২০১৫–১৬ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া সফর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচী মোতাবেক ২ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখ থেকে ৭ জানুয়ারি, ২০১৬ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া সফর করে। সফরে দলটি স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বিপক্ষে দুইটি প্রস্তুতিমূলক খেলাসহ তিনটি টেস্টে অংশ নেয়।[] অস্ট্রেলিয়া ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে ও ফ্রাঙ্ক ওরেল ট্রফি নিজেদের দখলে রাখে। সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে এ্যাডাম ভোজেস রিচি বেনো পদক লাভ করেন।[]

২০১৫-১৬ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া সফর
 
  অস্ট্রেলিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ
তারিখ ২ ডিসেম্বর, ২০১৫ – ৭ জানুয়ারি, ২০১৬
অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ জেসন হোল্ডার
টেস্ট সিরিজ
ফলাফল ৩ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২–০ ব্যবধানে জয়ী
সর্বাধিক রান এ্যাডাম ভোজেস (৩৭৫) ড্যারেন ব্র্যাভো (২৪৭)
সর্বাধিক উইকেট জেমস প্যাটিনসন (১৩)
নাথান লায়ন (১৩)
জোমেল ওয়ারিকান (৫)
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় এ্যাডাম ভোজেস (অস্ট্রেলিয়া)
বক্সিং ডে টেস্টের ১ম দিন।

দলীয় সদস্য

সম্পাদনা
টেস্ট
  অস্ট্রেলিয়া[]   ওয়েস্ট ইন্ডিজ[]

প্রস্তুতিমূলক খেলা

সম্পাদনা

প্রস্তুতিমূলক খেলা: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশ ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ

সম্পাদনা
২-৫ ডিসেম্বর
স্কোরকার্ড
২৪৩ (৯০.৫ ওভার)
ড্যারেন ব্র্যাভো ৫১ (১৫৮)
সাইমন মিলেঙ্কো ৫/৭৬ (২২.৫ ওভার)
৪৪৪ (১০৪.২ ওভার)
ম্যাথু শর্ট ৭৫ (১১৫)
জেসন হোল্ডার ৪/৭৬ (২২ ওভার)
২১০ (৫৮.২ ওভার)
জেসন হোল্ডার ৬৫ (৯৯)
ক্যামেরন বয়েস ৪/৮৪ (২০ ওভার)
১৩/০ (২.৫ ওভার)
জ্যাক কার্ডার* (৫)
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশ ১০ উইকেটে বিজয়ী
অ্যালান বর্ডার ফিল্ড, ব্রিসবেন
আম্পায়ার: ফিলিপ জিলেস্পি (অস্ট্রেলিয়া) ও স্যাম নোগাস্কি (অস্ট্রেলিয়া)

প্রস্তুতিমূলক খেলা: ভিক্টোরিয়া আমন্ত্রিত একাদশ ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ

সম্পাদনা
১৯-২০ ডিসেম্বর
স্কোরকার্ড
৩০৩/৮ডিক্লেয়ার (৯০ ওভার)
ক্রেগ ব্রেদওয়েট ৭৮ (১৭৫)
জেরেমি হার্ট ৪/৯৩ (১৮ ওভার)
১৬৯/৩ (৫৮ ওভার)
জ্যাক হ্যানকক ৮০* (১৬৮)
দেবেন্দ্র বিশু ২/৬০ (১৮ ওভার)
খেলা ড্র
সাইমন্ডস স্টেডিয়াম, জিলং
আম্পায়ার: স্টিফেন ব্রিন (অস্ট্রেলিয়া) ও ডেভিড শেফার্ড (অস্ট্রেলিয়া)

  • ভিক্টোরিয়া একাদশ টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • উভয় দলের খেলোয়াড় সংখ্যা ১২ (১১ ব্যাটিং, ১১ ফিল্ডিং)

১ম টেস্ট

সম্পাদনা
১০ – ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫
স্কোরকার্ড
৫৮৩/৪ঘো (১১৪ ওভার)
এ্যাডাম ভোজেস ২৬৯* (২৮৫)
জোমেল ওয়ারিকান ৩/১৫৭ (২৮ ওভার)
২২৩ (৭০ ওভার)
ড্যারেন ব্র্যাভো ১০৮ (১৭৭)
জোশ হজলউড ৪/৪৫ (১৮ ওভার)
১৪৮ (৩৬.৩ ওভার) (এফ/ও)
ক্রেগ ব্রেদওয়েট ৯৪ (১২২)
জেমস প্যাটিনসন ৫/২৭ (৮ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ২১২ রানে বিজয়ী
বেলেরিভ ওভাল, হোবার্ট
আম্পায়ার: মারাইজ ইরাসমাস (দক্ষিণ আফ্রিকা) ও ইয়ান গোল্ড (ইংল্যান্ড)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: এ্যাডাম ভোজেস (অস্ট্রেলিয়া)
  • অস্ট্রেলিয়া টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ২য় দিন বৃষ্টি তিনবার আঘাত হানে। ফলে আম্পায়ার বেশ আগে চা বিরতি ডাকেন। চা বিরতির পরও পুনরায় বৃষ্টি নামে। ৩য় দিন বৃষ্টির ফলে বেশ পূর্বে লাঞ্চ ব্রেক করা হয়।
  • টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৪র্থ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন এ্যাডাম ভোজেসশন মার্শ (৪৪৯)। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে যে-কোন জুটিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। অস্ট্রেলিয়ায় এটি সর্বোচ্চ টেস্ট রানের জুটি ও টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রানের জুটি।[]

২য় টেস্ট

সম্পাদনা
২৬ – ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫
স্কোরকার্ড
৫৫১/৩ঘো (১৩৫ ওভার)
উসমান খাওয়াজা ১৪৪ (২২৭)
জেরোমি টেলর ২/৯৭ (২২ ওভার)
২৭১ (১০০.৩ ওভার)
ড্যারেন ব্র্যাভো ৮১ (২০৪)
নাথান লায়ন ৪/৬৬ (২৯ ওভার)
১৭৯/৩ঘো (৩২ ওভার)
স্টিভ স্মিথ ৭০* (৭০)
জেসন হোল্ডার ২/৪৯ (১১ ওভার)
২৮২ (৮৮.৩ ওভার)
জেসন হোল্ডার ৬৮ (৮৬)
মিচেল মার্শ ৪/৬১ (১৭.৩ ওভার)
অস্ট্রেলিয়া ১৭৭ রানে জয়ী
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন
আম্পায়ার: মারাইজ ইরাসমাস (দক্ষিণ আফ্রিকা) ও ক্রিস গফানি (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: নাথান লায়ন (অস্ট্রেলিয়া)
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ১ম দিন বৃষ্টিতে ১ ঘণ্টা দেরীতে শুরু হলেও পরবর্তীকালে সময় পুষিয়ে নেয়া হয়।
  • কার্লোস ব্রাদওয়েট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) তার টেস্ট অভিষেক হয়।
  • সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং গড় ১৩১.৩০ যা কমপক্ষে ২০০ ওভারের খেলায় যে-কোন দলের কোন সিরিজে সর্বোচ্চ।[][]
  • দীনেশ রামদিনজেসন হোল্ডারের মধ্যকার ৬ষ্ঠ উইকেটে ১০০ রানের জুটি এ মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।[]
  • অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জয় করে ও ফ্রাঙ্ক ওরেল ট্রফি ২০ বছর ধরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে।[১০]

৩য় টেস্ট

সম্পাদনা
৩ – ৭ জানুয়ারি ২০১৬
স্কোরকার্ড
৩৩০ (১১২.১ ওভার)
ক্রেগ ব্রেদওয়েট ৮৫ (১৭৪)
স্টিভ ও’কিফ ৩/৬৩ (২৬.১ ওভার)
১৭৬/২ঘো (৩৮ ওভার)
ডেভিড ওয়ার্নার ১২২* (১০৩)
জোমেল ওয়ারিকান ২/৬২ (১৫ ওভার)
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।
  • বৃষ্টিতে টেস্ট ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়।
  • ৩য় ও ৪র্থ দিন বৃষ্টির কারণে খেলা হয়নি যা ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফরে পর প্রথম।[১১]
  • ৫ম দিন এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর শুরু হয়। পুনরায় ১৫:৩০ এ শুরু হয়।
  • অস্ট্রেলিয়ায় পঞ্চম অস্ট্রেলীয় স্পিন বোলার হিসেবে নাথান লায়ন ১০০ টেস্ট উইকেট লাভ করেন।[১২]
  • এ মাঠে ডেভিড ওয়ার্নার দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন।[১৩]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "First day-night Test for Adelaide Oval"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৫ 
  2. Ramsey, Andrew (৭ জানুয়ারি ২০১৬)। "Benaud Medal minted for West Indies series"। cricket.com.au। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৬ 
  3. "Coulter-Nile called up for Hobart Test"ESPNcricinfo। ESPN Sports Media। ১ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  4. "West Indies name Test squad to tour Australia"ESPNcricinfo। ESPN Sports Media। ১১ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৫ 
  5. "Bravo anchors West Indians on rain-affected day"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  6. "Voges, Marsh notch up record fourth-wicket stand in Tests"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  7. Statistics / Statsguru/ Test matches / Team records
  8. "Voges v West Indies: batting average 542"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  9. "Partnership records"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  10. Australia seal 20 years of Worrell Trophy dominance
  11. Coverdale, Brydon (৬ জানুয়ারি ২০১৬)। "Rain washes out second consecutive day"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৬ 
  12. "Bowling records"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৬ 
  13. Coverdale, Brydon (৭ জানুয়ারি ২০১৬)। "Warner blasts 82-ball ton in inevitable draw"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা