালেমের জনসংখ্যা ও এলাকা অন্তর্ভুক্ত, যার আন্তর্জাতিকভাবে অবস্থান নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।[১৮৩] তেল আভিভ এবং হাইফা ইসরায়েলের পরবর্তী সর্বাধিক জনবহুল শহর, যেখানে জনসংখ্যা যথাক্রমে ৪৭৪,৫৩০ এবং ২৯০,৩০৬।[১৮২]

বনী ব্রাক, যা প্রধানত হারেদি জনসংখ্যার জন্য পরিচিত, ইসরায়েলের সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ শহর এবং বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ঘনবসতিপূর্ণ শহরের একটি।[১৮৪] ইসরায়েলে ১৬টি শহরের জনসংখ্যা ১,০০,০০০-এর বেশি।[১৮৫] ২০১৮ সালের হিসাবে, ৭৭টি এলাকাকে "পৌরসভা" (বা "শহর") মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে চারটি পশ্চিম তীরে অবস্থিত।[১৮৬]

ভাষা

 
হিব্রু, আরবি এবং ইংরেজিতে রোড সাইন

ইসরায়েলের সরকারি ভাষা হলো হিব্রু। হিব্রু রাজ্যের প্রধান ভাষা এবং এটি জনগণের অধিকাংশ দ্বারা দৈনন্দিনভাবে বলা হয়। ১৯৪৮ সালের পূর্বে, আশকেনাজি ইহুদীদের ঐতিহাসিক ভাষা, ইয়িদ্দিশের প্রতি বিরোধিতা সাধারণ ছিল, যা সায়োনিস্ট আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়, যেমন ইয়িশুভ, যারা হিব্রুকে জাতীয় ভাষা হিসেবে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা করছিলেন।[১৮৭] এই মনোভাবগুলো ইসরায়েলি সরকারের প্রাথমিক নীতিতে প্রতিফলিত হয়, যেখানে ইয়িদ্দিশ থিয়েটার এবং প্রকাশনা কার্যক্রমের উপর বেশিরভাগ নিষেধাজ্ঞা ছিল।[১৮৮] ২০১৮ সাল পর্যন্ত, আরবি ছিল একটি সরকারি ভাষা; তবে ২০১৮ সালে এটি "বিশেষ স্থিতি" হিসেবে নামিয়ে আনা হয়। আরবি ভাষা আরব সংখ্যালঘু দ্বারা বলা হয়, এবং আরবি ও হিব্রু আরব বিদ্যালয়ে শেখানো হয়।[১৮৯]

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ইথিওপিয়া থেকে ব্যাপক অভিবাসনের কারণে (ইসরায়েলে প্রায় ১,৩০,০০০ ইথিওপীয় ইহুদি বাস করেন),[১৯০][১৯১] রাশিয়ান এবং আমহারীয় ভাষা ব্যাপকভাবে কথা বলা হয়।[১৯২] ১৯৯০ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে এক মিলিয়নেরও বেশি রাশিয়ান ভাষাভাষী অভিবাসী ইসরায়েলে আগমন করেন।[১৯৩] প্রায় ৭,০০,০০০ ইসরায়েলি ফরাসি ভাষায় কথা বলেন,[১৯৪] যারা মূলত ফ্রান্স এবং উত্তর আফ্রিকা (মাগ্রেবি ইহুদি) থেকে আগত। ইংরেজি ম্যান্ডেট যুগে একটি সরকারি ভাষা ছিল;[১৯৫] তবে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার পর এটি সেই মর্যাদা হারায়, তবে এটি একটি সরকারি ভাষার মতো ভূমিকা পালন করে।[১৯৬][১৯৭] অনেক ইসরায়েলি ইংরেজিতে ভালোভাবে যোগাযোগ করেন, কারণ অনেক টেলিভিশন প্রোগ্রাম ইংরেজিতে সাবটাইটেলসহ প্রচারিত হয় এবং ভাষাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকেই শেখানো হয়। ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন বিষয়ে ইংরেজি ভাষায় কোর্স প্রদান করে।[১৯৮] [ভাল উৎস প্রয়োজন]

ধর্ম

 
দ্য ডোম অফ দ্য রক এবং ওয়েস্টার্ন ওয়াল, জেরুজালেম

২০২২ সালের হিসাবে, ইসরায়েলের ধর্মীয় সম্পর্কিত আনুমানিক শতাংশ ছিল: ৭৩.৫% ইহুদি, ১৮.১% মুসলিম, ১.৯% খ্রিষ্টান, ১.৬% দ্রুজ এবং ৪.৯% অন্যান্য। ইসরায়েলের ইহুদিদের ধর্মীয় সম্পর্ক ব্যাপকভাবে ভিন্ন: পিউ রিসার্চের ২০১৬ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী, ৪৯% নিজেদের হিলোনি (নির্ধারিত) হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, ২৯% মাসোর্তি (ঐতিহ্যবাহী), ১৩% দাতি (ধর্মীয়) এবং ৯% হারেদি (অতি-অর্থডক্স) হিসেবে পরিচিত।[১৯৯] হারেদি ইহুদিদের ২০২৮ সালের মধ্যে ইহুদি জনসংখ্যার ২০%-এরও বেশি প্রতিনিধিত্ব করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।[২০০] মুসলিমরা সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সংখ্যালঘু, যারা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৮.১%। প্রায় ১.৯% জনসংখ্যা খ্রিষ্টান এবং ১.৬% দ্রুজ। খ্রিষ্টান জনসংখ্যা প্রধানত আরবি খ্রিষ্টান এবং অ্যারামীয় খ্রিষ্টানদের নিয়ে গঠিত, তবে এতে পোস্ট-সোভিয়েত অভিবাসী, বিদেশী শ্রমিক এবং মেসিয়ানিক ইহুদী যারা খ্রিষ্টানরা এবং ইহুদীরা অধিকাংশ সময়ে খ্রিষ্টান ধর্ম হিসেবে বিবেচনা করেন, তাদেরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[২০১] অনেক অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠী, যেমন বৌদ্ধ এবং হিন্দু, ইসরায়েলে উপস্থিত রয়েছে, যদিও তাদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।[২০২] প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি অভিবাসীর মধ্যে প্রায় ৩০০,০০০ জনকে ইসরায়েলের প্রধান রাবিনেট ইহুদি হিসেবে গণ্য করেন না।[২০৩]

ইসরায়েল পবিত্র ভূমির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সব আব্রাহামিক ধর্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেরুজালেম ইহুদী, মুসলিম এবং খ্রিষ্টানদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, কারণ এটি এমন কিছু স্থান ধারণ করে যা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন পুরানো শহর, যেখানে পশ্চিম দেয়াল এবং মন্দির পর্বত (আল-আকসা মসজিদ কমপাউন্ড) এবং পবিত্র গবরখানা (চার্চ অফ দ্য হোলি সেপুলচার) অবস্থিত।[২০৪] ধর্মীয় গুরুত্বের অন্যান্য স্থানগুলোর মধ্যে নাজরেথ (মেরির অভিষেকের স্থান), তিবেরিয়া এবং সাফেদ (ইহুদীতে চারটি পবিত্র শহরের দুটি), রামলার সাদা মসজিদ (নবী সালেহের মাজার), এবং সেন্ট জর্জের চার্চ এবং আল-খদর মসজিদ, লোড (সেন্ট জর্জ বা আল-খদর মাজার) উল্লেখযোগ্য। পশ্চিম তীরের অনেক ধর্মীয় স্থানও রয়েছে, যার মধ্যে যোসেফের কবর, যিশুর জন্মস্থান, রাচেলের কবর এবং পিতৃপুরুষদের গুহা অন্তর্ভুক্ত। বাহাই ধর্মের প্রশাসনিক কেন্দ্র এবং বাহাই ধর্মের নেতার মাজার হাইফায় বাহাই বিশ্ব কেন্দ্রের মধ্যে অবস্থিত; ধর্মের নেতা আক্রেতে সমাহিত।[২০৫][২০৬][২০৭] মাহমুদ মসজিদটি সংস্কারবাদী আহমদিয়া আন্দোলনের সাথে যুক্ত। কাবাবির, হাইফার মিশ্র ইহুদি ও আহমদী আরবদের পাড়া, দেশের মধ্যে এমন কিছু পাড়ার মধ্যে একটি।[২০৮][২০৯]

সংস্কৃতি

ইসরায়েলের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি তার জনসংখ্যার বৈচিত্র্য থেকে উদ্ভূত। বিশ্বব্যাপী প্রবাসী সম্প্রদায়ের ইহুদিরা তাদের সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যকে তাদের সাথে ফিরিয়ে এনেছিল।[২১০] স্থাপত্য,[২১১] সঙ্গীত[২১২] এবং রান্নার[২১৩] সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আরবের প্রভাব বিদ্যমান । ইজরায়েল বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে হিব্রু ক্যালেন্ডারের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। কর্মক্ষেত্র ও স্কুল ছুটি ইহুদি ছুটির দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং শনিবার তাদের সাপ্তাহিক ছুটির দিন।[২১৪]

সাহিত্য

 
সম্যুয়েল ইয়োসেফ অ্যাগনন, সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

ইসরায়েলি সাহিত্য মূলত কবিতা এবং গদ্য যা হিব্রু ভাষায় রচিত হয়েছে। এটি ১৯শ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে হিব্রু ভাষাকে কথ্য ভাষা হিসেবে পুনর্জাগরণের একটি অংশ। তবে অন্যান্য ভাষায়ও কিছু সাহিত্য প্রকাশিত হয়। আইনের অধীনে, ইসরায়েলে প্রকাশিত প্রতিটি মুদ্রিত বস্তুর দুটি কপি ইসরায়েলের জাতীয় গ্রন্থাগারে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। ২০০১ সালে এই আইন সংশোধন করে এতে অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিং এবং অন্যান্য অমুদ্রিত মাধ্যমও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[২১৫] ২০১৬ সালে জাতীয় গ্রন্থাগারে জমা দেওয়া ৭,৩০০ বইয়ের মধ্যে ৮৯ শতাংশ ছিল হিব্রু ভাষায়[২১৬]

১৯৬৬ সালে, সম্যুয়েল ইয়োসেফ অ্যাগনন জার্মান ইহুদি লেখিকা নেলি সাচসের সঙ্গে যৌথভাবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[২১৭] শীর্ষস্থানীয় কবিদের মধ্যে ইয়েহুদা আমিকাই, নাথান আল্টারম্যান, লেয়া গোল্ডবার্গ এবং র‌্যাচেল ব্লুভস্টেইন উল্লেখযোগ্য।[২১৮] আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত সমসাময়িক ঔপন্যাসিকদের মধ্যে আমোস ওজ, এতগার কেরেট এবং ডেভিড গ্রসম্যান অন্যতম।[২১৯][২২০]

সিনেমা এবং থিয়েটার


ইসরায়েলি চলচ্চিত্রগুলো একাডেমি পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য ১০টি চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে। ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি চলচ্চিত্র নির্মাতারা আরব-ইসরায়েলি সংঘাত এবং ইসরায়েলের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের অবস্থান নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন, যেমন মোহাম্মদ বাকরি পরিচালিত ২০০২ সালের জেনিন, জেনিন এবং দ্য সিরিয়ান ব্রাইড।

পূর্ব ইউরোপের ইয়িডিশ থিয়েটারের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধরে রেখে, ইসরায়েল একটি সমৃদ্ধ থিয়েটার দৃশ্য বজায় রেখেছে। ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হাবিমা থিয়েটার, তেল আবিবে, ইসরায়েলের সবচেয়ে পুরনো রিপার্টরি থিয়েটার কোম্পানি এবং জাতীয় থিয়েটার।[২২১] অন্যান্য থিয়েটারের মধ্যে রয়েছে ওহেল, ক্যামেরি এবং গেশের।[২২২][২২৩]

কলা

ইসরায়েলি ইহুদি শিল্প কাব্বালাহ, তলমুদ এবং জোহারের দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ২০শ শতকে আরও একটি শিল্প আন্দোলন ছিল প্যারিস স্কুল, যা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। ১৯শ এবং ২০শ শতকের শুরুর দিকে, ইয়িশুভের শিল্পে বেজালেলের শিল্প প্রবণতাগুলো প্রাধান্য পেয়েছিল। ১৯২০-এর দশক থেকে, স্থানীয় শিল্প দৃশ্যটি আধুনিক ফরাসি শিল্প দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়, যা প্রথম পরিচয় করেছিলেন ইসাক ফ্রেঙ্কেল ফ্রেনেল।[২২৪][২২৫] প্যারিস স্কুলের ইহুদি মাস্টারদের মধ্যে সাউটিন, কিকোইন, ফ্রেঙ্কেল, এবং চাগাল তাদের পরবর্তী ইসরায়েলি শিল্পের বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।[২২৬][২২৭] ইসরায়েলি ভাস্কর্য আধুনিক ইউরোপীয় ভাস্কর্য এবং মেসোপটেমীয়, অ্যাসিরীয় ও স্থানীয় শিল্প থেকে প্রেরণা পেয়েছে।[২২৮][২২৯] আভ্রাহাম মেলনিকভের গর্জনরত সিংহ, ডেভিড পোলুসের আলেকজান্ডার জায়িদ এবং জেভ বেন জভির কিউবিস্ট ভাস্কর্য কিছু বিভিন্ন শাখার উদাহরণ যা ইসরায়েলি ভাস্কর্যের মধ্যে পাওয়া যায়।[২৩০][২৩১][২৩২]

ইসরায়েলি শিল্পে সাধারণত কিছু উল্লেখযোগ্য থিম দেখা যায়, যেমন সাফেদ এবং জেরুজালেমের মিস্টিক শহরগুলি, টেল আবিবের বোহেমিয়ান ক্যাফে সংস্কৃতি, কৃষি দৃশ্যাবলী, বাইবেলিক কাহিনী এবং যুদ্ধ। বর্তমানে ইসরায়েলি শিল্প আধুনিক প্রবণতাগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে, যার মধ্যে অপটিক্যাল আর্ট, এআই আর্ট, ডিজিটাল আর্ট এবং ভাস্কর্যতে লবণের ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নতুন প্রবণতাগুলি ইসরায়েলি শিল্পকে আরো বৈচিত্র্যময় এবং অভ্যন্তরীণভাবে বিকশিত করেছে।[২৩৩]

চিত্রসম্ভার

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

টীকা

  1. আরবি পূর্বে ইসরায়েলের সরকারী ভাষা ছিল।[] ২০১৮ সালে আরবি ভাষাকে রাষ্ট্রে বিশেষ মর্যাদায় দেওয়া হয়েছিল।[১০][১১][১২]
  2. The Jerusalem Law states that "Jerusalem, complete and united, is the capital of Israel" and the city serves as the seat of the government, home to the President's residence, government offices, supreme court, and parliament. The United Nations and most countries do not accept the Jerusalem Law (see Kellerman 1993, পৃ. 140) and maintain their embassies in other cities such as Tel Aviv, Ramat-Gan, and Herzliya(see the CIA Factbook ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে and Map of Israel) The Palestinian Authority sees East Jerusalem as the capital of a future Palestinian State and the city's final status awaits future negotiations between Israel and the Palestinian Authority (see "Negotiating Jerusalem", University of Maryland ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ মে ২০০৬ তারিখে). See Positions on Jerusalem for more information.

উদ্ধৃতি

  1. Recognition by other UN member states: Russia (West Jerusalem),[] the Czech Republic (West Jerusalem),[] Honduras,[] Guatemala,[] Nauru,[] and the United States.[]
  2. Jerusalem is Israel's largest city if including East Jerusalem, which is widely recognized as occupied territory.[] If East Jerusalem is not counted, the largest city would be Tel Aviv.
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; oecd নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. The majority of the international community (including the UN General Assembly, the United Nations Security Council, the European Union, the International Criminal Court, and the vast majority of human rights organizations) considers Israel to be occupying Gaza, the West Bank and East Jerusalem. Gaza is still considered to be "occupied" by the United Nations, international human rights organisations, and the majority of governments and legal commentators, despite the 2005 Israeli disengagement from Gaza, due to various forms of ongoing military and economic control.[৩০][৩১][৩২]
    The government of Israel and some supporters have, at times, disputed this position of the international community. For more details of this terminology dispute, including with respect to the current status of the Gaza Strip, see International views on the Israeli-occupied territories and Status of territories captured by Israel.
    For an explanation of the differences between an annexed but disputed territory (e.g., Tibet) and a militarily occupied territory, please see the article Military occupation.

সূত্র

  1. "Foreign Ministry statement regarding Palestinian-Israeli settlement"mid.ru। ৬ এপ্রিল ২০১৭। ৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  2. "Czech Republic announces it recognizes West Jerusalem as Israel's capital"The Jerusalem Post। ৬ ডিসেম্বর ২০১৭। ৩ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৭The Czech Republic currently, before the peace between Israel and Palestine is signed, recognizes Jerusalem to be in fact the capital of Israel in the borders of the demarcation line from 1967." The Ministry also said that it would only consider relocating its embassy based on "results of negotiations. 
  3. "Honduras recognizes Jerusalem as Israel's capital"The Times of Israel। ২৯ আগস্ট ২০১৯। ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৯ 
  4. "Guatemala se suma a EEUU y también trasladará su embajada en Israel a Jerusalén" [Guatemala joins US, will also move embassy to Jerusalem]। Infobae (স্পেনীয় ভাষায়)। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭। ১৭ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭  Guatemala's embassy was located in Jerusalem until the 1980s, when it was moved to Tel Aviv.
  5. "Nauru recognizes J'lem as capital of Israel"Israel National News (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ আগস্ট ২০১৯। ১১ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৯ 
  6. "Trump Recognizes Jerusalem as Israel's Capital and Orders U.S. Embassy to Move"The New York Times। ৬ ডিসেম্বর ২০১৭। ১৭ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  7. The Legal Status of East Jerusalem (পিডিএফ), Norwegian Refugee Council, ডিসেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা 8, 29, ১০ মে ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২১ 
  8. "Constitution for Israel"knesset.gov.il.। ৪ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৯, ২০২৩ 
  9. "Arabic in Israel: an official language and a cultural bridge"Israel Ministry of Foreign Affairs। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৮ 
  10. "Israel Passes 'National Home' Law, Drawing Ire of Arabs"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ জুলাই ২০১৮। 
  11. Lubell, Maayan (১৯ জুলাই ২০১৮)। "Israel adopts divisive Jewish nation-state law"Reuters 
  12. "Press Releases from the Knesset"Knesset website। ১৯ জুলাই ২০১৮। The Arabic language has a special status in the state; Regulating the use of Arabic in state institutions or by them will be set in law. 
  13. "Israel"The World FactbookCentral Intelligence Agency। ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  14. Qposter-লেখকঃ মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। "ইসরাইলের সমরশক্তি"www.qposter.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  15. "Israel"। Central Intelligence Agency। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। ১০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ – CIA.gov-এর মাধ্যমে। 
  16. "Israel country profile"BBC News। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০। ২৪ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০২১ 
  17. "Surface water and surface water change"OECD.Stat। OECD। ২৪ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২০ 
  18. "World Population Prospects - Population Division - United Nations"population.un.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৯ 
  19. "Geographic Areas - Nationwide"2022 Population Census DataCentral Bureau of Statistics। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০২৪ 
  20. "World Economic Outlook Database, October 2024 Edition. (Israel)"www.imf.orgInternational Monetary Fund। ২২ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০২৪ 
  21. "Gini Index coefficient"The World Factbook। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  22. Human Development Report 2023-24 (প্রতিবেদন) (ইংরেজি ভাষায়)। United Nations। ২০২৪-০৩-১৩। ১৮ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০২৪ 
  23. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২০-০৬-২৯)। "যে স্টাইলে ইসরায়েলের জমি দখল"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১ 
  24. https://www.algemeiner.com/2015/09/30/tel-aviv-ranked-among-worlds-top-financial-centers/
  25. Kate Samuelson (ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬), Why Jerusalem Isn't Recognized as Israel's Capital, Time Magazine 
  26. "Embassies and Consulates in Israel"। সংগ্রহের তারিখ 29 april 2021  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  27. "OECD.Stat Education and Training > Education at a Glance > Educational attainment and labor-force status > Educational attainment of 25-64 year-olds"। OECD। 
  28. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; HDI নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  29. "Global Innovation Index 2020 : Israel" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২০ 
  30. Sanger, Andrew (২০১১)। "The Contemporary Law of Blockade and the Gaza Freedom Flotilla"। M.N. Schmitt; Louise Arimatsu; Tim McCormack। Yearbook of International Humanitarian Law 2010। Yearbook of International Humanitarian Law। 13। পৃষ্ঠা 429। আইএসএসএন 1389-1359আইএসবিএন 978-90-6704-811-8ডিওআই:10.1007/978-90-6704-811-8_14Israel claims it no longer occupies the Gaza Strip, maintaining that it is neither a Stale nor a territory occupied or controlled by Israel, but rather it has 'sui generis' status. Pursuant to the Disengagement Plan, Israel dismantled all military institutions and settlements in Gaza and there is no longer a permanent Israeli military or civilian presence in the territory. However the Plan also provided that Israel will guard and monitor the external land perimeter of the Gaza Strip, will continue to maintain exclusive authority in Gaza air space, and will continue to exercise security activity in the sea off the coast of the Gaza Strip as well as maintaining an Israeli military presence on the Egyptian-Gaza border. and reserving the right to reenter Gaza at will.
    Israel continues to control six of Gaza's seven land crossings, its maritime borders and airspace and the movement of goods and persons in and out of the territory. Egypt controls one of Gaza's land crossings. Troops from the Israeli Defence Force regularly enter pans of the territory and/or deploy missile attacks, drones and sonic bombs into Gaza. Israel has declared a no-go buffer zone that stretches deep into Gaza: if Gazans enter this zone they are shot on sight. Gaza is also dependent on israel for inter alia electricity, currency, telephone networks, issuing IDs, and permits to enter and leave the territory. Israel also has sole control of the Palestinian Population Registry through which the Israeli Army regulates who is classified as a Palestinian and who is a Gazan or West Banker. Since 2000 aside from a limited number of exceptions Israel has refused to add people to the Palestinian Population Registry.
    It is this direct external control over Gaza and indirect control over life within Gaza that has led the United Nations, the UN General Assembly, the UN Fact Finding Mission to Gaza, International human rights organisations, US Government websites, the UK Foreign and Commonwealth Office and a significant number of legal commentators, to reject the argument that Gaza is no longer occupied.
     
  31. Scobbie, Iain (২০১২)। Elizabeth Wilmshurst, সম্পাদক। International Law and the Classification of Conflicts। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 295। আইএসবিএন 978-0-19-965775-9Even after the accession to power of Hamas, Israel's claim that it no longer occupies Gaza has not been accepted by UN bodies, most States, nor the majority of academic commentators because of its exclusive control of its border with Gaza and crossing points including the effective control it exerted over the Rafah crossing until at least May 2011, its control of Gaza's maritime zones and airspace which constitute what Aronson terms the 'security envelope' around Gaza, as well as its ability to intervene forcibly at will in Gaza. 
  32. Gawerc, Michelle (২০১২)। Prefiguring Peace: Israeli-Palestinian Peacebuilding Partnerships। Lexington Books। পৃষ্ঠা 44। আইএসবিএন 978-0-7391-6610-9While Israel withdrew from the immediate territory, Israel still controlled all access to and from Gaza through the border crossings, as well as through the coastline and the airspace. ln addition, Gaza was dependent upon Israel for water electricity sewage communication networks and for its trade (Gisha 2007. Dowty 2008). ln other words, while Israel maintained that its occupation of Gaza ended with its unilateral disengagement Palestinians – as well as many human right organizations and international bodies – argued that Gaza was by all intents and purposes still occupied. 
  33. See for example:
    * Hajjar, Lisa (২০০৫)। Courting Conflict: The Israeli Military Court System in the West Bank and Gaza। University of California Press। পৃষ্ঠা 96। আইএসবিএন 978-0-520-24194-7The Israeli occupation of the West Bank and Gaza is the longest military occupation in modern times. 
    * Anderson, Perry (জুলাই–আগস্ট ২০০১)। "Editorial: Scurrying Towards Bethlehem"New Left Review10। ১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২১longest official military occupation of modern history—currently entering its thirty-fifth year 
    * Makdisi, Saree (২০১০)। Palestine Inside Out: An Everyday Occupation। W.W. Norton & Company। আইএসবিএন 978-0-393-33844-7longest-lasting military occupation of the modern age 
    * Kretzmer, David (Spring ২০১২)। "The law of belligerent occupation in the Supreme Court of Israel" (পিডিএফ)International Review of the Red Cross94 (885): 207–236। ডিওআই:10.1017/S1816383112000446This is probably the longest occupation in modern international relations, and it holds a central place in all literature on the law of belligerent occupation since the early 1970s 
    * Alexandrowicz, Ra'anan (২৪ জানুয়ারি ২০১২), "The Justice of Occupation", The New York Times, Israel is the only modern state that has held territories under military occupation for over four decades 
    * Weill, Sharon (২০১৪)। The Role of National Courts in Applying International Humanitarian Law। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 22। আইএসবিএন 978-0-19-968542-4Although the basic philosophy behind the law of military occupation is that it is a temporary situation modem occupations have well demonstrated that rien ne dure comme le provisoire A significant number of post-1945 occupations have lasted more than two decades such as the occupations of Namibia by South Africa and of East Timor by Indonesia as well as the ongoing occupations of Northern Cyprus by Turkey and of Western Sahara by Morocco. The Israeli occupation of the Palestinian territories, which is the longest in all occupation's history has already entered its fifth decade. 
    * Azarova, Valentina. 2017, Israel's Unlawfully Prolonged Occupation: Consequences under an Integrated Legal Framework, European Council on Foreign Affairs Policy Brief: "June 2017 marks 50 years of Israel's belligerent occupation of Palestinian territory, making it the longest occupation in modern history."
  34. United States Congress (৫ জুন ২০০৮)। "H. RES. 1249" (পিডিএফ)  Since the publication of this document, Mauritania and Venezuela severed relations with Israel, and Bahrain, Chad, Guinea, the United Arab Emirates, Sudan, and Morocco resumed or established relations.
  35. "A Threshold Crossed: Israeli Authorities and the Crimes of Apartheid and Persecution"। ১৭ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২১ 
  36. "Israel's occupation: 50 years of dispossession"। ২০১৭। 
  37. "Popular Opinion"The Palestine Post। Jerusalem। ৭ ডিসেম্বর ১৯৪৭। পৃষ্ঠা 1। ১৫ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  38. ""Aliyah": The Word and Its Meaning"। ২০০৫-০৫-১৫। ২০০৯-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২৯ 
  39. "League of Nations decision confirming the Principal Allied Powers' agreement on the territory of Palestine"। ২০১৩-১১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  40. "Transfer Agreement"। Transfer Agreement। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২৯ 
  41. "The Role of Jewish Defense Organizations in Palestine (1903–1948)"। Jewish Virtual Library। 
  42. Ilan Pappé (2000), p.79
  43. Hakohen, Devorah (২০০৩), Immigrants in Turmoil: Mass Immigration to Israel and Its Repercussions in the 1950s and After, Syracuse University Press, পৃষ্ঠা 267, আইএসবিএন 9780815629696 
  44. "A/RES/181(II) of 29 November 1947"। United Nations। ১৯৪৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১২ 
  45. Brenner, Michael; Frisch, Shelley (এপ্রিল ২০০৩)। Zionism: A Brief History। Markus Wiener Publishers। পৃষ্ঠা 184। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১১ 
  46. Hashim S. H. Behbehani (১৯৮৬)। The Soviet Union and Arab nationalism, 1917-1966। Routledge। পৃষ্ঠা 69। আইএসবিএন 978-0-7103-0213-7 
  47. "Timeline of Turkish-Israeli Relations, 1949–2006" (পিডিএফ)। ১৯ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  48. "Turkey and Israel"। SMI। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১০ 
  49. "Field Listing — Executive Branch"The World Factbook। ১৯ জুন ২০০৭। ১৩ জুন ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০০৭ 
  50. In 1996, direct elections for the prime minister were inaugurated, but the system was declared unsatisfactory and the old one reinstated. See "Israel's election process explained"। BBC News। ২৩ জানুয়ারি ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১০ 
  51. "Field Listing — Executive Branch"The World Factbook। ১৯ জুন ২০০৭। ১৩ জুন ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০০৭ 
  52. "The Electoral System in Israel"। The Knesset। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০০৭ 
  53. סגל, עמית (২০২১)। סיפורה של הפוליטיקה הישראלית: מבן גוריון ועד בנט (হিব্রু ভাষায়)। Hotsaʼat ʻAmit Segal। আইএসবিএন 978-965-599-597-8 
  54. Jewish settlers can vote in Israeli elections, though West Bank is officially not Israel, Fox News, February 2015: "When Israelis go to the polls next month, tens of thousands of Jewish settlers in the West Bank will also be casting votes, even though they do not live on what is sovereign Israeli territory. This exception in a country that doesn't allow absentee voting for citizens living abroad is a telling reflection of Israel's somewhat ambiguous and highly contentious claim to the territory, which has been under military occupation for almost a half century."
  55. The Social Composition of the 20th Knesset, Israeli Democracy Institute, 30 March 2015
  56. "How Israel's electoral system works"CNN.comCNN International। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২১ 
  57. Halbfinger, David M.; McCann, Allison (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "As Israel Votes Again (and Again), Arabs See an Opportunity"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  58. Abu Much, Afif (৭ নভেম্বর ২০২২)। "Arab Israeli parties trade blame for election fiasco"Al-Monitor (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২৩ 
  59. "Israel"Freedom in the World। Freedom House। ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০২০ 
  60. "Israel"The World Factbook। Central Intelligence Agency। ১০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৭ 
  61. Mazie 2006, পৃ. 34।
  62. Charbit, Denis (২০১৪)। "Israel's Self-Restrained Secularism from the 1947 Status Quo Letter to the Present"। Berlinerblau, Jacques; Fainberg, Sarah; Nou, Aurora। Secularism on the Edge: Rethinking Church-State Relations in the United States, France, and Israel। Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 167–169। আইএসবিএন 978-1-137-38115-6The compromise, therefore, was to choose constructive ambiguity: as surprising as it may seem, there is no law that declares Judaism the official religion of Israel. However, there is no other law that declares Israel's neutrality toward all confessions. Judaism is not recognized as the official religion of the state, and even though the Jewish, Muslim and Christian clergy receive their salaries from the state, this fact does not make Israel a neutral state. This apparent pluralism cannot dissimulate the fact that Israel displays a clear and undoubtedly hierarchical pluralism in religious matters. ... It is important to note that from a multicultural point of view, this self-restrained secularism allows Muslim law to be practiced in Israel for personal matters of the Muslim community. As surprising as it seems, if not paradoxical for a state in war, Israel is the only Western democratic country in which Sharia enjoys such an official status. 
  63. Sharot, Stephen (২০০৭)। "Judaism in Israel: Public Religion, Neo-Traditionalism, Messianism, and Ethno-Religious Conflict"। Beckford, James A.; Demerath, Jay। The Sage Handbook of the Sociology of Religion। Sage Publications। পৃষ্ঠা 671–672। আইএসবিএন 978-1-4129-1195-5It is true that Jewish Israelis, and secular Israelis in particular, conceive of religion as shaped by a state-sponsored religious establishment. There is no formal state religion in Israel, but the state gives its official recognition and financial support to particular religious communities, Jewish, Islamic and Christian, whose religious authorities and courts are empowered to deal with matters of personal status and family law, such as marriage, divorce, and alimony, that are binding on all members of the communities. 
  64. Jacoby, Tami Amanda (২০০৫)। Women in Zones of Conflict: Power and Resistance in Israel। McGill-Queen's University Press। পৃষ্ঠা 53–54। আইএসবিএন 978-0-7735-2993-9Although there is no official religion in Israel, there is also no clear separation between religion and state. In Israeli public life, tensions frequently arise among different streams of Judaism: Ultra-Orthodox, National-Religious, Mesorati (Conservative), Reconstructionist Progressive (Reform), and varying combinations of traditionalism and non-observance. Despite this variety in religious observances in society, Orthodox Judaism prevails institutionally over the other streams. This boundary is an historical consequence of the unique evolution of the relationship between Israel nationalism and state building. ... Since the founding period, in order to defuse religious tensions, the State of Israel has adopted what is known as the 'status quo,' an unwritten agreement stipulating that no further changes would be made in the status of religion, and that conflict between the observant and non-observant sectors would be handled circumstantially. The 'status quo' has since pertained to the legal status of both religious and secular Jews in Israel. This situation was designed to appease the religious sector, and has been upheld indefinitely through the disproportionate power of religious political parties in all subsequent coalition governments. ... On one hand, the Declaration of Independence adopted in 1948 explicitly guarantees freedom of religion. On the other, it simultaneously prevents the separation of religion and state in Israel. 
  65. "Israel's Jewish Nation-State Law – Adalah"www.adalah.org (ইংরেজি ভাষায়)। 
  66. "Jewish nation state: Israel approves controversial bill"। BBC। ১৯ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৮ 
  67. Harpaz, Yossi; Herzog, Ben (জুন ২০১৮)। Report on Citizenship Law: Israel (প্রতিবেদন)। European University Institutehdl:1814/56024  
  68. Tekiner, Roselle (১৯৯১)। "Race and the Issue of National Identity in Israel"। International Journal of Middle East StudiesCambridge University Press23 (1): 39–55। এসটুসিআইডি 163043582জেস্টোর 163931ডিওআই:10.1017/S0020743800034541 
  69. Goldenberg, Tia (৪ অক্টোবর ২০১৩)। "Supreme Court rejects 'Israeli' nationality status"The Times of Israel। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৮ 
  70. Tekiner, Roselle (১৯৯১)। "Race and the Issue of National Identity in Israel"। International Journal of Middle East StudiesCambridge University Press23 (1): 39–55। এসটুসিআইডি 163043582জেস্টোর 163931ডিওআই:10.1017/S0020743800034541 
  71. Berger, Miriam (৩১ জুলাই ২০১৮)। "Israel's hugely controversial "nation-state" law, explained"Vox। ২৭ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০২২ 
  72. "Israel's Diplomatic Missions Abroad: Status of relations"। Israel Ministry of Foreign Affairs। ২০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৬ 
  73. Mohammed Mostafa Kamal (২১ জুলাই ২০১২)। "Why Doesn't the Muslim World Recognize Israel?"The Jerusalem Post। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৫ 
  74. "Massive Israel protests hit universities" (Egyptian Mail, 16 March 2010) "According to most Egyptians, almost 31 years after a peace treaty was signed between Egypt and Israel, having normal ties between the two countries is still a potent accusation and Israel is largely considered to be an enemy country"
  75. Abadi 2004, পৃ. 47–49।
  76. הוראות הדין הישראלי (হিব্রু ভাষায়)। Israeli Ministry of Foreign Affairs। ২০০৪। ১ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০০৭ 
  77. "Qatar, Mauritania cut Israel ties"। Al Jazeera English। ১৭ জানুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  78. Flores, Paola (২৯ নভেম্বর ২০১৯)। "Bolivia to renew Israel ties after rupture under Morales"ABC News। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ 
  79. Brown, Philip Marshall (১৯৪৮)। "The Recognition of Israel"। The American Journal of International Law42 (3): 620–627। এসটুসিআইডি 147342045জেস্টোর 2193961ডিওআই:10.2307/2193961 
  80. Yaakov, Saar (১৮ অক্টোবর ২০১৭)। "There Were Times (Hayu Zemanim)" (হিব্রু ভাষায়)। Israel Hayom। পৃষ্ঠা 30। 
  81. "U.S. Relations With Israel Bureau of Near Eastern Affairs Fact Sheet March 10, 2014"U.S. Department of State। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৪ 
  82. "Israel: Background and Relations with the United States Updated" (পিডিএফ)। Defense Technical Information Center। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০০৯ 
  83. "U.S. Overseas Loans and Grants" (পিডিএফ) 
  84. "U.S. Overseas Loans and Grants" (পিডিএফ) 
  85. "U.S. Government Foreign Grants and Credits by Type and Country: 2000 to 2010" (পিডিএফ)। ২০ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  86. "Foreign Aid"। ২৫ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  87. "Americans Still Pro-Israel, Though Palestinians Gain Support"Gallup, Inc (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ মার্চ ২০২২। 
  88. "Friend or Enemy — Israel"YouGov (ইংরেজি ভাষায়)। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২। 
  89. "The bilateral relationship"UK in Israel। Foreign and Commonwealth Office। ১৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  90. "Congressional Research Service: Germany's Relations with Israel: Background and Implications for German Middle East Policy, Jan 19, 2007. (p. CRS-2)" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  91. Eric Maurice (৫ মার্চ ২০১৫)। "EU to Revise Relations with Turbulent Neighbourhood"EUobserver। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  92. Abadi 2004, পৃ. 3. "However, it was not until 1991 that the two countries established full diplomatic relations."
  93. Abadi 2004, পৃ. 4–6।
  94. Uzer, Umut (২৬ মার্চ ২০১৩)। "Turkish-Israeli Relations: Their Rise and Fall"Middle East PolicyXX (1): 97–110। ডিওআই:10.1111/mepo.12007। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৭ 
  95. "Israel woos Greece after rift with Turkey"। BBC News। ১৬ অক্টোবর ২০১০। 
  96. "Turkey, Greece discuss exploration off Cyprus"Haaretz। Associated Press। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১২ 
  97. Benari, Elad (৫ মার্চ ২০১২)। "Israel, Cyprus Sign Deal for Underwater Electricity Cable"Arutz Sheva। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৭ 
  98. "Inequality Report: The Palestinian Arab Minority in Israel – Adalah"www.adalah.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১২ 
  99. "The Israel-Kazakhstan Partnership"The Diplomat (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ জুলাই ২০১৬। ১৮ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  100. Kumar, Dinesh। "India and Israel: Dawn of a New Era" (পিডিএফ)। Jerusalem Institute for Western Defense। ১২ মে ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১২ 
  101. "India to hold wide-ranging strategic talks with US, Israel"The Times of India। ১৯ জানুয়ারি ২০১০। ৭ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  102. "Iran and Israel in Africa: A search for allies in a hostile world"The Economist। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  103. "History: 1948"। Israel Defense Forces। ২০০৭। ১২ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০০৭ 
  104. Henderson 2003, পৃ. 97।
  105. "The State: Israel Defense Forces (IDF)"। Israel Ministry of Foreign Affairs। ১৩ মার্চ ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০০৭ 
  106. "The Israel Defense Forces"। Israel Ministry of Foreign Affairs। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০০৬ 
  107. Stendel 1997, পৃ. 191–192।
  108. Shtrasler, Nehemia (১৬ মে ২০০৭)। "Cool law, for wrong population"Haaretz। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১২ 
  109. "Sherut Leumi (National Service)"। Nefesh B'Nefesh। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  110. "Israel's Arab soldiers who fight for the Jewish state" (ইংরেজি ভাষায়)। BBC News। ৮ নভেম্বর ২০১৬। 
  111. IISS 2018, pp. 339–340
  112. Katz, Yaakov (৩০ মার্চ ২০০৭)। "Arrow can fully protect against Iran"The Jerusalem Post। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  113. Israeli Mirage III and Nesher Aces, By Shlomo Aloni, (Osprey 2004), p. 60
  114. Spike Anti-Tank Missile, Israel army-technology.com
  115. Robert Johnson (১৯ নভেম্বর ২০১২)। "How Israel Developed Such A Shockingly Effective Rocket Defense System"Business Insider। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১২ 
  116. Sarah Tory (১৯ নভেম্বর ২০১২)। "A Missile-Defense System That Actually Works?"Slate। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১২ 
  117. Zorn, E.L. (৮ মে ২০০৭)। "Israel's Quest for Satellite Intelligence"। Central Intelligence Agency। ২৬ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১২ 
  118. Katz, Yaakov (১১ জুন ২০০৭)। "Analysis: Eyes in the sky"The Jerusalem Post। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  119. ElBaradei, Mohamed (২৭ জুলাই ২০০৪)। "Transcript of the Director General's Interview with Al-Ahram News"। International Atomic Energy Agency। ১৮ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  120. "Proliferation of Weapons of Mass Destruction: Assessing the Risks" (পিডিএফ)। Office of Technology Assessment। আগস্ট ১৯৯৩। পৃষ্ঠা 65, 84। ২৮ মে ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১২ 
  121. "Background Information"2005 Review Conference of the Parties to the Treaty on the Non-Proliferation of Nuclear Weapons (NPT)। United Nations। ২৭ মে ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১২ 
  122. Ziv, Guy, "To Disclose or Not to Disclose: The Impact of Nuclear Ambiguity on Israeli Security", Israel Studies Forum, Vol. 22, No. 2 (Winter 2007): 76–94
  123. "Popeye Turbo"। Federation of American Scientists। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  124. "Glossary"। Israel Homeowner। ১৭ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  125. Defence Expenditure in Israel, 1950–2015 (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। Israel Central Bureau of Statistics। ২৯ মে ২০১৭। ১৯ জুন ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৭ 
  126. Trends in World Military Expenditure, 2021 (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। Stockholm International Peace Research Institute। এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  127. Sharp, Jeremy M. (২২ ডিসেম্বর ২০১৬)। U.S. Foreign Aid to Israel (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। Congressional Research Service। পৃষ্ঠা 36। ৩১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৭ 
  128. Lake, Eli (১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "The U.S.-Israel Memorandum of Misunderstanding"। Bloomberg। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৭ 
  129. "Top List TIV Tables"। Stockholm International Peace Research Institute। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২৩ 
  130. Israel reveals more than $7 billion in arms sales, but few names By Gili Cohen | 9 January 2014, Haaretz
  131. Global Peace Index 2022 (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। Institute for Economics and Peace। জুন ২০২২। পৃষ্ঠা 11। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  132. Chua, Amy (২০০৩)। World On Fire। Knopf Doubleday Publishing। পৃষ্ঠা 219–220। আইএসবিএন 978-0385721868 
  133. "Northern and Western Asia" 
  134. David Adler (১০ মার্চ ২০১৪)। "Ambitious Israeli students look to top institutions abroad"। ICEF। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৫ 
  135. Burstein, Nathan (১৪ আগস্ট ২০০৭)। "Tourist visits above pre-war level"The Jerusalem Post। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  136. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; cia নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  137. Skolnik 2007, পৃ. 132–232
  138. "Israel"The World Factbook। Central Intelligence Agency। ১০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৭ 
  139. Cohen, Gili (৯ জানুয়ারি ২০১২)। "Israel Navy to devote majority of missile boats to secure offshore drilling rafts"Haaretz। ২২ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১২ 
  140. "Area of Districts, Sub-Districts, Natural Regions and Lakes"। Israel Central Bureau of Statistics। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২। ৪ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৩ 
  141. "Israel (Geography)"Country Studies। ৭ মে ২০০৯। ১০ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  142. "The Coastal Plain"। Israel Ministry of Tourism। ৭ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  143. Makhteshim Country। UNESCO। ২০০১। আইএসবিএন 978-954-642-135-7। ১০ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 
  144. Rinat, Zafrir (২৯ মে ২০০৮)। "More endangered than rain forests?"Haaretz। ১০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  145. Dinerstein, Eric; Olson, David; Joshi, Anup; Vynne, Carly; Burgess, Neil D.; Wikramanayake, Eric; Hahn, Nathan; Palminteri, Suzanne; Hedao, Prashant; Noss, Reed; Hansen, Matt; Locke, Harvey; Ellis, Erle C; Jones, Benjamin; Barber, Charles Victor; Hayes, Randy; Kormos, Cyril; Martin, Vance; Crist, Eileen; Sechrest, Wes; Price, Lori; Baillie, Jonathan E. M.; Weeden, Don; Suckling, Kierán; Davis, Crystal; Sizer, Nigel; Moore, Rebecca; Thau, David; Birch, Tanya; Potapov, Peter; Turubanova, Svetlana; Tyukavina, Alexandra; de Souza, Nadia; Pintea, Lilian; Brito, José C.; Llewellyn, Othman A.; Miller, Anthony G.; Patzelt, Annette; Ghazanfar, Shahina A.; Timberlake, Jonathan; Klöser, Heinz; Shennan-Farpón, Yara; Kindt, Roeland; Lillesø, Jens-Peter Barnekow; van Breugel, Paulo; Graudal, Lars; Voge, Maianna; Al-Shammari, Khalaf F.; Saleem, Muhammad (২০১৭)। "An Ecoregion-Based Approach to Protecting Half the Terrestrial Realm"BioScience67 (6): 534–545। আইএসএসএন 0006-3568ডিওআই:10.1093/biosci/bix014 পিএমআইডি 28608869পিএমসি 5451287  
  146. Tal, Alon (২০১৩)। All the Trees of the Forest। Yale University Press। পৃষ্ঠা 5, 66। আইএসবিএন 9780300189506 
  147. "Forestry and Green Innovations" (ইংরেজি ভাষায়)। Jewish National Fund। ১৬ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-১৩ 
  148. "Introduction to the Tables: Geophysical Characteristics" (doc)। Central Bureau of Statistics। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 
  149. Dashefsky, Arnold; Della-Pergola, Sergio; Sheskin, Ira, সম্পাদকগণ (২০২১)। World Jewish Population (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। Berman Jewish DataBank। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  150. Population of Israel on the Eve of 2023 (প্রতিবেদন)। Israel Central Bureau of Statistics। ২৯ ডিসেম্বর ২০২২। ১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ 
  151. "ISRAEL: Crackdown on illegal migrants and visa violators"IRIN। ১৪ জুলাই ২০০৯। ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১২ 
  152. Adriana Kemp, "Labour migration and racialisation: labour market mechanisms and labour migration control policies in Israel", Social Identities 10:2, 267–292, 2004
  153. "Israel rounds up African migrants for deportation"। Reuters। ১১ জুন ২০১২। ১৬ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২১ 
  154. "Urban population (% of total population) – Israel"data.worldbank.orgWorld Bank। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  155. "Can Jews and Palestinians live peacefully in Israel? The data on mixed neighborhoods says yes"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  156. "Life expectancy at birth"OECD Data। OECD। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 
  157. "Arab and Jewish medics together on frontline of Israel's virus fight" (ইংরেজি ভাষায়)। France 24Agence France Presse। ২৯ মার্চ ২০২০। ২৩ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০২২ 
  158. Dov Chernichovsky, Bishara Bisharat, Liora Bowers, Aviv Brill, and Chen Sharony, "The Health of the Arab Israeli Population" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে. Taub Center for Social Policy Studies in Israel December 2017 pp.1–50, 13 (2015)
  159. "Saudi writer: 'Why is life expectancy in Israel better?'" (ইংরেজি ভাষায়)। BBC News। ৯ অক্টোবর ২০১২। ২৩ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২৩ 
  160. "Taub Center report shows discrepancy in Jewish, Arab life expectancy"Ynetnews। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  161. "Israel's birth rate remains highest in OECD by far, at 2.9 children per woman"Times of Israel। ২১ জুন ২০২৪। 
  162. DellaPergola, Sergio (২০০০)। "Still Moving: Recent Jewish Migration in Comparative Perspective"। Daniel J. Elazar; Morton WeinfeldThe Global Context of Migration to Israel। Transaction Publishers। পৃষ্ঠা 13–60। আইএসবিএন 978-1-56000-428-8 
  163. Herman, Pini (১ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩)। "The Myth of the Israeli Expatriate"। Moment Magazine। খণ্ড 8 নং 8। পৃষ্ঠা 62–63। 
  164. Gould, Eric D.; Moav, Omer (২০০৭)। "Israel's Brain Drain"। Israel Economic Review5 (1): 1–22। এসএসআরএন 2180400  
  165. Rettig Gur, Haviv (৬ এপ্রিল ২০০৮)। "Officials to US to bring Israelis home"The Jerusalem Post। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  166. "Jews, by Continent of Origin, Continent of Birth and Period of Immigration" (পিডিএফ)। Israel Central Bureau of Statistics। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  167. Goldberg, Harvey E. (২০০৮)। "From Sephardi to Mizrahi and Back Again: Changing Meanings of "Sephardi" in Its Social Environments"Jewish Social Studies15 (1): 165–188। ডিওআই:10.18647/2793/JJS-2008 
  168. Joel Schalit (৩১ আগস্ট ২০০৯)। "The Missing Mizrahim"Jewcy 
  169. Okun, Barbara S.; Khait-Marelly, Orna (২০০৬)। "Socioeconomic Status and Demographic Behavior of Adult Multiethnics: Jews in Israel" (পিডিএফ)। Hebrew University of Jerusalem। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৩ 
  170. DellaPergola, Sergio (২০১১)। "Jewish Demographic Policies" (পিডিএফ)। The Jewish People Policy Institute। 
  171. "Israel (people)"Encyclopedia.com। ২০০৭। 
  172. Yoram Ettinger (৫ এপ্রিল ২০১৩)। "Defying demographic projections"Israel Hayom। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৩ 
  173. Gorenberg, Gershom (২৬ জুন ২০১৭)। "Settlements: The Real Story"The American Prospect। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৭ 
  174. "Localities and Population, by Population Group, District, Sub-District and Natural Region" (পিডিএফ)। Israel Central Bureau of Statistics। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  175. Yaniv, Omer; Haddad, Netta; Assaf-Shapira, Yair (২০২২)। Jerusalem Facts and Trends 2022 (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। Jerusalem Institute for Policy Research। পৃষ্ঠা 25। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  176. "Localities and Population, by Population Group, District, Sub-District and Natural Region" (পিডিএফ)। Israel Central Bureau of Statistics। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  177. "Settlements in the Gaza Strip"Settlement Information। ২৬ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০০৭ 
  178. "Population of Israel on the Eve of 2022"। Cbs.gov.il। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  179. Citizenship, Identity and Political Participation: Measuring the Attitudes of the Arab Citizens in Israel (প্রতিবেদন)। Konrad Adenauer Foundation। ডিসেম্বর ২০১৭। পৃষ্ঠা 22, 25, 28। (p.28) "The positions of the participants in the focus groups reflect the strength of Palestinian-Arab identity among Arab citizens and the fact that they do not see a contradiction between Palestinian-Arab national identity and Israeli civic identity. The designation "Israeli-Arab" aroused great opposition in the focus groups, as did Israel's Independence Day. ... The collective position presented in the focus group discussions finds expression in the public sphere and emphasizes the Palestinian national identity. Conversely, the responses of the survey participants reveal individual attitudes that assign a broader (albeit secondary, identity) dimension to the component of Israeli civic identity"; quote (p.25): The designation "Arab citizens of Israel" was acceptable to them on the basis of the understanding that it is impossible to live without citizenship, and as long as Israeli citizenship does not harm the national consciousness. Conversely, the participants spoke out against the designation "Arab-Israeli"... 
  180. Lynfield, Ben (২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "Survey: 60% of Arab Israelis have positive view of state"The Jerusalem Post। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৭ 
  181. "Localities, Population and Density per Sq. Km., by Metropolitan Area and Selected Localities"। Israel Central Bureau of Statistics। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  182. "Population in the Localities 2019" (XLS)। Israel Central Bureau of Statistics। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২০ 
  183. Roberts 1990, পৃ. 60 Although East Jerusalem and the Golan Heights have been brought directly under Israeli law, by acts that amount to annexation, both of these areas continue to be viewed by the international community as occupied, and their status as regards the applicability of international rules is in most respects identical to that of the West Bank and Gaza.
  184. "Population Density by City 2024"worldpopulationreview.com 
