আদিসপ্তগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন

পশ্চিমবঙ্গের একটি রেলওয়ে স্টেশন

আদিসপ্তগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চলের হাওড়া রেল বিভাগের হাওড়া-বর্ধমান প্রধান রেলপথের একটি রেলওয়ে স্টেশন। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার সপ্তগ্রামে অবস্থিত।


আদিসপ্তগ্রাম
যাত্রীবাহী রেলওয়ে স্টেশন
আদিসপ্তগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন
অবস্থানসপ্তগ্রাম, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ
ভারত
উচ্চতা১৬ মিটার (৫২ ফুট)
মালিকানাধীনভারতীয় রেল
পরিচালিতপূর্ব রেল
লাইনহাওড়া-বর্ধমান প্রধান রেলপথ
প্ল্যাটফর্ম
রেলপথ
নির্মাণ
গঠনের ধরনভূমিগত স্টেশন
পার্কিংনা
অন্য তথ্য
অবস্থাসক্রিয়
স্টেশন কোড
অঞ্চল পূর্ব রেল
বিভাগ হাওড়া
ইতিহাস
চালু১৮৫৫
বৈদ্যুতীকরণ১৯৫৮
আগের নামইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি
পরিষেবা
পূর্ববর্তী স্টেশন   কলকাতা শহরতলি রেল   পরবর্তী স্টেশন
অভিমুখে হাওড়া জংশন
পূর্ব লাইন
অভিমুখে বর্ধমান জংশন
যাত্রাপথের মানচিত্র
অবস্থান
মানচিত্র

অবস্থান

সম্পাদনা

আদিসপ্তগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হুগলি জেলার সপ্তগ্রামে অবস্থিত। এর উত্তরের রেলওয়ে স্টেশন মগরা এবং দক্ষিণের রেলওয়ে স্টেশন ব্যান্ডেল জংশন

ইতিহাস

সম্পাদনা

ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানি ১৮৫১ সালে হাওড়া থেকে রাজমহল এবং মিরজাপুরের মধ্য দিয়ে দিল্লির সাথে প্রস্তাবিত সংযোগের জন্য একটি লাইন নির্মাণ শুরু করে। []

পূর্ব ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন ১৮৫৪ সালের ১৫ আগস্ট হাওড়া থেকে হুগলি পর্যন্ত চলেছিল। রেলপথটি ১৮৫৫ সালে রানীগঞ্জ পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছিল।[]

আদিসপ্তগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হাওড়া, হুগলিপূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে বিস্তৃত হাওড়া-বর্ধমান প্রধান রেলপথের অন্তর্গত। এই রেলপথে হাওড়া থেকে বেলুড় পর্যন্ত ৫টি, বেলুড় থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত ৩টি, শ্রীরামপুর থেকে শেওরাফুলি জংশন পর্যন্ত ৪টি, শেওড়াফুলি জংশন থেকে তালাণ্ডু পর্যন্ত ৩ টি, তালাণ্ডু থেকে শক্তিগড়ের মধ্যে ৩টি ট্র্যাক এবং শক্তিগড় থেকে বর্ধমান জংশন পর্যন্ত ৪টি ট্র্যাক রয়েছে।

হাওড়া-বর্ধমান প্রধান রেলপথের অন্তর্গত এই স্টেশনের ট্র্যাকটি এ-শ্রেণির ট্র্যাক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে, যা ট্রেনের রেলপথ হিসাবে চিহ্নিত, তবে মহানগর এলাকার শহরতলি রেল পরিষেবার জন্যও ব্যবহৃত হয়।

পরিকাঠামো

সম্পাদনা

স্টেশনটির পরিকাঠামো ভূমিগত। এই স্টেশনে ৩টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। আদিসপ্তগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ৩টি রেলট্র্যাক রয়েছে। স্টেশনে পরিচালনার জন্য ভবন ও স্টেশন মাস্টারে ভবন ১ নং প্ল্যাটফর্মের নিকটে অবস্থিত। যাত্রীবাহী রেল ভ্রমণের জন্য ৩ নং প্ল্যাটফর্মের নিকটে টিকিট ঘর থেকে প্রদান করা হয়। স্টেশনে যাত্রী সুবিধার জন্য প্রতীক্ষালয়, প্ল্যাটফর্ম ছাউনি ও পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেশনের ১ নং প্ল্যাটফর্মে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে।

আদিসপ্তগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ব্যাগ বা যাত্রীদের দ্বারা বহন করা জিনিসপত্রের পরীক্ষায় ব্যবস্থা নেই।

বিদ্যুতায়ন

সম্পাদনা

আদিসপ্তগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের রেলপথে বৈদ্যুতিক ট্রেন চলাচল করে। ১৯৫৮ সালে এই রেলপথে বৈদ্যুতীকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল।

রেল পরিষেবা

সম্পাদনা

এই স্টেশনটি স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রেল পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এই স্টেশনের দ্বারা হাওড়া, শিয়ালদহ এবং বর্ধমান ও দুর্গাপুরগামী ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এই স্টেশনে কলকাতা শহরতলি রেলের লোকাল ট্রেনগুলি রেল যাত্রীদের পরিষেবা প্রদান করে থাকে।

প্রশাসন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা

সম্পাদনা

আদিসপ্তগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতীয় রেলের পূর্ব রেল অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের অন্তর্গত। স্টেশন পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব স্টেশনের প্রধান স্টেশন মাস্টারের উপর ন্যস্ত। এছাড়া স্টেশনের নিরাপত্তার জন্য অস্থায়ী ভাবে ভ্রাম্যমাণ জিআরপি কর্মী নিযুক্ত রয়েছে এবং স্টেশন চত্বর ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রদান করে থাকে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "IR History Part I 1832-1869"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা