রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশন
রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চলের হাওড়া রেল বিভাগের হাওড়া-বর্ধমান প্রধান রেলপথের একটি রেলওয়ে স্টেশন। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার রসুলপুর স্টেশন রোডে অবস্থিত।
যাত্রীবাহী ট্রেন স্টেশন | |||||||||||
![]() | |||||||||||
অবস্থান | রসুলপুর, পূর্ব বর্ধমান জেলা, পশ্চিমবঙ্গ ভারত | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২৩°০৬′৪১″ উত্তর ৮৮°১৩′২৬″ পূর্ব / ২৩.১১১৪° উত্তর ৮৮.২২৩৯° পূর্ব | ||||||||||
উচ্চতা | ৩০ মিটার (৯৮ ফুট) | ||||||||||
মালিকানাধীন | ভারতীয় রেল | ||||||||||
পরিচালিত | পূর্ব রেল | ||||||||||
লাইন | হাওড়া-বর্ধমান প্রধান রেলপথ | ||||||||||
প্ল্যাটফর্ম | ২ | ||||||||||
রেলপথ | ৩ | ||||||||||
নির্মাণ | |||||||||||
গঠনের ধরন | ভূমিগত স্টেশন | ||||||||||
পার্কিং | না | ||||||||||
অন্য তথ্য | |||||||||||
অবস্থা | সক্রিয় | ||||||||||
স্টেশন কোড | |||||||||||
অঞ্চল | পূর্ব রেল | ||||||||||
বিভাগ | হাওড়া | ||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||
চালু | ১৮৫৫ | ||||||||||
বৈদ্যুতীকরণ | ১৯৫৮ | ||||||||||
আগের নাম | ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি | ||||||||||
পরিষেবা | |||||||||||
| |||||||||||
অবস্থান | |||||||||||
![]() |
অবস্থানসম্পাদনা
রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব বর্ধমান জেলার বাগিলা স্টেশন রোডে অবস্থিত। এই স্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশন হল - পালসিট রেলওয়ে স্টেশন এবং পূর্ববর্তী স্টেশন হল - নিমো রেলওয়ে স্টেশন।
ইতিহাসসম্পাদনা
ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানি ১৮৫১ সালে হাওড়া থেকে রাজমহল এবং মিরজাপুরের মধ্য দিয়ে দিল্লির সাথে প্রস্তাবিত সংযোগের জন্য একটি লাইন নির্মাণ শুরু করে। [১]
পূর্ব ভারতের প্রথম যাত্রী ট্রেনটি ১৮৫৪ সালের ১৫ আগস্ট হাওড়া থেকে হুগলী পর্যন্ত দৌড়ে ছিল। রেলপথটি ১৮৫৫ সালে রানিগঞ্জ পর্যন্ত প্রসারিত হয়। [১]
রেলপথসম্পাদনা
রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনটি হাওড়া জেলা, হুগলী জেলা ও পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে বিস্তৃত হাওড়া - বর্ধমান প্রধান রেলপথের মধ্যে অবস্থিত। এই রেলপথে হাওড়া থেকে বেলুড় পর্যন্ত ৫ টি, বেলুড় থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত ৩ টি, শ্রীরামপুর থেকে শেওরাফুলি জংশন পর্যন্ত ৪ টি, শেওরাফুলি জংশন থেকে ব্যাণ্ডেল জংশন পর্যন্ত ৩ টি, ব্যাণ্ডেল জংশন থেকে তুলাণ্ডু পর্যন্ত ২ টি, তুলাণ্ডু থেকে শক্তিগড়ের মধ্যে ৩ টি ট্র্যাক এবং শক্তিগড় থেকে বর্ধমান জংশন পর্যন্ত ৪ টি ট্র্যাক রয়েছে।
হাওড়া - বর্ধমান প্রধান রেলপথের অন্তর্গত এই স্টেশনের ট্র্যাকটি এ-শ্রেনির ট্র্যাক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে, যা ট্রেনের রেলপথ হিসাবে চিহ্নিত, তবে মহানগর এলাকার শহরতলি রেল পরিষেবার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
পরিকাঠামোসম্পাদনা
স্টেশনটির পরিকাঠামো ভূমিগত। এই স্টেশনে ২ টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে ৩ টি রেললাইন বা রেলট্র্যাক রয়েছে। স্টেশনে স্টেশন পরিচালনার জন্য ভবন ও স্টেশন মাষ্টারে ভবন ১ নং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেই অবস্থিত। যাত্রীদের রেল ভ্রমণের জন্য টিকিট স্টেশনের টিকিট ঘর থেকে প্রদান করা হয়। স্টেশনে যাত্রী সুবিধার জন্য বসার আসন, প্ল্যাটফর্ম ছাউনি, পানীয় জল এর ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেশনে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই।
রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশন ব্যাগ বা যাত্রীদের দ্বারা বহন করা জিনিসপত্রের পরীক্ষায় ব্যবস্থা নেই।
বৈদ্যুতীকরণসম্পাদনা
রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনের রেলপথে বৈদ্যুতীক ট্রেন চলাচল করে। ১৯৫৮ সালে এই রেলপথে বৈদ্যুতীকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল।
রেল পরিষেবাসম্পাদনা
এই স্টেশনটি স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রেল পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এই স্টেশনের দ্বারা হাওড়া, শিয়ালদা এবং বর্ধমান ও দুর্গাপুরগামী ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এই স্টেশনে কলকাতা শহরতলি রেলের লোকাল ট্রেনগুলি রেল যাত্রীদের পরিষেবা প্রদান করে থাকে।
প্রশাসন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থাসম্পাদনা
রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতীয় রেলের পূর্ব রেল অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের অন্তর্গত। স্টেশন পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব স্টেশনের প্রধান "স্টেশন মাষ্টার" - এর উপর ন্যস্ত। এছাড়া স্টেশনের নিরাপত্তার জন্য অস্থায়ী ভাবে ভ্রাম্যমাণ জিআরপি কর্মী নিযুক্ত রয়েছে এবং স্টেশন চত্বর ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রদান করে থাকে।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "IR History Part I 1832-1869"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৩।