  185. 2.22 Localities and Population, by Municipal Status and District, 2018
  186. "List of Cities in Israel" 
  187. Laub, Karin (১৮ জুন ১৯৮৭)। "Long Suppressed, Yiddish is Making a Comeback in Israel"Associated Press News। Jerusalem। ২৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  188. Golden, Zach (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩)। "How Yiddish became a 'foreign language' in Israel despite being spoken there since the 1400s"The Forward। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০২৪ 
  189. Israeli Schools: Religious and Secular Problems। Education Resources Information Center। ১০ অক্টোবর ১৯৮৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  190. Israel Central Bureau of Statistics: The Ethiopian Community in Israel
  191. "Israel may admit 3,000 Ethiopia migrants if Jews"। Reuters। ১৬ জুলাই ২০০৯। 
  192. Meyer, Bill (১৭ আগস্ট ২০০৮)। "Israel's welcome for Ethiopian Jews wears thin"The Plain Dealer। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১২ 
  193. "Study: Soviet immigrants outperform Israeli students"Haaretz। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। 
  194. "French radio station RFI makes aliyah"Ynetnews। ৫ ডিসেম্বর ২০১১। 
  195. Spolsky, Bernard (১৯৯৯)। Round Table on Language and Linguistics। Georgetown University Press। পৃষ্ঠা 169–170। আইএসবিএন 978-0-87840-132-1In 1948, the newly independent state of Israel took over the old British regulations that had set English, Arabic, and Hebrew as official languages for Mandatory Palestine but, as mentioned, dropped English from the list. In spite of this, official language use has maintained a de facto role for English, after Hebrew but before Arabic. 
  196. Bat-Zeev Shyldkrot, Hava (২০০৪)। "Part I: Language and Discourse"Diskin Ravid, Dorit; Bat-Zeev Shyldkrot, Hava। Perspectives on Language and Development: Essays in Honor of Ruth A. Berman। Kluwer Academic Publishers। পৃষ্ঠা 90। আইএসবিএন 978-1-4020-7911-5English is not considered official but it plays a dominant role in the educational and public life of Israeli society. ... It is the language most widely used in commerce, business, formal papers, academia, and public interactions, public signs, road directions, names of buildings, etc. 
  197. Shohamy, Elana (২০০৬)। Language Policy: Hidden Agendas and New Approaches। Routledge। পৃষ্ঠা 72–73। আইএসবিএন 978-0-415-32864-7While English is not declared anywhere as an official language, the reality is that it has a very high and unique status in Israel. It is the main language of the academy, commerce, business, and the public space. 
  198. "English programs at Israeli universities and colleges"। Israel Ministry of Foreign Affairs। 
  199. Starr, Kelsey Jo; Masci, David (৮ মার্চ ২০১৬)। "In Israel, Jews are united by homeland but divided into very different groups"। Pew Research Center। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ 
  200. Shahar Ilan (২৪ নভেম্বর ২০০৯)। "At the edge of the abyss"Haaretz 
  201. Bassok, Moti (২৫ ডিসেম্বর ২০০৬)। "Israel's Christian population numbers 148,000 as of Christmas Eve"Haaretz। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১২ 
  202. "National Population Estimates" (পিডিএফ)। Israel Central Bureau of Statistics। পৃষ্ঠা 27। ৭ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০০৭ 
  203. "Israel's disputatious Avigdor Lieberman: Can the coalition hold together?"The Economist। ১১ মার্চ ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১২ 
  204. Levine, Lee I. (১৯৯৯)। Jerusalem: its sanctity and centrality to Judaism, Christianity, and Islam। Continuum International Publishing Group। পৃষ্ঠা 516। আইএসবিএন 978-0-8264-1024-5 
  205. Hebrew Phrasebook। Lonely Planet Publications। ১৯৯৯। পৃষ্ঠা 156। আইএসবিএন 978-0-86442-528-7 
  206. "The Baháʼí World Centre: Focal Point for a Global Community"। The Baháʼí International Community। ২৯ জুন ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০০৭ 
  207. "Teaching the Faith in Israel"। Baháʼí Library Online। ২৩ জুন ১৯৯৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০০৭ 
  208. "Kababir and Central Carmel – Multiculturalism on the Carmel"। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৫ 
  209. "Visit Haifa"। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৫ 
  210. "Asian Studies: Israel as a 'Melting Pot'"। National Research University Higher School of Economics। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১২ 
  211. Ran, Ami (২৫ আগস্ট ১৯৯৮)। "Encounters: The Vernacular Paradox of Israeli Architecture"। Ministry of Foreign Affairs। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 
  212. Brinn, David (২৩ অক্টোবর ২০০৫)। "Israeli, Palestinian and Jordanian DJs create bridge for peace"ISRAEL21c। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 
  213. "The International Israeli Table"। Israel Ministry of Foreign Affairs। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০০৯ 
  214. "Jewish Festivals and Days of Remembrance in Israel"। Israel Ministry of Foreign Affairs। ১৪ আগস্ট ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 
  215. "Depositing Books to The Jewish National & University Library"। Jewish National and University Library। ২৯ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০০৭ 
  216. "The Annual Israeli Book Week Report 2016"। National Library of Israel। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৮ 
  217. "The Nobel Prize in Literature 1966"। Nobel Foundation। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০০৭ 
  218. "Yehuda Amichai"Poetry Foundation (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২৩ 
  219. "5 Israeli authors you should know – DW – 09/03/2021"dw.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২৩ 
  220. Books, Five। "The Best Contemporary Israeli Fiction"Five Books (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২৩ 
  221. התיאטרון הלאומי הבימה (হিব্রু ভাষায়)। Habima National Theatre। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০০৭ 
  222. "Theatre in Israel"jewishvirtuallibrary.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৯ 
  223. "Israeli Theatre"My Jewish Learning (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৯ 
  224. "1883 | Encyclopedia of the Founders and Builders of Israel"tidhar.tourolib.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৯ 
  225. "Alexandre FRENEL"Bureau d’art Ecole de Paris (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০১-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৩ 
  226. "Chaim Soutine – From Russia to Paris by Ben Uri Research Unit"issuu.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৫-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৯ 
  227. "Israel Studies An Anthology: Art in Israel"jewishvirtuallibrary.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৯ 
  228. "South Africa launches case at top UN court accusing Israel of genocide in Gaza"Associated Press (ইংরেজি ভাষায়)। ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩। জানুয়ারি ২, ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৫, ২০২৪ 
  229. "Israel – Art, Music, Dance"britannica.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-২৬ 
  230. "South Africa launches case at top UN court accusing Israel of genocide in Gaza"Associated Press (ইংরেজি ভাষায়)। ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩। জানুয়ারি ২, ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৫, ২০২৪ 
  231. "Encyclopaedia Judaica (2nd edition)"Reference Reviews22 (1): 51–53। ২০০৮-০১-১৮। আইএসএসএন 0950-4125ডিওআই:10.1108/09504120810843177 
  232. "1938-1941 - Alexander Zaid, David Polus"CIE (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৪-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-২৬ 
  233. "Israel Studies An Anthology: Art in Israel"jewishvirtuallibrary.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৯ 

বহিঃসংযোগ

সরকারি

সাধারণ তথ্য

মানচিত্র