আবদুল আউয়াল জৌনপুরী
মাওলানা আবদুল আউয়াল জৌনপুরী একজন ইসলামী পন্ডিত (আলেম) লেখক ও ধর্মপ্রচারক ছিলেন। তিনি ওয়াজ নসীহত করে মানুষকে ইসলামি মূল্যবোধের প্রতি আহবান করতেন। তিনি মূলত বাংলা ও আসাম অঞ্চলে ধর্মপ্রচার করেন। তিনি আরবি, উর্দু ও ফারসি ভাষায় ১২১টি বই রচনা করেন।[১]
মাওলানা আবদুল আউয়াল জৌনপুরী ধর্ম প্রচারক, ইসলামী পন্ডিত ও লেখক | |
---|---|
জন্ম | আনু. ১৮৬৭ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ![]() (বর্তমান ![]() |
মৃত্যু | ১৮ জুন ১৯২১ মানিকতলা, কলকাতা, ভারত | (বয়স ৫৩–৫৪)
সমাধিস্থল | মানিকতলা, কলকাতা, ভারত |
ভাষা | বাংলা |
নাগরিকত্ব | ![]() (বর্তমান ![]() |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | সওলাতিয়া মাদ্রাসা, মক্কা, সৌদি আরব |
সময়কাল | ১৮৮৯-১৯২১ |
উল্লেখযোগ্য রচনা | আরবি, উর্দু ও ফারসি ভাষায় মোট ১২১টি গ্রন্থ |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | ব্রিটিশ সরকার ও মুসলিম নওয়াবদের নিকট থেকে প্রশংসাপত্র |
দাম্পত্যসঙ্গী | ফাখিরা বিবি |
সন্তান | আবদুল বাতিন জৌনপুরী (ছেলে) |
আত্মীয় | হাফিজ আহমদ জৌনপুরী (ভাই) |
জন্ম ও শিক্ষা জীবনসম্পাদনা
মাওলানা আবদুল আউয়াল জৌনপুরী ১৮৬৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা শাহ কারামত আলী জৌনপুরী এবং মাতা বাতুল বিবি। তিনি ১৩ বছর বয়সে পবত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ করেন। তিনি লক্ষ্ণৌ এবং কলকাতাতে লেখাপড়া শেষে ১৮৮৭ সাল থেকে ১৮৮৯ সাল পর্যন্ত সওলাতিয়া মাদ্রাসায, মক্কায় উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেন।[১]
কর্মজীবনসম্পাদনা
আবদুল আউয়াল জৌনপুরী ১৮৮৯ সালে জৌনপুর ফিরে ইসলাম প্রচার সমাজ সংস্কারের উদ্দেশে সারা দেশে ওয়াজ নসীহত করে করেন। তিনি বাংলাদেশে অনেক স্থানে মাদ্রাসা ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯ শতকের প্রথমদিকে ঢাকা শহরের আরমানিটোলায় মাদ্রাসা-ই-হাম্মাদিয়া স্থাপন করেন। মাদ্রাসাটি ১৯৪০ সালে স্কুলে রূপান্তরিত হয়ে যায়। তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ মুসলিম নওয়াব ও ব্রিটিশ সরকারের নিকট থেকে প্রশংসাপত্র পান।[১]
রচনাকর্মসম্পাদনা
মাওলানা আবদুল আউয়াল জৌনপুরী ছিলেন প্রতিভাবান লেখক। তিনি ইসলামের মৌলিক ইতিহাস, চরিত্র গঠন, সুফিবাদ ও সাধারণ ইসলামি শক্ষা বিষয়ে উর্দু, আরবি ও ফারসি ভাষায় একশ একুশটি বই রচনা করেন। এর মধ্যে ৮৯টি প্রকাশ হয়েছে।[১]
মৃত্যুসম্পাদনা
আবদুল আউয়াল জৌনপুরী ছিলেন প্রতিভাবান লেখক। তিনি ইসলামের মৌলিক ইতিহাস, চরিত্র গঠন, সুফিবাদ ও সাধারণ ইসলামি শক্ষা বিষয়ে উর্দু, আরবি ও ফারসি ভাষায় একশ একুশটি বই রচনা করে১৮ জুন ১৯২১ সালে তিনি কলকাতার মানিকতলায় মৃত্যুবরণ করেন এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।[১]
পারিবারিক জীবনসম্পাদনা
মাওলানা আবদুল আউয়াল জৌনপুরী ছিলেন প্রতিভাবান লেখক। তিনি ইসলামের মৌলিক ইতিহাস, চরিত্র গঠন, সুফিবাদ ও সাধারণ ইসলামি শক্ষা বিষয়ে উর্দু, আরবি ও ফারসি ভাষায় একশ একুশটি বই রচনা করের স্ত্রী ফাখিরা বিবি। তাদের সন্তান মাওলানা আবদুল বাতিন জৌনপুরী। তার (আবদুল আউয়াল জৌনপুরী) ১৪ ভাইয়ের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য মাওলানা হাফিজ আহমদ জৌনপুরী।[১]