নচিকেতা ঘোষ
নচিকেতা ঘোষ (২৮ জানুয়ারি ১৯২৫ – ১২ অক্টোবর ১৯৭৬) ছিলেন ভারতের অন্যতম প্রশংসিত সঙ্গীত পরিচালক এবং সুরকার। তিনি মূলত বাংলা, হিন্দি ও ওড়িয়া ভাষায় গীত রচনা করেন। তিনি চলচ্চিত্রের গানসহ বাংলা আধুনিক গানকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন। তিনি একজন চমৎকার গায়ক ছিলেন এবং গ্রামোফোনে একক কণ্ঠে তার গান বের হয়েছিল।
নচিকেতা ঘোষ | |
---|---|
![]() নচিকেতা ঘোষ | |
জন্ম | কলকাতা ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ) | ২৮ জানুয়ারি ১৯২৫
মৃত্যু | ১২ অক্টোবর ১৯৭৬ | (বয়স ৫১)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | সঙ্গীত পরিচালক এবং সুরকার |
প্রথম জীবন
সম্পাদনাতার পিতা ডঃ সনৎকুমার ঘোষ ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক। সনৎ বাবু একজন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ডাক্তার এবং পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের চিকিৎসক হিসেবেও কাজ করেছেন। পিতা চাইতেন তার বড় ছেলে নচিকেতা ঘোষ ডাক্তারি পড়াশোনা করুক। নচিকেতা ঘোষ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাধাগোবিন্দ কর মেডিক্যাল কলেজ (আর জি কর কলেজ) থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন। কিন্তু চিকিৎসাকে তিনি পেশা হিসাবে নিতে আগ্রহী ছিলেন না।
প্রত্যেক রবিবার, বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ কৃষ্ণচন্দ্র দে, সুবল দাশগুপ্ত, কমল দাশগুপ্ত, কানা সাতকারি ডঃ সনৎ কুমারের শ্যামবাজার বাড়িতে মিলিত হতেন এবং সেটা অল্পবয়েসে নচিকেতা ঘোষের ওপর প্রভাব ফেলে। বাংলার তৎকালীন সংগীত প্রতিভাদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ ছিল তার। তিনি খুব ছোট বেলা থেকেই তাদের সঙ্গে তবলা বাজাতেন। ধীরে ধীরে তবলা(এবং সঙ্গীত) নচিকেতার প্রথম প্রেমে পরিণত হয়।
মাত্র ২৪ বছরে বয়সে নচিকেতা প্রতিশ্রুতিশীল সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আবির্ভূত হন এবং বাংলা সঙ্গীত জগতে নতুন প্রবাহ সংযোজন করেন। সঙ্গীত রচনাশৈলীতে তার কৃতিত্ব অনন্য।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনানচিকেতা ঘোষ শ্রীমতী শিবানী দত্তকে বিবাহ করেন। তাদের দুই কন্যা, শ্রাবণী ও সম্পূর্ণা এবং একমাত্র পুত্র সুপর্ণকান্তি। সুপর্ণকান্তি ঘোষ অত্যন্ত সুপরিচিত সঙ্গীত স্রষ্টা এবং গত তিন দশক ধরে তার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে যাচ্ছেন।
চলচ্চিত্রের তালিকা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- Nachiketa Ghosh, Aajkal, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৯০-০৮৪-০