আমার প্রাণের প্রিয়া
আমার প্রাণের প্রিয়া হল একটি ঢালিউড বাংলা ছবি যেটি ২০০৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদুল ফিত্র-এ মুক্তি পায়। ছবিটি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে এবং এর প্রায় সবগুলো গান খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করে। পাশাপাশি নৃত্যপরিকল্পনা ছিল অসাধারণ। এটি একটি রোমাঞ্চকর হাসির ছবি, পরিচালনা করেছেন "জাকির হোসেন রাজু"। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সুপারষ্টার শাকিব খান, এবং লাক্স চ্যানেল আই তারকা মিম। সহকারী চরিত্রে রয়েছেন, মিশা সওদাগার, কাবিলা, নাসরিন সহ আরও অনেকে।[১]
আমার প্রাণের প্রিয়া | |
---|---|
পরিচালক | জাকির হোসেন রাজু |
প্রযোজক | তাপসী ঠাকুর |
রচয়িতা | জাকির হোসেন রাজু |
শ্রেষ্ঠাংশে | শাকিব খান মিম খালেদা আক্তার কল্পনা প্রবীর মিত্র মিশা সওদাগর কাবিলা নাসরিন |
সুরকার | হৃদয় খান আলী আকরাম শুভ |
প্রযোজনা কোম্পানি | বিএফডিসি |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৬০ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ৳ ৮০,০০,০০০ |
কাহিনি সংক্ষেপ
সম্পাদনাপ্রেম চৌধুরী (শাকিব খান) সবসময় মানুষের সাহায্য করে থাকেন, বিশেষ করে ভালবাসার ক্ষেত্রে। এজন্য তাকে সবাই 'লাভ গুরু' বলে ডাকেন। কিন্তু তিনি কোনো মেয়েকে ভালবাসেননি। হঠাৎ একদিন প্রিয়াঙ্কা (মিম) এর সাথে তার দেখা হয় এবং তার প্রেমে পড়ে যায়। প্রথমদিকে প্রিয়াঙ্কা তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজী হননি। কারণ প্রেম ছিলেন বড় ব্যবসায়ীর একমাত্র পুত্র। যখন শাকিব তার ভালবাসার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ দেন, তখন মীম তাকে গ্রহণ করেন। যখন তাদের ভালবাসা এগিয়ে যাচ্ছিল তখন প্রিয়াঙ্কার ভাই প্যাকেট বাবলু (মিশা সওদাগর) তাদের মধ্যে বাধা হয়ে দাড়ায়। একদিন প্রিয়াঙ্কার মাকে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রেম মেরে ফেলেন। এটা ছিল নিছক একটি দুর্ঘটনা কিন্তু বাবলু প্রমাণ করতে চাইলেন যে প্রেম এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন।
এরপর প্রিয়াঙ্কা প্রেম চৌধুরীকে ভুল বুঝে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু একদিন মিম জানতে পারে যে প্রেমের কোন দোষ নেই এবং তার ভাই তাদের ভালবাসার জন্য বিরোধী হয়ে কাজ করেছেন। তারপর প্রেমকে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাদের বাড়িতে আসতে বলে। সর্বশেষে প্রেম প্রিয়াঙ্কা রক্ষা করে এবং তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন।
শ্রেষ্ঠাংশে
সম্পাদনা- শাকিব খান - প্রেম/লাভ গুরু
- মিম – প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী
- মিশা সওদাগর – প্যাকেট বাবলু, প্রিয়াঙ্কা'র ভাই
- খালেদা আক্তার কল্পনা - প্রিয়াঙ্কা'র মা
- প্রবীর মিত্র - প্রেমে'র বাবা
- রেহানা জলি - প্রেমে'র মা
- চিকন আলী - প্রেমে'র বন্ধু
- কাবিলা - পুলিশ কর্মকর্তা
- নাসরিন -
সাউন্ডট্র্যাক
সম্পাদনাআমার প্রাণের প্রিয়া | |
---|---|
হৃদয় খান কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবামআলী আকরাম শুভ | |
মুক্তির তারিখ | ২০০৯ |
ঘরানা | ফিল্ম সাউন্ডট্রাক |
প্রযোজক | তাপসী ঠাকুর |
অমার প্রাণের প্রিয়া সিনেমার এর সঙ্গীতায়ন করেছেন, হৃদয় খান, তিশমা এবং আলী আকরাম শুভ
গানের তালিকা
সম্পাদনানং. | শিরোনাম | শিল্পী | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|
১. | "আমার প্রাণের প্রিয়া" | অ্যান্ড্রু কিশোর এবং বেবী নাজনীন | |
২. | "কি যাদু করেছ" | অ্যান্ড্রু কিশোর এবং রুমানা ইসলাম কনক চাপা | |
৩. | "চাদের মেয়ে জোসনা আমি" | তিশমা | |
৪. | "আমার একলা জীবন" | হৃদয় খান | |
৫. | "চাইনা মেয়ে তুমি" | হৃদয় খান | |
৬. | "আই লাভ ইউ" | এস আই টুটুল |
পুরস্কার
সম্পাদনামেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২০০৯)
সম্পাদনা- মনোনীত: সেরা অভিনেতা শাকিব খান
- মনোনীত: সেরা অভিনেত্রী মিম
- মনোনীত: সেরা শিল্পী হৃদয় খান চাইনা মেয়ে তুমি
ইউরো-সিজেএফবি পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৯
সম্পাদনাফিল্ম এ্যাওয়ার্ড বাঙ্গলা (এফএবি ২০১০)
সম্পাদনাআরও পরিচিত "এপার বাংলা এবং ওপার বাংলা" ছবির পুরস্কার
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - বিদ্যা সিনহা সাহা মীম[৪]
- মনোনীত: শ্রেষ্ঠ অভিনেতা - শাকিব খান
- বিজয়ী সেরা নৃত্য পরিকল্পনাকার - তানজিল
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Uro-CJFB Performance Award 2009 announced" The film “Amar Praner Priya” was awarded as the best film for the year. Retrieved Monday, August 2, 2010
- ↑ "Uro-CJFB Performance Award 2009 announced" Shakib Khan and Opu Biswas received top awards for acting in film category. Retrieved Monday, August 2, 2010
- ↑ "Bengali filmstars to dazzle Bangkok" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ জুন ২০১০ তারিখে The two Bengals will unite at the Film Awards Bangla (FAB 2010) in Bangkok. Retrieved Jun 08th, 2010
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- বাংলা মুভি ডেটাবেজে আমার প্রাণের প্রিয়া
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে আমার প্রাণের প্রিয়া (ইংরেজি)