গ্রেইম হিক
গ্রেইম অ্যাশলে হিক, এমবিই (ইংরেজি: Graeme Hick; জন্ম: ২৩ মে, ১৯৬৬) রোডেশিয়ার সলেসবারিতে জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ে বংশোদ্ভূত সাবেক ও বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে ৬৫ টেস্ট ও ১২০টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ার ক্লাবে পুরোটা সময় কাটান গ্রেইম হিক। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফব্রেক বোলিং করতেন ‘হিকি’ ডাকনামে পরিচিত গ্রেইম হিক।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গ্রেইম অ্যাশলে হিক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সলিসবারি, রোডেশিয়া | ২৩ মে ১৯৬৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | হিকি, অ্যাশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (১.৯১ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৪৮) | ৬ জুন ১৯৯১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৭ মার্চ ২০০১ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১২) | ২৩ মে ১৯৯১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৭ মার্চ ২০০১ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৪-২০০৮ | ওরচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭-১৯৯৮ | অকল্যান্ড এইসেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৮-১৯৯১ | এমসিসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৭-১৯৮৯ | নর্দান ডিস্ট্রিক্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ | চণ্ডিগড় লায়ন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৩০ মার্চ ২০১৬ |
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনাএকসময় হিকের বোলিং খেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতো। তার অফ-স্পিন বোলিংয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দুই শতাধিক উইকেট পায়। কিন্তু, ২০০১ সালের পর তিনি খুব কম সময়ই বোলিং করতেন। তন্মধ্যে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কেবলমাত্র একটি ও লিস্ট এ ক্রিকেটে দুইটি উইকেট পেয়েছেন। তারপর ২০০৪ সালের পর কোন স্তরের ক্রিকেটেই তিনি আর কোন বোলিং করেননি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি স্লিপে দাঁড়াতেন। গ্রাহাম গুচ তার আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন যে, তার স্লিপে দাঁড়ানোর সাথে মার্ক টেলর, ইয়ান বোথাম ও গ্রেইম হিক দখল করে নিয়েছেন।[১]
অর্জনসমূহ
সম্পাদনা২০০৮ সালে গ্রাহাম গুচের গড়া সবচেয়ে বেশি খেলার রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন।[২] তিনি চল্লিশ হাজারেরও অধিক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে রান সংগ্রহ করেছেন।[৩] অধিকাংশ রানই এসেছিল তিন নম্বরে ব্যাটিং করে। লিস্ট এ ক্রিকেটে গ্রাহাম গুচ ও শচীন তেন্ডুলকরের সাথে তিনিও তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিশ হাজার রানের কোটা অতিক্রম করেন। পঁচিশ জন খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে শতরানের শতক করেন।[৪] একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দশকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ত্রি-শতক হাঁকিয়েছেন।[৫] টিম কার্টিস বাদে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে লিস্ট এ ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে ১০,০০০-এর অধিক রান সংগ্রহ করেছেন।[৬] তবে তার এ সকল অনন্য অর্জনগুলো আন্তর্জাতিকের ক্রিকেটের সাথে তুলনান্তে বেশ বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে যেখানে তার ব্যাটিং গড় ৫২.২৩, সেখানে টেস্ট গড় মাত্র ৩১.৩২।
১৯৯৯ সালে ওরচেস্টারশায়ার থেকে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্তি হিসেবে ৩৪৫,০০০ পাউন্ড-স্টার্লিংয়েরও অধিক অর্থ সুবিধা পেয়েছেন।[৭] এছাড়াও, ২০০৬ সালে টেস্টিমোনিয়াল পুরস্কার পেয়েছেন।[৮]
অবসর
সম্পাদনা২০০৮ মৌসুমের শেষদিকে কাউন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন হিক।[৯] এরপর তিনি মালভার্ন কলেজে কোচ হিসেবে যোগদান করেন। এরপর মৌসুমের বাকী সময়টুকু ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে চণ্ডিগড় লায়ন্সে যোগ দেন।[১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Gooch, Graham; Frank Keating (১৯৯৫)। Gooch: My Autobiography। London: CollinsWillow। পৃষ্ঠা 178। আইএসবিএন 0-00-218474-5।
- ↑ "Most matches in career"। cricinfo.com।
- ↑ "Hick reaches run-scoring landmark"। BBC News। ১৭ জুন ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৭।
- ↑ "10,000 or More Runs in List A Matches"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২৫।
- ↑ Frindall, Bill (২০০৯)। Ask Bearders। BBC Books। পৃষ্ঠা 99। আইএসবিএন 978-1-84607-880-4। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১১।
- ↑ "Most Runs for Worcestershire"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০০৭।
- ↑ "Graeme Hick"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২৫।
- ↑ "Hick awarded testimonial"। Cricinfo। ৮ নভেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২৫।
- ↑ "Hick to retire at end of season"। BBC Sport। ২ সেপ্টেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৯-০২।
- ↑ "Graeme Hick joins the ICL"। Cricinfo। ১ নভেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-০১।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে গ্রেইম হিক (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে গ্রেইম হিক (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী টম মুডি |
ওরচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট অধিনায়ক ২০০০-২০০২ |
উত্তরসূরী বেন স্মিথ |
ক্রিকেট বিশ্বকাপে গ্রেইম হিকের অংশগ্রহণ |
---|