শাহরিয়ার হোসেন

বাংলাদেশী ক্রিকেটার

মোহাম্মদ শাহরিয়ার হোসেন (জন্ম: ১ জুন, ১৯৭৬) নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটারবাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্টএকদিনের আন্তর্জাতি প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ঝড়োগতিতে সাবলীল ভঙ্গীমায় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম অংশগ্রহণসহ ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী টেস্টের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ঢাকা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেন।

শাহরিয়ার হোসেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমোহাম্মদ শাহরিয়ার হোসেন
জন্ম (1976-06-01) ১ জুন ১৯৭৬ (বয়স ৪৭)
নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ
ডাকনামবিদ্যুৎ
উচ্চতা৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক১০ নভেম্বর ২০০০ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ বনাম জিম্বাবুয়ে
ওডিআই অভিষেক১০ অক্টোবর ১৯৯৭ বনাম কেনিয়া
শেষ ওডিআই১৫ মে ২০০৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
ঢাকা বিভাগ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২০ ১৬ ৩৮
রানের সংখ্যা ৯৯ ৩৬২ ৯৪৭ ৮১৪
ব্যাটিং গড় ১৯.৮০ ১৯.০৫ ৩৫.০৭ ২২.০০
১০০/৫০ -/- -/২ ৩/২ ০/৬
সর্বোচ্চ রান ৪৮ ৯৫ ২১৮ ৯৫
বল করেছে - - -
উইকেট - - - -
বোলিং গড় - - - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - - - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - - - -
সেরা বোলিং - - - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/১ ৫/- ৩/১ ১১/–
উৎস: cricinfo, ২৬ মে ২০১৫

খেলোয়াড়ী জীবনসম্পাদনা

১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে তার অন্তর্ভুক্তি ঘটে। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ এ ক্রিকেট দলের সদস্য মনোনীত হন। এরপর ১৯৯৬ সালে জাতীয় দলে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন।

বিশ্বকাপের পূর্বে ১৯৯৯ সালের মার্চে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় একদিনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন। এরফলে অল্পের জন্য প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ওডিআইয়ে সেঞ্চুরি করা থেকে বঞ্চিত হন। পরের খেলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেন ৬৮ রান। ঐ খেলায় মেহরাব হোসেনের সাথে প্রথম উইকেট জুটিতে ১৭০ রান সংগ্রহ করেন। বছরের শেষদিকে অক্টোবরে ঢাকায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৫ ও ৪৭ রান তুলেছিলেন।

২০০০ থেকে ২০০৪ মেয়াদে সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে মাত্র ৩ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম টেস্টে তিনি অংশ নেন। ঐ টেস্টের উভয় ইনিংসে তিনি যথাক্রমে ১২ ও ৭ রান করেছিলেন। নিয়মিত উইকেট-কিপার খালেদ মাসুদের হাঁটুর আঘাতপ্রাপ্তিতে ভারতের ইনিংসে ৩৫-৮৫ ওভার পর্যন্ত উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। অধিনায়ক নাইমুর রহমানের বলে সাবা করিম প্রতিরোধ করতে না পারায় শাহরিয়ারের প্যাডে বল লেগে উইকেটে আঘাত লাগলে করিমকে স্ট্যাম্পড করেন তিনি।[১] বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীনাথের শর্ট বল মাথায় আঘাত হানলে রিটায়ার্ড হার্ট হন।[২] পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে নেমে সুনীল জোশী’র বলে এলবিডব্লিউ’র শিকার হন।

চার বছর পর ২০০৪ সালে ২-টেস্টের সিরিজে নিজস্ব পরবর্তী টেস্টে অংশ নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৮ রান তোলেন। তা স্বত্ত্বেও জিম্বাবুয়ে সফর শেষে দল থেকে বাদ পড়েন শাহরিয়ার।[৩] পাশাপাশি আঘাতপ্রাপ্তির ফলে তার খেলোয়াড়ী জীবনের অকাল সমাপ্তি ঘটে।[৪]

ক্রিকেট বিশ্বকাপসম্পাদনা

১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। নর্দাম্পটনে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় তিনি ৩৯ রান করেছিলেন। নিজের সেরা ইনিংস হিসেবে শোয়েব আখতার, ওয়াসিম আকরামওয়াকার ইউনুসের ন্যায় বিশ্বমানের ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে শর্ট বলগুলোকে মোকাবেলা করে সহজাত ড্রাইভ দিয়েছেন।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. Ramchand, Partab (২০০০-১১-১৩), Sudden Bangladesh collapse leaves India easy winners, cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-২৬ 
  2. Ramchand, Partab (২০০০-১১-১২), Ganguly, Joshi save India from greater indignity, cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-২৬ 
  3. Shahriar Hossain Test matches-player Analysis, stats.cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-২৬ 
  4. Shahriar Hossain One day Internationals-Player Analysis, stats.cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-২৬ 

আরও দেখুনসম্পাদনা

বহিঃসংযোগসম্পাদনা