রেহানা জলি

বাংলাদেশী অভিনেত্রী

রেহানা জলি হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি চলচ্চিত্রে সাধারণত পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে থাকেন। ১৯৮৫ সালে মা ও ছেলে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে তার অভিষেক ঘটে। প্রথম চলচ্চিত্রেই তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[১]

রেহানা জলি
জন্ম১৯৬৫
অন্যান্য নামরেহানা
পেশাঅভিনেত্রী, মডেল
কর্মজীবন১৯৮৪-বর্তমান
উল্লেখযোগ্য কর্ম
মা ও ছেলে
সন্তান
পুরস্কারজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১ বার)

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৮০-এর দশক সম্পাদনা

রেহানার কর্মজীবন শুর হয় আশির দশকের শুরুতে টেলিভিশনে অভিনয় দিয়ে। এসময়ে তিনি বদরুন্নেসা আব্দুল্লাহ পরিচালিত উজান চরের দুলি টেলিভিশন নাটকে দুলি চরিত্রে অভিনয় করেন। পাশাপাশি তিনি মঞ্চ নাটকেও অভিনয় করেন। তার প্রথম অভিনীত মঞ্চ নাটক বিধায়ক ভট্টাচার্যের নির্দেশনায় তাইতো[১] তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৮৫ সালে কামাল আহমেদ পরিচালিত মা ও ছেলে চলচ্চিত্রে। এই চলচ্চিত্রে মমতা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ১০ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন।[১] পরে বিরাজ বৌ, প্রতীক্ষা, গোলমাল, প্রায়শ্চিত্ত, নিষ্পাপ চলচ্চিত্রে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন।[১]

১৯৯০-এর দশক সম্পাদনা

১৯৯৪ সালে তিনি এ জে মিন্টুর প্রথম প্রেম চলচ্চিত্রে পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন।[২] পরে ১৯৯৬ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত জীবন সঙ্গী ও বাদল খন্দকার পরিচালিত স্বপ্নের পৃথিবীতে সালমান শাহের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন।

২০০০-এর দশক সম্পাদনা

২০১০-এর দশক সম্পাদনা

২০১১ সালের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় তার অভিনীত মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ছোট্ট সংসার, মোহাম্মদ হোসেন-বদিউল আলম খোকন পরিচালিত বস নাম্বার ওয়ানরাজু চৌধুরীর প্রিয়া আমার জান[৩] ২০১৩ সালে রেহানা বিজ্ঞাপন নির্মাতা আশফাক উজ্জামান বিপুলের নির্দেশনায় প্রাণ ম্যাংগো জুস-এর বিজ্ঞাপনে মডেল হন।[৪] এ বছর পি এ কাজল রচিত ও পরিচালিত ভালোবাসা আজকাল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[৫] ২০১৪ সালে রেহানা মাসুদ পথিক পরিচালিত নির্মলেন্দু গুণ রচিত কবিতা অবলম্বনে নির্মিত নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ ছবিতে অভিনয় করেন।[৬] একই বছর আবুল কালাম আজাদের অনেক সাধনার পরে ছবিতে অভিনয় করেন।[৭] ২০১৫ সালে মা বাবা সন্তান ছবিতে তার অভিনয় সেই বছরের সবচেয়ে বাজে পার্শ্ব অভিনেত্রীর কাজ বলে অভিহিত করা হয়েছে।[৮]

চলচ্চিত্রের তালিকা সম্পাদনা

চাবি
  আসন্ন মুক্তি
বছর চলচ্চিত্রের শিরোনাম চরিত্র পরিচালক টীকা
১৯৮৫ মা ও ছেলে মমতা কামাল আহমেদ অভিষেক চলচ্চিত্র
বিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী
১৯৮৮ বিরাজ বৌ
১৯৯৬ স্বপ্নের পৃথিবী রাবেয়া, মাসুমের মা বাদল খন্দকার
জীবন সঙ্গী জাকির হোসেন রাজু
২০০১ কঠিন বাস্তব কেয়ার মা মনতাজুর রহমান আকবর
২০০৩ তুমি শুধু আমার স্মৃতির মা আবুল কালাম আজাদ
সাহসী মানুষ চাই কাজলের মা মহম্মদ হাননান
অন্ধকার মারুফের মা কাজী হায়াৎ
২০০৪ আজকের সমাজ নজরুল ইসলাম খান
২০০৫ দুই নয়নের আলো সেঁজুতির মা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক
বাংলার বাঘ আহমেদ নাসির
২০০৬ সিস্টেম জিল্লুর রহমান
২০০৭ মেশিনম্যান সাফি উদ্দিন সাফি-ইকবাল
তুমি আছো হৃদয়ে হাসিবুল ইসলাম মিজান
বুলেট আহম্মেদ আলী মন্ডল
২০০৮ তুমি কত সুন্দর ভাবনার মা আবিদ হাসান বাদল
বাবার জন্য যুদ্ধ সাগরের মা মনতাজুর রহমান আকবর
কি যাদু করিলা চন্দন চৌধুরী
আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা মিসেস চৌধুরী এস এ হক অলীক
তোমাকে বউ বানাবো শাহাদাৎ হোসেন লিটন
মনে প্রাণে আছো তুমি জাকির হোসেন রাজু
রাজধানীর রাজা ওয়াজেদ আলী বাবলু
ভালোবাসার দুষমন ওয়াকিল আহমেদ
বধূবরণ নজরুল ইসলাম খান
২০০৯ মন বসে না পড়ার টেবিলে আব্দুল মান্নান
আমার প্রাণের প্রিয়া শিরিন চৌধুরী জাকির হোসেন রাজু
মন ছুঁয়েছে মন আকাশের মা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক
তুমি কি সেই আবুল কালাম আজাদ
পিরিতির আগুন জ্বলে দিগুণ পি এ কাজল
সাহেব নামের গোলাম রাজু চৌধুরী
ভালোবাসার লাল গোলাপ মোহাম্মদ হোসেন জেমী
জন্ম তোমার জন্য শাহিন-ওয়াজেদ আলী সুমন
২০১০ ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না অজান্তার মা জাকির হোসেন রাজু
টপ হিরো মনতাজুর রহমান আকবর
চাচ্চু আমার চাচ্চু শাহানা পি এ কাজল
চেহারা: ভন্ড ২ আকাশের মা শহীদুল ইসলাম খোকন
টাকার চেয়ে প্রেম বড় শাহাদাৎ হোসেন লিটন
প্রেমে পড়েছি শাহাদাৎ হোসেন লিটন
পরাণ যায় জ্বলিয়া রে সোহানুর রহমান সোহান
২০১১ কোটি টাকার প্রেম সোহানুর রহমান সোহান
দারোয়ানের ছেলে রকিবুল আলম রকিব
বস নাম্বার ওয়ান হৃদয়ের মা মোহাম্মদ হোসেন জেমী-বদিউল আলম খোকন
প্রিয়া আমার জান রাজু চৌধুরী
ছোট্ট সংসার মনতাজুর রহমান আকবর
২০১২ বাজারের কুলি মনতাজুর রহমান আকবর
১০০% লাভ (বুক ফাটে তো মুখ ফটে না) বদিউল আলম খোকন
২০১৩ নিষ্পাপ মুন্না বদিউল আলম খোকন
শিরি ফরহাদ গাজী মাহবুব
পোড়ামন সুজনের মা জাকির হোসেন রাজু
ভালোবাসা আজকাল পি এ কাজল
জোর করে ভালোবাসা হয় না শাহাদাৎ হোসেন লিটন
তোমার মাঝে আমি শফিকুল ইসলাম সোহেল
তবুও ভালোবাসি মনতাজুর রহমান আকবর
জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার এফ আই মানিক
কুমারী মা বাবুল রেজা
এইতো ভালোবাসা শাহীন কবির টুটুল
২০১৪ লাভ স্টেশন শাহাদাৎ হোসেন লিটন
ডেয়ারিং লাভার রাজার মা বদিউল আলম খোকন
অনেক সাধনার পরে আবুল কালাম আজাদ
নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ মাসুদ পথিক
দুটি মনের পাগলামী জুলহাস চৌধুরী পলাশ
২০১৫ অচেনা হৃদয় রূপার মা শফিকুল ইসলাম খান
বোঝেনা সে বোঝেনা মনতাজুর রহমান আকবর
চুপি চুপি প্রেম মোস্তাফিজুর রহমান মানিক
হৃদয় দোলানো প্রেম আবুল কালাম আজাদ
লাভার নাম্বার ওয়ান ফারুক ওমর
মা বাবা সন্তান মুকুল নেত্রবাদি
মার্ডার ২ এম এ রহিম
২০১৬ মাটির পরী সায়মন তারিক
ভালবাসাপুর এখলাস আবেদিন
দিওয়ানা মন নুরুল ইসলাম প্রিতম
২০১৭ কত স্বপ্ন কত আশা ওয়াকিল আহমেদ
২০২০ জল শ্যাওলা জেসমিন আক্তার নদী
মাই ডার্লিং   মনতাজুর রহমান আকবর

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ফারুকী, ইসহাক (ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)। "দেখতে দেখতে ২৫ বছর কেটে গেল!"দ্য রিপোর্ট। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. শওকত, স্বাক্ষর। "রুপালি পর্দার মায়েরা যেমন!"ঢালিউড ইনফো। ১৭ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  3. "ঈদে মুক্তির মিছিলে আট ছবি"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৭ অক্টোবর ২০১০। Archived from the original on ২১ নভেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  4. ফারুকী, ইসহাক (মার্চ ৩০, ২০১৩)। "মডেল হলেন রেহানা জলি"যায়যায়দিন। Archived from the original on ২৩ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  5. অনুসূর্য, নাবীল (৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "ভালোবাসা আজকাল : ঢাকাই ট্যাঙ্গেলড"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। Archived from the original on ৯ জুন ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  6. "Nekabbor-er Mohaproyan on June 20"দ্য ডেইলি নিউ ন্যাশন। ১৯ জুন ২০১৪। ৩০ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  7. "মডেল থেকে নায়িকা"দৈনিক ইত্তেফাক। ২০ নভেম্বর ২০১৪। ২২ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  8. "গোল্ডেন বাঁশ এ্যাওয়ার্ডস ২০১৫"বাংলা মুভি ডেটাবেজ। ১৩ এপ্রিল ২০১৬। ১৯ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা