ল্যান্স গিবস
ল্যান্সলট রিচার্ড গিবস (ইংরেজি: Lancelot Richard Gibbs; জন্ম: ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪) ব্রিটিশ গায়ানার জর্জটাউনে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত ও সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি সফলতম স্পিন বোলার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ফ্রেড ট্রুম্যানের পর বিশ্বের দ্বিতীয় খেলোয়াড় ও প্রথম স্পিনার হিসেবে তিন শতাধিক উইকেট লাভকারীর গৌরব অর্জন করেন। সর্বমোট ৩০৯টি টেস্ট উইকেট দখলের পাশাপাশি ব্যতিক্রমধর্মী ওভার পিছু দুইয়ের চেয়েও কম রান দিয়েছেন ল্যান্স গিবস। তবে, ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি তেমন সফলতা দেখাতে পারেননি।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ল্যান্সলট রিচার্ড গিবস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জর্জটাউন, ব্রিটিশ গায়ানা | ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ক্লাইভ লয়েড (কাকাতো ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৯৯) | ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪) | ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৭ জুন ১৯৭৫ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৩–১৯৭৫ | গায়ানা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৭–১৯৭৩ | ওয়ারউইকশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৯–১৯৭০ | দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ মার্চ ২০১৩ |
ক্রীড়াজীবন
সম্পাদনাচার-জাতি প্রতিযোগিতায় বার্বাডোজসহ অন্যান্য দলের বিরুদ্ধে ভালো ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনের দরুন গিবস ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে অন্তর্ভুক্ত হন। এরফলে তিনি পরের মৌসুমে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিপক্ষে পোর্ট অব স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে অভিষিক্ত হন। খেলায় তিনি চার উইকেট দখল করেন ও সিরিজের বাকী পাঁচ খেলায় জায়গা করে নেন। বোর্দায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ টেস্টে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট শিকার করেন।
১৯৬০-৬১ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিবসের জন্যে চমকপ্রদ সুফল বয়ে আনে। সিরিজের শেষ তিনটি টেস্টে ২০.৭৮ রান গড়ে ১৯ উইকেট নেন। সিডনিতে আট, অ্যাডিলেডে হ্যাট্রিকসহ[১] পাঁচ এবং মেলবোর্নে ছয় উইকেট লাভ করেন। এছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ক্লাইভ লয়েড সম্পর্কে তার কাকাতো ভাই। তার সাথেও একত্রে অনেকবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে খেলেছেন তিনি।
কীর্তিগাঁথা
সম্পাদনা১৯৭১ সালে ইংল্যান্ডের কাউন্টিতে ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্লাবের পক্ষে অংশগ্রহণ করে ১৮.৮৯ রান গড়ে ১৩১টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেন, যাতে নয়বার পাঁচ-উইকেট দখল করেছিলেন। ব্যতিক্রমধর্মী এ সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে পরের বছর উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাকের পক্ষ থেকে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন গিবস।
১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে পার্থে অনুষ্ঠিত টেস্টে অস্ট্রেলীয় বোলার গ্যারি গিলমোরকে আউট করে ৪১ বছর বয়সে প্রবীণতম ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ৩০০তম টেস্ট উইকেট শিকারে পরিণত করেন।[২] কাকতালীয়ভাবে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টেস্টের ৩০৯তম শিকারে পরিণত করেছিলেন গিলমোরকে।
অবসর পরবর্তী জীবন
সম্পাদনাক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নিয়ে গিবস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসিত হন। কিন্তু ১৯৯১ সালে সংক্ষিপ্তকালের জন্য নিজ দেশে ফিরে আসেন ও ইংল্যান্ড সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে পরিচালনা করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "West Indies tour of Australia, 1960/61 – 4th Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ http://www.espncricinfo.com/magazine/content/story/638762.html
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ল্যান্স গিবস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ল্যান্স গিবস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
পূর্বসূরী ফ্রেড ট্রুম্যান |
বিশ্বরেকর্ড - টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেটলাভকারী ৭৯ টেস্ট ৩০৯ উইকেট (২৯.০৯) ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬ থেকে ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৮১ পর্যন্ত |
উত্তরসূরী ডেনিস লিলি |