ব্রায়ান টাবের

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার

হেডলি ব্রায়ান টাবের (ইংরেজি: Brian Taber; জন্ম: ২৯ এপ্রিল, ১৯৪০) নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়াগা ওয়াগা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭০ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ব্রায়ান টাবের
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
হেডলি ব্রায়ান টাবের
জন্ম (1940-04-29) ২৯ এপ্রিল ১৯৪০ (বয়স ৮৪)
ওয়াগা ওয়াগা, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ ব্রেক
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৪০)
২৩ ডিসেম্বর ১৯৬৬ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট৫ মার্চ ১৯৭০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬৪/৬৫ - ১৯৭৩/৭৪নিউ সাউথ ওয়েলস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৬ ১২৯
রানের সংখ্যা ৩৫৩ ২৬৪৮
ব্যাটিং গড় ১৬.০৪ ১৮.০১
১০০/৫০ ০/০ ১/৮
সর্বোচ্চ রান ৪৮ ১০৯
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫৬/৪ ৩৪৫/৫০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ আগস্ট ২০১৯

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করাসহ লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ব্রায়ান টাবের

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

সম্পাদনা

১৯৬৪-৬৫ মৌসুম থেকে ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম পর্যন্ত ব্রায়ান টাবেরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ১৮। উইকেট-রক্ষক হিসেবে ব্রায়ান টাবের ১২৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এ সময়ে ১৮.০১ গড়ে রান তুলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেন ১০৯।[]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ষোলটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন ব্রায়ান টাবের। ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৬৬ তারিখে জোহেন্সবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডেভিড রেনেবার্গের সাথে একযোগে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[] ৫ মার্চ, ১৯৭০ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেন ৪৮।

১৯৬০-এর দশকের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ১৬ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়েছিল ব্রায়ান টাবেরের। টেস্টে নাটকীয়ভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে ব্রায়ানে টাবেরের। ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে বব সিম্পসনের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। জোহেন্সবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঐ টেস্টে সাত ক্যাচসহ স্ট্যাম্পিং করেছিলেন তিনি। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ১৩ ও ৭ রান তুলেন। তাসত্ত্বেও, স্বাগতিক দল ২২৩ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয়।

১৯৬৮ সালে নিয়মিত উইকেট-রক্ষক ব্যারি জার্মানের বিকল্প হিসেবে ইংল্যান্ড গমন করেন। ঐ দলটিতে বিল লরি, ব্রায়ান টাবের, ডগ ওয়াল্টার্স, লেস জসলিন, জন গ্লিসন, অ্যাশলে মলেট, ডেভিড রেনেবার্গ, জন ইনভেরারিটি, এরিক ফ্রিম্যান, ইয়ান চ্যাপেল, নীল হক, পল শিহান, অ্যালেন কনলি, বব কাউপার, গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জিইয়ান রেডপথ ছিলেন। এর পরপরই ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক হিসেবে গমন করেন।

১৯৬৯-৭০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিপর্যয়গ্রস্ত ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ পরাজয়ে সর্বশেষ খেলেন। এরপর রডনি মার্শ তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।

খেলার ধরন

সম্পাদনা

দৈহিক গড়ন খাটো আকৃতির হলেও সহজাত ভঙ্গীমায় উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসেবে তার ভূমিকা বেশ সীমাবদ্ধ ছিল। নিউ সাউথ ওয়েলসের অন্যতম সেরা উইকেট-রক্ষক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। শতাব্দীর সেরা নিউ সাউথ ওয়েলস দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতে প্রবেশ করেন ব্রায়ান টাবের। পরবর্তীতে এনএসডব্লিউ’র নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Cricinfo, http://content-aus.cricinfo.com/ci/content/player/7912.html Accessed 2 February 2010
  2. "Australia in South Africa (1966 – 1967): Scorecard of first Test"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৮, ২০১৯ 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা