কেমার রোচ
কেমার আন্দ্রে জামাল রোচ (ইংরেজি: Kemar Roach; জন্ম: ৩০ জুন, ১৯৮৮) বার্বাডোসের সেন্ট লুসিতে জন্মগ্রহণকারী বার্বাডীয় বংশোদ্ভূত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করছেন। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি[১] উচ্চতাবিশিষ্ট ফাস্ট বোলার হিসেবে কেমার রোচ প্রায়শই ঘণ্টায় দেড়শত কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে থাকেন।
![]() ২০১০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে কেমার রোচ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কেমার আন্দ্রে জামাল রোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সেন্ট লুসি, বার্বাডোস | ৩০ জুন ১৯৮৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৭৯) | ৯ জুলাই ২০০৯ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ আগস্ট ২০১২ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৪৪) | ২০ আগস্ট ২০০৮ বনাম বারমুদা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮/০৯-বর্তমান | বার্বাডোস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯/১০ | ডেকান চার্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | ওরচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ - বর্তমান | অ্যান্টিগুয়া হকসবিলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ |
২০১২ সালে প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলার হিসেবে টেস্টে দশ উইকেট লাভ করেন যা সর্বশেষ অর্জিত হয়েছিল ২০০৫ সালে। এছাড়াও তিনি ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করার গৌরব অর্জনকারীর একজন ছিলেন; অন্যজন হচ্ছেন লাসিথ মালিঙ্গা।
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রস্তুতিমূলক খেলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হ্যাট্রিক করেন তিনি।[২] যুবদের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ৭ খেলায় ২৭.৪৪ রান গড়ে ৯ উইকেট লাভ করেন। ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩০ রান করেন।[৩]
৭ জুন, ২০০৮ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে অংশগ্রহণের জন্য তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঐ সময় তিনি কেবলমাত্র চারটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি চূড়ান্ত দলে স্থান পাননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, টেস্ট ঘনিয়ে আসলে আমি বিষয়টি জানতে পারি। তারা মাঝেমধ্যেই খেলা চলাকালে আয়োজনকারী দ্বীপ থেকে খেলোয়াড় বাছাই করে থাকে। কিন্তু আমি যে দলে স্থান পাবো তা আশা করিনি। আমি দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় গর্ববোধ করছি। যদি খেলতাম, তাহলে আমি চমৎকার ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ৯ জুলাই, ২০০৯ সালে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে ফ্লয়েড রেইফারের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট দূর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। দলে নয়জন নতুন খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত হয় ও ৭জন খেলোয়াড়ের অভিষেক ঘটেছিল। মূল একাদশের খেলোয়াড়গণের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক সংঘাত ঘটে।[৪] প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতে তিনি তার নিপুণ বোলিং দক্ষতা দেখিয়ে সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। ফলে দলটি পূর্ণাঙ্গ শক্তির অধিকারীরূপে প্রত্যাবর্তন করায় তিনিও দলে অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
তার প্রথম উইকেট প্রাপ্তি ছিল অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে আউট করার মাধ্যমে। ঐ খেলায় বাংলাদেশ ৯৫ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[৫] ইয়র্কার ও সুইংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যতিব্যস্ত রেখেছিলেন কিন্তু বামহাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে তার বোলিং ছিল খানিকটা ওয়াইড ধরনের।[৬]
ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ
সম্পাদনাফেব্রুয়ারি, ২০১১ সালে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় খেলায় কেমার রোচ হ্যাট্রিক করেন। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে ৬ষ্ঠ বোলার হিসেবে তিনি নেদারল্যান্ডসের পিটার সিলার, বার্নার্ড লুটস এবং বির্যান্ড ওয়েস্টদিককে পরপর আউট করে এ গৌরব অর্জন করেন। খেলায় তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৬/২৭ যা যে-কোন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানের চতুর্থ সেরা সাফল্য।[৭] প্রতিযোগিতায় তিনি ৬ খেলায় ১৩ উইকেট লাভ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটধারী ছিলেন।[৮]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার
সম্পাদনাপ্রাথমিক প্রতিনিধিত্ব
সম্পাদনা৭ জুন ২০০৮ সালে, তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়ার জন্য রোচকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দলে নির্বাচিত করা হয়েছিলো। সেই সময় তিনি মাত্র চারটি প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন। তাকে চূড়ান্ত দলে নেওয়া হয়নি এবং তিনি বলেছিলেন, "আমি জানি যখন কোনও টেস্ট ম্যাচ আসে, তখন মাঝে মাঝে যেখানে ম্যাচটি হয় সেই দ্বীপ থেকে খেলোয়াড়দের ড্রাফট করা হয়, কিন্তু আমি দলে থাকার আশা করিনি। আমি সেখানে থাকতে পেরে বেশ খুশি। যদি নির্বাচিত হই, আমি একটি ভালো পারফর্ম্যান্স দিতে চাই"। [৯] রোচের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিলো ২০ জুন ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের মাধ্যমে; এটি ছিল তার প্রথম সিনিয়র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। [১০] তিন ওভারে ২/২৯ রান দিয়ে তিনি সেরা বোলিং পরিসংখ্যান তৈরি করেছিলেন, শন মার্শ এবং লুক রঞ্চিকে উইকেটের পেছনে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাত উইকেটে জয়লাভ করেছিলো। [১০] ২০০৮ সালের জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ দুটি ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া প্রথম তিনটি খেলায় জয়লাভ করে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পর রোচকে দলে ডাকা হয়েছিলো। [১১]
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচে রোচ খেলেননি এবং অভিষেকের জন্য বারমুডা এবং কানাডার সাথে ত্রিদেশীয় সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিলো। ২০ আগস্ট ২০০৮ তারিখে রোচ - সহ-নবাগত লিওন জনসন এবং ব্রেন্ডন ন্যাশের সাথে – ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে প্রথমবারের মতো একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বারমুডাকে ছয় উইকেটে পরাজিত করার সময় তিনি ১০-১-২৯-২ রান খরচ করেছিলেন। তার প্রথম উইকেট ছিলো স্টিভেন আউটারব্রিজের এবং দ্বিতীয় উইকেট ছিলো বারমুডার অধিনায়ক আরভিং রোমাইনের । [১২] সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি কানাডার বিপক্ষে আট ওভারে ৪৯ রানে ১/১ নিয়েছিলেন, যার ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৯ রানে জয়লাভ করেছিলো কিন্তু কানাডার বিপক্ষে ফাইনালে খেলেননি, যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিলো। [১৩]
১ নভেম্বর ২০০৮ সালে, পাকিস্তান সফরের জন্য ওডিআই দল ঘোষণা করা হয়েছিলো, যার সদস্য ছিলেন রোচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ জন ডাইসন বলেছিলেন, রোচের কাছ থেকে আশা করা হয়েছিলো যে তিনি দলে জায়গা পাওয়ার জন্য ফিদেল এডওয়ার্ডস এবং জেরোম টেলরের মতো অভিজ্ঞ এবং প্রতিষ্ঠিত বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন। [১৪] একই দিনে, ঘোষণা করা হয়েছিলো যে রোচ চারজন খেলোয়াড়ের মধ্যে একজন - লিওনেল বেকার, লিওন জনসন এবং ব্রেন্ডন ন্যাশের সাথে – নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজের জন্য নির্বাচিত ১৫ সদস্যের দলে কোন টেস্ট ক্যাপ ছাড়াই নাম লেখানো হয়েছিলো। [১৪]
অর্জন
সম্পাদনারোচের টেস্ট অভিষেক হয়েছিলো ৯ জুলাই ২০০৯ সালে। তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটি স্বল্প শক্তির দলের অংশ ছিলেন; ১৫ সদস্যের দলে নয়জন নতুন খেলোয়াড় ছিলেন এবং টেস্টে সাতজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় অভিষেক করেছেন। দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফ্লয়েড রেইফার, যিনি দশ বছর আগে তার চারটি টেস্টের মধ্যে শেষটি খেলেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে বেতন বিরোধের কারণে প্রথম একাদশে নিজেদের অনুপস্থিত ঘোষণা করেছিলো। [১৫] তার প্রথম টেস্ট উইকেট ছিলো অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের উইকেট। যদিও বাংলাদেশ ৯৫ রানে জিতেছিলো রান, [১৬] রোচ ইয়র্কার এবং সুইং ডেলিভারির মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে সাহায্য করেছিলেন, তদুপরি তিনি বামহাতি বোলারদের দিকে কিছুটা ওয়াইড বল করেছিলেন। [১৭] রেইফার রোচের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেছিলেন, "প্রথমবার যখন আমি তাকে অনূর্ধ্ব-১৯ বোলার হিসেবে দেখেছিলাম, তখনই আমার মনে হয়েছিল সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলবে। সে অনেক কিছু করে, বিশেষ করে পুরনো বল নিয়ে, এটিকে ভেতরে-বাইরে সরানো এবং আজ সকালে সে খুব ভালো পারফর্ম করেছে, ভালো লেন্থ এবং লাইন বোলিং করেছে"। [১৮] যদিও বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিলো, রোচ আবারো গতি এবং আক্রমণাত্মক বোলিং করেছিলেন, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের অস্থির করে তোলেছিলেন। তার দৈর্ঘ্য পরিবর্তন করা এবং শর্ট বোলিংয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা কাজে লাগানো – এমনকি এক বলেই রকিবুল হাসানের কনুইতে আঘাত করা – প্রথম ইনিংসে রোচ ক্যারিয়ার সেরা ৬/৪৮ করেছিলেন। [১৯] ১৩ এর সাথে তার নামে উইকেট নেওয়ার পর, রোচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছিলেন। [২০] যদিও বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ জিতেছিলো, [২১] রোচ সিরিজের শীর্ষ উইকেট শিকারী ছিলেন, ১০টি উইকেট নিয়ে। ১৬.২০ গড়ে উইকেট; [২২] প্রথম ওয়ানডেতে তিনি একদিনের ম্যাচে তার প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন (৫/৪৪), যা তার আগের সেরা পরিসংখ্যান ২/২৯ কে ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। [২৩] দ্বিতীয় ওয়ানডেতে, দুটি বিমার বোলিং করার জন্য রোচকে তার ম্যাচ ফির ১০% জরিমানা করা হয়েছিলো। [২৪] ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য একই দলের মূল খেলোয়াড়দের রাখা হয়েছিলো। প্রথম রাউন্ডেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার পর, রোচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে খেলেছেন এবং ৩৩.৩৩ গড়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। [২৫] [২৬]
২০০৯ সালের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে; ক্রিস গেইল এবং শিবনারায়ণ চন্দরপলের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়রা দলে ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু বিতর্কের সময় রোচ নির্বাচকদের যথেষ্ট প্রভাবিত করেছিলেন যে তিনি তার স্থান ধরে রেখেছিলেন। [২৭] ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্ট তিন দিনের মধ্যে হেরে গিয়েছিলো; অভিষেকে অ্যাড্রিয়ান বারাথের সেঞ্চুরি এবং রোচের বোলিং পারফরম্যান্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য প্রধান ইতিবাচক দিক ছিলো; অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেলের মতে, রোচের বোলিং "ব্যতিক্রমীভাবে ভালো" ছিল কিন্তু তার আরও সিনিয়র বোলারদের কাছ থেকে সমর্থনের অভাব ছিলো। [২৮] যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্টটি ড্র করেছিলো, রোচ (যিনি নিয়মিতভাবে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৯৩ মাইল প্রতি ঘণ্টা) ) এবং ডোয়াইন ব্রাভো শেষ ম্যাচের দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজে সমতা আনার কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন [২৯] অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক রিকি পন্টিং রোচের নিয়ন্ত্রণ এবং নির্ভুলতার প্রশংসা করে বলেছিলেন, "যে গতিতে বেশ ছোট, সে খুব বেশি বাউন্স না করেই বলটি উইকেট থেকে খুব দ্রুত আপনার উপর স্কিড করে দিতে পারে। আমরা এখানে [অ্যাডিলেডে] তাকে বেশ ভালোভাবে খেলেছি। উভয় ইনিংসেই বলটি তাদের জন্য বিপরীতমুখী ছিল। সে হাতেগোনা, এতে কোন সন্দেহ নেই। সে এমন একজন যে ভবিষ্যতে তাদের জন্য বেশ কিছু টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারে।" [৩০] টনি কোজিয়ারের মতামত ছিল যে অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার জেরোম টেলর এবং ফিদেল এডওয়ার্ডসের অনুপস্থিতিতে, রোচ অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের নেতা ছিলেন। [৩১] ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং লাইনআপের দ্রুততম বোলার রোচ সিরিজ জুড়ে তার গতি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলেছিলেন, [৩২] এবং রোচ এবং পন্টিংয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা দেয়। তৃতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে, রোচ পন্টিংয়ের কনুইতে আঘাত করেছিলেন, যার ফলে পন্টিং আহত হয়ে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তবে, তাকে বাতাসের দিকে বল করতে বাধ্য করা হয়েছিলো, যা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান শেন ওয়াটসনকে অবাক করে দিয়েছিলো কারণ এতে রোচের গতি কমে গিয়েছিলো। [৩৩]
২০১০ সালের আইপিএল নিলামে কাইরন পোলার্ড এবং শেন বন্ডের সাথে রোচ ছিলেন সবচেয়ে বেশি চাওয়া-পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। চেন্নাই সুপার কিংস এবং ডেকান চার্জার্স উভয়ই তার উপর তীব্র দর কষাকষিতে লিপ্ত হওয়ায় তিনি একপ্রকার টানাপোড়েনে জড়িয়ে পড়েন। অবশেষে সুপার কিংস তাকে ৭২০,০০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে পেতে সক্ষম হয়েছেন কারণ সুপার কিংসদের আরও একটি জায়গা পূরণ করতে হয়েছিলো এবং তারা ৭০০,০০০ মার্কিন ডলারের বেশি যেতে পারেনি। ২০১০ মৌসুমে তিনি চার্জার্সের হয়ে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছেন, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এপ্রিল এবং মে মাসে ২০১০ সালের আইসিসি বিশ্ব টি-টোয়েন্টি আয়োজন করেছিলো। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম রাউন্ডেই প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়েছিলো; [৩৪] রোচ দলের তিনটি ম্যাচে খেলেছেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন (৫ (১৫.৪০ গড়ে উইকেট) ড্যারেন স্যামির চেয়ে পিছিয়ে। [৩৫] টুর্নামেন্টের পর দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ সালের জুন মাসে তাদের অঞ্চল সফরের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে গিয়েছিলো। দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিলো; রোচ দুটি ম্যাচে খেলেছেন, ৬টি উইকেট নিয়েছেন। ৩১ গড়ে উইকেট। [৩৬] তৃতীয় টেস্টে, রোচ জ্যাক ক্যালিসের সাথে একটি ঘটনায় জড়িত ছিলেন; তিনি "বারবার ব্যাটসম্যানের কাছে গিয়ে বাউন্সার দিয়ে তাকে পরীক্ষা করার পর তার সাথে কথা কাটাকাটি করেছেন"। ফলস্বরূপ, রোচকে তার ম্যাচ ফির ৫০% জরিমানা করা হয়েছিলো। [৩৭]
রোচ ২০১০ সালের নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কা সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের স্কোয়াডের অংশ ছিলেন। সিনিয়র বোলার জেরোম টেলর এবং ফিদেল এডওয়ার্ডস অনুপস্থিত থাকায় রোচ পেস আক্রমণভাগের প্রধান ছিলেন। খেলার শুরুতে, তিনি শ্রীলঙ্কার পিচগুলির সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সুইংয়ের ব্যবহার উন্নত করার চেষ্টা করেছেন, যেগুলি ঐতিহ্যগতভাবে ফাস্ট বোলারদের জন্য অসহায় ছিলো। রোচ মন্তব্য করেছেন, "আমার দৈর্ঘ্য নিয়ে এখনও কিছুটা কাজ বাকি আছে, তবে ক্যাম্প থেকে যা পেয়েছি তাতে আমি সন্তুষ্ট"। [৩৮] টেস্টে রোচের পারফরম্যান্স, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১০ উইকেট নিয়ে শীর্ষ উইকেট শিকারী হিসেবে শেষ করেছেন। ২৪.৫০ গড়ে উইকেট শিকারের জন্য তিনি ম্যান অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন, [৩৯] [৪০] দলের অধিনায়ক স্যামি ড্র হওয়া সিরিজের সেরা পারফরম্যান্সগুলির মধ্যে একটি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। [৪১]
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিলো। টুর্নামেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় খেলায়, রোচ বিশ্বকাপে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন এবং প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলার হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তিনি পিটার সিলার, বার্নার্ড লুটস এবং বেরেন্ড ওয়েস্টডিজককে হ্যাটট্রিক করে ৬/২৭ নিয়েছেন, যা ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুর্থ সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিলো। [৪২] টুর্নামেন্টে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন, যার মধ্যে ৬ ম্যাচে ১৩টি উইকেট ছিল। [৪৩] ২০১১ সালে রোচ মাত্র চারটি টেস্ট খেলেছিলেন এবং প্রতি ৫০ রানেরও বেশি খরচ করে সাত উইকেট নিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্টে পাঁচজন খেলোয়াড় বেশি ওভার বল করেছেন, এবং প্রত্যেকেই বেশি উইকেট নিয়েছেন এবং তাদের বোলিং গড়ও ভালো ছিল; তাদের মধ্যে চারজন ৩০ এর বেশি বল করেছেন। [৪৪] টেস্ট দলে নিয়মিত না থাকা সত্ত্বেও, রোচ বছরের শেষ পর্যন্ত ওয়ানডেতে দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হিসেবে ২৩ ম্যাচে ৩১.১৬ গড়ে ৩০টি উইকেট শিকার করেন। [৪৫] রোচ ২০১১ সালের আগস্টে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। [৪৬] সেই সময়ে ক্লাবটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম বিভাগ, প্রথম-শ্রেণীর প্রতিযোগিতা থেকে অবনমন এড়াতে লড়াই করছিলো এবং মরসুমের শেষ খেলায় তারা তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছিলো। [৪৭] রোচের মতে, ওরচেস্টারশায়ারের সিম বোলার অ্যালান রিচার্ডসন তাকে ইংরেজ পরিস্থিতিতে বোলিং শিখতে সাহায্য করেছেন, [৪৮] এবং ৩৯.২৮ গড়ে ১৪টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট নিয়েছেন। [৪৯]
অস্ট্রেলিয়া ২০১২ সালের মার্চ মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিলো। তিন টেস্টের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রোচ তার প্রথম দশ উইকেট অর্জন করেছেন, যার ফলে ২০০৫ সালে কোরি কলিমোরের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এক ম্যাচে দশ উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার হয়েছেন; ১৯৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন কার্টলি অ্যামব্রোস। [৫০] যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০ ব্যবধানে হেরেছিলো, রোচের ১৯ উইকেট নিয়ে সিরিজে উভয় দলের জন্য সর্বোচ্চ উইকেট ছিলো। [৫১] ২০১২ সালের মে এবং জুন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন ইংল্যান্ড সফর করে, তখন রোচ নো বল করায় সমস্যার সম্মুখীন পড়েছেন। লর্ডসে প্রথম টেস্টে তিনি ১৮টি বল করেছেন এবং পরের ম্যাচে তিনি দুবার অ্যালিস্টার কুককে নো বলে ক্যাচ দিয়েছেন। [৫২] তবে, জনি বেয়ারস্টো রোচের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, বিশেষ করে শর্ট-পিচ বোলিংয়ের বিরুদ্ধে, এবং রোচের কাছে পরাস্ত হবার আগে শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাত পেয়েছিলেন। [৫৩] পরে তিনি ব্রিসবেন হিটকে চার ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পার্থ স্কোর্চার্সের বিরুদ্ধে ৩৪ রানে জয় এনে দিয়েছেন এবং BBL02 শিরোপা জিতে নিয়েছিলো। [৫৪] [৫৫]
পরবর্তী ক্রিকেট কর্মজীবন
সম্পাদনা৩০ জুন ২০১৪ তারিখে, বার্বাডোসের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে উইন্ডিজ এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট ম্যাচে বিজে ওয়াটলিং ২৯ রানে জেসন হোল্ডারের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে তার ১০০তম উইকেট লাভ করেছিলেন। [৫৬] ৭ মার্চ ২০১৮ তারিখে, রোচ তার ১০০তম ওয়ানডে উইকেট নিয়েছিলেন, রোহান মুস্তাফাকে আট রানে শিমরন হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ আউট করেছিলো, যা শেষ পর্যন্ত ওল্ড হারারিয়ানস স্পোর্টস ক্লাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয়লাভ করেছিলো। [৫৭] ২০১৮ সালের জুনে, সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ৩২ রানে কুশল পেরেরাকে আউট করে রোচ তার ১৫০তম টেস্ট উইকেট লাভ করেছিলেন। [৫৮] [৫৯] ২০১৮ সালের অক্টোবরে, ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (CWI) তাকে ২০১৮-১৯ মৌসুমের জন্য সকল ধরণের ক্রিকেটের জন্য চুক্তিবদ্ধ করেছিলো। [৬০] [৬১] পরের মাসে, বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে, রোচ তার ৫০তম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। [৬২]
২০১৯ সালের এপ্রিলে, তাকে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলে স্থান দেওয়া হয়েছিলো। [৬৩] [৬৪] ২০১৯ সালে কেনসিংটন ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার জন্য তাকে পরে ইএসপিএন ক্রিকইনফো-এর বর্ষসেরা টেস্ট বোলিং পারফরম্যান্স পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়েছিলো। [৬৫] ২০২০ সালের জুনে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য রোচকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো। [৬৬] টেস্ট সিরিজটি মূলত ২০২০ সালের মে মাসে শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তা পিছিয়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। [৬৭] ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে, রোচ, ক্রিস ওকসকে বোল্ড করার মধ্য দিয়ে, টেস্ট ক্রিকেটে তার ২০০তম উইকেট অর্জন করেছিলেন। এইভাবে তিনি নবম পশ্চিম ভারতীয় এবং ছাব্বিশ বছরের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি এই মাইলফলক অর্জন করেছিলেন। [৬৮]
২০২১ সালে, রোচ সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, শ্রীলঙ্কার ক্যারিবিয়ান সফরের পরপরই তিনি দলের সাথে যোগ দিয়েছিলেন। [৬৯] ২০২২ সালের জুনে, রোচ তামিম ইকবালকে আউট করার মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে তার ২৫০তম উইকেট অর্জন করেছিলেন। সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে এটি ঘটেছিলো। [৭০] [৭১] ২৪.০৪ গড়ে ২৫ উইকেট নিয়ে, তিনি সারে দলের একজন অপরিহার্য অংশ ছিলেন যারা ২০২২ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছিলো। [৭২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Palipane, Russell, 'Punter' watch out, Roach out to get you!, island.lk, ২০১৬-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-২৮
- ↑ Hosts humbled in opening encounter, Cricinfo, ২০০৬-০২-০১, সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭
- ↑ Kemar Roach, CricketArchive.com, সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭
- ↑ West Indies name replacement squad, Cricinfo, ৮ জুলাই ২০০৯, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১০
- ↑ West Indies v Bangladesh: Bangladesh in West Indies 2009 (1st Test), CricketArchive.com, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬
- ↑ Veera, Sriram (১০ জুলাই ২০০৯), Seamers hand West Indies the advantage, Cricinfo, সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০০৯
- ↑ Dutta, Sahil (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১), West Indies hand Netherlands 215-run thrashing, Cricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৬
- ↑ ICC Cricket World Cup, 2010/11 / Records / Most wickets, Cricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৬
- ↑ West Indies include Gayle and Chattergoon, ESPNcricinfo, ২০০৮-০৬-০৭, সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭
- ↑ ক খ Brydon Coverdale (২০০৮-০৬-২০), Dynamic Marshall drives Windies win, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭
- ↑ West Indies call up Miller and Findlay, ESPNcricinfo, ২০০৮-০৭-০১, সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-০১
- ↑ Sarwan seals West Indies success, ESPNcricinfo, ২০ আগস্ট ২০০৮, সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-২১
- ↑ Marshall breaks sixes record in West Indies win, ESPNcricinfo, ২২ আগস্ট ২০০৮, সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-৩০
- ↑ ক খ Nash in West Indies Test squad, ESPNcricinfo, ১ নভেম্বর ২০০৮, সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-১২
- ↑ West Indies name replacement squad, ESPNcricinfo, ৮ জুলাই ২০০৯, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১০
- ↑ West Indies v Bangladesh: Bangladesh in West Indies 2009 (1st Test), CricketArchive, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬
- ↑ Veera, Sriram (১০ জুলাই ২০০৯), Seamers hand West Indies the advantage, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬
- ↑ Reifer looks at positives from loss, ESPNcricinfo, ১৪ জুলাই ২০০৯, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬
- ↑ Veera, Sriram (১৮ জুলাই ২০০৯), Roach six-for gives WI slight edge, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬
- ↑ Dyson rallies West Indies for ODI series, ESPNcricinfo, ২৩ জুলাই ২০০৯, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬
- ↑ Veera, Sriram (৩১ জুলাই ২০০৯), Bangladesh complete 3–0 sweep, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬
- ↑ Records / Bangladesh in West Indies ODI Series, 2009 / Most wickets, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬
- ↑ a19857 o2862 West Indies v Bangladesh: Bangladesh in West Indies 2009 (1st ODI), CricketArchive, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬
- ↑ Roach fined for bowling beamers, ESPNcricinfo, ২৯ জুলাই ২০০৯, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬
- ↑ ICC Champions Trophy, 2009/10 / Records / Most wickets, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬
- ↑ ICC Champions Trophy 2009/10 / Points table, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬
- ↑ Chris Gayle reappointed captain for Australia tour, ESPNcricinfo, ২ নভেম্বর ২০০৯, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-১৬
- ↑ Chappell, Ian; Brown, Alex (২৮ নভেম্বর ২০০৯), Ian Chappell – 'West Indies were really disappointing', ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-১৬
- ↑ Brown, Alex (৮ ডিসেম্বর ২০০৯), When a draw feels like a victory, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-১৬
- ↑ Coverdale, Bryan (৯ ডিসেম্বর ২০০৯), Ponting wary of dangerous Roach, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-১৬
- ↑ Palipan, Russell (১২ ডিসেম্বর ২০০৯), 'Punter' watch out, Roach out to get you!, The Island, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-১৬
- ↑ Roach wants to clock 155 km/h, ESPNcricinfo, ১৪ ডিসেম্বর ২০০৯, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-১৬
- ↑ Coverdale, Bryan (১৬ ডিসেম্বর ২০০৯), Roach's pace roughs up Ponting, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-১৬
- ↑ English, Peter (১১ মে ২০১০), West Indies crash out to ruthless Australia, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-০৮
- ↑ ICC World Twenty20, 2010 / Records / Most wickets, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৬
- ↑ South Africa in West Indies Test Series, 2010 / Records / Most wickets, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-০৮
- ↑ Steyn and Roach fined for disciplinary run-ins, ESPNcricinfo, ১ জুলাই ২০১০, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-০৮
- ↑ Roach ready for Sri Lanka challenge, ESPNcricinfo, ৮ নভেম্বর ২০১০, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-০৮
- ↑ Records / West Indies in Sri Lanka Test Series, 2010/11 / Most wickets, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-০৫
- ↑ Drawing series massive achievement for WI – Roach, ESPNcricinfo, ৫ ডিসেম্বর ২০১০, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-০৫
- ↑ Thawfeeq, Sa'adi (৫ ডিসেম্বর ২০১০), Happy with drawn result – Sammy, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-০৫
- ↑ Dutta, Sahil (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১), West Indies hand Netherlands 215-run thrashing, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৬
- ↑ ICC Cricket World Cup, 2010/11 / Records / Most wickets, ESPNcricinfo, ৮ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৬
- ↑ Records / 2011 – West Indies / Test matches / Most wickets, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৬
- ↑ Records / 2011 – West Indies / One-Day Internationals / Most wickets, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৬
- ↑ Worcestershire sign West Indies bowler Kemar Roach, BBC Sport, ১১ আগস্ট ২০১১, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৬
- ↑ Worcestershire stay up as Durham title hopes end, BBC Sport, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১১, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৬
- ↑ Kemar Roach aiming to keep Worcestershire up, BBC Sport, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১১, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৬
- ↑ First-class bowling for each team by Kemar Roach, CricketArchive, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-০৬
- ↑ Brettig, Daniel (১৯ এপ্রিল ২০১২), A good call and a brave promotion, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-১৯
- ↑ Brettig, Daniel (২৮ এপ্রিল ২০১২), Hilfenhaus and Wade matched only by Chanderpaul, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-২৮
- ↑ Dobell, George (২৬ মে ২০১২), West Indies undermined by sloppiness, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১২
- ↑ Dobell, George (২৭ মে ২০১২), Bresnan battles but Bairstow struggles, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৫-২৮
- ↑ Dottin, Bea (২০১৩-০১-২০)। "Roach a champion"। www.nationnews.com (ইংরেজি ভাষায়)। Nation News। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১০।
- ↑ "Roach saves best for final as Brisbane take BBL title"। Stabroek News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০১-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১০।
- ↑ Hackett, Philip (২০১৪-০৬-৩০)। "100 scalps for Roach"। www.nationnews.com (ইংরেজি ভাষায়)। Nation News। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১০।
- ↑ "Hetmyer, Gayle hundreds deny UAE"। Stabroek News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৩-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১০।
- ↑ "Gabriel tears through Sri Lanka to give Windies the edge"। Kensington Oval (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১০।
- ↑ "Gabriel, Roach give Windies control"। www.nationnews.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৬-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১০।
- ↑ "Kemar Roach gets all-format West Indies contract"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "Cricket West Indies announces list of contracted players"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "Roach dents Bangladesh's session with late wicket"। CricBuzz। ৩০ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Andre Russell in West Indies World Cup squad, Kieron Pollard misses out"। ESPNcricinfo। ২৪ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Andre Russell picked in West Indies' World Cup squad"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ Baynes, Valkerie (১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "ESPNcricinfo Awards 2019 Test bowling winner: Kemar the killer"। ESPNcricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১০।
- ↑ "Darren Bravo, Shimron Hetmyer, Keemo Paul turn down call-ups for England tour"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০২০।
- ↑ "Squad named for Sandals West Indies Tour of England"। Cricket West Indies। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০২০।
- ↑ Wigmore, Tim (২০২০-০৭-২৫)। "Having joined the 200-wicket club, Kemar Roach embodies the rejuvenation in West Indian quick bowling"। The Telegraph (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0307-1235। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১০।
- ↑ "Kemar Roach joins Surrey for early part of 2021 season"। Surrey County Cricket Club। ৪ মার্চ ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "Tamim fails to follow own advice as Roach reaches 250 landmark"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২২।
- ↑ "Roach showered in praise after joining illustrious club"। www.icc-cricket.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ জুন ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১০।
- ↑ Redwood, Ben (২০২২-০৯-২২)। "Surrey win the County Championship after 10 wicket defeat of Yorkshire"। Surrey County Cricket Club (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১০।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে কেমার রোচ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে কেমার রোচ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)