মডেল (ব্যক্তি)

ব্যক্তি, যিনি পন্যের প্রদর্শন, বিজ্ঞাপন এবং প্রচার করতে বা ভিজ্যুয়াল এইড হিসাবে পরিবেশন করেন

একজন মডেল হলেন এমন এক ব্যক্তি, যিনি বাণিজ্যিক পণ্য (বিশেষ করে ফ্যাশন শোতে পোশাকের ফ্যাশন দেখা যায়) প্রদর্শন করেন বা শিল্পীর মডেল হিসেবে কাজ করেন।

কেইটলিন ও’কনর নামের এক নারী মডেল একটি স্টুডিও সেটে অঙ্গ ভঙ্গি প্রদর্শন করছেন

মডেলিং (ইংরেজিতে: Modeling) বলতে নিজের শরীরকে অন্য কারও শরীরের প্রতিনিধিত্বে বা শিল্পীর কল্পিত দেহরূপে উপস্থাপন করাকে বোঝানো হয়। যেমন, কোনো নারী যদি জুতার জন্য মডেলিং করেন, তাহলে তিনি নিজের পা ব্যবহার করে সম্ভাব্য ক্রেতার পায়ের প্রতিরূপ তুলে ধরেন। এই কারণে মডেলিং প্রতিকৃতি আলোকচিত্র, প্রতিকৃতি চিত্রাঙ্কন বা অভিনয় বা নৃত্যের মতো অন্যান্য থেকে আলাদা। সাধারণত মডেলরা ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেন না এবং তাঁদের ভাবমূর্তি ও পরিচিতি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়।

মডেলিংয়ের বিভিন্ন ধরন রয়েছে: চিত্রশিল্প, ফ্যাশন, গ্ল্যামার, ফিটনেস এবং দেহের নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে প্রচারমূলক মডেলিং। মডেলরা বই, ম্যাগাজিন, চলচ্চিত্র, সংবাদপত্র, ইন্টারনেট ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে উপস্থাপিত হন। ফ্যাশন মডেলিং কখনও কখনও রিয়েলিটি টিভি অনুষ্ঠানে দেখা যায় (যেমন আমেরিকাস নেক্সট টপ মডেল)। মডেলিং অনেক সময় খণ্ডকালীন কাজ হিসেবে করা হয়।

গ্ল্যামার মডেল

সম্পাদনা
 
হলিউড, ক্যালিফোর্নিয়ায় লাল গালিচায় পোজ দিচ্ছেন গ্ল্যামার মডেলরা

গ্ল্যামার মডেলিং মূলত যৌন আবেদননির্ভর; এজন্য সাধারণ মানদণ্ড সর্বত্র নির্ধারিত নয় এবং এটি প্রায়ই ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। গ্ল্যামার মডেল যেকোনো আকার বা গঠনের হতে পারেন। ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় গ্ল্যামার মডেলদের প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একজন নারী মডেলের গড় উচ্চতা ছিল ১.৬৮ মিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি), ওজন ৫৪ কিলোগ্রাম (১১৯ পাউন্ড) এবং কোমর-নিতম্ব অনুপাত ছিল ০.৭৩।[]

 
আমেরিকান গ্ল্যামার মডেল মিশেল মারকিন

গ্ল্যামার মডেলিংয়ের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নেই এবং এটি দেশভেদে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। সাধারণভাবে, গ্ল্যামার মডেলিং সীমাবদ্ধ থাকে ক্যালেন্ডার, পুরুষদের ম্যাগাজিন, যেমন প্লেবয়, বিকিনি মডেলিং, অন্তর্বাস মডেলিং, ফেটিশ মডেলিং, সঙ্গীত ভিডিও এবং চলচ্চিত্রে অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে উপস্থিতির মধ্যে। তবে, কিছু অত্যন্ত জনপ্রিয় গ্ল্যামার মডেল পরে বাণিজ্যিক প্রিন্ট মডেলিংয়ে রূপান্তর হন এবং সাঁতারের স্যুট, বিকিনিঅন্তর্বাস বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ করেন। যুক্তরাজ্যে গ্ল্যামার মডেলিং পত্রিকা শিল্পে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হয়ে ওঠে যখন দ্য সান ১৯৬৯ সালে পেজ ৩ চালু করে।[] এটি ছিল একটি বিশেষ বিভাগ যেখানে পেন্টহাউসপ্লেবয়ের-এর মডেলদের যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ ছবি প্রকাশিত হতো। ১৯৭০ সাল থেকে এই বিভাগে মডেলরা বক্ষ অনাবৃত অবস্থায় প্রকাশ পেতে শুরু করেন। ১৯৮০-এর দশকে দ্য সান-এর প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকাগুলোও নিজস্ব পেজ ৩ চালু করে।[] এই সময়েই সামান্থা ফক্সের মতো মডেলরা জনপ্রিয় হয়ে উঠেন এবং গ্ল্যামার মডেলিং একটি আলাদা ক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ফলে যুক্তরাজ্যে একটি বড় গ্ল্যামার মার্কেট গড়ে ওঠে এবং অনেক গ্ল্যামার মডেলিং সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

তবে আধুনিক গ্ল্যামার মডেলিংয়ের উদ্ভব ঘটে ১৯৯০-এর দশকে। এই সময়ে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি মূলত অতিমাত্রায় রোগা এবং উভলিঙ্গ সাদৃশ্যপূর্ণ নারী মডেলদের অগ্রাধিকার দিচ্ছিল, যার ফলে কিছু ফ্যাশন মডেল, যারা বেশি বাণিজ্যিক বা বেশি গড়নদার ছিলেন, তারা হতাশ হয়ে অন্য পথ বেছে নেন। ভিক্টোরিয়া সিলভস্টেড-এর মতো অনেক মডেল ফ্যাশন দুনিয়া ছেড়ে পুরুষদের ম্যাগাজিনের জন্য মডেলিং শুরু করেন।[]

এর আগের দশকগুলোতে প্লেবয়-এর জন্য নগ্নভাবে পোজ দিলে অনেক মডেল তাদের এজেন্সি ও স্পন্সর হারাতেন।[] তবে পরবর্তীকালে প্লেবয় অনেক মডেলের ক্যারিয়ারে সাফল্যের সিঁড়ি হয়ে ওঠে—যেমন ভিক্টোরিয়া সিলভস্টেড, পামেলা অ্যান্ডারসন, জেনি ম্যাকার্থি এবং আনা নিকোল স্মিথ। বিশেষ করে পামেলা অ্যান্ডারসন তাঁর প্লেবয় ফটোশুট থেকে এতটাই জনপ্রিয়তা পান যে, তিনি হোম ইমপ্রুভমেন্ট এবং বেওয়াচ-এ অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান।

১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ম্যাক্সিম, এফএইএম এবং স্টাফের মতো একাধিক পুরুষ-কেন্দ্রিক ম্যাগাজিন প্রকাশিত হতে শুরু করে। একই সময়ে সুইডেনের স্লিতজের মতো কিছু ম্যাগাজিন, যেগুলো আগে সংগীতভিত্তিক ছিল, নিজেদের পুরুষ-কেন্দ্রিক ম্যাগাজিন হিসেবে পুনঃব্র্যান্ড করে। ইন্টারনেটের আগের সময়ে এই ম্যাগাজিনগুলো কিশোরোত্তীর্ণ এবং কুড়ির দশকের শুরুর দিককার যুবকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, কারণ এগুলোকে পূর্ববর্তী নগ্নতাকেন্দ্রিক ম্যাগাজিনগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত মার্জিত ধরণের বলে মনে করা হতো।

 
তাতি ও আনা পাওলা মিনেরাতো, গাভিওঁইস দা ফিয়েল সাম্বা দলের সদস্য, ব্রাজিলের কার্নিভাল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন

এই সময়ে আদিরসাত্মক বাজারের প্রসার ঘটতে থাকে এবং ফ্যাশনের জগতে ক্ষীণদেহী মডেলদের পরিবর্তে বর্ণময় ও আকর্ষণীয় ব্রাজিলীয় মডেলদের প্রাধান্য বেড়ে যায়। বাণিজ্যিক ফ্যাশন এবং প্রিন্ট মডেলদের কেন্দ্র করে গঠিত আদিরসাত্মক বাজার নিজেই একটি স্বতন্ত্র ধারায় পরিণত হয়।

যদিও যুক্তরাজ্যের মতো বড় বাজারে এই শিল্প গড়ে উঠেছে, তথাপি বেশিরভাগ আদিরসাত্মক মডেল কোনো একক সংস্থার সঙ্গে একচেটিয়া চুক্তিতে আবদ্ধ থাকেন না, কারণ একটি মাত্র সংস্থা থেকেই পর্যাপ্ত কাজ পাওয়া অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরযোগ্য নয়। অনেক মডেলই খ্যাতিমান ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে মুখ খুলে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন—এটি তখনও ছিল, এখনও একটি প্রচলিত রীতি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এই ধরনের কথিত সম্পর্ক তাদের খ্যাতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে এবং অনেক সময় তাদের সাবেক বা বর্তমান প্রেমিকরাই তাদের  বিজ্ঞাপনে অংশ নেন।[]

 
বিকিনিতে কেটি প্রাইস, ক্লোদস শো লাইভ অনুষ্ঠানে

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকায় পেজ থ্রী মডেলরা নিয়মিতভাবে উপস্থিত হতে শুরু করলে জর্ডান (বর্তমানে কেটি প্রাইস নামে পরিচিত) এর মতো আদিরসাত্মক মডেলরা ঘরে ঘরে পরিচিত নাম হয়ে ওঠেন। ২০০৪ সাল নাগাদ পেজ থ্রি মডেলরা বছরে গড়ে ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত উপার্জন করতেন। যেখানে ২০১১ সালের হিসাবে, পেজ থ্রী-এর বাইরের সাধারণ মডেলদের বার্ষিক আয় ছিল প্রায় ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ পাউন্ড।[]

২০০০-এর দশকের শুরুতে আদিরসাত্মক মডেল এবং এ ধরনের মডেল হওয়ার আগ্রহ থাকা অনেকেই জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য বিগ ব্রাদারের মতো রিয়েলিটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন।[]

২০০০-এর দশকের শুরুতে বিগ ব্রাদার অনুষ্ঠানের একাধিক অংশগ্রহণকারী তাদের অল্পকালের খ্যাতিকে কাজে লাগিয়ে আদিরসাত্মক মডেলিং ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন। তবে ধীরে ধীরে ইন্টারনেটের প্রসার ঘটতে থাকায় — যা দর্শকদের সামনে বিপুল পরিমাণে বিনামূল্যে আদিরসাত্মক অনলাইন কনটেন্ট তুলে ধরে এবং নিজস্ব তারকাদের উত্থান ঘটায়, যেমন জর্ডান ক্যাপ্রি — আদিরসাত্মক কনটেন্ট অতিরিক্তভাবে বেড়ে যাওয়ায় অফলাইন ম্যাগাজিনের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যারিনা, স্টাফ এবং এফএইচম এর মতো একাধিক পুরুষদের ম্যাগাজিন বন্ধ হয়ে যায়।[]

এই সময়ে কেলি অ্যাক্রেম্যান ও লরেন পোপের মতো অনেক আদিরসাত্মক মডেল অতিরিক্ত আয়ের জন্য ডিজে হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালের এক সাক্ষাৎকারে কিলি হ্যাজেল মন্তব্য করেন, “শুধু টপলেস হওয়া সফলতার সেরা পথ নয়,” এবং তিনি নিজেকে সেই এক শতাংশ ভাগ্যবানদের একজন মনে করেন, যারা সত্যিকারের সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন।[]

গ্রাভিউর আইডল

সম্পাদনা
 
জাপানি গ্রাভিউর আইডল রিও তেরামোতো
 
২০২৪ সালের জুন মাসে টোকিওর কোতো-কু, ওজিমা এলাকার একটি ফটোগ্রাফি স্টুডিওতে তোলা একটি গ্রাভিউর মডেলের ছবি।

জাপানে, গ্রাভিউর আইডল (グラビアアイドル, গুরাবিয়া আইডোরু), সংক্ষেপে গ্রাডল (グラドル, গুরাডোরু), বলতে এমন নারী মডেলদের বোঝানো হয়, যারা মূলত পত্রিকা—বিশেষ করে পুরুষদের পত্রিকা—ছবির বই বা ডিভিডির জন্য মডেলিং করেন। এটি জাপানের সামগ্রিক আইডল শিল্পের অংশ হিসেবে বিবেচিত। "গুরাবিয়া" (グラビア) শব্দটি "রোটোগ্রাভিউর" (এক ধরনের খোদাইকৃত মুদ্রণপ্রণালী) থেকে নেওয়া। এটা একটি ওয়াসেই-ইগো (জাপানি সৃষ্ট ইংরেজি) শব্দ। এই রোটোগ্রাভিউর প্রক্রিয়াটি এক সময় সংবাদপত্রে ছবি ছাপার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি ছিল এবং এখনও ম্যাগাজিন, পোস্টকার্ডকার্ডবোর্ডের পণ্যের মোড়ক ছাপাতে ব্যবহার হয়।[১০]

গ্রাভিউর আইডলরা বিভিন্ন রকমের আলোকচিত্র শৈলী ও ধারায় উপস্থিত হন। তাদের ছবি মূলত পুরুষ দর্শকদের জন্য তৈরি করা হয় এবং এতে সাধারণত আহ্বানমূলক বা ইঙ্গিতপূর্ণ ভঙ্গিমা দেখা যায়, তবে তা অনেকটাই সরলতা ও খেলার ছলে উপস্থাপিত হয়—আগ্রাসী যৌনতার বদলে। যদিও অনেক সময় তারা এমন পোশাক পরেন যা শরীরের বেশিরভাগ অংশ উন্মুক্ত রাখে, তবুও তারা সচরাচর সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় উপস্থিত হন না। গ্রাভিউর আইডলদের বয়স সাধারণত কিশোরী (প্রি-টিন) থেকে শুরু করে তিরিশের কোঠায় হতে পারে। মূলধারার পত্রিকার পাশাপাশি তারা প্রায়ই নিজস্ব ছবি সম্বলিত ফটোবুক বা ডিভিডি প্রকাশ করেন। জাপানে অনেক জনপ্রিয় নারী আইডলই তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেছেন গ্রাভিউর মডেলিংয়ের মাধ্যমে।[১০][১১]

বিকল্প মডেল

সম্পাদনা

বিকল্প মডেল বলতে এমন মডেলদের বোঝানো হয় যারা প্রচলিত মডেলিং ধাঁচে পড়েন না। এদের মধ্যে পাঙ্ক, গথিক, ফেটিশ মডেল,[১২] উল্কি-কৃত মডেল[১৩] বা অন্য কোনো ব্যতিক্রমধর্মী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মডেল অন্তর্ভুক্ত হন। এই ধরণের মডেলিং সাধারণত আদিরসাত্মক ও শিল্পমূলক মডেলিংয়ের সংমিশ্রণ।

জার্মানির গোলিয়াথ বুকস প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বিকল্প মডেল ও পাঙ্ক ফটোগ্রাফিকে বৃহত্তর পাঠকগোষ্ঠীর সামনে তুলে ধরে। বিলি গর্ডন, যিনি আগে উইলবার্ট অ্যান্থনি গর্ডন নামে পরিচিত ছিলেন, গ্রিটিং কার্ড মডেল হিসেবে বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় ছিলেন এবং তিনি এককভাবে একটি শিল্প খাত গড়ে তোলেন, যার মধ্যে গ্রিটিং কার্ড, টি-শার্ট, ফ্যান, স্টেশনারি, গিফট ব্যাগ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল।[১৪]

ফিটনেস মডেল

সম্পাদনা
 
ডাম্বেল হাতে ফিটনেস মডেল
 
একজন মহিলা ফিটনেস মডেল ২০১৬ সালের 'কিম জুন-হো ক্লাসিক' প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন, বিকিনি বিভাগে

ফিটনেস মডেলিং মূলত একটি সুস্থ, টোন করা দেহগঠনের প্রদর্শনের ওপর গুরুত্ব দেয়। ফিটনেস মডেলদের সাধারণত সুস্পষ্ট মাংসপেশি থাকে। মাংসপেশি চর্বির তুলনায় ঘন হওয়ায় তাদের ওজন কিছুটা বেশি হতে পারে; তবে তাদের শরীরের চর্বির পরিমাণ কম এবং পেশির গঠনের স্পষ্টতা বেশি থাকে।

ফিটনেস মডেলদের প্রায়ই ম্যাগাজিন বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়; কখনও কখনও তারা প্রত্যয়িত পার্সোনাল ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন। আবার অনেক ফিটনেস মডেলই ক্রীড়াবিদ এবং পেশাদার পর্যায়ে ফিটনেস ও ফিগার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।

নিউ ইয়র্ক, লন্ডন ও জার্মানির মতো বড় বাজারগুলোতে বেশ কয়েকটি ফিটনেস মডেলিং সংস্থা রয়েছে। যদিও এই ধরণের মডেলদের জন্য একটি বড় বাজার রয়েছে, বেশিরভাগ সংস্থাই গৌণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে, যেখানে মডেলরা সাধারণত বাণিজ্যিক মডেল হিসেবে আয়ের প্রধান উৎস পান। এছাড়াও এমন কিছু ম্যাগাজিন রয়েছে, যেগুলো শুধুমাত্র ফিটনেস মডেলিং বা শরীরচর্চার ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হয়।

বিকল্প মডেল

সম্পাদনা

বিকল্প মডেল বলতে এমন মডেলদের বোঝানো হয় যারা প্রচলিত মডেলিং ধাঁচে পড়েন না। এদের মধ্যে পাঙ্ক, গথিক, ফেটিশ মডেল,[১৫] উল্কি-কৃত মডেল[১৬] বা অন্য কোনো ব্যতিক্রমধর্মী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মডেল অন্তর্ভুক্ত হন। এই ধরণের মডেলিং সাধারণত আদিরসাত্মক ও শিল্পমূলক মডেলিংয়ের সংমিশ্রণ।

জার্মানির গোলিয়াথ বুকস প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বিকল্প মডেল ও পাঙ্ক ফটোগ্রাফিকে বৃহত্তর পাঠকগোষ্ঠীর সামনে তুলে ধরে। বিলি গর্ডন, যিনি আগে উইলবার্ট অ্যান্থনি গর্ডন নামে পরিচিত ছিলেন, গ্রিটিং কার্ড মডেল হিসেবে বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় ছিলেন এবং তিনি এককভাবে একটি শিল্প খাত গড়ে তোলেন, যার মধ্যে গ্রিটিং কার্ড, টি-শার্ট, ফ্যান, স্টেশনারি, গিফট ব্যাগ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল।[১৭]

বাণিজ্যিক মডেল

সম্পাদনা

প্রোমোশনাল মডেল

সম্পাদনা
 
২০০৪ সালে ইবিজাতে ক্যামেল ব্র্যান্ডের প্রচারণায় ব্যবহৃত দুটি মডেল, যাদের শর্টসের পেছনে ব্র্যান্ডের লোগো প্রিন্ট করা

প্রচারমূলক মডেল বা প্রোমোশনাল মডেল হলেন এমন মডেল যাঁরা কোনও পণ্য, পরিষেবা, ব্র্যান্ড বা ধারণার প্রতি ভোক্তা চাহিদা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে সরাসরি সম্ভাব্য গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই মডেলরা শারীরিকভাবে আকর্ষণীয় হন। তাঁরা পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে তথ্য দেন এবং তা আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করেন। যদিও এই যোগাযোগ খুব অল্প সময়ের জন্য হয়, তবুও প্রচারমূলক মডেলরা একটি জীবন্ত অভিজ্ঞতা তৈরি করেন যা তাঁরা প্রতিনিধিত্বকারী পণ্যের উপর প্রভাব ফেলে। এই ধরনের বিপণন প্রচেষ্টা সাধারণ বিজ্ঞাপন মাধ্যম (যেমন মুদ্রিত বিজ্ঞাপন, রেডিও বা টেলিভিশন) থেকে তুলনামূলকভাবে কমসংখ্যক ভোক্তার কাছে পৌঁছায়; তবে একে একে ব্যক্তিগত যোগাযোগ গ্রাহকের ব্র্যান্ড বা কোম্পানির প্রতি গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

এই ধরনের বিপণন প্রচারাভিযান খুচরা দোকান, শপিং মল, বাণিজ্য প্রদর্শনী, বিশেষ প্রচারমূলক ইভেন্ট, ক্লাব কিংবা এমনকি খোলা জায়গায়ও হতে পারে। প্রচারমূলক মডেলরা চলচ্চিত্র পুরস্কার, ক্রীড়া ইভেন্ট ইত্যাদিতে তারকাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করতে পারেন। এগুলি সাধারণত এমন জায়গায় আয়োজিত হয় যেখানে অনেক মানুষ থাকে বা যেখানে লক্ষিত গ্রাহকগোষ্ঠীর উপস্থিতি প্রত্যাশিত।

বক্তা মডেল

সম্পাদনা

"বক্তা মডেল" বা "স্পোকসমডেল" বলতে সেই মডেলকে বোঝানো হয় যিনি কোনও নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড-এর সাথে বিজ্ঞাপনগুলোর মাধ্যমে যুক্ত থাকেন। বক্তা মডেলরা কখনও কখনও তারকা হয়ে থাকেন যারা শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহৃত হন (যখন একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরকে বিভিন্ন আয়োজনে কোম্পানির প্রতিনিধিত্বও করতে হয়); তবে প্রায়শই এই শব্দটি এমন মডেলদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যাঁরা নিজেরাই সেলিব্রিটি নন। একটি প্রথাগত উদাহরণ হলো ১৯৫৪ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে প্রচারে ব্যবহৃত মার্লবোরো ম্যান

বাণিজ্য প্রদর্শনীর মডেল

সম্পাদনা

বাণিজ্য প্রদর্শনীর মডেলরা প্রদর্শনীতে কোম্পানির বুথে উপস্থিত থেকে দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সাধারণত তাঁরা কোম্পানির নিয়মিত কর্মচারী না হয়ে মুক্তপেশার হন, যাঁদের এই ধরনের ইভেন্টের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের কাজ হলো — দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, পণ্যের তথ্য সহজভাবে বোঝানো এবং কোম্পানির ভাবমূর্তি উন্নত করা।

আবাসিক মডেল

সম্পাদনা
 
একটি থিমযুক্ত পার্টিতে আবাসিক মডেলরা

আবাসিক মডেলরা হলেন এমন মডেল, যাঁদের থিমভিত্তিক আয়োজনে পরিবেশের অনুষঙ্গ ও আমেজ তৈরি করতে নিয়োগ করা হয়। তাঁরা সাধারণত থিমের সঙ্গে মিল রেখে বিশেষ পোশাক পরে থাকেন এবং অনুষ্ঠানস্থলের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন। অতিথিরা প্রায়শই তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলতে আগ্রহী হন। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ "ব্রাজিলিয়ান ডে" উদযাপন করতে চান, তবে তাঁরা সাম্বা পোশাক ও হেডড্রেস পরা মডেল নিয়োগ করবেন, যারা সারা অনুষ্ঠানে হাঁটাচলা করবেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ইনস্টাগ্রাম মডেল

সম্পাদনা

ইন্সটাগ্রাম মডেলরা হলেন এমন ব্যক্তি, যাঁরা ইন্সটাগ্রামে নিজের ছবি ও জীবনধারা সম্পর্কিত আকর্ষণীয় পোস্টের মাধ্যমে অনেক অনুগামী অর্জন করেন এবং এর ফলে বিভিন্ন কোম্পানি তাঁদের পণ্যের প্রচারে নিয়োগ করে, কারণ তাঁদের জনপ্রিয়তা বিক্রয় বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।[১৮] তাঁদের কারা ডেলেভিন কিংবা গিগি হাদিদের মতো প্রতিষ্ঠিত মডেলদের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। ডেলেভিন ও হাদিদের মতো মডেলরা ইনস্টাগ্রামকে মূলত তাঁদের প্রচলিত মডেলিং কর্মজীবন এগিয়ে নেওয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন।[১৯] তবে কিছু মডেল যেমন প্লেবয়ের মডেল লিন্ডসে পেলার শুরুতে প্রচলিত মডেলিংয়ে কাজ করলেও পরে ইনস্টাগ্রামে জনপ্রিয় হয়ে ‘ইন্সটাগ্রাম মডেল’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

অনেকে ইন্সটাগ্রামে সাফল্য পেয়ে ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন, যেমন রোজি রফ, যিনি ফ্যাশন মডেল হিসেবে কাজ করতেন এবং পরে ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে রিং গার্ল হিসেবে কাজ পান। ইনস্টাগ্রাম অনেক সময় এজেন্সি বা প্রতিভা সন্ধানকারীদের নজরে পড়ার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করে।[২০] মার্কিন মডেল ম্যাথিউ নসকা ইনস্টাগ্রামে আবিষ্কৃত হয়ে উইলহেলমিনা মডেলস সঙ্গে যুক্ত হন।[১৯]

ইনস্টাগ্রাম মডেলের ধারণাটি প্রথম শুরু হয় ২০০০-এর দশকের শেষদিকে, যখন ফ্যাশন ব্লগার রুমি নিলিকিয়ারা ফেরাগনির মতো নারীদের তাঁদের প্রেমিকরা বিভিন্ন পোশাকে ছবি তুলতেন।[২১] ইনস্টাগ্রাম মডেলরা প্রায়ই সামাজিক মাধ্যম প্রভাবক হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন এবং ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং-এ যুক্ত হন,[২০] যেমন ফ্যাশন ব্র্যান্ড বা ডিটক্স চা প্রচারে।[২১] প্রভাবশালী ইনস্টাগ্রামাররা বিজ্ঞাপন প্রচারে হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারেন।

ব্র্যান্ডগুলি এখন আর শুধুমাত্র অনুসারীর সংখ্যার ওপর নির্ভর করে না, বরং তাঁরা এনগেজমেন্ট মার্কেটিং কৌশলের ওপর গুরুত্ব দেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৯% প্রভাবকরা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন, তুলনায় মাত্র ২০% টুইটার ও ১৬% ফেসবুক ব্যবহার করেন।[২০]

কিছু ইনস্টাগ্রাম মডেল পরে উচ্চ-মূল্যমান মডেলিং কাজ পেয়েছেন এবং সেলিব্রিটি হয়েছেন।[২২] ফিটনেস মডেল জেন সেলটার ২০১৪ সালেই ইন্টারনেট তারকা হয়ে ওঠেন এবং ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনে মডেলিং করেন।[২৩]

 
২০১৪ সালের জাপান এক্সপোতে স্টার ওয়ার্স চলচ্চিত্রের প্রিন্সেস লেইয়া অর্গানার চরিত্রে এক কসপ্লেয়ার
 
জেনেভায় ২০১৭ সালের কসপ্লে ইভেন্টে নারুতো সিরিজের একটি চরিত্রের ছদ্মবেশে অংশগ্রহণকারী কসপ্লেয়ার

ফেসবুকে পোস্টের গ্রহণযোগ্যতা কমে যাওয়ায় ইন্সটাগ্রাম ক্রমেই কসপ্লে শিল্পীদের (cosplayers) প্রিয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।[২৪][২৫] মার্কিন অভিনেত্রী ক্যাটলিন ও’কনর ২০১৬ সালে ইনস্টাগ্রামে প্রায় ৩ লাখ অনুসারী অর্জন করেছিলেন এবং সেখানকার পণ্যের প্রচার থেকেই অধিকাংশ আয় করতেন।[২৬] অস্ট্রেলীয় ফিটনেস প্রশিক্ষক কায়লা ইটসাইনস ইনস্টাগ্রামে ৫.৫ মিলিয়ন অনুসারী জোগাড় করে ফিটনেস ব্যবসা গড়ে তুলেছেন।[২৭] ব্রাজিলীয় মডেল ক্লডিয়া আলেন্দে ২০১৫ সালের মধ্যে ইনস্টাগ্রামে ২.৮ মিলিয়ন অনুসারী অর্জন করে অন্তর্বাস মডেল হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন।[২৮] প্লাস-সাইজ মডেল ইস্করা লরেন্সটেস হলিডে ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করে মডেল হিসেবে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করেছেন।[২৯] ভারতীয় কিশোরী অভিনেত্রী ইন্সটাগ্রামে যশিকা আনন্দ ইন্সটাগ্রামে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর তামিল চলচ্চিত্র শিল্পে পরিচিতি লাভ করেন; ২০১৭ সাল নাগাদ তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ছিল ১,৪৫,০০০-এর বেশি।[৩০] ইরাকি নারীবেশী মডেল নূর আলসাফার (যিনি টিকটকে জনপ্রিয় ছিলেন) ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নিহত হন, যা ওই সময়কালে ইরাকে এলজিবিটিকিউ+ জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অংশ ছিল।[৩১]

ইন্সটাগ্রাম মডেলদের ভঙ্গি ও রুচি অনেক সময় ব্যঙ্গাত্মক বা সৃজনশীল প্রোফাইলেও ব্যবহৃত হয়েছে। ইনস্টাগ্রাম মডেল লিল মিকেলা বাস্তব ও কল্পনার সীমারেখা মুছে দেন—তিনি মানুষ না কম্পিউটার-নির্মিত, তা স্পষ্ট না হলেও তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ২ লক্ষের বেশি।[৩২] অস্ট্রেলীয় কৌতুকশিল্পী সেলেস্ট বারবার ২০১৭ সালের মধ্যে ইন্সটাগ্রামে ১৮ লক্ষ অনুসারী অর্জন করেন—তিনি সেলিব্রিটিদের ফ্যাশন ছবিগুলোর ব্যঙ্গাত্মক পুনর্নির্মাণ করেন।[৩৩] ২০১৬ সালে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান অ্যাডিক্ট এইড (ফরাসি: Addict Aide) একটি প্রচারণা চালায়, যেখানে 'লুইজ ডেলাজ' নামে এক কাল্পনিক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল তৈরি করা হয়—ছবিগুলোর বেশিরভাগেই মদ্যপান ফুটে ওঠে। এক মাসেই প্রোফাইলটি ৬৫,০০০ অনুসারী অর্জন করে এবং পরে প্রকাশিত এক ভিডিও ১,৬০,০০০ বারের বেশি দেখা হয়।[৩৪]

কিছু প্রতিবেদনে[৩৫] দাবি করা হয়েছে, কিছু ইন্সটাগ্রাম মডেল গোপনে দেহব্যবসার মাধ্যমে অতিরিক্ত আয় করে থাকেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এই অভিযোগ তুলে ধরলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের দাবির পেছনে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই, বরং অনেক সময় এই প্রচারেই সংশ্লিষ্ট মডেলদের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়।[৩৬] তবে এই ধরনের ভুল অভিযোগ প্রকৃত মডেলদের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং অনেক নারী মনে করেন এটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এক ধরনের আধিপত্য বিস্তারের কৌশল।[৩৭]


তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Monge-Najera, J. & Vega, K. (2014)। Female models in an American glamour website: geographic distribution, modeling limits and income according to their self presentations। Research Journal of the Costa Rican Distance Education University, 6(1), 19-28।
  2. Braid, Mary (২০০৪-০৯-১৪)। "UK | Magazine | Page Three girls – the naked truth"BBC News। ২০১২-০৯-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-১৯ 
  3. "Biography"। Victoriasilvstedt.com। ২০১২-০৯-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-১৯ 
  4. Rebel Heart: An American Rock 'n' Roll Journey (২০০১-০৮-১৩)। Rebel Heart: An American Rock 'n' Roll Journey: Bebe Buell, Victor Bockris: 9780312266943: Amazon.com: Booksআইএসবিএন 0312266944 
  5. Gente (২০০৮-০৪-২৬)। "'Interviú' desnuda a Nereida Gallardo, la novia de Cristiano Ronaldo"। 20minutos.es। ২০১১-১২-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-১৯ 
  6. "BBC News – Sussex benefit cheat glamour model Dionne Stenner fined"। Bbc.co.uk। ২০১১-০৯-১২। ২০১১-১২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-১৯ 
  7. "Big Brother: Only glamour models allowed – now"। Nowmagazine.co.uk। ২০১২-০৬-০৭। ২০১২-০৬-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-১৯ 
  8. "MediaCorp launches Style: Men, ARENA to be closed" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। MediaCorp। ৩০ এপ্রিল ২০০৯। ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  9. "Newsbeat – Revealed: 'My body makes money'"। BBC। ২০১০-১২-১০। ২০১২-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-১৯ 
  10. Jimi Okelana (মার্চ ১০, ২০১২)। "Japan 101: Guide to Gravure Idols"Axiom Magazine। ২৮ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৬ 
  11. Galbraith, P. W.; Karlin, J. G., সম্পাদকগণ (২০১২-০৮-৩০)। Idols and Celebrity in Japanese Media Culture। Springer, 2012। আইএসবিএন 978-1137283788 
  12. "Bianca Beauchamp Cosplay in Latex"Cosplay News Network (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৮-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১০ 
  13. "Cuh_Booom – It's Christie Jay"Cosplay News Network (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১২-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১০ 
  14. Seaver, Linda. The Secret of Her Excess Oakland Tribune (8-13-87)
  15. "Bianca Beauchamp Cosplay in Latex"Cosplay News Network (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৮-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১০ 
  16. "Cuh_Booom – It's Christie Jay"Cosplay News Network (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১২-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১০ 
  17. Seaver, Linda. The Secret of Her Excess Oakland Tribune (8-13-87)
  18. "Definition: Instagram Model"Pixlee Turn To। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০২৩ 
  19. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; ABC নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  20. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Saul নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  21. Rosie Spinks (৭ আগস্ট ২০১৬)। "What It's Actually Like to Be an Instagram Model"Vice 
  22. "Instagram Models"Maxim। ২০১৬-০৫-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-০১ 
  23. Stephanie Radvan (১৩ মার্চ ২০১৪)। "Jen Selter Shows off her Famous Butt in "Vanity Fair""Maxim। ২০১৭-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-২৯ 
  24. "The Hottest Female Cosplayers On Instagram | Cosplay News Network"Cosplay News Network (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৮-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১০ 
  25. "The Hottest Slave Leia Cosplay on Instagram"Cosplay News Network (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১০ 
  26. "Why Snapchat's Influencer Economy Runs on Hot Tubs, Selfies, and Whey Protein"Bloomberg L.P.। ২০১৬-০৭-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-১৯ 
  27. Blair, Olivia (৫ অক্টোবর ২০১৬)। "Kayla Itsines: The personal trainer turned Instagram star on social media, body image and her new found fame"The Independent। ২০১৭-১২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৫ 
  28. Sam Webb (২৬ ডিসেম্বর ২০১৫)। "Millionaire models of Instagram: The stunning women you've never heard of raking in the cash on social media"Daily Mirror। ২০১৮-০৪-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-০৪ 
  29. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Saul2 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  30. "Teen temptations"Deccan Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ জুলাই ২০১৭। ২০১৮-০৫-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৮ 
  31. Morey, Alice (২০২৩-০৯-২৯)। "Popular Iraqi TikToker allegedly shot dead in Baghdad"GAY TIMES (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৮ 
  32. Maya Oppenheim (৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "This Instagram model has thousands of followers and they're mostly people trying to work out if she's fake or not"The Independent। ২০১৭-০৯-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৫ 
  33. "The model world of Instagram parody star Celeste Barber – in pictures"The Guardian। ৩০ জুন ২০১৭। ২০১৭-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-০৫ 
  34. Hunt, Elle (২০১৬-১০-০৬)। "Who is Louise Delage? New Instagram influencer not what she seems"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৪-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১১ 
  35. Roberts, Sophie (৩০ আগস্ট ২০১৭)। "Model reveals the truth about prostitution in the fashion industry"। News Corp Australia। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৯ 
  36. Falzone, Diana (১৯ জুলাই ২০১৬)। "Insta-hookers? Sites say they expose 'Instagram models' who are really prostitutes"Fox News। Fox News। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৯ 
  37. Rachel, Hosie (১২ জানুয়ারি ২০১৭)। "Sexist websites are 'ruining lives' of women on Instagram, exposing them as 'escorts and prostitutes'"The Independent। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৯ 

বহিঃযোগ

সম্পাদনা