ক্যান্ডি (শ্রীলঙ্কা)
ক্যান্ডি (সিংহলি: මහ නුවර Maha nuwara, উচ্চারণ [mahaˈnuʋərə]; তামিল: கண்டி, উচ্চারণ [ˈkaɳɖi]) শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তম শহর। মধ্যপ্রদেশে এর অবস্থান। রাজধানী কলম্বোর পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এটি। শহরটি শ্রীলঙ্কার প্রাচীন রাজাদের সর্বশেষ রাজধানী ছিল।[১] চা উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে পাহাড়ের পাদদেশে এ শহরটি গড়ে উঠেছে। প্রশাসনিক ও ধর্মীয় কারণে এ শহরের সবিশেষ পরিচিতি রয়েছে। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ক্যান্ডি। বিশ্বের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত এ শহরে টেম্পল অফ দ্য টুথ (শ্রী দালাদা মালিগায়া) মন্দির রয়েছে। ১৯৮৮ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা লাভ করেছে এটি।[২]
ক্যান্ডি මහ නුවර கண்டி | |
---|---|
শহর | |
ডাকনাম: নুয়ার, সেঙ্কাদাগালা | |
নীতিবাক্য: বিশ্বস্ত ও মুক্ত | |
স্থানাঙ্ক: ৭°১৭′৪৭″ উত্তর ৮০°৩৮′৬″ পূর্ব / ৭.২৯৬৩৯° উত্তর ৮০.৬৩৫০০° পূর্বস্থানাঙ্ক: ৭°১৭′৪৭″ উত্তর ৮০°৩৮′৬″ পূর্ব / ৭.২৯৬৩৯° উত্তর ৮০.৬৩৫০০° পূর্ব | |
দেশ | শ্রীলঙ্কা |
প্রদেশ | মধ্যপ্রদেশ |
জেলা | ক্যান্ডি জেলা |
বিভাগীয় সচিবালয় | ক্যান্ডি বিভাগীয় সচিবালয় |
সেঙ্কাদাগালাপুরা | ১৪শ শতাব্দী |
ক্যান্ডি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল | ১৮৬৫ |
প্রতিষ্ঠা করেন | তৃতীয় বিক্রমবাহু |
সরকার | |
• ধরন | মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল |
• শাসক | ক্যান্ডি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল |
• মেয়র | টি. মহিন্দ্র রাতওয়াতে |
আয়তন | |
• মোট | ২৮.৫৩ বর্গকিমি (১১.০২ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৫০০ মিটার (১,৬০০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,২৫,৪০০ |
• জনঘনত্ব | ৪,৫৯১/বর্গকিমি (১১,৮৯০/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | ক্যান্ডীয় |
সময় অঞ্চল | শ্রীলঙ্কা মান সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
ওয়েবসাইট | www |
সর্বমোট ২৪টি ওয়ার্ড নিয়ে ক্যান্ডি শহর গঠিত।[৩][৪] শহরের অধিকাংশ লোকই সিংহলী। এছাড়াও, মুর, তামিল জাতিগোষ্ঠীর লোক বসবাস করে।
ইতিহাসসম্পাদনা
শহরটি বিভিন্ন নামে পরিচিতি পেয়েছে। কিছু গবেষক মনে করেন, বর্তমান ওতাপুলুয়ার কাছাকাছি কাতুবুলু নুয়ারা এ শহরের প্রকৃত নাম। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে জনপ্রিয় নাম হচ্ছে সেনকাদাগালা বা সেনকাদাগালাপুরা যা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সেনকাদাগালা শ্রীবর্ধনা মহা নুয়ারা। এটি সংক্ষেপে মহা নুয়ারা নামে পরিচিত। লোকউপাখ্যানে কয়েকটি সম্ভাব্য উৎস থেকে এসেছে। গুহায় অবস্থানকারী সেনকান্দা নামীয় ব্রাহ্মণের নাম থেকে এ শহরের নাম উদ্ভূত। অন্য উৎসে জানা যায়, তৃতীয় বিক্রমাবাহু’র রাণী সেনকান্দা পাথরে রঙ করে সেনকাদাগালা রেখেছিলেন। ক্যান্ডি রাজ্যও অনেক নামে পরিচিতি পেয়েছে। ঔপনিবেশিক আমলে সিংহলীজ কান্দা উদা রাতা বা কান্দা উদা পাস রাতা থেকে ইংরেজি নাম ক্যান্ডি হয়েছে। যার অর্থ দাঁড়ায় পর্বতের উপর ভূমি। পর্তুগীজরা সংক্ষেপে ক্যান্ডিয়া রেখেছিল যা রাজ্য ও এর রাজধানী উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হতো। সিংহলী ভাষায় ক্যান্ডিকে মহা নুয়ারা নামে ডাকা হয় যার অর্থ মহান শহর বা রাজধানী। তা স্বত্ত্বেও প্রায়শই শহরটিকে নুয়ারা নামে ডাকা হয়।[৫]
ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৩৫৭-১৩৭৪ সিই সময়কালে বর্তমান শহরের উত্তরাংশে ওয়াতাপুলুয়ার কাছাকাছি গাম্পোলার রাজ্যের সম্রাট তৃতীয় বিক্রমাবাহু এ শহরের গোড়াপত্তন করেন। তিনি ঐ সময়ে এর নামকরণ করেছিলেন সেনকাদাগালাপুরা।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বসম্পাদনা
- রিজভী মুফতি –– শ্রীলঙ্কার প্রধান মুফতি (জ. ১৯৬১)
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Major Cultural Assests/Archaeological Sites"। Department of Archaeology Sri Lanka। ২০১০-০৩-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-২৪।
- ↑ "Heritage Sites"। Central Cultural Fund।
- ↑ "City Profile"। Kandy Municipal Council। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "City History"। Kandy Municipal Council। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Kandy Map"। SriLankanMap। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১১।
আরও দেখুনসম্পাদনা
আরও পড়ুনসম্পাদনা
- Seneviratna, Anuradha (২০০৮)। The Kandy Asala Perahara। Sri Lanka: Vijitha Yapa Publications। আইএসবিএন 978-955-665-017-4। ১০ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮।
- Seneviratna, Anuradha (১৯৯৯)। World Heritage City of Kandy, Sri Lanka: Conservation and Development Plan। Sri Lanka: Central Cultural Fund। আইএসবিএন 955-613-126-4।
- Seneviratna, Anuradha (২০০৮)। Gateway to Kandy - Ancient monuments in the central hills of Sri Lanka। Sri Lanka: Vijitha Yapa Publications। আইএসবিএন 955-665-031-8। ১৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮।
- Seneviratna, Channa (২০০৪)। Kandy at War: Indigenous Military Resistance to European Expansion in Sri Lanka 1594-1818। Manohar। আইএসবিএন 81-7304-547-X।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
উইকিমিডিয়া কমন্সে ক্যান্ডি (শ্রীলঙ্কা) সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |