প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী

এখানে বলিউড প্রবেশদ্বারের নির্বাচিত অভিনেত্রী বিভাগে স্থান পাওয়া নিবন্ধগুলো উল্লেখ করা হয়েছে:

টেমপ্লেট সম্পাদনা

নোট অ-স্ক্রলিং প্যানোরামার জন্য ব্যবহার করুন ডিফল্ট "size=" (size=150px)। ব্যাপক আকারগুলো একটি অনুভূমিক স্ক্রল বার অন্তর্ভুক্ত করবে।

{{প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী/টেমপ্লেট
  | image = 
  | size = 
  | caption = 
  | text = 
  | link = 
}}


নির্বাচিত অভিনেত্রীর তালিকা সম্পাদনা

অভিনেত্রী ১–১০ সম্পাদনা

প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী/১ প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী/১


প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী/২

কারিনা কাপুর (জন্ম: (১৯৮০-০৯-২১)২১ সেপ্টেম্বর ১৯৮০) একজন ভারতীয় বলিউড অভিনেত্রী। অভিনয় জীবনে কাপুর নয়টি মনোনয়নের মধ্যে ছয়টি ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার পেয়েছেন, এবং এবং চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ধারায় তার অভিনয়ের জন্য খ্যাতিমান হয়েছেন। অভিনয়শিল্পী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা, কাপুর খুব অল্প বয়স থেকেই মিডিয়া স্পটলাইটের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তবে ২০০০ সালে রিফিউজি চলচ্চিত্রের আগ পর্যন্ত তাকে অভিনয়ে দেখা যায় নি। তার মেলোড্রামা কাভি খুশি কাভি গাম... ২০০১ সালে বিদেশের বাজারে ভারতের সর্বাধিক উপার্জনকারী চলচ্চিত্রে পরিণত হয়েছে, এবং এখনও অবধি এটি তার অন্যতম বৃহত্তম ব্যবসায়িক সাফল্য। ধারাবাহিক পুনরাবৃত্ত ভূমিকার জন্য নেতিবাচক পর্যালোচনা পাওয়ার পরে, টাইপকাস্ট এড়াতে কাপুর আরো অধিক চাহিদাসম্পন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং ফলস্বরূপ অভিনেত্রী হিসাবে বৃহত্তর বহুমুখিতা প্রদর্শনের জন্য সমালোচকদের দ্বারা স্বীকৃত হয়েছিল। চামেলি (২০০৪) চলচ্চিত্রে একজন যৌনকর্মীর ভূমিকায় অভিনয় তার কর্মজীবনে মোড় ঘুরয়িে দিয়েছিল। চলচ্চিত্রটি (এবং কাপুরের অভিনয়) সমালোচকদের দ্বারা মূলত ইতিবাচক পর্যালোচনা পেছেছিল এবং পাশাপাশি তিনি ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ২০০৭ সালের জব উই মেট চলচ্চিত্রে গীত চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন। কাপুর থ্রি ইডিয়টস (২০০৯) নাটকে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়েছিলেন, যেটি মুক্তিকালে সর্বোচ্চ আয়কারী বলিউডের চলচ্চিত্রে পরিণত হয়েছিল।


প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী/৩

তাপসী পান্নু (জন্ম: ১ আগস্ট ১৯৮৭) একজন ভারতীয় মডেল এবং অভিনেত্রী, যিনি দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং বলিউড চলচ্চিত্রশিল্পে কাজ করেছেন। তাপসী একজন সফটওয়্যার পেশাজীবী হিসেবে কাজ করতেন, এবং অভিনেত্রী হবার পূর্বে মডেলিং কর্মজীবনে জড়িত ছিলেন। তার মডেলিং কর্মজীবনে তিনি কিছুসংখ্যক বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন, এবং ২০০৮ সালে "প্যান্টালুন ফেমিনা মিস ফ্রেশ ফেস" ও "সাফি ফেমিনা মিস বিউটিফুল স্কিন" খেতাব লাভ করেন। মডেলিংয়ে সীমিত ভূমিকা রাখার পর, রাঘবেন্দ্র রাও পরিচালিত ২০১০ সালের ঝুম্মান্ডি নাডাম তেলুগু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটান তাপসী। এরপর তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন যেমন, আদুকালাম, ভাস্তাধু না রাজু এবং মি. পারফেক্ট। তার তামিল আদুকালাম চলচ্চিত্র ৫৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে ছয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেয়। তিনি এছাড়াও একটি মালয়ালম চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন এবং তিনটি তেলুগু এবং হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হন। আরম্ভাম (২০১৩) তামিল চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিনি ২০১৪ এডিসন পুরস্কার অনুষ্ঠানে সর্বাধিক অত্যুৎসাহী সঞ্চালক-নারী পুরস্কার জেতেন। ২০১৫ সালে, তিনি সামালোচকীয় এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল বেবি চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। ২০১৬ সালে, তিনি পিংক চলচ্চিত্রে একটি প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। ২০১৭ সালে, প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন নাম শাবানা চলচ্চিত্রে যা ২০১৫ সালের বেবি চলচ্চিত্রের প্রিকুএল। ২০১৭ সালে তিনি দ্য গাজি অ্যাটাক যুদ্ধ চলচ্চিত্র এবং জুড়ওয়া ২ কমেডি চলচ্চিত্রে কাজ করেন।


প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী/৪

আলিয়া ভাট (জন্ম ১৫ মার্চ ১৯৯৩) একজন ব্রিটিশ-ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ব্রিটিশ পরিবারে জন্মগ্রহণ করা আলিয়া, চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেষ ভাট এবং অভিনেত্রী সোনি রাজদানের কন্যা। ১৯৯৯ সালে তানুজা চন্দ্র পরিচালিত সংঘর্ষ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরবর্তীকালে একজন প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রী হিসেবে সিদ্ধার্থ মালহোত্রাবরুণ ধবনের বিপরীতে করন জোহর পরিচালিত রোমান্টিক কমেডি স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার (২০১২) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন; যা সে বছরের বক্স অফিস সাফল্য অর্জন করে। ২০১৪ সালে, ইমতিয়াজ আলী পরিচালিত হাইওয়ে পথচলচ্চিত্রে স্টকহোম সিনড্রোমে আক্রান্ত একটি কিশোরীর চরিত্রে ভাটের অভিনয় চলচ্চিত্র সমালোচকদের নিকট ইতিবাচক মন্তব্য লাভ করে। তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার জিতেছেন এবং একই অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্যও মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি অর্জুন কাপুরের বিপরীতে করন জোহর পরিচালিত ২ স্টেট্স (২০১৪) রোমান্টিক নাট্য চলচ্চিত্রে, বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে শশাঙ্ক খৈতান পরিচালিত রোমান্টিক কমেডি হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া (২০১৪) চলচ্চিত্রে এবং শাকুন বার্তা পরিচালিত কাপুর অ্যান্ড সন্স (২০১৬) নাট্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ে মাধ্যমে বলিউডে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সমর্থ হন। যার প্রতিটি চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপী প্রায়  ১ বিলিয়ন (US$ ১২.২২ মিলিয়ন) আয় করে। ২০১৬ সালে, ভাট উড়তা পাঞ্জাব অপরাধ নাট্য চলচ্চিত্রে দারিদ্র্যপীড়িত অভিবাসী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি, ভাট তার অভিনীত দুইটি চলচ্চিত্রের দুইটি গানে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি নিয়মিত মঞ্চে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং নারী পোশাকের নিজস্ব ধারার বিবর্তন ঘটিয়েছেন।


প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী/৫

শ্রিয়া সরন (জন্ম: ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৮২), যিনি শ্রিয়া নামে অধিক পরিচিত, তিনি একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং মডেল। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক শিল্পে কাজ করেছেন যেমন, তেলুগু, তামিল, মালায়ালাম এবং হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র এবং পাশাপাশি কয়েকটি ইংরেজি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সরন ২০০১ সালে ইশ্‌তাম তেলুগু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন, এবং তার প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জনকারী চলচ্চিত্র ছিল সন্থোসাম (২০০২)। পরে তিনি হিন্দি ও তামিল চলচ্চিত্রে শিল্পে পথ তৈরির জন্য আরো বেশকয়েকটি তেলুগু চলচ্চিত্রে হাজির হন। ২০০৭ সালে, সরন শিভাজি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন যেটি ছিল সে সময়ের সর্বাধিক উপার্জনকারী তামিল চলচ্চিত্র। ২০০৭ সালের আওয়ারাপন বলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সমালোচকদের প্রশংসাও অর্জন করেছিলেন। ২০০৮ সালে, সরন তার প্রথম ইংরেজি চলচ্চিত্র মার্কিন-ভারতীয় সহ-প্রযোজনা দ্য আদার এন্ড অব দ্য লাইন-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরবর্তীতে জনপ্রিয় তামিল কন্দস্বামী' (২০০৯), এবং মালায়ালম 'পোখিরি রাজা (২০১০) চলচ্চিত্রসমূহে তার ভূমিকা তাকে দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। চলচ্চিত্রে অভিনয় ছাড়াও, তিনি সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য পণ্যকে সমর্থন করে সারা ভারত জুড়ে বেশ কয়েকটি দোকানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছিলেন।


প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী/৬

রানী মুখার্জী (জন্ম ২১ মার্চ ১৯৭৮) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিন হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। মুখার্জি-সমর্থ পরিবারে জন্মগ্রহণকারী, মুখার্জী মায়ের সাথে জেদ করে বাবার পরিচালিত বিয়ের ফুল (১৯৯৬) বাংলা চলচ্চিত্রে একটি ক্যামিও চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। পরবর্তীবছর, মুখার্জি রাজা কি আয়েগি বারাত (১৯৯৭)-এর মাধ্যমে হিন্দি চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে করণ জোহরের প্রণয়ধর্মী কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮) চলচ্চিত্রে মাধ্যমে তার প্রথম বৃহত্তম বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জনকারী চলচ্চিত্র মুক্তি পায়, যেটি তাকে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এনে দেয়। পরবর্তীতে তিনি সমালোচিত-প্রশংসিত নাট্য চলচ্চিত্র সাথিয়ায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার জেতার আগে তিনি বেশকয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন যা তার দক্ষতার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। পরে তিনি ব্ল্যাক (২০০৫) চলচ্চিত্রে অন্ধ আলঝেইমার রোগির চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বসম্মত প্রশংসা পেয়েছিলেন, যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। এরপর একাধিক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি, যার বেশিরভাগ ছিল যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে। এর মধ্যে কোনো চলচ্চিত্রই বক্স অফিসে সাফল্য পায় নি। তবে, ২০১১ সালে, আধা-জীবনীমূলক থ্রিলার নো ওয়ান কিল্ড জেসিকা চলচ্চিত্রে তিনি একজন শীর্ষস্থানীয়, স্বতন্ত্র নারী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা অর্জন করেছিলেন।


প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী/৭

কাজল (জন্ম ৫ আগস্ট ১৯৭৪) একজন ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। কাজল পরিচালক সমু মুখার্জী ও অভিনেত্রী তনুজা দম্পতির কন্যা, এবং অভিনেতা অজয় দেবগনের স্ত্রী। কাজল ভারতের অন্যতম সফল এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। তিনি তার কর্মজীবনে বারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার মনোনয়নের মধ্যে ছয়টি পুরস্কার জয় লাভ করেছেন। তার মাসী নূতনের সাথে যৌথভাবে তিনি সর্বোচ্চ পাঁচবার ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার বিজয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছেন। ২০১১ সালে ভারত সরকার তাকে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ সম্মানিত পুরস্কার পদ্মশ্রীতে ভূষিত করেন। কাজলের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৯২ সালে তার মায়ের সাথে রোম্যান্টিক বেখুদি চলচ্চিত্রে। তার প্রথম বাণিজ্যিক সফল চলচ্চিত্র হল থ্রিলারধর্মী বাজীগর (১৯৯৩)। নব্বইয়ের দশকে তিনি ভারতের পাঁচটি সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিসমূহ হল - ইয়ে দিল্লাগি (১৯৯৪), ইশ্‌ক (১৯৯৭), প্যার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া (১৯৯৮), প্যার তো হোনা হি থা (১৯৯৮), এবং হাম আপকে দিল মে রেহতে হেঁ (১৯৯৯)। ১৯৯৭ সালে রহস্য চলচ্চিত্র গুপ্ত: দ্য হিডেন ট্রুথ এবং ১৯৯৮ সালে মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার দুশমন তাকে খ্যাতি এনে দেয়। গুপ্ত: দ্য হিডেন ট্রুথ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ খলনায়ক পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে রোম্যান্টিক দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে ছবিতে রক্ষণশীল ভারতীয় পরিবারের কন্যা, ১৯৯৮ সালে রোম্যান্টিক-নাট্যধর্মী কুচ কুচ হোতা হ্যায় ছবিতে প্রথমে বালকসুলভ চেহারা ও পরে আদর্শ ভারতীয় নারী চরিত্রে, ২০০১ সালে পারিবারিক-নাট্যধর্মী কভি খুশি কভি গম... ছবিতে নিম্ন মধ্যবিত্ত পাঞ্জাবি নারী, ২০০৬ সালে ফনা ছবিতে অন্ধ কাশ্মিরি নারী, এবং ২০১০ সালে মাই নেম ইজ খান ছবিতে বিচ্ছেদ হওয়া একক মা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রেকর্ড সংখ্যক পাঁচবার ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল ইউ মি অউর হাম (২০০৮), উই আর ফ্যামিলি (২০১০), এবং দিলওয়ালে (২০১৫)। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি কাজল সামাজিক কর্মকান্ডেও জড়িত। তিনি বিধবা নারী এবং শিশুদের নিয়ে কাজের জন্য সুপরিচিত। এই কাজের জন্য তিনি ২০০৮ সালে কর্মবীর পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি জি টিভির আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠান রক-এন-রোল অনুষ্ঠানের বিচারক এবং দেবগন এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড সফটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন।


প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী/৮

বিদ্যা বালান (জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৭৮) একজন ভারতীয় মডেল ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি বলিউড চলচ্চিত্রে কর্মজীবন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাংলা, তামিল, মালয়ালম এবং হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয় জীবনে তিনি এ যাবৎ বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং পাঁচটি স্ক্রিন পুরস্কার অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। ২০১৪ সালে ভারত সরকার কর্তৃক তাকে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করা হয়। তরুণ বয়সেই চলচ্চিত্রের সাথে তার সম্পৃক্ততা ঘটে এবং ১৯৯৫ সালে হাম পাঁচ হিন্দি সিটকমের মাধ্যমে প্রথম অভিনয়ে আসেন। তিনি মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন এবং চলচ্চিত্রে কর্মজীবন শুরু করার পূর্বে ভিন্ন-ভিন্ন পেশায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে বিভিন্ন টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার পর ২০০৩ সালে তিনি ভাল থেকো স্বাধীন বাংলা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে প্রণয়ধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র পরিণীতা'য় ললিতা চরিত্রে অভিনয় ছিল তার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং পরবর্তী বছর ২০০৬ সালে রম্য-নাট্যধর্মী লাগে রাহো মুন্না ভাই চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন যা বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করে। এই সাফল্যের পর তিনি প্রণয়ধর্মী রম্য হেই বেবি (২০০৭) ও কিসমত কানেকশন (২০০৮) চলচ্চিত্রে কাজ করেন, যার ফলে তিনি নেতিবাচক সমালোচনা লাভ করেন। ২০০৯ সালে বিদ্যার কর্মজীবনের সর্বাধিক সাফল্যের সূচনা ঘটে পা নাট্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর ২০১০ সালের ব্ল্যাক কমেডি ইশ্‌কিয়া, ২০১১ সালের অর্ধ-জীবনীমূলক থ্রিলার নো ওয়ান কিলড জেসিকা, জীবনীমূলক চলচ্চিত্র দ্য ডার্টি পিকচার এবং ২০১২ সালের থ্রিলারধর্মী কাহানী চলচ্চিত্রে তিনি সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। এ সকল চরিত্রসমূহ তাকে হিন্দি চলচ্চিত্রের নেতৃত্বস্থানীয় অভিনেত্রী হিসেবে পরিণত করে। পরে তিনি কাহানির অনুবর্তী পর্ব কাহানি ২: দুর্গা রানী সিং ছবিতে অভিনয় করেন। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল না হলেও বিদ্যার অভিনয় প্রশংসিত হয়। ২০১৭ সালে তিনি রেডিও জকি চরিত্রে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জনকারী রম্য-নাট্য তুমহারি সুলু চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। বিদ্যা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি মানবহিতৈষী কার্যকলাপে জড়িত রয়েছেন এবং নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য সহায়ক হিসেবে অবদান রেখেছেন। প্রাথমিকভাবে তার ভারী শরীর এবং প্রশ্নসাপেক্ষ পোশাক নির্বাচনের কারণে তাকে বিভিন্ন সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তিনি ২০১২ সালে চলচ্চিত্র প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কাপুরকে বিয়ে করেন। ২০১৭ সালে তিনি ভারতীয় কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য হন।


প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী/৯

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (জন্ম: ১৮ জুলাই ১৯৮২) ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্রের একজন অভিনেত্রী এবং কণ্ঠশিল্পী। ২০০০ সালে তিনি মিস ওয়ার্ল্ড উপাধি লাভ করেন। ২০০২ সালে তামিল ঠামিজান চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিষেক হয়। হিন্দি চলচ্চিত্রে তিনি সানি দেওলের বিপরীতে দ্য হিরো ছবির মাধ্যমে প্রবেশ করেন। ২০০৪ সালে আন্দাজ ছবির জন্য তিনি সেরা নবাগতা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে তিনি ফ্যাশন ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে তিনি ভারত সরকার প্রদত্ত চতুর্থ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী অর্জন করেন এবং টাইম ম্যাগাজিন প্রকাশিত তালিকায় শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালী নারী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।


প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী/১০

দীপিকা পাড়ুকোন (জন্ম ৫ জানুয়ারি ১৯৮৬) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ও মডেল। সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহণকারী ভারতীয় তারকাদের একজন হিসেবে, তিনি বলিউড চলচ্চিত্রে তার কর্মজীবন প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি দুইটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। তিনি হিন্দি, তামিলকন্নড় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পাড়ুকোন, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় প্রকাশ পাড়ুকোনের মেয়ে, কোপেনহেগেনে জন্মগ্রহণ করেন এবং বেঙ্গালুরুতে বেড়ে উঠেন। একজন তরুণী হিসেবে তিনি জাতীয় পর্যায়ে ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশীপে অংশগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু ফ্যাশন মডেল হওয়ার জন্য তিনি খেলোয়াড় পেশার ইতি টানেন। তিনি শীঘ্রই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব পান, এবং ঐশ্বরিয়া কন্নড চলচ্চিত্রে নামমাত্র চরিত্রে ২০০৬ সালে প্রথম অভিনয় করেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে তার প্রথম বলিউড ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র ওম শান্তি ওম মুক্তি পায় যেখানে তিনি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন এবং ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ নারী অভিষেক পুরস্কার লাভ করেন। পাড়ুকোন প্রণয়ধর্মী লাভ আজ কাল (২০০৯) এবং নাট্যধর্মী লাফাঙ্গে পারিন্দে (২০১০) চলচ্চিত্রে প্রধান ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য প্রশংসা লাভ করেন। তবে তার প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক বচনা অ্যায় হাসিনো (২০০৮) এবং হাস্যরসাত্মক হাউসফুল (২০১০) চলচ্চিত্রে তার অভিনয় নেতিবাচক মন্তব্য লাভ করে। ২০১২ সালের বক্স অফিস হিট ককটেল পাড়ুকোনের কর্মজীবনের সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়, যা তাকে সমালোচকদের কর্তৃক প্রশংসা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন পুরস্কার সমারোহ অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য মনোনয়ন এনে দেয়। তিনি হাস্যরসাত্মক ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি (২০১৩), চেন্নাই এক্সপ্রেস (২০১৩) এবং হ্যাপি নিউ ইয়ার (২০১৪) চলচ্চিত্রে সাফল্যের সাথে অভিনয় করেন যা সর্বোচ্চ-আয়কারী বলিউড চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান নেয়। তিনি বিয়োগান্ত গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা (২০১৩) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা লাভ করেন, এবং ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে, তার হাস্যরসাত্মক-নাট্য চলচ্চিত্র পিকু মুক্তি পায়, একই সালের ১৮ ডিসেম্বর মুক্তিপ্রাপ্ত ঐতিহাসিক ছবি বাজীরাও মস্তানীতে তিনি মস্তানি চরিত্রে দারুণ অভিনয় করেছেন।