১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল
বেনসন এন্ড হেজেস বিশ্বকাপ বা ১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলাটি আইসিসি’র পরিচালনায় ২৫ মার্চ তারিখে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবসায়িক অংশীদারীত্বের কারণে এ প্রতিযোগিতাটি বেনসন এন্ড হেজেস বিশ্বকাপ নামে পরিচিতি পায়। প্রথমবারের মতো দিন/রাতে অনুষ্ঠিত ও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় ইমরান খানের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ক্রিকেট দল ২২ রানের ব্যবধানে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে পরাভূত করে। এরফলে দলটি প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের করে নেয়। বিশ্বকাপের ফাইনালটি ইংল্যান্ডের বাইরে দ্বিতীয়বার ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়। ৮৭,১৮২জন দর্শক চূড়ান্ত খেলাটি উপভোগ করে ও স্টেডিয়ামটি কানায় কানায় পূর্ণ ছিল।
প্রতিযোগিতা | ১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপ | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||||
তারিখ | ২৫ মার্চ, ১৯৯২ | ||||||||
মাঠ | মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন | ||||||||
আম্পায়ার | ব্রায়ান অলড্রিজ ও স্টিভ বাকনর | ||||||||
উপস্থিত দর্শক | ৮৭,১৮২ | ||||||||
← ১৯৮৭ ১৯৯৬ → |
পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও নিউজিল্যান্ডের মার্টিন ক্রো প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার লাভ করেন।
বিবরণ
সম্পাদনাসেমি-ফাইনালে বিজয়ের ফলে চারবার প্রচেষ্টার পর পাকিস্তান প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো চূড়ান্ত খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। টসে জয়ী হয়ে পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে নামে। শুরুতে ডেরেক প্রিঙ্গল দ্রুত দুই উইকেট লাভ করলেও তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইমরান খান ও জাভেদ মিয়াঁদাদ ১৩৯ রান যোগ করার মাধ্যমে ইনিংসের ভিত শক্ত করেন। এ জুটি শুরুতে বেশ ধীরগতিতে রান তুলেছিলেন। ড্রপ ক্যাচের বদৌলতে ইমরান খান পার পেয়ে যান। পরবর্তীতে ইনজামাম-উল-হকের ৩৫ বলে ৪২ এবং ওয়াসিম আকরামের ঝড়োগতিতে ১৮ বলে ৩৩ রানের ফলে বাজেভাবে শুরু হওয়া দলীয় ইনিংসকে ৬ উইকেটে ২৪৯ রানে উন্নীতকরণের মাধ্যমে ব্যাপক সহায়তা করেন।[১][২]
মুশতাক আহমেদের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে গ্রেইম হিক আউট হলে ইংল্যান্ডও প্রারম্ভিকভাবে ধাক্কা খায়।[৩] নীল ফেয়ারব্রাদার ও অ্যালান ল্যাম্ব দলের রান ১৪১/৪-এ নিয়ে যান। ৮৭,০০০-এরও অধিকসংখ্যক দর্শকের সম্মুখে ওয়াসিম আকরাম পুনরায় বোলিং করতে এসে অল-রাউন্ডার ইয়ান বোথামকে শূন্য রানে আউট করাসহ ল্যাম্ব ও ক্রিস লুইসের উইকেট পান। ফলে ইংল্যান্ড ২২৭ রানে অল-আউট হয় ও ২২ রানের পার্থক্যে ইমরান খান তার ওডিআইয়ের শেষ উইকেট নেন রিচার্ড ইলিংওয়ার্থকে আউট করার মাধ্যমে। এরফলে পাকিস্তান দল তাদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা লাভ করে।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ England v Pakisatan– Cricinfo. Retrieved 23 August 2007
- ↑ ক খ "Benson & Hedges World Cup – 1991/92"। ESPNcricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Benson & Hedges World Cup 1991–92 final"। Wisden Cricketers' Almanack। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১২।