চুপি চুপি আসে

বাংলা রহস্য চলচ্চিত্র

চুপি চুপি আসে হল একটি বাংলা সাদাকালো রহস্য চলচ্চিত্র যা ১৯৬০ সালে প্রেমেন্দ্র মিত্রের পরিচালনায় প্রকাশিত হয়। সংগীত পরিচালক ছিলেন নচিকেতা ঘোষ এবং মুখ্য গানটির কন্ঠশিল্পী হলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়

ইতিহাসসম্পাদনা

অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশনের ব্যানারে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি বাংলা রহস্য চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। চুপি চুপি আসে সিনেমাটি আদতে আগাথা ক্রিস্টির লেখা বিখ্যাত গোয়েন্দা কাহিনী থ্রি ব্লাইন্ড মাইস (নাট্যরূপ 'মাউসট্র্যাপ') এর ছায়ায় গড়ে উঠেছে। মূল গল্পের ডিটেকটিভ সার্জেন্ট ট্রটারের ভূমিকায় এ ছবিতে ছিলেন তরুণ কুমার।[১]

কাহিনী সংক্ষেপসম্পাদনা

কলকাতার গিরি মাঝি লেনের ভয়ানক হত্যাকাণ্ডের পরে পুলিশ সন্দেহ করে খুনি হানা দিতে পারে একটি হোটেলে পরবর্তী খুনের উদ্দেশ্যে। কারণ খুনির পকেট থেকে পড়ে গিয়েছিল একটি হ্যান্ডবিল। সেই হ্যান্ডবিলটি একটি সদ্য চালু হওয়া হোটেল কল্যাণেশ্বরী স্বাস্থ্যনিবাসের। ইতিমধ্যে দেখা যায় দুই বন্ধু কণিকা ওরফে কণা ও প্রবীর চালু করেছে বরাকরের কাছে কল্যাণেশ্বরী স্বাস্থ্যনিবাস, যেখানে প্রবল বর্ষণের ভেতরেও কিছু মানুষ এসেছেন ঘুরতে যাদের চালচলন রহস্যজনক। ডাক্তার বাজপেয়ী, অসুস্থ ও বৃদ্ধ বেণীবাবু, মেজাজী মহিলা মিস ধর, তরুণ মধুসূদন দত্ত, রসিক রাধেশ্যাম বীরস্বামী আলাদা আলাদা ঘরে থাকা শুরু করেন। অতিথিদের কয়েকজনের কোনো গুপ্ত অতীত রয়েছে যা একটি অনাথ আশ্রম সংক্রান্ত। আর প্রত্যেকেই তাদের আসল নাম গোপন করে আছেন। ইতিমধ্যে প্রবল বর্ষণে এলাকাটি জলমগ্ন হয়ে পড়ে এবং বাইরের জগতের সংগে সমস্ত রকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সরকারি গোয়েন্দা ইনস্পেকটর ঘোষাল বন্যার জল অতিক্রম করে কোনোরকমে একটি ভেলায় চড়ে সেই হোটেলে আসেন যেখানে অবিলম্বেই কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটবে এমন কিছু জানতে পেরে। তারপর রাত্রে কোনো অজানা ব্যক্তি সেই ভেলাটিকেও ছেড়ে দেয়। কেউ সেখান থেকে বাইরে যেতে পারছেন না বা আসতেও পারছেন না এমন পরিস্থিতিতে প্রথম খুনের ঘটনাটি ঘটে যায়। মিস ধরকে নিজের ঘরে মৃত অবস্থায় আবিষ্কার করেন বাকি অতিথিরা। দ্বিতীয় খুনের চেষ্টার মুহুর্তে ধরা পড়ে আসল অপরাধী।[২][৩]

অভিনয়সম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. Premankur Biswas (২৫ আগস্ট ২০১৩)। "The Detective Returns"। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  2. "Chupi Chupi Ashey(1960)"IMDb। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  3. প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। Byte বিলাস। কলকাতা: সৃষ্টিসুখ প্রকাশন। পৃষ্ঠা ১০৩।