লাকসাম উপজেলা
লাকসাম উপজেলা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। কুমিল্লা সদর থেকে মাত্র ২৯ কিলোমিটার দক্ষিণে ডাকাতিয়া নদীর তীরে এই উপজেলাটি অবস্থিত। এ উপজেলার সদর হল লাকসাম শহর। লাকসাম শহরটি বাণিজ্যের শহর হিসেবে পরিচিত। এ উপজেলায় অবস্থিত লাকসাম পৌরসভা বর্তমানে একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। বাংলাদেশের বৃহত্তম পাঁচটি রেলওয়ে জংশনের মধ্যে একটি এখানে অবস্থিত। লাকসাম থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয় ১৯৮২ সালে। এছাড়াও নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণীর জন্মস্থান হিসেবেও লাকসাম ব্যাপক পরিচিত। এখানে একটি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারী কলেজ ও রয়েছে। এছাড়াও এখানে ঐতিহ্যবাহী নারায়ণপুর দাখিল মাদ্রাসা অবস্থিত।
লাকসাম | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে লাকসাম উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১৫′ উত্তর ৯১°৮′ পূর্ব / ২৩.২৫০° উত্তর ৯১.১৩৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | কুমিল্লা জেলা |
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ | ২৫৭ কুমিল্লা-৯ |
সরকার | |
• জাতীয় সংসদ সদস্য | তাজুল ইসলাম (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ) |
• উপজেলা চেয়ারম্যান | এডভোকেট ইউনুস ভুঁইয়া |
আয়তন | |
• মোট | ১৫২.০৬ বর্গকিমি (৫৮.৭১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১)[১] | |
• মোট | ২,৭৬,১৭৬ |
• জনঘনত্ব | ১,৮০০/বর্গকিমি (৪,৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৮৭.৯০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১৯ ৭২ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তনসম্পাদনা
কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত লাকসাম উপজেলাটির আয়তন ৪২৯.৩৪ বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ও বরুড়া উপজেলা, দক্ষিণে নাঙ্গলকোট উপজেলা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে নাঙ্গলকোট উপজেলা ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে পশ্চিমে বরুড়া উপজেলা ও চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকাসম্পাদনা
লাকসাম উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম লাকসাম থানার আওতাধীন।
জনসংখ্যাসম্পাদনা
জনসংখ্যা ২,৭৬,১৭৬ জন (২০০১ সালে আদম শুমারী অনুযায়ী)। পুরুষ: ১,৩৭,৯৭০ জন , মহিলা: ১,৩৮,২০৬ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব: ১৮১৬ জন (প্রতি বর্গ কি.মি.) [২]
উপজেলার ইতিহাস এবং ঐতিহ্যসম্পাদনা
এ উপমহাদেশে একমাত্র নারী নবাব মুসলিম জমিদার ফয়জুন্নোসার অমর স্মৃতি বিজড়িত স্থান তৎকালীন হোমনাবাদ পরগণার পশ্চিমগাঁও এলাকাটি লাকসাম উপজেলায় অবস্থিত। ঐতিহাসিকভাবে নানা কারণে লাকসাম উপজেলার বেশ খ্যাতি রয়েছে। ১৮৮৩ সালে এদেশে যখন ব্রিটিশ সরকার রেল লাইন স্থাপন করেন তখন দৌলতগঞ্জের উত্তরাংশে উচ্চ ভূমিতে রেলওয়ে জংশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। বড়তুপা মৌজাতে যে, রেলওয়ে জংশনটির গোড়া পত্তন হয় সেটির নামই হলো লাকসাম রেলওয়ে জংশন।
উল্লেখযোগ্য স্থানসম্পাদনা
- নবাব ফয়জুন্নেসা জমিদার বাড়ি
- নারায়ণপুরের হুজুর বাড়ি, যা বর্তমানে মাদ্রাসা বাড়ি নামে পরিচিত।
- জনাব আব্দুল মান্নান সাহেবের বাড়ি, নারায়ণপুর দাখিল মাদ্রাসার সামনেই অবস্থিত।
- দিশাবন্ধের নবীসুর মসজিদ
- গাইনের ডহরা বড় মসজিদ
- পশ্চিমগাঁও কাজী মসজিদ
- গাজীমুড়ার করিম হায়দার এর বাড়ি
- লাকসাম উত্তর বাজার জামে মসজিদ
- ডোমবাড়িয়া শাহী জামে মসজিদ
- হাজী ইউনুস মিয়া ঈদগাহ, ডোমবাড়িয়া
- অতুল কৃষ্ণ রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি (বর্তমানে মৈশান বাড়ি নামে পরিচিতি)
- মোহমত্ম বাড়ি
- ভেলুয়া সুন্দরী বাড়ি,নরপাটি
- গুম্বজ মসজিদ
- সংকুর দিঘি, সংকুর পাড়, বাকই
- হযরত শাহ এর বাড়ি, নরপাটি
- দেওয়ান শাহ এর বাড়ি, নরপাটি
- নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ, পশ্চিমগাঁও, লাকসাম
- লাকসাম জগন্নাথ দিঘী ও মন্দির
ভাষা ও সংষ্কৃতিসম্পাদনা
এই বৃহত্তর লাকসামের রয়েছে বিরাট একটা ভাষা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বলয়। লাকসামের গর্বের ধন নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী সর্বপ্রথম ’’রুপজালাল ’’ কাব্য লেখেন। বঙ্কিমচন্দ্র ও মীর মোশাররফের আমলে যা কখনও কল্পনা করা যায়নি, তা ফয়জুন্নেছার লেখায় সম্ভব হয়েছে। গীত লিখেছেন তিনি। প্রচুর গীত কবিতার সমন্বয়ে লিখেছেন ’’সংগীত লহরী’’। সাংস্কৃতিরই একটি বিশেষ অংশ সংগীত। তিনি লিখেছেন বারমাসী যা ছিল এমনরুপঃ-
বিয়ের গান-
প্রথমে প্রভূকে স্মরি হাত মুখ ধৌত করি পরে করি মস্তক ঘর্ষণ নালো সজনী
ঠাঁই ঠাঁই যত নারী একে অন্য জনে ধরি গায় গীত সবাই কৌতূহলে নালো সজনী।
প্রায় ১৮৭৬ সালের এই লেখা কালজয়ী ভাষা ও সংস্কৃতির অঙ্গন হয়ে আছে। বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনে অনন্ত কৃষ্ণ ধর লাকসামের কোন এক অঞ্চল থেকে যে পত্রিকা প্রকাশ করেছেন তা জেলা গেজেটিয়ারে পাওয়া যায়। পত্রিকার নাম ছিল ’’নূতন আলো ’’। এটি ফয়জুন্নেছারও অনেক পূর্বেকার পত্রিকা ছিল। জেলা গেজেটিয়ারে ২১৬ পৃষ্টায় যা ছাপা হয়েছিল সেটির কোন কপি আজও সংগ্রহ করা যায়নি। লাকসামের ভাষার ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ তা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বের করতে হবে এবং আঞ্চলিক ভাষার উৎকর্ষ সাধনে তৎপর হতে হবে।
গাজীকালু চম্পাবতী, সোনাইবিবির গান, কবি গান, পালা গান, সীতা বিলাপ, আরোও কত কি গজল গান, গীত এ অঞ্চলের লোক মুখে গীত হত। গ্রামে গ্রামে জারীসারী গানের আসর বসত। ঢোল, কর্তাল, সারিন্দা, দোতারা, একতারা, খঞ্জনী এসব কত রকমের গানের সাথে বাজনার আগমন ঘটল। পুঁথির সাহায্যে পুঁথি পাঠের আসর বসত জমজমাট হয়ে। পাল্টা পুঁথির আসর বসত গ্রামে এবং এ জনপদের হাট-বাজারে লাকসাম কেন্দ্রিক গ্রাম্য সংস্কৃতির সঙ্গে পুঁথি পাঠ ও কবি গানের প্রচলন ছিল। বিয়ে-শাদীতে কবি গানের আসর বসত এবং উৎসব আয়োজনের অঙ্গনে ছড়ার কাটাকাটি হত অনেক উপভোগ্য। বিয়ে বাড়ীর বা কোন পুজো পার্বনে ভাব আদান প্রদানে পানের খিলির কদর ছিল। কে কত প্রকার পানের খিলি বানাতে পারে বা হুক্কাতে তামাক সাজাতে পারে তা দেখার বিষয় ছিল। আত্মীয় এলে প্রথমেই পান, পিড়ি অতঃপর তামাক জল পিড়িতে বসতে দেয়া একটা ঐতিহ্য ছিল।জমিদার বাড়ীতে নাটক, জারী-সারী, গানের আসর বসত, জমিদারেরা শিল্পীদেরকে উৎসাহ যোগাত এবং যাত্রা গানেরও কদর ছিল।
কাকড়ী ও ডাকাতিয়া নদী একসময় এ জনপদের উপর দিয়ে প্রবাহিত হতো। বর্তমানে নদী দু’টি পলি মাটিতে ভরাট হয়ে প্রায় পানিশূন্য হতে চলছে। লাকসাম জনপদের আরেক জন গীতি কবি প্রয়াত এস,এম হেদায়েত। স্বাধীনতা আন্দোলনে তার লেখার প্রভাব পড়েছিল অনেক।উত্তর লাকসামের হিন্দু ও বৌদ্ধদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় আচার আচরণ ভাষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে।
পঞ্চাশের দশকে লাকসামে লেখক সংঘ গঠন করা হয়েছিল। উহার কার্যক্রম এখনও পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রয়াত অধ্যাপক বীরেন্দ্র কিশোর মজুমদার উহার বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন। কবি আলাওলের উপর তার লেখা সমাজে সমাদৃত হয়েছিল। নোয়াখালী রামচন্দ্রপুর কলেজের প্রফেসার ইব্রাহিম রহমত উল্ল্যা ও একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন। বর্তমান শিল্প সাহিত্যের গবেষক অধ্যাপক এহেতেশাম হায়দার চৌধুরী বর্তমানে নিমসার কলেজে আছেন। যারা লাকসামের সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদান রেখে যাচ্ছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত উপাচার্য প্রফেসর এম শামছুল হক, সংঘরাজ প্রয়াত জ্যোতিপাল মহাথেরো লাকসামের লোক।
নদ-নদীসম্পাদনা
লাকসামের উল্লেখযোগ্য ও একমাত্র নদী ডাকাতিয়া, এর উৎপত্তি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এবং কুমিল্লা জেলার উপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে চাঁদপুর জেলায় মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।[৩] ডাকাতিয়া নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২০৭ কিলোমিটার। এটি লাকসাম পৌরসভা, বাকই, মুদাফ্ফরগঞ্জ, কান্দিরপাড় এবং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই নদী চৌদ্দগ্রাম খাল এবং নোয়াখালী খালের সাথেও যুক্ত। এক সময় এ নদীই ছিল লাকসাম উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। বর্তমানেও সীমিত আকারে ডাকাতিয়া নদীর মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে মালামাল পার করা হয়। বর্তমানে এই ডাকাতিয়া নদীর পানি দ্বারা শীত ও গরমকালে কৃষিকাজ করা হয়। অধিকন্তু এই নদীতে বিভিন্ন প্রকারের অনেক সুস্বাদু মাছ পাওয়া যায়।
শিক্ষাসম্পাদনা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসম্পাদনা
লাকসাম উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৭ টি, রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ০৯ টি, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৫টি,মাদ্রাসার সংখ্যা ১৮টি, ইন্টারমেডিয়েট কলেজ ০৫টি ও [ডিগ্রী কলেজ] ০২টি রয়েছে। যথাঃ নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ ও নীলকান্ত ডিগ্রী কলেজ।
অর্থনীতিসম্পাদনা
বর্তমানে লাকসামের শিক্ষার হার ৪৩.৮১%। মোট জনসংখ্যার ৩৪.০৫% কৃষি, ১১.২১% ব্যবসা, ১৩.৫৫% চাকরি, ৩.২৮% পরিবহন ১৯.০৮% কৃষি শ্রমিক, ৩.৭৭%অকৃষি শ্রমিক, ১.২১% নির্মাণ শ্রমিক এবং ১৩.৮৫% অন্যান্য পেশার উপর নির্ভরলশীল।[৪]
লাকসাম উপজেলার প্রধান ফসল হলো ধান,আলু, বেগুন,টমেটো.শাকসবজি। যোগাযোগ ব্যবস্থায় রয়েছে পাকা রাস্তা ৬৮ কি.মি., আধা পাকা ১০ কি.মি., কাঁচা রাস্তা ২০০ কি.মি. , নৌপথ ২৪ কি.মি., রেলপথ ৩০ কি.মি. । শিল্প কারখানার মধ্যে সিগারেট ফ্যাক্টরী, চাউলকল তৈল কল উল্লেখযোগ্য।
পৌর এলাকাসহ লাকসাম উপজেলায় প্রায় ২৫ টি হাটবাজার রয়েছে। লাকসামে বরতমানে প্রায় ২০ টি অটো রাইচ ও ফ্লাওয়ার মিল, প্রায় ১০ টি সরিষার তেলের মিল, একাধিক সিগারেট ফ্যাক্টরিসহ শতাধিক ভোগ্যপণ্যের ফ্যাক্টরি রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বসম্পাদনা
- হযরত মাওলানা আফসার উদ্দিন (রহঃ)। প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণপুর দাখিল মাদ্রাসা, উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম ছিলেন।
- হযরত পীর মোল্লা কাজীম উদ্দিন কালিয়াপুরী (রহঃ)
- হযরত পীর আব্দুর রহমান কালিয়াপুরী (রহঃ)
- মৌলভী হাজী ইউনুস মিয়া (নায়েব, পশ্চিমগাঁ জমিদার বাড়ি) — বর্তমান শিক্ষা সচিব আবু বকর ছিদ্দিক সাহেবের পিতা। গ্রাম— ডোমবাড়িয়া।
- আবুল খায়ের বিএসসি — লাকসাম উপজেলার প্রথম বিএসসি। গ্রাম — ডোমবাড়িয়া।
- আবু বকর ছিদ্দিক (সচিব) — চেয়ারম্যান, ভূমি সংস্কার বোর্ড (বর্তমান)। এর পূর্বে তিনি বাংলাদেশ সরকারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিযুক্ত ছিলেন। জন্ম — ৮নং লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের ডোমবাড়িয়া গ্রামে।
- নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী
- আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিন — আধুনিক বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক ও সাবেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা।
- সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী — বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, ইসলামী পন্ডিত ও চাঁদপুরী শাহ দরবারের বর্তমান পীর।
বিবিধসম্পাদনা
লাকসাম জংশনসম্পাদনা
লাকসাম স্টেশন দেশের অন্যতম বৃহৎ জংশন। লাকসাম রেলওয়ে জংশন প্রায় ৩০০ একর সম্পত্তির উপর ১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে একসময় প্রায় ১৭০০ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করত। বর্তমানে রেলওয়ের দৈন্যদশায় ২০০ এর মত লোক কাজ করছে। লাকসাম জংশন স্টেশনে বর্তমানে বিরাট স্টেশন বিল্ডিংসহ ৪ টি প্ল্যাটফরম রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ২০ জোড়া ট্রেন লাকসামের উপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করছে।
খেলাধুলা ও বিনোদনসম্পাদনা
লাকসাম স্টেডিয়াম লাকসাম জংশন এর খুব কাছেই অবস্থিত। একে কেন্দ্র করেই এ অঞ্চলের খেলাধুলার প্রসার হয়েছে। তাছাড়া আরো অনেকগুলো বড় মাঠ ছিল। সেগুলোর বেশিরভাগই বড় বড় দালানে ভরে গেছে ।
লাকসামে দুটো সিনেমা হল আছে। পড়শী সিনেমা হল আর পলাশ সিনেমা হল । এগুলো বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে গেছে। তবে ব্যক্তিগত এবং দলগত ভাবে অনেকেই সংস্কৃতির চর্চা করে। এগুলো সাধারনত বিভিন্ন স্কুল-কলেজ কেন্দ্রিক।
জনপ্রতিনিধিসম্পাদনা
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৫] | সংসদ সদস্য[৬][৭][৮][৯][১০] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৫৭ কুমিল্লা-৯ | লাকসাম উপজেলা এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলা | তাজুল ইসলাম | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে লাকসাম"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "লাকসাম উপজেলা"। laksam.comilla.gov.bd।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ লাকসামের নদ-নদী ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে, সর্বনাশা ডাকাতিয়া।
- ↑ লাকসামের অর্থনীতি ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ মে ২০১৩ তারিখে, লাকসাম উপজেলার ব্যবসা বাণিজ্য।
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।