ক্ল্যারি গ্রিমেট
ক্ল্যারেন্স ভিক্টর ক্ল্যারি গ্রিমেট (ইংরেজি: Clarrie Grimmett; জন্ম: ২৫ ডিসেম্বর, ১৮৯১ - মৃত্যু: ২ মে, ১৯৮০) নিউজিল্যান্ডের ডুনেডিনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন ক্ল্যারি গ্রিমেট। ক্রিকেটবোদ্ধাদের অভিমত, ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম স্পিন বোলার তিনি। এছাড়াও তিনি ফ্লিপারের উদ্ভাবক। বড়দিনে জন্ম নেয়া গ্রিমেট প্রসঙ্গে বিল ও’রিলি বলেন, ঐ দেশ থেকে বড়দিন উপলক্ষে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া গ্রহণ করেছে।[১]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ক্ল্যারেন্স ভিক্টর গ্রিমেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কেভারশাম, ডুনেডিন, নিউজিল্যান্ড | ২৫ ডিসেম্বর ১৮৯১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২ মে ১৯৮০ কেনসিংটন পার্ক, অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৮৮)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১২১) | ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯২৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩ মার্চ ১৯৩৬ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ মে ২০১৫ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাশৈশবে বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক তাকে ফাস্ট বোলিংয়ের চেয়ে স্পিন বোলিংয়ে মনোনিবেশের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। ওয়েলিংটনে ক্লাব ক্রিকেটের পক্ষে খেলেন তিনি। ১৭ বছর বয়সে ওয়েলিংটনের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ঐ সময়ে নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেটভূক্ত দলের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়নি। ফলে, ১৯১৪ সালে প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন। সেখানে তিন বছর সিডনির ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নেন।
ভিক্টোরিয়ার এক রমণীর পাণিগ্রহণ করে মেলবোর্নে চলে যান ও ভিক্টোরিয়া বুশর্যাঞ্জার্সের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন ও প্রভূতঃ সফলতা লাভ করেন। তার ন্যায় উদীয়মান বোলারের আবির্ভাবে ১৯২৩-২৪ মৌসুমে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পছন্দের স্পিন বোলারের মর্যাদা নষ্ট হয়ে যায় নরম্যান উইলিয়ামসের।[২]
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা৩৩ বছর বয়সে টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ১৯২৪ থেকে ১৯৩৬ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩৭ টেস্টে অংশ নেন। উইকেট প্রতি ২৪.২১ গড়ে ২১৬ উইকেট সংগ্রহ করেন। ১৯২৫ সালে অভিষেক টেস্টেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিডনি টেস্টে দুইবার ৫-উইকেট শিকার করেন।[৩] টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ২০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। প্রতি খেলায় তিনি গড়ে ৬ উইকেট তুলে নেন।
টেস্ট জীবনের শেষ চার বছর দলীয় সঙ্গী ও বিখ্যাত লেগ স্পিনার বিল ও’রিলি’র সাথে অনেকগুলো উইকেট ভাগাভাগি করেন। সর্বমোট ২১বার পাঁচ-উইকেট ও খেলায় ৭বার ১০-উইকেট লাভ করেছেন। ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্টে অংশ নেন। সিরিজে ৪৪ উইকেট পেলেও নিজ দেশে ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে অনুষ্ঠিত সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দল থেকে বাদ পড়েন ও ফ্রাঙ্ক ওয়ার্ড তার স্থলাভিষিক্ত হন। ফলে ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে তিনি যাননি।
সম্মাননা
সম্পাদনা১৯৩১ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন।[৪] ১৯৯৬ সালে প্রবর্তিত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অব ফেমে প্রথম দশজন অন্তর্ভুক্ত সদস্যের একজন হিসেবে তার অন্তর্ভুক্তি ঘটে। অন্যরা হচ্ছেন - জ্যাক ব্ল্যাকহাম, ফ্রেড স্পফোর্থ, ভিক্টর ট্রাম্পার, বিল পন্সফোর্ড, স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান, বিল ও’রিলি, কিথ মিলার, রে লিন্ডওয়াল ও ডেনিস লিলি।[৫] ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তারিখে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৬]
২ মে, ১৯৮০ তারিখে ৮৮ বছর বয়সে অ্যাডিলেডে ক্ল্যারি গ্রিমেটের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Bill O'Reilly, "Clarrie Grimmett", in John Woodcock (ed.) Wisden Cricketers' Almanack 1981 (Queen Anne Press, London, 1981) 103-105 at 103.
- ↑ "Death of Former State Cricketer", Chronicle (Adelaide), 5 June 1947, p. 42.
- ↑ "5th Test: Australia v England at Sydney, Feb 27-Mar 4, 1925"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৩।
- ↑ "Wisden Cricketers of the Year"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১।
- ↑ "Australian Cricket Hall of Fame Inductees"। Melbourne Cricket Ground। ১১ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২৩।
- ↑ "Sutcliffe, Grimmett, Trumper, Wasim and Waugh new inductees into Cricket Hall of Fame"। ১৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৫।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ক্ল্যারি গ্রিমেট (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ক্ল্যারি গ্রিমেট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
রেকর্ড | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সিডনি বার্নস |
বিশ্বরেকর্ড - টেস্টে সর্বাধিক উইকেট লাভ ৩৭ টেস্টে ২১৬ উইকেট (২৪.২১) রেকর্ড ধারণ: ৪ জানুয়ারি, ১৯৩৬ - ২৪ জুলাই, ১৯৫৩ |
উত্তরসূরী অ্যালেক বেডসার |