পিটার সিডল
পিটার ম্যাথিউ সিডল (ইংরেজি: Peter Matthew Siddle; জন্ম: ২৫ নভেম্বর, ১৯৮৪) ভিক্টোরিয়া প্রদেশের ট্রারালগন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেটার। পিটার সিডল মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবেই ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিত। অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের পাশাপাশি ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের পক্ষ হয়ে খেলে থাকেন।
![]() ২০০৯ সালে পিটার সিডল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পিটার ম্যাথিউ সিডল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ট্রারালগন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ২৫ নভেম্বর ১৯৮৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | সিডভিসিয়াস, ডার্মি, সিড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৭ মিটার (৬ ফুট ২ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি ব্যাট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪০৩) | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৭২) | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৫ নভেম্বর ২০১০ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ১০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫ – | ভিক্টোরিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ – ১২ | মেলবোর্ন স্টার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩– | মেলবোর্ন রেনেগেডেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪ | নটিংহ্যামশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: Cricinfo, ৫ জানুয়ারি ২০১৫ |
প্রারম্ভিক জীবনসম্পাদনা
ভিক্টোরিয়া প্রদেশের ট্রারালগন এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন পিটার সিডল। তবে গিপসল্যান্ডের মরওয়েলে তিনি বড় হন। ১৪ বছর বয়সে লাট্রোব ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। কিশোর অবস্থাতেই অনূর্ধ্ব-১৭ স্তরের ক্রিকেটে বৃহৎ সাফল্য পান। প্রাদেশিক খেলায় ৪৭ রানে ১১ উইকেট নিয়ে জন স্কোলসের ভিক্টোরিয়ান রাজ্য রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়েন।[১]
২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট একাডেমিতে যোগ দেন। সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে নভেম্বর, ২০০৫ সালে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। ২০০৬ সালে তিনি পুনরায় একাডেমিতে যোগ দেন এবং ২০০৬-০৭ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ান বুশর্যাঞ্জার্সের সাথে পূর্ণাঙ্গভাবে চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর কাঁধের অনেক আঘাতপ্রাপ্তি স্বত্ত্বেও স্বল্পসময়ের জন্য খেলার সুযোগ পান; কিন্তু দলে নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন।
২০১২ সালে ফ্রেন্ডস লাইফ টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট দল এসেক্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।[২] অস্ট্রেলিয়া দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের এক পর্যায়ে আঘাতের ফলে এসেক্সের সাথে চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি তিনি।[৩]
রিকি পন্টিংয়ের মতো ক্রিকেটের বাইরে তিনিও অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল এবং নর্থ মেলবোর্নের একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে রয়েছেন।[৪]
ক্রিকেট জীবনসম্পাদনা
১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে চার টেস্টে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত বোলার ব্রেট লি, স্টুয়ার্ট ক্লার্ক এবং মিচেল জনসনকে সঙ্গ দেয়ার উদ্দেশ্যে ভারত সফরে ১৫ সদস্যের অস্ট্রেলিয়া দলে সিডল অন্তর্ভুক্ত হন। দ্বিতীয় টেস্টের পূর্ব মুহুর্তে ক্লার্ক কনুইয়ে আঘাত পেলে সিডল খেলতে নামেন। ১৬ অক্টোবর, ২০০৮ তারিখে মোহালির পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১১৪ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেটসহ খেলায় ১৭৬ রান দিয়ে সর্বমোট ৪ উইকেট পান তিনি।[৫]
ক্লার্ক আরোগ্যলাভ করলে সিডল তার স্থান হারান। ২০০৮ সালে ওয়াকা গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অংশ নেন। বক্সিং ডে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের প্রথম ইনিংসে ৮১ রানে ৪ উইকেট নেন।[৬] সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত পরবর্তী টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৯ রানে নেন ৫ উইকেট।[৭] কিন্তু তার প্রচেষ্টা সফল হয় নাই নিজ ভূমিতে ঐতিহাসিক সিরিজ পরাজয় এড়াতে।[৮]
সম্মাননাসম্পাদনা
- ২০০৯ - আইসিসি কর্তৃক বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড়
- ২০১১ সালের হু’জ হু ইন অস্ট্রেলিয়ার সংস্করণে তিনি অন্তর্ভুক্ত হন।[৯]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Player Profile: Peter Siddle"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-২৯।
- ↑ "Siddle to join Essex for T20"। ESPNcricinfo। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Injury rules out Siddle for Essex"। ESPNcricinfo। ২৬ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ 2012 Round 15 AFL - North Melbourne v West Coast highlights
- ↑ "Scorecard: India v Australia, 2nd Test at Mohali, 17–21 October 2008"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৭।
- ↑ "Scorecard: Australia v South Africa, 2nd Test at Melbourne, 26–30 December 2008"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৭।
- ↑ "Scorecard: Australia v South Africa, 3rd Test at Sydney 3–7 January 2009"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৭।
- ↑ "Results: South Africa in Australia Test Series 2008–09"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৭।
- ↑ "Who's Who pack now boasts Siddle, Hamish and Andy and the Masterchef judges"। heraldsun.com.au। ৯ ডিসেম্বর ২০১০।
আরও দেখুনসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
পূর্বসূরী অজন্তা মেন্ডিস |
বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড় ২০০৯ |
উত্তরসূরী স্টিভেন ফিন |