কুলিক নদী
কুলিক নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী।[১] রাজা টংকনাথের প্রাসাদ এই কুলিক নদীর তীরে অবস্থিত।[২]
কুলিক নদী | |
---|---|
![]() | |
দেশ | ভারত ও বাংলাদেশ |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার |
বিভাগ | রাজশাহী |
শহর | |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
মূল উৎস | হিমালয় |
মোহনা | নাগর নদী গোদাগিরি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ ২৪°২৯′২৪″ উত্তর ৮৮°১৮′১৪″ পূর্ব / ২৪.৪৯০০০° উত্তর ৮৮.৩০৩৮৯° পূর্ব |
অববাহিকার আকার | ২০,৬০০ বর্গকিলোমিটার (৮,০০০ বর্গমাইল) |
উপনদী |
|
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
দৈর্ঘ্য | ৩৬০ কিলোমিটার (২২০ মাইল) |
কুলিক ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য বাংলাদেশ অংশে ৬.৩৬ কিমি এবং ভারতের অংশে ৭৫.৬৪ কিমি।[৩]
নদীটির ভুটডাঙ্গী এলাকায় প্রস্থ ১০০ মিটার এবং সেখানে এর গভীরতা ৩০ মিটার। আর নদী অববাহিকার আয়তন ১৫০ বর্গকিমি। নদীটিতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে। এপ্রিল মাসের দিকে শুকনো মৌসুমে প্রবাহ কমে যায়। আগস্ট মাসের বর্ষা মৌসুমে যখন পানিপ্রবাহ সর্বোচ্চ হয় তখন পানিপ্রবাহের পরিমাণ হয় ১১৫ ঘ্নমিটার/সেকেন্ড। এই নদীতে জোয়ারভাটার প্রভাব নেই।[৩]
ভারতসম্পাদনা
পশ্চিমবঙ্গে, এটি উত্তর দিনাজপুর জেলার মধ্য দিয়ে গেছে এবং এর চারপাশে একটি পাখি অভয়ারণ্য রয়েছে। ২০১৭ সালে এই নদীর প্লাবনে তিনজনের মৃত্যু হয়। অবৈধভাবে বর্জ্য ফেলা এবং নদীর জমি দখলের কারণে নদীটি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নদীটিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশসম্পাদনা
নদীটি বাংলাদেশের উত্তরাংশের ঠাকুরগাঁও উপজেলা ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বিল এলাকা থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশের হরিপুর উপজেলার বাংলাদেশ অংশে পড়েছে। বাংলাদেশের প্রবাহপথে বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকাইল ও হরিপুর উপজেলা রয়েছে।[৩]
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "আন্তঃসীমান্ত_নদী"। বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ "Raja Tonkonath's Palace in ruins"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২১।
- ↑ ক খ গ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১৭১।
বাংলাদেশের নদী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |