ঠাকুরগাঁও জেলা
ঠাকুরগাঁও জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[২]
ঠাকুরগাঁও | |
---|---|
জেলা | |
![]() বাংলাদেশে ঠাকুরগাঁও জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°২′৪″ উত্তর ৮৮°২৭′৩০″ পূর্ব / ২৬.০৩৪৪৪° উত্তর ৮৮.৪৫৮৩৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক | মোঃ মাহবুবুর রহমান |
আয়তন | |
• মোট | ১,৮০৯.৫২ বর্গকিমি (৬৯৮.৬৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (2011)[১] | |
• মোট | ১৩,৮০,০০০ |
• জনঘনত্ব | ৭৬০/বর্গকিমি (২,০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | 52% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৯৪ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ভৌগোলিক সীমানাসম্পাদনা
ঠাকুরগাঁও জেলার উত্তরে পঞ্চগড় জেলা, দক্ষিণে দিনাজপুর জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলা, পূর্বে দিনাজপুর জেলা ও পঞ্চগড় জেলার কিয়দংশ এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলা অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহসম্পাদনা
ঠাকুরগাঁও জেলা ৫টি উপজেলায় বিভক্ত। এগুলো হচ্ছেঃ
ঠাকুরগাঁও জেলা ৫৩ টি ইউনিয়নে বিভক্ত। এগুলো হলো:
- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ২১টি: ১. রুহিয়া, ২. আখানগর, ৩. আকচা, ৪. বড়গাঁও, ৫. বালিয়া, ৬. আউলিয়াপুর, ৭. চিলারং, ৮. রহিমানপুর, ৯. রায়পুর, ১০. জামালপুর১১. মোহম্মাদপুর, ১২. সালন্দর, ১৩. গড়েয়া, ১৪. রাজাগাঁও, ১৫. দেবীপুর, ১৬. নারগুন, ১৭. জগন্নাথপুর, ১৮. শুখানপুকুরী, ১৯. বেগুনবাড়ী , ২০. রুহিয়া পশ্চিম, ২১. ঢোলার হাট ।
- বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ৮টি: ১. পাড়িয়া, ২. চাড়োল, ৩. ধনতলা, ৪. বড়পলাশ বাড়ী, ৫. দুওসুও, ৬. ভানোর, ৭. আমজানখোর ও ৮. বড়বাড়ি ইউনিয়ন।
- পীরগঞ্জ উপজেলা ১০টি: ১ ভোমরাদহ, ২ কোষারাণীগঞ্জ , ৩ খনগাঁও, ৪ পীরগঞ্জ, ৫ সৈয়দপুর, ৬ হাজীপুর, ৭ দৌলতপুর, ৮ সেনগাঁও, ৯ জাবর হাট, ১০ বৈরচুনা ।
- হরিপুর উপজেলা ৬টি: ১. গেদুড়া ২. আমগাঁও ৩. বকুয়া ৪. ডাঙ্গীপাড়া ৫. হরিপুর ৬. ভাতুরিয়া।
- রাণীশংকৈল উপজেলা ৮টি: ১ ধর্মগড় ইউনিয়ন ২ নেকমরদ ইউনিয়ন ৩ হোসেনগাঁও ইউনিয়ন ৪ লেহেম্বা ইউনিয়ন ৫ বাচোর ইউনিয়ন ৬ কাশিপুর ইউনিয়ন ৭ রাতোর ইউনিয়ন ৮ নন্দুয়ার ইউনিয়ন
ইতিহাসসম্পাদনা
টাংগন, শুক ও সেনুয়া বিধৌত এই জনপদের একটি ঠাকুর পরিবারের উদ্যোগে ব্রিটিশ শাসনমলে বর্তমান পৌরসভা এলাকার কাছাকাছি কোনো স্হানে একটি থানা স্হাপিত হয়। এই পরিবারের নাম অনুসারে থানাটির নাম হয় ঠাকুরগাঁও থানা। "ঠাকুর" অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের সংখ্যাধিক্যের কারণে স্হানটির নাম ঠাকুরগাঁও হয়েছে।
১৭৯৩ সালে ঠাকুরগ্রাম অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩] ১৮৬০ সালে এটি মহকুমা হিসেবে ঘোষিত হয়। এর অধীনে ছয়টি থানা ছিল, এগুলো হলঃ ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, হরিপুর ও আটোয়ারী। ১৯৪৭ সালে এই ৬টি থানা এবং ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার ৩টি থানা ও কোচবিহারের ১টি থানা (পঞ্চগড়, বোদা, তেতুলিয়া ও দেবীগঞ্জ) নিয়ে ১০টি থানার মহকুমা হিসেবে ঠাকুরগাঁও নুতনভাবে যাত্রা শুরু করে। কিন্ত ১৯৮১ সালে আটোয়ারী, পঞ্চগড়, বোদা, দেবীগঞ্জ ও তেতুলিয়া নিয়ে পঞ্চগড় নামে আলাদা মহকুমা সৃষ্টি হলে ঠাকুরগাঁও মহকুমার ভৌগোলিক সীমানা ৫টি থানায় সংকুচিত হয়ে যায়। থানাগুলি হচ্ছে: ঠাকুরগাঁও সদর, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর। ১৯৮৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও মহকুমা জেলায় উন্নীত হয়।
এখানে উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর (সাঁওতাল ও উরাও) মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছে। জেলার নেকমরদ, রাণীশংকৈল এসব স্হানে সুপ্রাচীন সভ্যতার নির্দশন বিদ্যমান।
অর্থনীতিসম্পাদনা
- প্রধান শস্য: ধান, গম, আলু, ভুট্টা, পাট, আখ
- রপ্তানী পন্য: ধান, চাল, আলু, আম
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ (সর্বশেষ মে, ২০২১ সালে প্রকাশিত) অনুযায়ী বাংলাদেশে গম উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ঠাকুরগাঁও। ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও এ গমের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১,৭৫,৬৬৯ মেট্রিক টন যা ঢাকা অথবা খুলনা বিভাগের সবগুলো জেলায় মোট উৎপাদিত গমের তুলনায় অধিক। খাদ্যশস্য গমের অধিক ফলনের কারণে ঠাকুরগাঁও-কে বাংলাদেশের রুটির ঝুড়ি বলা হয়। [৪]
শিল্পসম্পাদনা
শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঠাকুরগাঁও চিনি কল অন্যতম। এছাড়া জেলায় বিসিক শিল্প নগরী আছে; সেখানে কিছু কারখানা আছে। এরমধ্যে বিস্কুট ফ্যাক্টরী, সাবান ফ্যাক্টরী, প্লাস্টিক কারখানা, ফ্লাওয়ার মিল এবং জুট মিল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও সালন্দর ইউনিয়নে কাজী ফার্মস এর ফীড মিল আছে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৬ সালে যুদ্ধত্তোর জনগণের বিশেষ করে অসহায় মহিলা ও পুরুষদের পূর্নবাসন ও কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে একটি বেসরকারী সংস্থা RDRS কর্তৃক ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়৷ ১৯৮১ সালের ৩০ জুন সরকারি সিদ্ধান্তে অলাভজনক ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানাটি রেশম বোর্ডের নিকট হস্তান্তরিত হয়৷ এ সময় কারখানাটিতে ২০টি রিলিং বেসিন, ৩টি শক্তিচালিত তাঁত, ১৯টি হস্তচালিত তাঁত ও আনুসংগিক যন্ত্রপাতি সংস্থাপিত ছিল ৷ কারখানাটির চলতি মুলধন না থাকায় কারখানা পরিচালনার যাবতীয় অর্থ বোর্ডের উন্নয়ন তহবিল থেকে ঋণ হিসেবে প্রদান করা হয়েছে৷ ১৯৯৬ হতে ১৯৯৯ সালে ১৬৩.৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিএমআরই প্রকল্পের অধীনে কারখানাটির ভবন বর্দ্ধিতকরণসহ অতিরিক্ত ২০টি শক্তিচালিত তাঁতসহ কিছু আনুসঙ্গিক যন্ত্রপাতি সংস্থাপিত হয়৷ কিন্তু আবর্তক তহবিলের অভাবসহ নানাবিধ কারণে কারখানাটি পরিচালনা সম্ভব হয়নি৷ ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্মরত ৮৬ জন জনবলকে গোল্ডেন হ্যান্ডসেকের মাধ্যমে চাকরি হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয় ৷ রেশম কারখানাটির উৎপাদন কখনই লক্ষ্যমাত্রায় পৌছতে পারেনি৷ কারখানা হতে আয় দ্বারা কখনই ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হয়নি৷ ফলে এটি একটি লোকসানমূখী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে পড়ে৷ কারখানাটিতে ফেব্রুয়ারি’২০০২ হতে নভেম্বর’২০০২ পর্যন্ত ১০ মাস শ্রমিকরে মজুরি প্রদান সম্ভব হয়নি৷ এ পর্যায়ে সরকারি সিদ্ধান্তে কারখানাটি বন্ধ ঘোষিত হয়৷[৫]
ভাষাসম্পাদনা
ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের স্থানীয় জনগণ সাধারণত কোচ রাজবংশীয় ভাষায় কথা বলে। এ ভাষাটি মূলত রাজবংশী, রংপুরী বা কামতাপুরী নামে পরিচিত যা ইন্দো-আর্য পরিবারভুক্ত একটি ভাষা। শ্রুতিমধুর এ ভাষা বাংলাদেশের দিনাজপুর, রংপুর অঞ্চলের মানুষ ছাড়াও ভারতের কোচবিহারের মানুষের মুখেও ব্যাপক প্রচলিত। রাজবংশী ভাষার কথ্যরূপগুলোর মধ্যে ৭৭-৮৯% মিল পাওয়া যায়। রাজবংশী ভাষা ৪৮-৫৫ ভাগ বাংলা, ৪৩-৪৯ ভাগ মৈথিলি এবং নেপালি শব্দ দ্বারা গঠিত।
অসমীয়া, সিলেটি এবং বাংলার সাথে তুলনাসম্পাদনা
ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত কামতাপুরী/ রাজবংশী | অসমীয়া | সিলেটি | বাংলা |
---|---|---|---|
মুই করু | মই করু | আমি/ মই করি | আমি করি |
মুই করুছু/ করিছু/ করছু | মই করি আসু | আমি/ মই করিয়ার/ কররাম | আমি করছি |
মুই করিছিনু/ করিসিনু | মই করিসিলু | আমি/ মই করসিলাম | আমি করেছি |
মুই করুছিনু/ করচিনু/ করসিনু | মই করি আসিলু | আমি/ মই করাত আসলাম | আমি করছিলাম |
মুই করিম | মই করিম | আমি/ মই করমু | আমি করব |
মুই করতে থাকিম | মই করি/ করাত থাকিম | আমি/ মই করাত থাকমু | আমি করতে থাকব |
শিক্ষাসম্পাদনা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: ১টি বিশ্ববিদ্যালয়: (প্রস্তাবিত);১টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ডিগ্রী কলেজ ১৮টি, ইন্টারমেডিয়েট কলেজ ২৭টি, মহাবিদ্যালয় ৪৬টি, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট- ১টি, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র- ০১টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়- ২৭৯টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়- ১৩৯টি, মাদ্রাসা- ১৬৯টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- ৪১৯টি, রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- ৪৪৬টি, কমিউনিটি- ৪১টি,। উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হল-
- ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় (প্রস্তাবিত)
- ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নির্মানাধীন)
- ঠাকুরগাঁও মেডিকেল কলেজ (স্থাপনের অপেক্ষায়)
- ঠাকুরগাঁও নার্সিং ইনস্টিটিউট
- ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
- ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ
- ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজ
- ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
- ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- ভেলাজান উচ্চ বিদ্যালয়
- আবুল হোসেন সরকার ডিগ্ৰী কলেজ
- রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয়
- সি এম আয়ূব বালিকা উচ্চবিদ্যালয়
- মাদার তেরেজা মিসোনারিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ
- পুরাতন ঠাকুরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়
- ইকো পাঠশালা ও কলেজ
- কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ঠাকুরগাঁও
- টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
- কারিগরি প্রশিক্ষন ইন্সটিটিউট ঠাকুরগাঁও
- টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট
- ভেলাজান আনছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসা
- খোশবাজার ছালেহীয়া দারুচ্ছুন্নাত কামিল মাদরাসা[৬]
- পুরাতন ঠাকুরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ঢোলার হাট এস সি উচ্চ বিদ্যালয়
- মথুরাপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়
- ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস হাই স্কুল
- ভাউলারহাট উচ্চ বিদ্যালয়
সংগঠন সমূহসম্পাদনা
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো -
১. অক্সিজেন (একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন)
২. অক্সিজেন জ্ঞান সমৃদ্ধ কেন্দ্র (নিবন্ধিত গণ-পাঠাগার)
৩. নারীমুক্তি (নারীবাদী সংগঠন /অক্সিজেন)
৪. অক্সিজেন ইয়ুথ ফোরাম (নিবন্ধিত যুব সংগঠন)
৫. অধিকার (প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা/ অক্সিজেন)
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বসম্পাদনা
নদীসমূহসম্পাদনা
ঠাকুরগাঁওয়ে অনেকগুলো নদী রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে টাঙ্গন নদী, ছোট ঢেপা নদী, কুলিক নদী, পুনর্ভবা নদী, তালমা নদী, পাথরাজ নদী, কাহালাই নদী, তীরনই নদী, নাগর নদী, তিমাই নদী, এবং নোনা নদী।[৭][৮] এছাড়াও আছে শুক নদী, ছোট সেনুয়া নদী, আমনদামন নদী, লাচ্ছি নদী এবং ভুল্লী নদী।
চিত্তাকর্ষক স্থানসম্পাদনা
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাসম্পাদনা
ঠাকুরগাঁও জেলায় বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত দুটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা আছে। সেগুলো হচ্ছে ঢোলার হাট মন্দির ও জামালপুর জামে মসজিদ।[৯] এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার নিয়ন্ত্রিত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হচ্ছে হরিপুর রাজবাড়ি,[১০] রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি, বাংলা গড়, জগদল রাজবাড়ি, গড়গ্রাম দুর্গ প্রভৃতি।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানসম্পাদনা
- হরিপুর জমিদারবাড়ি, হরিপুর উপজেলা
- চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,হরিপুর উপজেলা রংপুর বিভাগের সবচেয়ে সুন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়।
- নাগর নদীর পাড়,হরিপুর উপজেলা
- হরিপুর উপজেলা প্রসাশন শিশু পার্ক
- হরিপুর উপজেলা পরিষদের সবুজে ঘেরা পরিবেশ
- আমাই-দিঘি, হরিপুর উপজেলা পরিষদের চত্বর
- বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার, হরিপুর উপজেলা
- রামরাই দিঘি
- ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর
- ২০০ বছরের পুরোন এশিয়ার বৃহত্তম আম গাছ
- নারগুন খেজুর বাগান
- ইয়াকুবপুর টেরাকোটার মন্দির
- ভুল্লির বাঁধ
- থুমনিয়া শালবন
- রণবাগ চা বাগান হরিণমারি বালিয়াডাংগি
- ইসলাম টি স্ট্যাট হরিণমারি বালিয়াডাংগি
- রামদাড়া খাল
- ছোট বালিয়া মসজিদ
- সাগুনি শালবন ও রাবারড্যাম
- রহিমানপুর শিবমন্দির
- টাংগন ব্যারেজ
- বুড়ির বাঁধ
- বাসিয়াদেবির বাঁধ
- বলাকা উদ্দ্যান
- লোকায়ন জীববৈচিত্র জাদুঘর
- প্রেম বাগান ঠাকুরগাঁও শহর
- শিবশক্তি যোগপিঠ শিব মন্দির লক্ষীরহাট বড়গাঁ ইউনিয়ন
- খুনিয়া দিঘি বধ্যভূমি রানীশংকৈল উপজেলার ভান্ডারা গ্রামে;
- জাটিভাঙ্গা বধ্যভূমি, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুখুরী ইউনিয়নের জাটিভাঙ্গা গ্রামে;
- ডিসি পার্ক ঠাকুরগাঁও শহর
- জেলা পরিষদ শিশু পার্ক ঠাকুরগাঁও শহর
- ফান সিটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক - পীরগঞ্জ;
- রাজভিটা - হাটপাড়া, জাবরহাট ইউনিয়ন, পীরগঞ্জ উপজেলা;
- প্রাচীন রাজধানীর চিহ্ন - নেকমরদ, রানীশংকৈল উপজেলা;
- নেকমরদ মাজার - রানীশংকৈল উপজেলা;
- মহেশপুর মহালবাড়ি ও বিশবাঁশ মাজার ও মসজিদস্থল - রানীশংকৈল উপজেলা;
- শালবাড়ি ইমামবাড়া - ভাউলারহাট, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা;
- সনগাঁ মসজিদ - বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা;
- ফতেহপুর মসজিদ - বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা;
- মেদিনী সাগর মসজিদ - হরিপুর উপজেলা;
- গেদুড়া মসজিদ - হরিপুর উপজেলা;
- গোরক্ষনাথ মন্দির এবং কূপ - রানীশংকৈল উপজেলা;
- হরিণমারী শিব মন্দির - বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা;
- গোবিন্দনগর মন্দির - ঠাকুরগাঁও শহর;
- ভেমটিয়া শিবমন্দির - পীরগঞ্জ পৌরসভা;
- মালদুয়ার দুর্গ - রানীশংকৈল উপজেলা;
- গড় ভবানীপুর - হরিপুর উপজেলা;
- গড়খাঁড়ি - বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা;
- কোরমখান গড় - ঠাকুরগাঁও শহর;
- সপ্ন-জগৎ, দুরামারি ও রুহিয়া হাইওয়ে রোড সংলগ্ন, দুরামারি থেকে আনুমানিক তিন কিলোমিটার
- সাপটি বুরুজ - ঠাকুরগাঁও উপজেলা;
- দিঘি সমূহ - পুরো জেলা জুড়ে (গড়েয়াহাট দিঘি, লস্করা দিঘি, টুপুলী দিঘি, শাসলা ও পেয়ালা দিঘি, ঠাকুর দিঘি, আঠারোো গান্ডি পোখর, আধার দিঘি, হরিণমারী দিঘি, রতন দিঘি, দুওসুও দিঘি, খুনিয়া দিঘি, রানীসাগর, মেদিনীসাগর দিঘি)।
হাট-বাজার ও মেলাসম্পাদনা
- প্রধান প্রধান হাট-বাজারসমূহ:— নেকমরদ হাট, কালিবাড়ী বাজার, ঠাকুরগাঁও রোড বাজার, শিবগঞ্জ বাজার, কলেজ বাজার পীরগঞ্জ, খোচাবাড়ী হাট, রুহিয়া রামনাথ হাট, গড়েয়া হাট, কালমেঘ হাট, যাদুরানী হাট, ফাড়াবাড়ী হাট, বেগুনবাড়ী হাট,কাতিহার হাট, লাহিড়ী হাট।
- মেলাসমূহ:— কালিমেলা, রুহিয়া আজাদ মেলা, নেকমরদ মেলা।[১১]
চিত্রশালাসম্পাদনা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় প্রবাহিত শুক নদীর দৃশ্য।
ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন সেতু থেকে টাঙ্গন নদীর দৃশ্য।
রাণীসংকৈল উপজেলার পাশ দিয়ে প্রবাহিত কুলিক নদী।
হরিপুর উপজেলা চত্বরে অবস্থিত আমাই দীঘি।
ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের বিজ্ঞান ভবন।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরেঠাকুরগাঁও"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৩ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ঠাকুরগাঁও জেলা তথ্য বাতায়ন
- ↑ ধনঞ্জয় রায়, দিনাজপুর জেলার ইতিহাস, কে পি বাগচী অ্যান্ড কোম্পানি কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ২০০৬, পৃষ্ঠা ২১১
- ↑ কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ-২০২০, Year Book of Agricultural Statistics of Bangladesh 2020 (মে ২০২১)। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। পৃষ্ঠা ৭৪।
- ↑ বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড (ডিসেম্বর ১৬, ২০২০)। "বাংলাদেশের রেশম কারখানার ইতিহাস ও অবস্থা"। বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১।
- ↑ দৈনিক লোকায়ন (ঠাকুরগাঁও জেলার একমাত্র পত্রিকা) ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (২১৫তম সংখ্যা)
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১৭। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ "প্রত্নস্হলের তালিকা"। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। http://www.archaeology.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
|প্রকাশক=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "হরিপুর জমিদার বাড়ি"। উপজেলার তথ্য বাতায়ন। হরিপুর: উপজেলা তথ্য বাতায়ন। unknown। সংগ্রহের তারিখ 2016-12-22। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ www.thakurgaon.gov.bd
- ঠাকুরগাঁও পরিক্রমাঃ ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ঠাকুরগাঁও ফাউন্ডেশন।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |