আজাদ রহমান

বাংলাদেশী সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, ও সঙ্গীতশিল্পী

আজাদ রহমান (১ জানুয়ারি ১৯৪৪ - ১৬ মে ২০২০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী সুরকার, সঙ্গীত পরিচালকসঙ্গীতশিল্পী। পাশাপাশি তিনি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও খেয়াল গানের চর্চা করেতেন।[] বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[]

আজাদ রহমান
জন্ম(১৯৪৪-০১-০১)১ জানুয়ারি ১৯৪৪
মৃত্যু১৬ মে ২০২০(2020-05-16) (বয়স ৭৬)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
শিক্ষাসঙ্গীত
মাতৃশিক্ষায়তনরবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
পেশা
পরিচিতির কারণসঙ্গীতজ্ঞ
পুরস্কারজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
সঙ্গীত কর্মজীবন
ধরন
বাদ্যযন্ত্র

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

আজাদ রহমান ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার নওয়াদা গ্ৰামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের রবীন্দ্র ভারতী কলেজ থেকে খেয়ালে অনার্স সম্পন্ন করেন।[] রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন তিনি ফোক গান, কীর্তন, ধ্রুপদী সঙ্গীত, খেয়াল, টপ্পা গান, তুমড়ি, রবীন্দ্র সঙ্গীত, অতুল প্রসাদের গান, দিজেন্দ্র গীতি, রজনী কান্তের গান চর্চা করেন। একই সময়ে তিনি একজন খ্রিস্টান পুরোহিতের কাছ থেকে পিয়ানো বাজানো শেখেন।[]

আজাদ রহমান পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন।[]

সঙ্গীত জীবন

সম্পাদনা

আজাদ রহমানের চলচ্চিত্রে আগমন ১৯৬৩ সালে কলকাতার মিস প্রিয়ংবদা চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে। সেই চলচ্চিত্রে তার সুরে কণ্ঠ দেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখার্জিপ্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তার সুরকৃত প্রথম চলচ্চিত্র বাবুল চৌধুরীর আগন্তুক[] তার সুরকৃত ও তার নিজেরই কণ্ঠে গাওয়া এপার ওপার চলচ্চিত্রের "ভালবাসার মুল্য কত", ডুমুরের ফুল চলচ্চিত্রের "কারো মনে ভক্তি মায়ে", দস্যু বনহুর চলচ্চিত্রের "ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়" গানগুলো সত্তরের দশকে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি 'জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো'-এর মত উল্লেখযোগ্য দেশাত্মবোধক গানের সুর করেছিলেন।[]

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

আজাদ রহমান ২০২০ সালের ১৬ মে হৃদরোগে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[]

চলচ্চিত্রের গান

সম্পাদনা
বছর চলচ্চিত্র সঙ্গীত পরিচালক সুরকার গীতিকার কণ্ঠশিল্পী
১৯৬৭ মিস প্রিয়ংবদা[] হ্যাঁ হ্যাঁ
১৯৬৯ আগন্তুক হ্যাঁ হ্যাঁ
১৯৭৩ রাতের পর দিন হ্যাঁ হ্যাঁ
১৯৭৪ মাসুদ রানা হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ
১৯৭৫ বাদী থেকে বেগম হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ
এপার ওপার হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ
মাস্তান হ্যাঁ হ্যাঁ
১৯৭৬ আগুন হ্যাঁ হ্যাঁ
দস্যু বনহুর হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ
মায়ার বাঁধন হ্যাঁ হ্যাঁ
১৯৭৭ অনন্ত প্রেম হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ
যাদুর বাঁশি হ্যাঁ হ্যাঁ
মতিমহল হ্যাঁ হ্যাঁ
কুয়াশা হ্যাঁ হ্যাঁ
১৯৭৮ ডুমুরের ফুল হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ
১৯৭৯ দি ফাদার হ্যাঁ হ্যাঁ
১৯৮৩ নতুন বউ হ্যাঁ হ্যাঁ
আমার সংসার হ্যাঁ হ্যাঁ
মায়ার সংসার হ্যাঁ হ্যাঁ
পাগলা রাজা হ্যাঁ হ্যাঁ
১৯৯৩ চাঁদাবাজ হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ
১৯৯৪ দেশপ্রেমিক হ্যাঁ হ্যাঁ

পুরস্কার ও সম্মাননা

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "দ্যা ফিল্ম ফ্যাক্টরি'র অতিথি সঙ্গীত গুরু আজাদ রহমান"। সাতদিন। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ৩০ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৬ 
  2. মাসরিফ হক (১৯ আগস্ট ২০১৫)। "জাতীয় চলচ্চিত্রের সেরা সঙ্গীত পরিচালক…"। সচলায়তন। ২৪ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৬ 
  3. "সকালের ডায়রি ও হাওয়া লাগে গানের পালের অতিথি সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী আজাদ রহমান"। সাতদিন। ৩০ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৬ 
  4. ফাইজা হক (৪ এপ্রিল ২০০৬)। "We want to link our music with the rest of the world ---Azad Rahman [আমরা আমাদের সঙ্গীতকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে পরিচিত করতে চাই ---আজাদ রহমান"দ্য ডেইলি স্টার। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৬ 
  5. "'জন্ম আমার ধন্য হলো' আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ একটি গান: সাবিনা ইয়াসমীন"প্রথম আলো। ২০১৫-১০-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৬ 
  6. "সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমান আর নেই"রাইজিংবিডি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০২০ 
  7. "হাসপাতালে সুরকার আজাদ রহমান"প্রথম আলো। ২০২০-০৩-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৩ 
  8. "Second Bangla Kheyal Festival ends in city: Sanskriti Kendra receives life-time achievement award [শেষ হল দ্বিতীয় বাংলা খেয়াল উৎসব]"ডেইলি অবসারভার। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ২৪ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা