অ্যালেন কনলি

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার

অ্যালেন নরম্যান কনলি (ইংরেজি: Alan Connolly; জন্ম: ২৯ জুন, ১৯৩৯) ভিক্টোরিয়ার স্কিপটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৩ থেকে ১৯৭১ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২৯ টেস্ট ও একটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন অ্যালেন কনলি

অ্যালেন কনলি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামঅ্যালেন নরম্যান কনলি
জন্ম (1939-06-29) ২৯ জুন ১৯৩৯ (বয়স ৮৪)
স্কিপটন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২২৫)
৬ ডিসেম্বর ১৯৬৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট৯ জানুয়ারি ১৯৭১ বনাম ইংল্যান্ড
একমাত্র ওডিআই
(ক্যাপ )
৫ জানুয়ারি ১৯৭১ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫৯ – ১৯৭১ভিক্টোরিয়ান বুশরেঞ্জার্স
১৯৬৯ – ১৯৭০মিডলসেক্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৯ ২০১ ৩২
রানের সংখ্যা ২৬০ ১,০৭৩ ৭০
ব্যাটিং গড় ১০.৪০ ৮.৭৯ ৭.৭৭
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৩৭ ৪০ ১৩
বল করেছে ৭,৮১৮ ৬৪ ৪৩,৫৭৮ ১,৫৩৬
উইকেট ১০২ ৬৭৬ ৪১
বোলিং গড় ২৯.২২ ২৬.৫৮ ২১.২৪
ইনিংসে ৫ উইকেট ২৫
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৪৭ ০/৬২ ৯/৬৭ ৫/২২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৭/– ০/– ৭৭/– ৯/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেছেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন।

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে ফাস্ট বোলার হিসেবে অংশগ্রহণ করতেন। কিন্তু বলে সঠিকতা আনয়ণকল্পে পেস কমিয়ে দেন। গার্থ ম্যাকেঞ্জি’র সাথে বিশ্বস্ত ও সহায়ক বোলিং জুটি গড়েন। ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে ১৫৯ রানের স্মরণীয় জয়ে প্রভূতঃ সহায়তা করেন অস্ট্রেলিয়া। দলকে।[১] এরফলে, ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সময়কালে অনুষ্ঠিত ৪০ টেস্টে প্রথমবারের মতো পরাজিত হয় ইংল্যান্ড দল। ঐ সিরিজে তিনি ২১.৩৪ গড়ে ২৩ উইকেট নিয়ে বোলিং পরিসংখ্যানে শীর্ষস্থান দখল করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৬৯-৭০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ২৬.১০ গড়ে সিরিজে ২০ উইকেট পান। চার টেস্টের ঐ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া সবকটিতেই পরাজিত হয়েছিল। তার অন্য চার পেস বোলারগণ কেবলমাত্র ১৭ উইকেট পান ও তাদের সম্মিলিত বোলিং গড় ছিল ৬১.৭০।

১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ মৌসুম পর্যন্ত মিডলসেক্সের পক্ষে দুই মৌসুম কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নেন। দীর্ঘ দূরত্ব নিয়ে বোলিং করতেন। ৬ ডিসেম্বর, ১৯৬৩ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় অ্যালেন কনলি’র। একমাত্র ওডিআই খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন ৫ জানুয়ারি, ১৯৭১ তারিখে। ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে সেরা মুহূর্ত উদ্‌যাপন করেন। এছাড়াও, ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দল তার বোলিং আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত থাকে। কিন্তু এরপর থেকেই তার বোলিং বেশ দূর্বল হতে থাকে। এক পর্যায়ে মাত্র ৩১ বছর বয়সেই তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

১৯৭০-৭১ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের সর্বশেষ অংশ নেন। সিডনিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ টেস্ট খেলার জন্য আমন্ত্রিত হন তিনি। কিন্তু, ২৯৯ রানে ব্যাপক ব্যবধানে হেরে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে তিনি মাত্র এক উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হন। ঐ মৌসুম শেষে তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. p59, John Snow, Cricket Rebel, Hamlyn, 1976

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা