কুলিক নদী

বাংলাদেশের নদী

কুলিক নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী[১] রাজা টংকনাথের প্রাসাদ এই কুলিক নদীর তীরে অবস্থিত।[২] এই নদীর একটি প্রধান উপনদী হচ্ছে কাহালাই নদী

কুলিক নদী
Kulik River (4) 01.jpg
দেশসমূহ বাংলাদেশ, ভারত
রাজ্যসমূহ রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ
অঞ্চলসমূহ বিভাগ, রংপুর বিভাগ
জেলা ঠাকুরগাঁও জেলা
উপনদী
 - বাঁদিকে টাঙ্গন নদী, নাগর নদী
 - ডানদিকে মেচী নদী, কানকাই নদী, বালাসন নদী, কালিন্দ্রী নদী
উৎস নরলাই বিল, ঠাকুরগাঁও সদর
 - স্থানাঙ্ক ২৬°০২′১৮″ উত্তর ৮৮°২২′১১″ পূর্ব / ২৬.০৩৮৩৫৪° উত্তর ৮৮.৩৬৯৮২৬° পূর্ব / 26.038354; 88.369826
মোহনা নাগর নদী
 - অবস্থান বিশাহার, উত্তর দিনাজপুর জেলা, পশ্চিমবঙ্গ
 - স্থানাঙ্ক ২৫°৩৩′৩০″ উত্তর ৮৮°০২′৩০″ পূর্ব / ২৫.৫৫৮২৫৬° উত্তর ৮৮.০৪১৭৬১° পূর্ব / 25.558256; 88.041761
দৈর্ঘ্য ৩৬০ কিলোমিটার (২২৪ মাইল)

কুলিক ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য বাংলাদেশ অংশে ৬.৩৬ কিমি এবং ভারতের অংশে ৭৫.৬৪ কিমি।[৩]

নদীটির ভুটডাঙ্গী এলাকায় প্রস্থ ১০০ মিটার এবং সেখানে এর গভীরতা ৩০ মিটার। আর নদী অববাহিকার আয়তন ১৫০ বর্গকিমি। নদীটিতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে। এপ্রিল মাসের দিকে শুকনো মৌসুমে প্রবাহ কমে যায়। আগস্ট মাসের বর্ষা মৌসুমে যখন পানিপ্রবাহ সর্বোচ্চ হয় তখন পানিপ্রবাহের পরিমাণ হয় ১১৫ ঘ্নমিটার/সেকেন্ড। এই নদীতে জোয়ারভাটার প্রভাব নেই।[৩]

বাংলাদেশসম্পাদনা

 
রানীশংকাইল উপজেলার পূর্ব পাশ থেকে কুলিক নদীর দৃশ্য।

নদীটি বাংলাদেশের উত্তরাংশের ঠাকুরগাঁও উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের নারলাই বিল এলাকা থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশের হরিপুর উপজেলার বাংলাদেশ অংশে পড়েছে। বাংলাদেশের প্রবাহপথে বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকাইল ও হরিপুর উপজেলা রয়েছে।[৩]

ভারতসম্পাদনা

পশ্চিমবঙ্গে, এটি উত্তর দিনাজপুর জেলার মধ্য দিয়ে গেছে এবং এর চারপাশে রায়গঞ্জ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য রয়েছে। ২০১৭ সালে এই নদীর প্লাবনে তিনজনের মৃত্যু হয়। অবৈধভাবে বর্জ্য ফেলা এবং নদীর জমি দখলের কারণে নদীটি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নদীটিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।

আরও দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "আন্তঃসীমান্ত_নদী"বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪ 
  2. "Raja Tonkonath's Palace in ruins"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২১ 
  3. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১৭১।