ইঁদুর
এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়া হতে অনুবাদের মাধ্যমে অমর একুশে নিবন্ধ প্রতিযোগিতা ২০২৩ উপলক্ষ্যে মানোন্নয়ন করা হচ্ছে। নিবন্ধটিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নিবন্ধকার কর্তৃক সম্প্রসারণ করে অনুবাদ শেষ করা হবে; আপনার যেকোন প্রয়োজনে এই নিবন্ধের আলাপ পাতাটি ব্যবহার করুন। আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। |
যোগাযোগ
ইঁদুর সময়গত পরিসীমা: প্রাক প্লাইস্টোসিন – বর্তমান | |
---|---|
![]() | |
বাদামি ইঁদুর (Rattus norvegicus) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | স্তন্যপায়ী |
বর্গ: | Rodentia |
মহাপরিবার: | Muroidea |
পরিবার: | Muridae |
উপপরিবার: | Murinae |
গণ: | Rattus Johann Fischer von Waldheim, 1803 |
প্রজাতি | |
৬৪ টি প্রজাতি | |
প্রতিশব্দ | |
Stenomys থমাস, ১৯১০ |
ইঁদুর "রাটাস" (rattus) গণের একটি দন্তুর স্তন্যপায়ী প্রাণী।
উৎস:
স্তন্যপায়ী (Mammalian) শ্রেণীর রোডেনশিয়া (Rodentia) বর্গের অন্তর্ভুক্ত ইঁদুর জাতীয় প্রাণী (Rodent) হলো একটি বিশেষ ধরনের প্রাণী। এ জাতীয় প্রাণী বর্গের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এদের দাঁতের গঠন ও বিন্যাস। ইঁদুর জাতীয় প্রাণী Rodent শব্দটি এসেছে তাদের কর্তন দাঁত (Rodere= কাটা,dent = দাঁত)। যা অত্যন্ত তীক্ষ্মও ধারালো বাটালির মতো। এই দাঁত জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বাড়তে থাকে। তাই ইঁদুর তাদের দাঁতের গঠন ঠিক রাখার জন্য বা দাঁত ক্ষয় করার জন্য সবসময় কাটাকুটি করে।
Rattus হল মুরয়েড ইঁদুরের একটি প্রজাতি , যাদেরকে সাধারণত ইঁদুর বলা হয় । যাইহোক, ইঁদুর শব্দটিএই বংশের বাইরের ইঁদুর প্রজাতির ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ইদুরের গঠনপ্রণালী :
সবচেয়ে পরিচিত Rattus প্রজাতি হল কালো ইঁদুর ( R. rattus ) এবং বাদামী ইঁদুর ( R. norvegicus )। দলটি সাধারণত ওল্ড ওয়ার্ল্ড ইঁদুর বা সত্যিকারের ইঁদুর নামে পরিচিত এবং এশিয়ায় উৎপত্তি হয় । ইঁদুরগুলি বেশিরভাগ পুরানো বিশ্বের ইঁদুরের চেয়ে বড় , যেগুলি তাদের আত্মীয়, তবে বন্য অবস্থায় খুব কমই ওজন 500 গ্রাম (1.1 পাউন্ড) এর বেশি হয়।
রেটাস প্রজাতিটি দৈত্য সাবফ্যামিলি মুরিনার সদস্য । অন্যান্য বেশ কিছু মুরিন জেনারাকে মাঝে মাঝে রাটাসের অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয় : লেনোথ্রিক্স , অ্যানোনিমোমিস , সুন্ডামিস , কাদারস্যানোমিস , ডিপ্লোথ্রিক্স , মার্গারেটামিস , লেনোমিস , কমোডোমিস , পালাওয়ানোমিস , বুনোমিস , নেসোরোমিস , স্টেনোমিস , টেরোমিস , টেরোমিস , টেরোমিসটারসোমিস , বুলিমাস , অ্যাপোমিস , মিলার্ডিয়া , শ্রীলঙ্কামিস , নিভিভেনটার , ম্যাক্সোমিস , লিওপোল্ডামিস , বেরিলমিস , মাস্টোমিস , মায়োমিস , প্রোমিস , হাইলোমিস্কাস , হেইমিসকাস , স্টোকোমিস , ডেফোমিস এবং এথোমিস ।
রাটাস প্রপারে 64টি বিদ্যমান প্রজাতি রয়েছে । প্রজাতির একটি সাবজেনেরিক ভাঙ্গন প্রস্তাব করা হয়েছে, কিন্তু সমস্ত প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত নয়।
ইদুরের বংশ বিস্তার:
বিভিন্ন ধরনের ইঁদুরের মধ্যে কালো ইঁদুর, মাঠের বড় কালো ইঁদুর, নরম পশমযুক্ত মাঠের ইঁদুর ও ছোট লেজ যুক্ত ইঁদুর ধানের ক্ষতি করে। এদের মধ্যে কালো ইঁদুর মাঠে ও গুদামে এবং মাঠের বড় কালো ইঁদুর নিম্ন ভূমির জমিতে বেশি আক্রমণ করে। ইঁদুর যে কোনো পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়ে দ্রুত বংশ বিস্তার করতে পারে। উপযুক্ত এবং অনুকূল পরিবেশে একজোড়া প্রাপ্ত বয়স্ক ইঁদুর থেকে এক বছরে ইঁদুরের বংশবৃদ্ধি পেয়ে ২০০০- ৩০০০টি হতে পারে। একটি স্ত্রী ইঁদুরের বয়স ৩ মাস পূর্ণ হলে বাচ্চা দেয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। বাচ্চা প্রসবের পর ২ দিনের মধ্যেই স্ত্রী ইঁদুর পুনরায় গর্ভধারণ করতে পারে। এদের গর্ভধারণ কাল প্রজাতিভেদে ১৮-২২ দিন হয়। সারা বছরই বাচ্চা দিতে পারে তবে বছরে ৫-৭ বার এবং প্রতিবারে ৬-১০টি বাচ্চা জন্ম দিয়ে থাকে। মা ইঁদুর এদের যতন্ত্র বা লালন পালন করে থাকে। এদের ১৪-১৮ দিনে চোখ ফোটে। চার (৪) সপ্তাহ পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করে এবং ৩ (তিন) সপ্তাহ পর থেকে শক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে। পাঁচ ( ৫) সপ্তাহ পর থেকে এরা মা এর সঙ্গ থেকে আলাদা হয়ে যায়। একটি ইঁদুরের জীবনকাল ২-৩ বছর হয়ে থাকে।
ইদুরের প্রকারভেদ:
মাঠের কালো ইঁদুর বা ছোট ব্যান্ডিকুট ইঁদুর (Bandicota bengalensis) :
মাঠ ফসলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে। এদের ওজন প্রায় ১৫০-৩৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং লম্বায় ৭.৫-৩০ সে. মি.। পশম কালো ধূসর রংয়ের। মাথা ও শরীরের মোট দৈর্ঘ্যরে তুলনায় লেজ কিছুটা খাটো। এরা সাঁতারে পটু। বাংলাদেশের বনাঞ্চল ব্যতীত সর্বত্র এদের দেখা যায় সব জাতীয় কৃষি ফসলেই এদের পাওয়া যায়। এছাড়াও শহর এলাকা, ঘর বাড়ি এবং গুদামেও এদের উপস্থিতি দেখা যায়। এ প্রজাতির ইঁদুর রাস্তাঘাট, পানি সেঁচের নালা, বাঁধ এবং ঘর বাড়ির যথেষ্ট ক্ষতি করে থাকে। এ প্রজাতির একটি ইঁদুর এক রাতে ২০০-৩০০টি ধান বা গমের কুশি কাটতে পারে।
মাঠের বড় কালো ইঁদুর বা বড় ব্যান্ডিকুট ইঁদুর (Lesser bandicoot rat, bandicota indica) :
এরা দেখতে মাঠের কাল ইঁদুরের মতো। তবে তাদের চেয়ে আকারে বেশ বড়, মুখাকৃতি সরু এবং এদের ওজন ৩৫০-১০০০ গ্রাম হয়ে তাকে। পেছনের পা বেশ বড় এবং কাল হয়। এ জাতীয় ইঁদুরের রং কালচে ধূসর বা তামাটে বর্ণের। মাথা ও দেহের মোট দৈর্ঘ্যরে তুলনায় লেজ কিছুটা খাটো ও বেশ মোটা। এরাও সাতারে পটু। গর্তে বাস করে, গর্ত ৮-১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এরা সাধারণত মাঠে ধান ফসলের বেশি ক্ষতি করে থাকে। বাংলাদেশের সব নিচু এলাকায় এদের দেখতে পাওয়া যায়। তবে শুকনো মৌসুমে হাওর, বিল এলাকায় বেশি পাওয়া যায়। দ্বীপ, হাওর ও বিল এলাকায় শুকনার সময় গর্ত করে বাস করে।
গেছো ইঁদুর/ ঘরের ইঁদুর (House/roof rat) Rattus rattus) :
গেছো ইঁদুর সাধারণত মাঝারি ধরনের হয়ে থাকে। দেহ লম্বাটে, লালচে, বাদামি বর্ণের। শরীরের নিচের দিকটা সাদাটে বা হালকা বর্ণের। দেহের দৈর্ঘ্য ৭-২২ সে. মি. মাথা ও শরীরের মোট দৈর্ঘ্যরে তুলনায় লেজ লম্বা। লেজের দৈর্ঘ্য ৫-২৩ সে. মি.। এই জাতের ইঁদুর গুদামজাত শস্য, ঘরে রাখা খাদ্যশস্য, ফলমূল, বিভিন্ন সবজি ইত্যাদির ক্ষতি করে থাকে। এ প্রজাতি মাটিতে গর্ত না করে ঘরের মাচায় বা গুপ্ত স্থানে ও গাছে বাসা তৈরি করে বংশবৃদ্ধি করে। এদেরকে সাধারণত বাড়ির আশপাশে, উঁচু এলাকায় ও নারিকেল জাতীয় গাছে বেশি দেখা যায় এবং মাঠে কম দেখা যায়।
ঘরের নেংটি ইঁদুর (House Mouse, Mus musculus) :
এই ইঁদুরকে কোনো কোনো এলাকায় বাত্ত্বি ইঁদুর, কোথাও শইল্লা ইঁদুর নামে বলে থাকে। এরা আকারে ছোট, মাথা ও শরীরের মোট দৈর্ঘ্য ৩-১০ সে. মি. এবং এদের ওজন পূর্ণ বয়স্ক অবস্থায় সাধারণত ১৪-২০ গ্রাম হয়। গায়ের পশম ছাই বা হালকা তামাটে বর্ণের, পেটের পশম কিছুটা হালকা ধূসর বর্ণের। এরা ঘরে বাস করে, গুদামজাত খাদ্যশস্য, ঘরের জিনিস পত্র, কাপড় চোপড়, লেপ তোষক, বই পত্র এমনকি বৈদ্যুতিক তার ইত্যাদি কেটে ব্যাপকভাবে ক্ষতি করে থাকে।
ইঁদুরের উপস্থিতির লক্ষণ সমূহ :
কর্তনের শব্দ, নখের দ্বারা আঁচড়ানোর শব্দ, কোনো কিছু বেয়ে ওঠার অথবা নামার শব্দ, ক্ষণস্থায়ী চিচি শব্দ, চলাচলের রাস্তায় মল, নোংরা দাগ, পায়ের ছাপ, ইঁদুর যাতায়াত পথের সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি দ্বারা ইঁদুরের উপস্থিতি অনুমান করা যায়। ইঁদুরের বাসা ও তার আশপাশে ছড়ানো ছিটানো খাবার, ইঁদুরের গন্ধ এবং পোষা প্রাণীর লাফ ঝাপ বা অদ্ভুত আচরণ বা উত্তেজনা ইঁদুরের উপস্থিতি নির্দেশ করে। গুদামের ক্ষতির চিহ্ন দেখে এর আক্রমণের লক্ষণ বোঝা যায়। এ ছাড়াও আক্রান্ত ফসল, গম রাখার বস্তা কাটা দেখে, ইঁদুরের খাওয়া ধানের তুষ দেখে এদের উপস্থিতি বোঝা যায়। ঘরে বা তার পাশে ইঁদুরের নতুন মাটি অথবা গর্ত, ফসলের মাঠে, আইলে ও জমিতে, বাঁধ, পুল ইত্যাদির পাশে গর্ত দেখে ইঁদুরের উপস্থিতি বোঝা যায়। ইঁদুর বিভিন্ন ফসলে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করে থাকে।
ইদুরের ক্ষতিকর দিক:
মাঠের কালো ইঁদুর (Bandicota bengalensis)
ইদুরের ক্ষতি:
আবহমান বাংলার গৌরবময় ইতিহাস ঐতিহ্য মিশে আছে কৃষির সঙ্গে। প্রাচীনকাল থেকে আমাদের অর্থনীতিতে কৃষি ও কৃষকের অবদান অসামান্য। এদেশের কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কৃষিবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশের জনগণের দৈনন্দিন খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ, শিল্পোৎপাদন, কর্মসংস্থানসহ কৃষি খাতের অবদান উল্লেখযোগ্য এবং রপ্তানি বাণিজ্যের সম্ভাবনা সমুজ্জল। উৎপাদনের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রোগ-বালাই ও অন্যান্য ক্ষতিকর প্রাণীর আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করা একটা চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনিষ্টকারী মেরুদ-ী প্রাণী দমন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাঠের ফসল উৎপাদন ও গুদামজাত শস্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ইঁদুর এক বড় সমস্যা। মাঠের শস্য কেটে কুটে নষ্ট করে, খায় এবং গর্তে জমা করে। গুদামজাত শস্যে মলমূত্র ও লোমের সংমিশ্রণ করে, মানুষ ও গবাদি পশুদের মধ্যে রোগ-বালাই সংক্রমণ করে, সর্বোপরি পরিবেশ দূষিত করে। সরকারি বেসরকারি খাদ্য গুদাম, বেকারি, হোটেল, রেস্তোরাঁ, পাইকারি ও খুচরা পণ্য বিক্রির দোকানে বিপুল পরিমাণে খাদ্য ইঁদুর নষ্ট করে যার প্রকৃত কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিষয়ক সংস্থার এক গবেষণায় দেখা যায় যে, গঙ্গা- ব্রক্ষ্মপুত্র অববাহিকা বিশ্বের অন্যতম ইঁদুর উপদ্রুত এবং বংশবিস্তারকারী এলাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এখানকার উপকূলীয় লোনা ও মিঠা পানির মিশ্রণের এলাকাগুলো ইঁদুরের বংশবিস্তারের জন্য বেশ অনুকূল। মাঠের ফসল ছাড়াও এই অববাহিকায় অবস্থিত হাট বাজার ও শিল্পাঞ্চলগুলোতেও ইঁদুরের দাপট বেশি।
আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (IRRI) ইঁদুরের উৎপাতের কারণে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ১১টি দেশকে চিহ্নিত করেছে। ইরির হিসেবে, ফসলের মোট ক্ষতির বিবেচনায় ইঁদুরের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ফিলিপাইন। দেশটির উৎপাদিত ধানের ২০ শতাংশ ইঁদুর খেয়ে ফেলে ও নষ্ট করে। এর পরেই আছে লাওস নামক দেশটি। দেশটির প্রায় ১৫ শতাংশ ধান ইঁদুরের পেটে যায়। ইরির এক গবেষণায় বলা হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় ১০ শতাংশ ধান- গম ইঁদুর খেয়ে ফেলে ও নষ্ট করে। বাংলাদেশে ইঁদুরের কারণে বছরে আমন ধানের শতকরা ৫-৭ ভাগ, গম ফসলে ৪-১২ ভাগ, গোল আলুতে ৫-৭ ভাগ, আনারস ৬-৯ ভাগ নষ্ট হয়। গড়ে মাঠ ফসলের ৫-৭ % এবং গুদামজাত শস্য ৩-৫% ক্ষতি করে। ইরির ২০১৩ সালের এক গবেষণা মতে, এশিয়ায় ইঁদুর বছরে যা ধান-চাল খেয়ে নষ্ট করে, তা ১৮ কোটি মানুষের এক বছরের খাবারের সমান। আর শুধু বাংলাদেশে ইঁদুর ৫০-৫৪ লাখ লোকের এক বছরের খাবার নষ্ট করে। ১৭০০টি ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর মধ্যে বাংলাদেশে ১২টির অধিক ক্ষতিকারক ইঁদুর জাতীয় প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। প্রজাতিভেদে এদের ওজন ৭০-৪৫০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। ইঁদুর আকারে ছোট হলেও সারা বছরে সব ধরনের ক্ষতি মিলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করে। ইঁদুর বেড়িবাঁধ ও বিভিন্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে গর্ত করে এবং মাটি সরিয়ে বাঁধ দুর্বল করে ফেলে যার কারণে বাঁধ ভেঙে পানি দ্বারা প্লাবিত হয়ে বাড়ি ঘর, ফসলাদি ও গবাদিপশুর ক্ষতি হয়ে থাকে। ইঁদুর মাঠের ও ঘরের শস্য নষ্ট করা ছাড়া বৈদ্যুতিক তার, টেলিফোন তার ও কম্পিউটার যন্ত্র কেটেও নষ্ট করে। এদের দ্বারা ক্ষতির পরিমাণ পরিসংখ্যানগত ভাবে নির্ণয় করা স্বভাবতই কঠিন।
ধানক্ষেতে ইঁদুরের ক্ষতির ধরন:
অধিকাংশ সময়ই ইঁদুর মাটি থেকে প্রায় ১০ সে. মি. উপরে কাণ্ড কেটে দেয়। ইঁদুর ধান গাছের কাণ্ড সবসময়ই ৩০-৪৫ ডিগ্রি কোণে তেরছাভাবে কেটে দেয় যার কারণে ধানের কাণ্ড নুয়ে পড়ে। ধান বা গমে যখন শীষ বের হয় তখন ইঁদুর কখনো কখনো ধান বা গমের শীষকে বাঁকিয়ে নিয়ে শুধু শীষ কেটে দেয়। কোনো কোনো সময় ইঁদুর শুধু মাত্র তার দাঁতকে ধারালো এবং স্বাভাবিক রাখার জন্য অথবা বাসা তৈরি করার জন্য ধান কেটে টুকরো টুকরো করে থাকে। গভীর পানির ভাসা আমন ধানে থোর আসার পূর্ব থেকেই ইঁদুরের আক্রমণ দেখা যায়। সাধারণত বড় কালো ইঁদুর ভাসা আমন ধানে ক্ষতি করে থাকে। ইঁদুর ধান গাছের কাণ্ডের যে অংশ হতে পাতা গজায় তার উপরি ভাগের ডাঁটার মাঝখানের ২ সে. মি. রস যুক্ত নরম অংশ খেয়ে ফেলে।
গম ও বার্লি ক্ষেতে ইঁদুরের ক্ষতির ধরন: গম উৎপাদনে প্রধান সমস্যা হচ্ছে ইঁদুর। বীজ গজানো থেকে শুরু করে গম কাটা পর্যন্ত মাঠে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা যায়। ক্ষেতে গর্ত, নালা ও প্রচুর পরিমাণে মাটি উঠিয়ে গমক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি করে। তবে ইঁদুর শীষ বের হওয়া অবস্থায় বেশি ক্ষতি করে। শীষ বের হওয়ার শুরু থেকে কুশি কেটে গাছের নরম অংশের রস খায় ও পরে গাছ কেটে ও গম খেয়ে ফসলের ক্ষতি করে। ইঁদুর গাছ কেটে গমসহ শীষ গর্তে নিয়েও প্রচুর ক্ষতি করে থাকে। একটি ইঁদুর এক রাতে ১০০-২০০টি পর্যন্ত গমের কুশি কাটতে পারে। ফলে গমের ফলন মারাত্মকভাবে কমে যায়। গমে ও বার্লিতে শীষ বের হওয়ার সময় থেকে গম পরিপক্ব অবস্থা পর্যন্ত ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যায়।
সংগ্রহোত্তর ক্ষতি :
প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা হয় যেখানে ইঁদুরের ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি দেখা যায়। উষ্ণ ও অবউষ্ণ অঞ্চলে ইঁদুর দ্বারা ক্ষতির পরিমাণ ২-১৫%। বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা গেছে, ইঁদুর দ্বারা সংগ্রহোত্তর ক্ষতির পরিমাণ ২.৫-৩০ শতাংশ। ছোট কালো ইঁদুর, গেছো ইঁদুর এবং নেংটি ইঁদুর প্রধানত গুদামে, গবেষণাগারে, অফিসে, বাসাবাড়িতে ক্ষতি করে থাকে। একটি ইঁদুর প্রতি পরিবারে গুদামে বছরে ৪০-৫০ কেজি দানা শস্য ক্ষতি করে থাকে এবং এ ক্ষতির মোট পরিমাণ ৭৫০০০-১০০০০০ মেট্রিক টন।
ইঁদুর দমনের উপযুক্ত সময় :
বাসাবাড়িতে ফল ও কনফেকশনারি দোকান, শিল্প কারখানা, মার্কেট, অফিস, সমুদ্র ও বিমানবন্দর ইত্যাদি স্থানে সারা বছর, যে কোনো ফসলের থোর আসার পূর্বে ইঁদুরের সংখ্যা কম থাকে এবং মাঠে খাবার কম থাকে বলে ইঁদুর বিষটোপ সহজে খেয়ে থাকে।
ইঁদুর দমনের উপযুক্ত সময় ও ফসলের স্তর :
সমন্বিত ইঁদুর দমন ব্যবস্থাপনা : বছরের পর বছর ধরে ফসলের মাঠে ইঁদুর দমন করা হয়ে আসছে তারপরও এ সমস্যা বড় আকারে থেকে যাচ্ছে। তাই সমন্বিত উপায়ে নিয়মিত এর দমন কার্যক্রম চালিয়ে ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ইঁদুরকে পুরোপুরি ধ্বংস না করে নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের ফসল রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে।
ইঁদুর দমন পদ্ধতি :
ইঁদুর দমন পদ্ধতিকে দুভাবে ভাগ করা যায় যেমন- ক) অরাসায়নিক বা পরিবেশ সম্মতভাবে দমন খ) রাসায়নিক বা বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে দমন।
ক) অরাসায়নিক বা পরিবেশ সম্মতভাবে দমন : কোনো প্রকার বিষ ব্যবহার না করে অর্থাৎ পরিবেশের কোনো রকম ক্ষতি না করে ইঁদুর দমনই হচ্ছে অরাসায়নিক বা পরিবেশ সম্মতভাবে ইঁদুর দমন। এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ভাবে দমন করা যায় যেমন-
মনিটরিং/পরিদর্শন ও সজাগ দৃষ্টির মাধ্যমে;
বসতবাড়ি ও শস্যগুদাম পরিষ্কার রাখা এবং গুদামে ইঁদুর ঢুকতে না পারে এমন ব্যবস্থা করা;
জমির আইল পরিষ্কার ও ছোট রাখা;
প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি গর্ত খোড়া, পানি ও ধোঁয়া দিয়ে দমন;
জৈব নিয়ন্ত্রণ বা পরভোজী প্রাণীর মাধ্যমে ইঁদুর দমন; ইঁদুরের বিভিন্ন প্রাকৃতিক শত্রু যেমন ঈগল, বনবিড়াল, চিল, শিয়াল, পেঁচা, সাপ, গুইসাপ, বেজি ইত্যাদি দিয়ে প্রাকৃতিকভাবেই ইঁদুর দমন করা যায়;
নিবিড়ভাবে ফাঁদ পাতার মাধ্যমে;
ফসলের মাঠে শব্দসৃষ্টিকারী মেটাল/ধাতব নির্মিত কাঠামো ব্যবহার করে;
বপন পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে;
ইঁদুর খাবার অভ্যাস করে;
ইঁদুর দমন কার্যক্রমে দলভিত্তিক সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণে;
খ) রাসায়নিক বা বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে দমন : রাসায়নিক পদ্ধতিতে ইঁদুর দমন পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বহু যুগ ধরে চলে আসছে। বিষক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে রাসায়নিক পদ্ধতিকে দুভাগে ভাগ করা যায়-
১. তীব্র বা তাৎক্ষণিক ইঁদুরনাশক (Acute rodenticide) : এ ধরনের বিষ খাওয়ার পর দেহে তাৎক্ষণিক বিষক্রিয়া দেখা দেয় এবং ইঁদুর মারা যায়। যেমন- জিংক ফসফাইড।
২. দীর্ঘ মেয়াদি ইঁদুরনাশক(Chronic rodenticide) : এ ধরনের বিষ খেলে ইঁদুর তাৎক্ষণিকভাবে বিষক্রিয়ায় মারা না গেলেও ধীরে ধীরে অসুস্থ বা দুর্বল হয়ে ২-১৪ দিনের মধ্যে মারা যায়। দীর্ঘ মেয়াদি বিষকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। একমাত্রা বিষ - একমাত্রা একবার খেলেই ইঁদুর মারা যাবে, যেমন- গমে মিশ্রিত জিংক ফসফাইড বিষটোপ। বহুমাত্রা বিষ-এক্ষেত্রে খেয়ে ইঁদুর মারার জন্য খাওয়াতে হবে যেমনÑগমে মিশ্রিত ব্রোমাডিয়লন বিষটোপ, ল্যানির্যাট, ব্রোমাপয়েন্ট, রেকুমিন। উল্লিখিত সবগুলো বিষই বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত।
গ্যাস ট্যাবলেট :
বিষ গ্যাস ট্যাবলেট ইঁদুরের গর্তে মরণ গ্যাস সৃষ্টি করে। যেমনÑ ফসটক্সিন ট্যাবলেট, অ্যালুমিনিয়াম ফসফেট।
রাসায়নিক বিষটোপ ব্যবহার পদ্ধতি : জিংক ফসফাইড বিষ বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমনঃ নারিকেল, শুঁটকি, বিস্কুট গম ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও শামুক ভেঙে জিংক ফসফাইড মিশিয়ে দিলে অনেক বেশি কার্যকর হয়।
বিষটোপ একই পাত্রে বা একই স্থানে কমপক্ষে ৩-৪ দিন রাখতে হবে।
প্রতিপাত্রে কমপক্ষে ৫০-১০০ গ্রাম বিষটোপ ব্যবহার করতে হবে।
দীর্ঘ মেয়াদি বিষটোপ যতদিন ইঁদুর খাওয়া বন্ধ না করে ততদিন পাত্রে বিষটোপ রাখতে হবে।
বিষটোপ পাত্র হিসেবে নারিকেলের খোলস, মাটির পাত্র, কলা গাছের খোলস, বাঁশ অথবা পাইপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
গ্যাস ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে ইঁদুরের গর্তের মুখ বন্ধ করে দিতে হবে।
সাবধানতা :
ইঁদুর মারার বিষ খুব মারাত্মক। এ ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যা নিম্নরূপ
বিষ টোপ তৈরির সময় মাস্ক ব্যবহার বা কাপড় দিয়ে নাক ঢেকে নিতে হবে; বিষটোপ তৈরি ও ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে; ছোট শিশু ও বাড়ির গৃৃৃহপালিত পশুপাখি যেন এই বিষটোপের সংস্পর্শে না আসতে পারে সে বিষয়ে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে; সন্ধায় দেয়া বিষটোপ কিছু থেকে গেলে সকালে তা সাবধানে সরিয়ে বা উঠিয়ে রাখতে হবে।
বিষের খালি প্যাকেট অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না; খালি প্যাকেট এবং মরা ইঁদুর মাটির বেশ নিচে নিরাপদ স্থানে পুঁতে ফেলতে হবে; গ্যাস বড়ি ব্যবহারেও সতর্ক থাকতে হবে;
বিষটোপ প্রস্তুত ও প্রয়োগে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং কোনো রকম অসুস্থতা অনুভব করলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে;
ইঁদুরের সমস্যা ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে একটি জাতীয় সমস্যা। তাই এ সমস্যা সমাধানে সকলকে একযোগে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এরা সাধারণত গর্তে বাস করে বলে একবারের চেষ্টায় সম্পূর্ণভাবে দমন বা নির্মূল করা সম্ভব নয়। তাই সমন্বিত এবং সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উদ্বাবিত নতুন নতুন লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে দমনের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তবেই মূল্যবান ফসল সম্পদ রক্ষাসহ অন্যান্য সেক্টরের নানাবিধ ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। অতএব সমন্বিত, সম্মিলিত এবং সময়পযোগী দমন পদ্ধতি প্রয়োগ করলেই ইঁদুরের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বর্ণনাসম্পাদনা
এরা দৈর্ঘে ৪-৮ ইঞ্চি হয়। খুব দ্রুত চলাচল করে, মাটিতে গর্ত করে থাকে এবং জমির ফসল, ঘরের আসবাব, কাপড় প্রভৃতি কেটে নষ্ট করে।
প্লেগ রোগসম্পাদনা
প্লেগ রোগ কি?
প্লেগ রোগ একটি প্রচন্ড ছোঁয়াচে ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ যেটা মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আক্রমণ করে। মধ্যযুগের ইউরোপে একসময় এই ব্যাধির জন্য হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল। এই মড়ক কালো মৃত্যু নামে পরিচিত। বর্তমানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে একভাবে মানুষের প্লেগ হতে থাকে, কিন্তু এটা আফ্রিকা এবং এশিয়ার দূরবর্তী ভাগে সবথেকে বেশি উল্লেখযোগ্যভাবে হয়।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?
প্লেগ তিন রকমের হয় এবং উপসর্গগুলি প্লেগের ধরনের উপর নির্ভর করে।
বুবোনিক প্লেগের জন্য তীব্র প্রদাহ অথবা টন্সিলের ফোলা এবং খারাপ মেজাজ হয় ও এর উপসর্গগুলি ফলে, জ্বর, শরীরে ব্যথা, ফোলা ক্ষতর গঠন হয় যেগুলো ফেটে যায়, এবং লসিকা গ্রন্থিতে সংবেদনশীলতা হয়। এইধরনের প্লেগ লসিকা গ্রন্থি থেকে শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সেপ্টিকেমিক প্লেগে যে উপসর্গগুলো দেখা যায় সেগুলো হল, প্রচন্ড দুর্বলতা, জ্বর, ঠান্ডা লাগা, প্রচন্ড পেটে ব্যথা, এবং পায়ের কালো হয়ে যাওয়া। এইধরনের প্লেগ অধিকাংশ ক্ষেত্রে বুবোনিক প্লেগের চিকিৎসা না করালে হতে পারে।
নিউমোনিক প্লেগে যে উপসর্গগুলো দেখা যায় সেগুলো হল, বুকে ব্যথা, শ্বাস নিতে অসুবিধা, এককভাবে কাশি এবং নিউমোনিয়া।
এর প্রধান কারণগুলো কি কি?
এই সংক্রমণ প্রধানত ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস নামক ব্যাকটিরিয়ামের কারণে হয়, যেটা প্রধানত ইঁদুর বা মাছির মধ্যে পাওয়া যায়। এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রামিত ইঁদুর বা মাছির কামড়ের দ্বারা মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আক্রান্ত করতে পারে। সরাসরি স্পর্শেও এই ভয়ানক ছোঁয়াচে ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে।
এটি কিভাবে নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়?
রক্ত এবং সংক্রামিত টিস্যুর নমুনা জড়িত একাধিক ডায়াগনস্টিক পরীক্ষাগুলি প্লেগের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য করা যেতে পারে। এই ব্যাধি একটি অবশ্য জ্ঞাপনীয় ব্যাধি এবং যাতে এই ব্যাধি ছড়িয়ে না পড়ে সেইজন্য তৎক্ষনাৎ স্থানীয় চিকিৎসা কর্তৃপক্ষকে এটার খবর দেওয়ার দরকার।
প্লেগ একটা গম্ভীর অসুখ যেটার তৎক্ষনাৎ চিকিৎসা করা দরকার। চিকিৎসা বিদ্যায় উন্নতির জন্য, অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্যে এখন প্লেগের চিকিৎসা করা যায়। তাড়াতাড়ি নির্ণয় হলে এবং তৎক্ষনাৎ চিকিৎসা করলে দ্রুত আরোগ্য পাওয়া সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
যারা সংক্রামিত ব্যক্তির চিকিৎসা করেন তাদেরও নজরে রাখতে হবে এবং সংক্রমণটি প্রতিরোধের জন্য সরাসরি যোগাযোগ এড়াতে হবে। আজ পর্যন্ত এই ব্যাধির কোনো টীকা বের হয়নি।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো, মঙ্গলবার, ১৬ জুন/২০১৫)।