বেবি (২০১৫-এর হিন্দি চলচ্চিত্র)

নিরাজ পান্ডে পরিচালিত ২০১৫ সালের চলচ্চিত্র

বেবী ২০১৫ সালের বলিউড নির্মিত হিন্দি অ্যাকশন - গুপ্তচর কাহিনীমূলক চলচ্চিত্র। এই সিনেমাটির পরিচালক নীরজ পান্ডে। এই সিনেমাটির পূর্ববর্তী কাহিনী নাম শাবানা নামে ২০১৭ সালে মুক্তি পেয়েছে।[৩]

বেবি (২০১৫)
পরিচালকনীরজ পান্ডে
প্রযোজকভূষন কুমার
কৃষন কুমার
শীতল শর্মা
রচয়িতানীরজ পান্ডে
শ্রেষ্ঠাংশেঅক্ষয় কুমার
ড্যানি
রানা দজ্ঞুবাতি
তাপসী পান্নু
কে কে মেনন
মুরলী শর্মা
অনুপম খের
বর্ণনাকারীড্যানি ড্যানজেংপং
চিত্রগ্রাহকসুদীপ চ্যাটার্জী
সম্পাদকশ্রী নারায়ন সিং
মুক্তি২০১৫
স্থিতিকাল১৫৯ মিনিট [১]
দেশভারত
ভাষাহিন্দি
আয়প্রা.  ১৪২.৯৯ কোটি (US$ ১৭.৪৮ মিলিয়ন)[২]

কাহিনী সম্পাদনা

ভারতীয় গুপ্তচর বিভাগের অন্যতম প্রধান ফিরোজ খানের (ড্যানি) নেতৃত্বে 'বেবি' নামক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অস্থায়ী অপারেশন দল গঠিত হয়। তুর্কীতে এক ভারতীয় গুপ্তচর জামাল বিশ্বাসঘাতকতা করার ফলে একজন ভারতীয় এজেন্ট মারা যায়। বেবি'র সদস্য অজয় জামালকে ধরতে গেলে সে আত্মহত্যা করে এবং জানা যায় আগামী বছর দেশের অনেক জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে চলেছে। সন্ত্রাসবাদী দের প্রধান জেলবন্দী বিলাল খানকে (কে কে মেনন) বের করে আনার তোড়জোড় করে জংগী গোষ্ঠীর মাথা মৌলানা। মৌলানার পরিকল্পনামাফিক কোর্টে যাওয়ার রাস্তায় পুলিশদের হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা বিলালকে উদ্ধার করে। বিলাল বিদেশে পালিয়ে যায়। বেবির সদস্য অজয় (অক্ষয় কুমার) তদন্তে নেমে আই এস আই চর তৌফিককে জেরা ও হুমকি দিয়ে কিছু তথ্য ও ঠিকানা পায়। তৌফিকের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে অজয় ও তার সাথীরা যখন গ্রেপ্তার করে ফিরে আসছিল সেইসময় তীব্র বিস্ফোরনে অজয়ের সাথীরা মারা যায়। অজয় ভীষণ আহত হলেও বেঁচে যায়। সুস্থ হয়ে শাবানা খানের (তাপসী পান্নু) সাথে নেপাল যায় স্বামী স্ত্রীর ছদ্মবেশে এবং সন্ত্রাসবাদী গ্রুপের যোগাযোগ-মাধ্যম ওয়াসিমকে (সুসান্ত সিং) টার্গেট করে। ওয়াসিমকে অজ্ঞান অবস্থায় ধরে ভারতে নিয়ে আসে তারা। ওয়াসিমের থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায় বিলাল খান সৌদিতে লুকিয়ে আছে। তাকে সেখানে গিয়ে হত্যা করে আসার প্ল্যান করে অজয় ও ফিরোজ। কিন্তু ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রক এই প্রস্তাবে সম্মতি দিতে পারেনা বৈদেশিক নীতির কারণে। ফিরোজ মন্ত্রীকে রাজী করান এই বলে যে অজয় ও তার দল সম্পূর্ণ গোপনে অপারেশন চালাবে। মিশন ব্যর্থ হলে তাদের দায়িত্ব দেশ নেবেনা। অজয়, জয় (রানা দুগগাবতী) এবং ইলেকট্রনিক টেকনিশিয়ান শুক্লাজি (অনুপম খের) কে নিয়ে সৌদি আলডেরা আসে। আলডেরাতে তাদের সাহায্য করে ভারতীয় গুপ্তচরবিভাগের সহায়ক আসফাক। শুক্লা, বিলাল যেখানে থাকে সেখানকার সিকিউরিটি সিস্টেম কম্পিউটার হ্যাকিং এর মাধ্যমে নষ্ট করে দেন। বিলালের আস্তানায় ঢুকে তাকে হত্যা করার সময় অপ্রত্যাশিতভাবে অজয় ও জয় মৌলানাকে পেয়ে যায় ও অজ্ঞান করে তুলে আনে তাদের ঘাঁটিতে। ফিরোজকে এই প্রাইজক্যাচের ব্যাপারে জানানো হয়। শুক্লার সাথে অজয়ের এই বিপজ্জনক পরিকল্পনায় মতবিরোধ হলেও শুক্লা শেষে রাজি হন সাহায্য করতে। আসফাকের অসুস্থ কাকা সাজিয়ে, স্বাস্থ্যজনিত এমারজেন্সি দেখিয়ে মৌলানাকে দেশে নিয়ে আসার প্ল্যান করেন শুক্লা। কিন্তু সেদেশের তুখোড় পুলিশ অফিসার হানি মহম্মদ তদন্তে নেমে বুঝতে পারেন ভারতীয় গুপ্তচর বিভাগের লোকেরাই এই কাজ করেছে। প্লেনে অজ্ঞান মৌলানা সমেত সকলেই নিরাপদে উঠলে হানি মহম্মদ শেষ মুহুর্তে নিরাপত্তাজনিত কারণে উড়ান আটকে রেখে ফোনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।[৪]

অভিনয় সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Baby Movie Review"The Times of India। ২২ জানুয়ারি ২০১৫। 
  2. "Baby Total Box Office Collections in India,Overseas,Worldwide"Indicine.com। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ১৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  3. "After Baby's Naam Shabana, Bob Biswas to Gabbar Singh, 10 other Bollywood spin-offs we badly need"। ১ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 
  4. "Baby (I) (2015)"imdb.com। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা