চন্দ্রবোড়া

বিষধর সাপের প্রজাতি
(Daboia russelii থেকে পুনর্নির্দেশিত)

চন্দ্রবোড়া বা উলু বোড়া[২][৩] (বৈজ্ঞানিক নাম: Daboia russelii) ভাইপারিডি পরিবারভুক্ত ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ এবং উপমহাদেশের ভয়ঙ্কর চারটি সাপের একটি। প্যাট্রিক রাসেল ১৭৯৬ সালে তার অ্যান অ্যাকাউন্ট অফ ইন্ডিয়ান সারপেন্টস, কালেক্টেড অন দা কোস্ট অফ করোমান্ডেল বইয়ে চন্দ্রবোড়া সম্পর্কে লিখেছেন ও তার নাম অনুসারে এটি রাসেল ভাইপার নামেও পরিচিত।[৪] চন্দ্রবোড়া ১৭৯৭ সালে জর্জ শ এবং ফ্রেডেরিক পলিডোর নোডার কর্তৃক বর্ণিত হয়।

চন্দ্রবোড়া
Daboia russelii
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
উপপর্ব: Vertebrata
শ্রেণী: Reptilia
বর্গ: Squamata
উপবর্গ: Serpentes
পরিবার: Viperidae
উপপরিবার: Viperinae
গণ: Daboia
Gray, 1842
প্রজাতি: D. russelii
দ্বিপদী নাম
Daboia russelii
(Shaw & Nodder, 1797)
প্রতিশব্দ
  • Daboia – Gray, 1840 (nomen nudum)
  • Daboia – Gray, 1842
  • Chersophis – Fitzinger, 1843
  • Daboya – Hattori, 1913[১]
চন্দ্রবোড়া সাপের বিষদাঁত

বর্ণনা

সম্পাদনা

চন্দ্রবোড়ার দেহ মোটাসোটা, লেজ ছোট ও সরু। প্রাপ্তবয়স্ক সাপের দেহের দৈর্ঘ্য সাধারণত এক মিটার; দেহের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১.৮ মিটার পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে।[২] এর মাথা চ্যাপ্টা, ত্রিভুজাকার এবং ঘাড় থেকে আলাদা। থুতনি ভোঁতা, গোলাকার এবং উত্থিত। নাসারন্ধ্র বড়ো, যার প্রতিটি একটি বড়ো ও একক অনুনাসিক স্কেলের মাঝখানে অবস্থিত। অনুনাসিক স্কেলের নীচের প্রান্তটি নাসোরোস্ট্রাল স্কেলে স্পর্শ করে। সুপ্রানসাল স্কেল একটি শক্তিশালী অর্ধচন্দ্রাকার আকৃতি ধারণ করে এবং নাসালকে সামনের দিকে নাসোরোস্ট্রাল স্কেল থেকে আলাদা করে। রোস্ট্রাল স্কেল যেমন বিস্তৃত তেমনি এটি উচ্চ।

চন্দ্রবোড়ার শরীর লেজসহ সর্বোচ্চ ১৬৬ সেমি (৬৫ ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় এবং এশিয়ার মূল ভূখণ্ডে গড় প্রায় ১২০ সেমি (৪৭ ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়ে থাকে। দ্বীপে আকৃতি সাধারণত কিছুটা ছোট হয়ে থাকে। এটি বেশিরভাগ ভাইপারের চেয়ে সরু। নিম্নলিখিত মাত্রাগুলি ১৯৩৭ সালে প্রমাণ আকারের প্রাপ্তবয়স্ক চন্দ্রবোড়ার নমুনা হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছিল:

  • মোট দৈর্ঘ্য ১.২৪ মি (৪ ফুট ১ ইঞ্চি)
  • লেজের দৈর্ঘ্য ৪৩০ মিমি (১৭ ইঞ্চি)
  • ঘের ১৫০ মিমি (৬ ইঞ্চি)
  • মাথার প্রস্থ ৫১ মিমি (২ ইঞ্চি)
  • মাথার দৈর্ঘ্য ৫১ মিমি (২ ইঞ্চি)

স্বভাব

সম্পাদনা

চন্দ্রবোড়া সাধারণত ঘাস, ঝোপ, বন, ম্যানগ্রোভ ও ফসলের ক্ষেতে[৫], বিশেষত নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত ও কিছুটা শুষ্ক পরিবেশে বাস করে। স্থলভাগের সাপ হলেও এটিকে পানিতে দ্রুতগতিতে চলতে পারে। ফলে বর্ষাকালে কচুরিপানার সঙ্গে বহুদূর পর্যন্ত ভেসে নিজের স্থানান্তর ঘটাতে পারে।[৫] এরা নিশাচর, এরা খাদ্য হিসেবে ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকিব্যাঙ ভক্ষণ করে।[২] বসতবাড়ির আশেপাশে চন্দ্রবোড়ার খাবারের প্রাচুর্যতা বেশি থাকায় খাবারের খোঁজে চন্দ্রবোড়া অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে।

চন্দ্রবোড়া সাধারণত স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে আক্রমণ করে না, কিন্তু একটি সীমার পর তাকে বিরক্ত করলে প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। পৃথিবীতে প্রতিবছর যত মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়, তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ এই চন্দ্রবোড়ার কামড়ে মারা যায়। তবে "মানুষকে তেড়ে এসে কামড়ায়" এ কথা গুজব মাত্র। এরা মূলত ambush predator, তাই এক জায়গায় চুপ করে পড়ে থাকে। মানুষ বা বড় কোন প্রাণী সামনে এলে S আকৃতির কুণ্ডলী পাকিয়ে খুব জোরে জোরে হিস্ হিস্ শব্দ করে। তারপরও তাকে বিরক্ত করা হলে তবেই অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছোবল মারতে পারে। ছোবল দেওয়ার সময় শরীরের সামনের দিকটা ছুঁড়ে দেয় বলে ঐ "তেড়ে এসে কামড়ায়" জাতীয় ভুল ধারণার জন্ম।[৬]

এদের বিষদাঁতের আকার অন্যান্য ভাইপার জাতীয় সাপের সাথে তুলনীয় এবং কিছু র‍্যাটেলস্নেকের প্রজাতির থেকে ছোটও।[৭] এরা প্রচণ্ড জোরে হিস হিস শব্দ করতে পারে। চন্দ্রবোড়া দিনে ও রাতে উভয় সময়ে কামড়ায়।[৮] অন্য সাপ মানুষকে দংশনের পর সেখান থেকে দ্রুত সরে যায়, কিন্তু চন্দ্রবোড়া অনেক সময় দংশন করে ধরে রাখতে পারে।

অন্যান্য সাপের মতোই চন্দ্রবোড়াও সাধারণত মানুষকে এড়িয়েই চলে, কিন্তু লোকালয়ের কাছাকাছি ক্ষেতে কিংবা ঘাসজমিতে, কিংবা অনেক সময় ইঁদুর শিকার করতে লোকালয়ে ঢুকে পড়ার ফলে মানুষের সঙ্গে এর সংঘাত প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। প্রতিবছরই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ কেবল এ সাপটির কামড়েই প্রাণ হারান। আক্রমণের ক্ষিপ্র গতি ও বিষের তীব্রতার কারণে ‘কিলিংমেশিন’ হিসেবে বদনাম রয়েছে সাপটির।[৯] তবে এই সাপ সম্পর্কে নানা অতিরঞ্জিত গুজব ও ছড়িয়ে পড়ছে।

বিস্তৃতি

সম্পাদনা

চন্দ্রবোড়া সাপ পশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশের দুর্লভ সাপ। এটি পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায়, বিশেষ করে নদীয়া, বর্ধমান, উত্তর চব্বিশ পরগনাবাঁকুড়া জেলার গ্রাম অঞ্চলে ভয়ের অন্যতম কারণ। আগে শুধুমাত্র বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে এ সাপ দেখা যেত। যে কারণে এটি বরেন্দ্র অঞ্চলের সাপ বলেই পরিচিত ছিল।[৫] বর্তমানে পদ্মা অববাহিকা ধরে দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলায় চন্দ্রবোড়া বিস্তৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে রাজশাহী, রাজবাড়ী, ফরিদপুর[১০], কুষ্টিয়া[১১], মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর[১২], হাতিয়া, ভোলাতে চন্দ্রবোড়ার উপস্থিতি পাওয়া দেখা গেছে।[৫]

চন্দ্রবোড়া ভারত বাংলাদেশে মহাবিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। ২০১৫ সালের লাল তালিকা অনুযায়ী চন্দ্রবোড়া বাংলাদেশে সংকটাপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে।

নদীয়া জেলাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অংশে এছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, চীনের দক্ষিণাংশ, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, বার্মাইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যায়।[২][৫]

চন্দ্রাবোড়ার বিষদাঁত solenoglyphous, অর্থাৎ মুখ বন্ধ করলে দাঁত ভাঁজ হয়ে মুখের সঙ্গে সমান্তরালভাবে অবস্থান করে।[১৩] একটি চন্দ্রবোড়া সাপ এক ছোবলে বেশ খানিকটা বিষ ঢালতে পারে। পূর্ণবয়স্ক সাপের ক্ষেত্রে বিষের পরিমাণ ১৩০-২৫০ মিলিগ্রাম, ১৫০-২৫০ মিলিগ্রাম এবং ২১-২৬৮ মিলিগ্রাম মাপা হয়েছে। ৭৯ সেমি (৩১ ইঞ্চি) গড় দৈর্ঘ্যের শিশু চন্দ্রবোড়ার বিষের পরিমাণ ৮ থেকে ৭৯ মিলিগ্রাম (গড় ৪৫ মিলিগ্রাম) অবধি দেখা গেছে।[১৪]

চন্দ্রবোড়ার বিষ হেমোটক্সিক, অর্থাৎ কামড় দিলে লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস হয়, রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না, ও বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চন্দ্রবোড়ার বিষ ফুসফুস, কিডনি নষ্ট করে দেওয়ার মতো বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে। চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ক্ষতস্থান ফুলে যায়।[৮]

অবস্থা

সম্পাদনা

২০০৯ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে এটিকে বাংলাদেশে মহাবিপন্ন এবং ও বিশ্বে বিপদমুক্ত বলে বর্ণনা করা হয়েছে।[২] বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[৩]

ব্যবহার

সম্পাদনা

লুপাস অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট নামে গর্ভপাতকারী এক রোগ নির্ধারণের পরীক্ষায় (ডাইলিউট রাসেলস ভাইপার ভেনম টাইম টেস্ট) চন্দ্রবোড়ার বিষ ব্যবহৃত হয়।

প্রজনন

সম্পাদনা

সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে চন্দ্রবোড়া সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। ফলে সাপের বাচ্চাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।[৫] এরা বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করে। তবে মে থেকে পরের তিন মাস প্রজনন সবচেয়ে বেশি ঘটে।[৫] একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো চন্দ্রবোড়া সাপের ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ড আছে।[১৫][১৬]

আরো পড়ুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. McDiarmid RW, Campbell JA, Touré T. 1999. Snake Species of the World: A Taxonomic and Geographic Reference, vol. 1. Herpetologists' League. 511 pp. আইএসবিএন ১-৮৯৩৭৭৭-০০-৬ (series). আইএসবিএন ১-৮৯৩৭৭৭-০১-৪ (volume).
  2. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: উভচর প্রাণী ও সরীসৃপ, খণ্ড: ২৫ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ১৮৮-১৮৯।
  3. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৫০৮।
  4. Russell, Patrick; Russell, Patrick; Russell, Patrick; Company, East India (১৭৯৬)। An account of Indian serpents, collected on the coast of Coromandel : containing descriptions and drawings of each species, together with experiments and remarks on their several poisons। London: Printed by W. Bulmer and Co. Shakespeare-Press; for G. Nicol। ডিওআই:10.5962/bhl.title.114003। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০২৪ 
  5. ইমাম, সাদিয়া মাহ্‌জাবীন (২০২৪-০৬-০৮)। "বিষধর রাসেলস ভাইপারের সংখ্যা বাড়ছে, বদলাচ্ছে স্বাভাবিক চরিত্র"Prothomalo। ২০২৪-০৬-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৮ 
  6. Tandon, Aditi (২০২১-০৮-৩০)। "Tracking Russell's vipers in rural Karnataka unravels their behaviour"Mongabay-India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১৯ 
  7. Ernst, Carl H. (১৯৮২)। "A Study of the Fangs of Russell's Viper (Vipera russellii)"Journal of Herpetology16 (1): 67–71। আইএসএসএন 0022-1511ডিওআই:10.2307/1563906 
  8. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৩-০৮-২২)। "রাসেলস ভাইপারের বিষ ফুসফুস, কিডনি নষ্ট করে দিতে পারে"Prothomalo। ২০২৪-০৬-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৮ 
  9. "চাঁদপুরে ধরা পড়েছে ভয়ংকর বিষধর 'রাসেল ভাইপার' সাপ"Dhaka Tribune Bangla। ২০১৯-০৮-২০। ২০১৯-১০-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০১ 
  10. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৩-০৪-১৩)। "ফরিদপুরে 'রাসেলস ভাইপার' সাপের কামড়ের ৩৬ দিন পর কৃষকের মৃত্যু"Prothomalo। ২০২৪-০৬-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৮ 
  11. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৩-০৮-১৩)। "গড়াই নদে জেলের জালে বিষধর রাসেলস ভাইপার"Prothomalo। ২০২৪-০৬-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৮ 
  12. প্রতিনিধি (২০২৪-০৫-১৯)। "চাঁদপুরে ধানখেতে রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব, আতঙ্কে কৃষক"Prothomalo। ২০২৪-০৬-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৮ 
  13. S.A.M. (1969-05)। "Bite patterns of Taiwan venomous and non-venomous snake"Toxicon6 (4): 316। আইএসএসএন 0041-0101ডিওআই:10.1016/0041-0101(69)90111-1  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  14. Mallow, David; Ludwig, David; Nilson, G. (২০০৩)। True vipers: natural history and toxinology of Old World vipers (Original ed সংস্করণ)। Malabar, Fla: Krieger Pub. Co। আইএসবিএন 978-0-89464-877-9 
  15. "বিষধর সাপের নাম রাসেল ভাইপার"জাগো নিউজ। ২০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৯ 
  16. jugantor.com। "চন্দ্রবোড়া | প্রকৃতি ও জীবন | Jugantor"jugantor.com। ২০১৯-১০-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০১