ডগ ওয়াল্টার্স
কেভিন ডগ ওয়াল্টার্স, এমবিই (ইংরেজি: Doug Walters; জন্ম: ২১ ডিসেম্বর ১৯৪৫) নিউ সাউথ ওয়েলসের ডানগগ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও প্রখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কেভিন ডগলাস ওয়াল্টার্স, এমবিই | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ডানগগ, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ২১ ডিসেম্বর ১৯৪৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৯৫) | ১০ ডিসেম্বর ১৯৬৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১) | ৫ জানুয়ারি ১৯৭১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬২-১৯৮১ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ অক্টোবর ২০১৫ |
দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমায় ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন ডগ ওয়াল্টার্স।[১] এছাড়াও, ডানহাতি মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনা১৯৬২-৬৩ মৌসুমে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। নিজস্ব সর্বোচ্চ ২৫৩ রান তোলেন ও সেরা বোলিং করেন ৭/৬৩। উভয়ক্ষেত্রেই প্রতিপক্ষ দল ছিল সাউথ অস্ট্রেলিয়া। শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতায় ৯১ খেলায় ৩৯.৭৪ গড়ে ৫,৬০২ রান ও ৩২.৮১ গড়ে ১১০ উইকেট দখল করেছেন তিনি।
১৯৭৫-৭৬ মৌসুমের শুরুতে ডগ ওয়াল্টার্স গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাঠের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন ও রিক ম্যাককস্কারকে নিউ সাউথ ওয়েলসের অধিনায়কের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়।[২]
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা১০ ডিসেম্বর, ১৯৬৫ তারিখে গাব্বায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে তার টেস্ট অভিষেক হয়। তারপর তিনি খুব দ্রুত নিজেকে ব্যাটসম্যান হিসেবে তুলে ধরেন। টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ১৫৫ রান তুলেন। এরপর দ্বিতীয় টেস্টেও আরেকটি শতরানের অধিকারী হন। কিন্তু ইংল্যান্ডে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ১৮ খেলায় সেখানে তিনি মাত্র ২৫.৬৮ গড়ে রান তুলতে পেরেছিলেন। কিন্তু খুব দ্রুত রান সংগ্রহের দিক ধাবিত হয়েছিলেন।
১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখেন। এ সময় তিনি ন্যাশনাল সার্ভিসে প্রশিক্ষণের জন্য দুই বছর ব্যয় করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি পুনরায় টেস্ট অঙ্গনে ফিরে আসেন। ১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আঘাতের কারণে খেলতে না পারলেও বাদ-বাকী চার টেস্টে ব্র্যাডম্যানের ন্যায় ১১৬.৫০ গড়ে ৬৯৯ রান সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৪২ তোলেন এ সময় এক টেস্টে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরির অধিকারী ছিলেন একমাত্র তিনিই।
১৯৬৯-৭০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার পিটার পোলক ও মাইক প্রোক্টরের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন।[৩] এরফলে, ১৯৭০-৭১ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের দলনেতা জন স্নো ওয়াল্টার্সের বিপক্ষে শর্ট-পিচ বলের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। প্রথম টেস্টে ১১২ ও তিনটি অর্ধ-শতক করলেও সর্বমোট ৩৭৩ রান তুলতে পেরেছিলেন।
১৯৭১-৭২ মৌসুমে রাজনৈতিকভাবে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্যারি সোবার্সের নেতৃত্বাধীন বহিঃর্বিশ্ব দলের সদস্যরূপে খেলেন। চার খেলায় ৭১.০০ গড়ে ২ সেঞ্চুরিসহ ৩৫৫ রান করেন।
১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়াকা গ্রাউন্ডে সেঞ্চুরি করে সুনাম কুড়ান। দিনের শেষ বলে বব উইলিসের বল থেকে ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন। ১৯৭০-এর দশকে মাঠের বাইরে অবস্থান করে সিগারেট না টানা অবস্থায় তাকে দেখা যায়নি। এছাড়াও বিভিন্ন গুজবের কারণেও তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।[৪] অক্টোবর, ১৯৮১ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান ওয়াল্টার্স।
মূল্যায়ন
সম্পাদনাখেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে তাকে ব্র্যাডম্যানের সাথে তুলনা করা হতো। কিন্তু এ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন যে, ‘ব্র্যাডম্যানের তুলনা ব্র্যাডম্যান নিজেই। আমি তাঁর জুতোরও সমকক্ষ নই।’[৫]
ই.ডব্লিউ. সোয়ানটনের মতে, ১৯৪৮ সালে হেডিংলিতে নীল হার্ভে’র করা বিখ্যাত শতরানের সাথে ওয়াল্টার্সের ইনিংসের তুলনা করা যেতে পারে। প্রকৃত ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে নিজেকে শক্তভাবে মেলে ধরতে সক্ষমতা দেখিয়েছেন তিনি। কেবলমাত্র বিল লরি ও বব সিম্পসন অধিক রান তুললেও যোগ্যতার বিচারে তাকেও রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।[৬]
সম্মাননা
সম্পাদনা১৯৮৫ সালে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের একটি স্ট্যান্ড তার নামে নামাঙ্কিত হয়।[৭] পরবর্তীতে ২০০৭ সালে ঐ স্ট্যান্ডটি ‘ভিক্টর ট্রাম্পার স্ট্যান্ড’ নামে পরিচিত হয়। বর্তমানে এটি একটি বার হিসেবে রয়েছে।
১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে চ্যানেল নাইনে ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৮৮ সালে খেলোয়াড়ী শুরু ও শেষের ক্রিকেট জীবনকে ঘিরে ‘ওয়ান ফর দ্য রোড’ শীর্ষক গ্রন্থ রচনা করেন। ১৯৯৯ সালে মার্ক ওয়াহের সাথে যৌথভাবে ‘দি এন্টারটেইনার’ শীর্ষক পুস্তক প্রকাশ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। ক্যারোলিন নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি তার সস্ত্রীক সিডনিতে বসবাস করছেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ The Oxford Companion to Australian Cricket, ed. Cashman, Franks, Maxwell, Stoddart, Weaver and Webster, Oxford University Press, 1996, আইএসবিএন ০-১৯-৫৫৩৫৭৫-৮ p.562
- ↑ "Specialist surprises, skipper"। The Canberra Times। 50, (14,221)। Australian Capital Territory, Australia। ১২ নভেম্বর ১৯৭৫। পৃষ্ঠা 28। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ p 505, Colin Frith, Pageant of Cricket, The Macmillan Company of Australia Ltd, 1987
- ↑ Ian Chappell, Austin Robertson and Paul Rigby, Chappelli Has the Last Laugh, Lansdowne Press, 1980
- ↑ "Walters rings down the curtain on a truly first-class career" Canberra Times, 7 October 1981, p38
- ↑ p135, E.W. Swanton, Swanton in Australia with MCC 1946–1975, Fontana/Collins, 1975
- ↑ "SCG History"। Sydney Cricket & Sports Ground Trust। ১৬ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১২।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ডগ ওয়াল্টার্স (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ডগ ওয়াল্টার্স (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)