লাকসাম
লাকসাম বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি শহর। এটি কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত লাকসাম উপজেলার প্রশাসনিক সদরদপ্তর ও প্রধান শহর। এটি একটি বৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্র ও রেলওয়ে শহর।
লাকসাম | |
---|---|
শহর | |
বাংলাদেশে লাকসাম শহরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১৪′২১″ উত্তর ৯১°০৭′২৬″ পূর্ব / ২৩.২৩৯২৭১° উত্তর ৯১.১২৩৯৯৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | কুমিল্লা জেলা |
উপজেলা | লাকসাম উপজেলা |
উপজেলা শহর | ১৯৮২ |
পৌরশহর | ১৯৮৪ |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | লাকসাম পৌরসভা |
• পৌরমেয়র | মোঃ আবুল খায়ের[১] |
আয়তন | |
• মোট | ১৯.৮৬ বর্গকিমি (৭.৬৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ১,০৫,৯৩৫ |
• জনঘনত্ব | ৫,৩০০/বর্গকিমি (১৪,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬) |
ইতিহাস
সম্পাদনালাকসাম থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮২সালে। তখন লাকসাম শহরকে উপজেলা সদর করা হয়। ১৯৮৪ সালে লাকসাম পৌরসভা গঠন করা হলে লাকসাম পৌরশহরের মর্যাদা লাভ করে।
ভৌগোলিক উপাত্ত
সম্পাদনালাকসাম শহরের অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৩°১৪′২১″ উত্তর ৯১°০৭′২৬″ পূর্ব / ২৩.২৩৯২৭১° উত্তর ৯১.১২৩৯৯৭° পূর্ব। সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ৭ মিটার। লাকসামের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ডাকাতিয়া নদী যা ভারতের রঘুনন্দন পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উত্তর দিয়ে লাকসামে প্রবেশ করেছে। ডাকাতিয়া নদীর দৈর্ঘ্য ৭৫ কিমি, প্রস্থ ২৫০ ফুট। বর্তমান গড় গভীরতা ৪০ ফুট।
প্রশাসন
সম্পাদনালাকসাম শহর লাকসাম পৌরসভা দ্বারা পরিচালিত হয়। শহরটি ৯টি ওয়ার্ড এবং ৩১টি মহল্লায় বিভক্ত। ১৯.৮৬ বর্গ কি.মি. আয়তনের লাকসাম শহরের ১৯.৪২ বর্গ কি.মি. এলাকা লাকসাম পৌরসভা দ্বারা শাসিত হয়। এ পৌরসভার প্রশাসনিক কার্যক্রম লাকসাম থানার আওতাধীন।
যোগাযোগ
সম্পাদনাসড়ক পথে ঢাকা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক পথ ধরে কুমিল্লা বিশ্ব রোড হতে ২৫ কিলোমিটার দূরে নোয়াখালী মহাসড়কে লাকসাম অবস্থিত। কুমিল্লা সদর থেকে, নোয়াখালী, মাইজদী, লক্ষ্মীপুর জেলা সদর থেকে বাস লাকসামে চলাচল করে। এই শহরে লাকসাম জংশন স্টেশন অবস্থিত। এতে ঢাকার কমলাপুর চট্টগ্রাম, সিলেট, চাঁদপুর, নোয়াখালী থেকে ট্রেন আসা যাওয়া করে।
অর্থনীতি
সম্পাদনালাকসামের প্রধান ফসল হলো ধান, আলু, বেগুন, টমেটো, শাকসবজি। এখানে অনেক ময়দার মিল, তৈলের মিল, সিগারেট ফ্যাক্টরীসহবিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান। শহরে লাকসাম বাজারসহ কয়েকটি ব্যবসাকেন্দ্রে প্রচুর জনসংযোগ হয়ে থাকে এবং প্রচুর বেচাকেনাও হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ঢাকা, চট্টগ্রাম, চৌমুহনী, চাঁদপুর হতে সংগ্রহ করে লাকসামের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রয় করছে। লাকসামে বর্তমানে প্রায় ২০ টি চালের কল ও ময়দার মিল, প্রায় ১০ টি সরিষার তেলের মিল, একাধিক সিগারেট ফ্যাক্টরিসহ শতাধিক ভোগ্যপণ্যের কারখানা রয়েছে।
পত্রিকা
সম্পাদনা- পত্র পত্রিকা
- সাপ্তাহিক
- সাপ্তাহিক লাকসাম
- সাপ্তাহিক লাকসাম বার্তা
- সাপ্তাহিক আলোর দিশারী
- সাপ্তাহিক সময়ের দর্পণ
- সাপ্তাহিক নকসী বার্তা
- সাপ্তাহিক জয় কন্ঠ
- দৈনিক
- দৈনিক তরুন কন্ঠ
নদী
সম্পাদনালাকসামের উল্লেখযোগ্য ও একমাত্র নদী ডাকাতিয়া নদী, এই নদীটি ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নদী গোমতী নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে সদর দক্ষিণ, লালমাই, চৌদ্দগ্রাম এবং লাকসাম ও মনোহরগন্জ থানা হয়ে চাঁদপুরে পদ্মা ও মেঘনা নদীর সাথে মিশে গেছে।
খেলাধুলা
সম্পাদনা- ১ম বিভাগ ফুটবল লীগ[২]
- প্রতি বৎসর ভলিবল লীগ অনুষ্ঠিত হয়
- আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল প্রতিযোগিতা এবং
- আন্তঃ স্কুল বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- কালিয়াপুর দরবার শরীফ
- দৌলতগঞ্জ গাজীমুড়া কামিল মাদ্রাসা
- নবাব ফয়জুন্নেসা জমিদার বাড়ি
- নারায়ণপুরের হুজুর বাড়ি, যা বর্তমানে মাদ্রাসা বাড়ি নামে পরিচিত
- দিশাবন্ধের নবীসুর মসজিদ
- গাইনের ডহরা বড় মসজিদ
- পশ্চিমগাঁও কাজী মসজিদ
- গাজীমুড়ার করিম হায়দার এর বাড়ি
- লাকসাম উত্তর বাজার জামে মসজিদ
- ডোমবাড়িয়া শাহী জামে মসজিদ
- হাজী ইউনুস মিয়া ঈদগাহ, ডোমবাড়িয়া
- অতুল কৃষ্ণ রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি (বর্তমানে মৈশান বাড়ি নামে পরিচিতি)
- মোহমত্ম বাড়ি
- ভেলুয়া সুন্দরী বাড়ি,নরপাটি
- গুম্বজ মসজিদ
- সংকুর দিঘি, সংকুর পাড়, বাকই
- হযরত শাহ এর বাড়ি, নরপাটি
- দেওয়ান শাহ এর বাড়ি, নরপাটি
- নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ, পশ্চিমগাঁও, লাকসাম
- তিন গুম্বজ মসজিদ, দোখাইয়া
- বড় দিঘি, দোখাইয়া
- দোখাইয়া, চাঁদপুরীশাহ্ দরবার শরীফ
- লাকসাম জগন্নাথ দিঘী ও মন্দির
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "লাকসাম পৌরসভার মেয়র"। ৭ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৪।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "লাকসাম জয়ী"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]