গাড়ি

এক থেকে আটজন যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত চার চাকাযুক্ত মোটরযান
(গাড়ী থেকে পুনর্নির্দেশিত)

গাড়ি বা মোটরগাড়ি একপ্রকার মোটরচালিত চার চাকার যানবাহন যা কমসংখ্যক যাত্রী বহন করে।[] এটি সাধারণত এক থেকে আটজন যাত্রী বহন করতে পারে, আর মাল পরিবহনের তুলনায় যাত্রী পরিবহনে বেশি ব্যবহৃত হয়।[] বাংলা ভাষায় অন্যান্য প্রকারের যানবাহন বোঝাতেও "গাড়ি" শব্দটি ব্যবহৃত হয়, যেমন টানা গাড়ি, রেলগাড়ি ইত্যাদি। তবে এই নিবন্ধে মূলত মোটরগাড়ি নিয়ে আলোচনা করছে।

গাড়ি
১৯৬৬ সাল থেকে উৎপাদনশীল টয়োটা করোলা ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত মোটরগাড়ির মধ্যে অন্যতম।
শ্রেণীবিভাগমোটরযান
শিল্পবিভিন্ন
প্রয়োগমূলত যাত্রী পরিবহন
জ্বালানী উৎস
চালিতহ্যাঁ
স্ব-চালিতহ্যাঁ
চাকা৩টি থেকে ৬টি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৪টি
অক্ষ২টি, কিছুক্ষেত্রে ৩টি
উদ্ভাবককার্ল বেঞ্জ
উদ্ভাবন১৮৮৬; ১৩৮ বছর আগে (1886)
কার্ল বেঞ্জের তৈরি "ভেলো" মডেল (১৮৯৪) — গাড়ি নির্মাণ প্রতিযোগিতায় পদার্পণ

১৭৬৯ সালে ফরাসি উদ্ভাবক নিকোলা-জোসেফ কুগনো প্রথম বাষ্পচালিত সড়ক যানের উদ্ভাবন করেছিলেন। ১৮০৮ সালে সুইস উদ্ভাবক ফ্রাঁসোয়া ইজাক দ্য রিভাজ প্রথম অন্তর্দহন ইঞ্জিন চালিত মোটরগাড়ি তৈরি করেছিলেন। ১৮৮৬ সালে দৈন্দিন ব্যবহার্য আধুনিক মোটরগাড়ির উদ্ভাবন করা হয়েছিল, যখন জার্মান উদ্ভাবক কার্ল বেঞ্জ তাঁর বেঞ্জ পাটেন্ট-মোটরভাগেনের কৃতিস্বত্ব সংরক্ষিত করেছিলেন। বিংশ শতাব্দী জুড়ে বাণিজ্যিক মোটরগাড়ি বহুল প্রচলিত হয়েছিল। ১৯০৮ সালে ফোর্ড মডেল টি চালু হয়েছিল, যা সাধারণ জনগণের ক্রয়যোগ্য প্রথম মোটরগাড়ির মধ্যে অন্যতম। ফোর্ড মোটর কোম্পানি এই মার্কিন গাড়িটি তৈরি করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রে ঘোড়ার গাড়ির পরিবর্তে মোটরগাড়ি ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।[] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে মোটরগাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছিল।[] মোটরগাড়িকে উন্নত অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে মনে করা হয়। একবিংশ শতাব্দীতে মূলত চীন, ভারত ও অন্যান্য নতুন শিল্পোন্নত দেশে মোটরগাড়ির ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।[][]

মোটরগাড়িতে চালনানির্দিষ্ট স্থানে রাখার ব্যবস্থা, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং বিভিন্নরকম বৈদ্যুতিক বাতি রয়েছে। বিগত কয়েক দশকে গাড়িতে আরও বৈশিষ্ট্য ও ব্যবস্থা যোগ করা হয়েছে, যার ফলে এটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে পিছনে দেখার ক্যামেরা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, দিক নির্ণয়বিনোদন ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য। ২০২০-এর দশকের শুরুতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ গাড়ি অন্তর্দহন ইঞ্জিনজীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা চালিত। মোটরগাড়ির ইতিহাসের প্রারম্ভেই উদ্ভাবিত বৈদ্যুতিক গাড়ি ২০০০-এর দশকের বাণিজ্যিকভাবে লভ্য হয়ে উঠেছিল এবং ২০২৫ সালের আগে এর খরচ পেট্রলচালিত গাড়ির চেয়ে কম হওয়ার কথা।[][] জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি থেকে বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তর মূলত জলবায়ু পরিবর্তন উপশম করার একটি উপায় বলে মনে করা হচ্ছে।[]

গাড়ি ব্যবহারে লাভ ও ক্ষতি উভয়ই রয়েছে। ব্যক্তিগত ক্ষতির মধ্যে রয়েছে গাড়ি কেনা, সুদ পরিশোধ (ধার করে কেনা গাড়ির ক্ষেত্রে), মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি, অবচয়, চালানোর সময়, গাড়ি রাখার ফি ও বীমা[১০] সামাজিক ক্ষতির মধ্যে রয়েছে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, জমির ব্যবহার, যানজট, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, জনস্বাস্থ্য এবং জীবনকালের শেষে গাড়িকে পরিত্যাগ করা। সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বজুড়ে আঘাতে মৃত্যুর বৃহত্তম কারণ।[১১] ব্যক্তিগত লাভের মধ্যে রয়েছে চাহিদামাফিক পরিবহন, সচলতা, স্বাধীনতা ও বিভিন্নরকম সুবিধা।[১২] সামাজিক লাভের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক লাভ (যেমন মোটরযান শিল্প থেকে জীবিকা ও সম্পত্তি সৃষ্টি), পরিবহনে সংস্থান, অবসরযাপন ও ভ্রমণে সুযোগ এবং কর আদায়ের মাধ্যমে অর্থ লাভ।[১৩]

ব্যুৎপত্তি

সম্পাদনা

বাংলা "গাড়ি" শব্দটি প্রাকৃত "গড্ডী" (𑀕𑀟𑁆𑀟𑀻) শব্দ হতে উদ্ভূত, যা আবার সংস্কৃত "গন্ত্রী" (गन्त्री) বা "গান্ত্রী" (गान्त्री) শব্দ হতে উদ্ভূত। বর্তমানে বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় মূলত একপ্রকার মোটরযান বোঝানোর জন্য "গাড়ি" শব্দটি ব্যবহৃত হয়, যদিও অন্যান্য প্রকারের যানবাহনের নামে "গাড়ি" শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন টানা গাড়ি, রেলগাড়ি ইত্যাদি।

ইতিহাস

সম্পাদনা

উপাদান

সম্পাদনা

প্রচালন ও জ্বালানি

সম্পাদনা
 
২০১১ নিসান লিফ বৈদ্যুতিক গাড়ি

২০২০-এর দশকের শুরুতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ গাড়ি অন্তর্দহন ইঞ্জিনে দহন করা পেট্রল দ্বারা চালিত। কিছু দেশ পুরনো পেট্রলচালিত গাড়ি নিষিদ্ধ করে এবং কিছু দেশ ভবিষ্যতে পেট্রলচালিত গাড়ি বিক্রি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছে। তবে কিছু পরিবেশবাদী সংগঠনের মতে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহনের ব্যবহার ক্রমশ বন্ধ করা উচিত। ২০১৭ সালে পেট্রলচালিত গাড়ির উৎপাদন সর্বোচ্চ।[১৪][১৫]

অন্তর্দহন গাড়িতে ব্যবহৃত অন্যান্য হাইড্রোকার্বন জ্বালানির মধ্যে ডিজেল, অটোগ্যাসসংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) উল্লেখযোগ্য। জীবাশ্ম জ্বালানি ভর্তুকি অপসারণ,[১৬][১৭] খনিজ তেলের উপর নির্ভরশীলতা নিয়ে দুশ্চিন্তা, কঠোরতর পরিবেশ আইন এবং গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনে বাধানিষেধ গাড়ির বিকল্প জ্বালানির কাজে গতি সঞ্চার করে। বিকল্প গাড়ির মধ্যে সংকর গাড়ি, বৈদ্যুতিক গাড়িহাইড্রোজেন গাড়ি উল্লেখযোগ্য। ২০২১ সালে বিক্রিত সমস্ত গাড়ির মধ্যে ৯ শতাংশ বৈদ্যুতিক, আর সেই বছরের শেষে বিশ্বের সড়কপথে ১.৬ কোটির বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি চলাচল করছিল।[১৮] তবে দ্রুত বৃদ্ধির সত্ত্বেও ২০২১ সালের শেষে বিশ্বের সড়কপথে চলাচল করা গাড়ির মধ্যে সম্পূর্ণভাবে বৈদ্যুতিকপ্লাগ-ইন হাইব্রিড গাড়ি ২ শতাংশেরও কম।[১৮]

 
হলুদ: হেডলাইট বা সামনের আলো
লাল: পিছনের আলো

গাড়িতে সাধারণত বিভিন্নরকম আলো বসানো থাকে। এর মধ্যে হেডলাইট বা সামনের আলো উল্লেখযোগ্য, যা সামনের দিককে আলোকিত করে এবং গাড়িকে অন্যান্যদের কাছে দৃশ্যমান করে, যার ফলে রাতের বেলায় গাড়ি ব্যবহার করা যায়। এছাড়া লাল রঙের আলোর মাধ্যমে কখন ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে তা বোঝানো যায়; হলুদাভ বাদামি রঙের আলোর মাধ্যমে চালকের সম্ভাব্য দিক পরিবর্তনকে ইঙ্গিত করা হয়। চালক ও যাত্রীদের জন্য গাড়ির অভ্যন্তরে আলো বসানো থাকে।

ওজন ও আকার

সম্পাদনা

বিংশ শতাব্দীর শেষে ও একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ব্যাটারি,[১৯] আধুনিক ইস্পাতের সুরক্ষা খাঁচা, অ্যান্টি-লক ব্রেক, এয়ারব্যাগ এবং আরও ক্ষমতাশালী ও দক্ষ ইঞ্জিনের জন্য গাড়ির ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে।[২০] ২০১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, গাড়ির ওজন সাধারণত ১ থেকে ৩ টন (১,০০০ থেকে ৩,০০০ কিলোগ্রাম; ২,২০০ থেকে ৬,৬০০ পাউন্ড)-এর মধ্যে।[২১] সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ভারী গাড়ি চালকের পক্ষে আরও নিরাপদ কিন্তু অন্যান্য যানবাহন ও সড়ক ব্যবহারকারীর পক্ষে আরও ভয়ঙ্কর।[২০]

কিছু অঞ্চলে ভারী গাড়িতে অতিরিক্ত করারোপের জন্য[২২] এবং পথচারীদের নিরাপত্তা উন্নীত করার জন্য গাড়ি প্রস্তুতকারকদের ইস্পাতের জায়গায় রিসাইকেল করা অ্যালুমিনিয়ামের মতো পদার্থ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেছে।[২৩]

সুরক্ষা

সম্পাদনা
 
একটি ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনার ফলাফল।

সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বজুড়ে আঘাতে মৃত্যুর বৃহত্তম কারণ।[১১] বর্তমানে নতুন গাড়ির জন্য সুরক্ষার পরীক্ষা প্রক্রিয়া রয়েছে, যেমন ইউরোমার্কিন এনসিএপি পরীক্ষা[২৪] এবং ইন্স্যুরেন্স ইনস্টিউট ফর হাইওয়ে সেফটি (আইআইএইচএস) দ্বারা বিভিন্ন পরীক্ষা।[২৫]

লাভ ও ক্ষতি

সম্পাদনা
 
যানজট বিভিন্ন বড় শহরে একটি প্রধান সমস্যা (চিত্রে কলকাতা শহরের ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস)।[২৬]

গাড়ি ব্যবহারের খরচের মধ্যে রয়েছে গাড়ি কেনা, সুদ পরিশোধ (ধার করে কেনা গাড়ির ক্ষেত্রে), মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি, অবচয়, চালানোর সময়, গাড়ি রাখার ফি ও বীমা[১০] অন্যদিকে, লাভের মধ্যে রয়েছে চাহিদামাফিক পরিবহন, সচলতা, স্বাধীনতা ও বিভিন্নরকম সুবিধা।[১২]

একইভাবে, গাড়ি ব্যবহারে সামাজিক ক্ষতির মধ্যে রয়েছে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, জমির ব্যবহার, যানজট, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, জনস্বাস্থ্য এবং জীবনকালের শেষে গাড়িকে পরিত্যাগ করা। সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বজুড়ে আঘাতে মৃত্যুর বৃহত্তম কারণ।[১১] সামাজিক লাভের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক লাভ (যেমন মোটরগাড়ি শিল্প থেকে জীবিকা ও সম্পত্তি সৃষ্টি), পরিবহনে সংস্থান, অবসরযাপন ও ভ্রমণে সুযোগ এবং কর আদায়ের মাধ্যমে অর্থ লাভ।[১৩]

পরিবেশগত প্রভাব

সম্পাদনা
 
মোটরগাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ।

গাড়ি শহরে বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ[২৭] এবং সমস্তপ্রকার গাড়ি ব্রেক, টায়ার ও সড়ক ক্ষয় থেকে ধুলোবালি উৎপন্ন করে।[২৮] গাড়িকে চালানোর জন্য বিভিন্নরকম জ্বালানি ব্যবহার করা হলেও বেশিরভাগ গাড়ি পেট্রল বা ডিজেল ব্যবহার করে এবং ২০১৯-এর হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের তৈল উৎপাদনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পেট্রল ও ডিজেল হিসাবে ব্যবহৃত হয়।[১৪] পেট্রল ও ডিজেল উভয় গাড়ি বৈদ্যুতিক গাড়ির চেয়ে বেশি দূষণ সৃষ্টি করে।[২৯] ২০২১ সালে গাড়ি ও ভ্যান সরাসরি কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণের ৮ শতাংশের জন্য দায়ী।[৩০]

২০২০-এর দশকে নির্মিত গাড়ির কাঙ্ক্ষিত জীবনকাল প্রায় ১৬ বছর বা প্রায় ২০ লাখ কিলোমিটার (১২.৪ লাখ মাইল) যদি অনেকটা চালানো হয়।[৩১] এসইউভি গাড়ির বিক্রি বৃদ্ধি জ্বালানি অর্থনীতির পক্ষে খারাপ।[১৪] ইউরোপের অনেক শহর পুরনো জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়িকে নিষিদ্ধ করেছে এবং ২০৩০ সাল থেকে আমস্টারডামে জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত সমস্ত গাড়িকে নিষিদ্ধ করা হবে।[৩২] চীনের অনেক শহর জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ির লাইসেন্স দেওয়াকে সীমিত করেছে[৩৩] এবং ২০২৫ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে অনেক দেশ এইধরনের গাড়ি বিক্রি বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে।[৩৪]

গাড়ি উৎপাদনের জন্য প্রচুর রিসোর্স বা সম্পদ লাগে এবং বর্তমানে অনেক প্রস্তুতকারক তাদের কারখানার পরিবেশগত কর্মসম্পাদন নথিবদ্ধ করে, যার মধ্যে শক্তির ব্যবহার, বর্জ্যপানির অপচয় অন্তর্গত।[৩৫] প্রত্যেক কিলোওয়াট-ঘণ্টা ব্যাটারি প্রস্তুত করতে যতটা কার্বন নির্গত হয়, এক ট্যাংকপূর্ণ পেট্রলকে দহন করলে ঠিক ততটাই কার্বন নির্গত হয়।[৩৬] গাড়ির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির ফলে শহরগুলো অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে উঠে, যা আরও অনেকজনকে গাড়িতে করে ভ্রমণ করতে উৎসাহিত করে, যার ফলে মানুষদের মধ্যে নিষ্ক্রিয়তা ও স্থূলতা দেখা দেয়, যা আবার বিভিন্নরকম রোগ সৃষ্টি করতে পারে।[৩৭]

নতুন গাড়ি প্রযুক্তি

সম্পাদনা

যদিও ২০২০-এর দশকে প্রচলিত ব্যাটারিচালিত গাড়ির যথেষ্ট উন্নয়নকাজ চলছে,[৩৮] অন্যান্য উন্নয়নশীল গাড়ি প্রচালনশক্তির মধ্যে রয়েছে তারবিহীন চার্জিং,[৩৯] হাইড্রোজেন গাড়ি[৪০] ও হাইড্রোজেন/বৈদ্যুতিক সংকর গাড়ি।[৪১] বিকল্প জ্বালানি গবেষণার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি কোষে হাইড্রোজেনের পরিবর্তে অ্যামোনিয়ার ব্যবহার।[৪২]

গাড়ির প্রচলিত ইস্পাতনির্মিত গঠনকে প্রতিস্থাপনকারী পদার্থের মধ্যে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম,[৪৩] ফাইবারগ্লাস, কার্বন তন্তু, বায়োকম্পোজিটকার্বন ন্যানোটিউব[৪৪]

স্বয়ংক্রিয় গাড়ি

সম্পাদনা
 
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়ি

স্বয়ংক্রিয় গাড়ি বা রোবোট্যাক্সি[৪৫][৪৬][৪৭] সীমিত মানব ইনপুট বা কোনো মানব ইনপুট ছাড়াই পরিচালিত হয়।[৪৮][৪৯] এইধরনের গাড়ি নিজেই সমস্ত গাড়ি চালনার কর্মকাণ্ডের জন্য দায়বদ্ধ, যেমন পরিবেশকে অনুভব করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থার পর্যালোচনা করা এবং গাড়িকে নিয়ন্ত্রিত করা, যার মধ্যে রয়েছে সূচনা বিন্দু থেকে গন্তব্যে পৌঁছনো।[৫০] স্বয়ংক্রিয় গাড়ি এখনও সাধারণ জনগণের ব্যবহার থেকে দূরেই রয়েছে।[৫১]

মোটরযান শিল্প পৃথিবীর বিভিন্ন মোটরযান উৎপাদন ও বিক্রয় করে, যার তিন-চতুর্থাংশই গাড়ি। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে ৫.৬ কোটি গাড়ি তৈরি হয়েছিল,[৫২] যা গত বছরের ৬.৭ কোটির তুলনায় কম।[৫৩] চীনের মোটরযান শিল্প সবচেয়ে বেশি গাড়ি তৈরি করে (২০২০ সালে ২ কোটি), যার পরেই আছে জাপান (৭০ লাখ), জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত।[৫৪]

বিশ্বের সড়কপথে প্রায় একশত কোটি গাড়ি রয়েছে।[৫৫] এরা বছরে ১ ট্রিলিয়ন লিটার (০.২৬ ট্রিলিয়ন ইউএস গ্যালন)-এর বেশি পেট্রল ও ডিজেল দহন করে আর প্রায় ৫০ এক্সাজুল (১৪,০০০ terawatt-hour) শক্তি ব্যয় করে।[৫৬] চীন ও ভারতে গাড়ির সংখ্যা দ্রুতহারে বাড়ছে।[৫৭] কেউ কেউ মনে করে যে গাড়িভিত্তিক পৌর পরিবহন ব্যবস্থা টেকসই নয়, প্রচুর শক্তি ব্যয় করে, জনগণের স্বাস্থ্যে কুপ্রভাব বিস্তার করে এবং ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ সত্ত্বেও ক্রমহ্রাসমান পরিষেবা প্রদান করছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই কুপ্রভাবের শিকার সেইসব জনগোষ্ঠী যাদের গাড়ি চালানোর সম্ভাবনা সর্বনিম্ন।[৫৮][৫৯] টেকসই পরিবহন আন্দোলন এইসব সমস্যার সমাধান অনুসন্ধান করে। গাড়ি শিল্পও গণপরিবহন খাতের সঙ্গে তীব্রতর প্রতিযোগিতার শামিল হচ্ছে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে ইউরোপীয় কমিশন "ফিট ফর ৫৫" বিধান প্যাকেজে মোটরযান খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরত্বপূর্ণ নির্দেশ জারি করেছিল।[৬০][৬১] এই প্যাকেজ অনুযায়ী ২০৩৫ সালে ইউরোপীয় বাজারে বিক্রয় করা সমস্ত নতুন গাড়িকে নির্গমনহীন হতে হবে।[৬২][৬৩][৬৪]

বিকল্প যানবাহন

সম্পাদনা
 
ভারতের চেন্নাই শহরে কয়েকটি ভাড়া সাইকেল। সাইকেলকে অনেকসময় মোটরগাড়ির একটি পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসাবে মনে করা হয়।

বর্তমানে মোটরগাড়ির একাধিক বিকল্প রয়েছে, যেমন গণপরিবহন (বাসরেলগাড়ি), সাইকেলহাঁটাসাইকেল ভাড়া ব্যবস্থা চীন ও ইউরোপের বিভিন্ন শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেমন আমস্টারডামকোপেনহেগেন। যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরেও অনুরূপ প্রকল্পের কাজ চলছে।[৬৫][৬৬] এছাড়া ব্যক্তিগত দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা মোটরগাড়ির বিকল্প হতে পারে যদি এটি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠে।[৬৭]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "car"কেমব্রিজ ইংরেজি-বাংলা অভিধান 
  2. Fowler, H.W.; Fowler, F.G., সম্পাদকগণ (১৯৭৬)। Pocket Oxford Dictionary । Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0198611134 
  3. "The Motor Vehicle, 1917"Scientific American। জানুয়ারি ২০১৭। ২৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ 
  4. "Automobile History"www.history.com। ২১ আগস্ট ২০১৮। ২৭ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০২১ 
  5. "Automobile Industry Introduction"। Plunkett Research। ২২ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. Smith, Matthew Nitch (২০১৬-০৪-২২)। "The number of cars worldwide is set to double by 2040"World Economic Forum 
  7. "EV Price Parity Coming Soon, Claims VW Executive"CleanTechnica (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ আগস্ট ২০১৯। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯ 
  8. "Electric V Petrol"। British Gas। ১৮ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  9. "Factcheck: How electric vehicles help to tackle climate change"Carbon Brief (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ মে ২০১৯। ২৫ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২০ 
  10. "Car Operating Costs"। RACV। ৭ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  11. Peden, Margie; Scurfield, Richard; Sleet, David; Mohan, Dinesh; Hyder, Adnan A.; Jarawan, Eva; Mathers, Colin, সম্পাদকগণ (২০০৪)। World report on road traffic injury prevention। World Health Organization। আইএসবিএন 92-4-156260-9। ৪ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০০৮ 
  12. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; setright নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  13. Jakle, John A.; Sculle, Keith A. (২০০৪)। Lots of Parking: Land Use in a Car Culture। University of Virginia Press। আইএসবিএন 0-8139-2266-6 
  14. "October: Growing preference for SUVs challenges emissions reductions in passenger car mark"IEA। ১৮ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৯ 
  15. "Bloomberg NEF Electric Vehicle Outlook 2019"। Bloomberg NEF। ১৫ মে ২০১৯। ৩ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৯ 
  16. "Govt to completely lift fuel subsidies in 2020: minister"Egypt Independent। ৮ জানুয়ারি ২০১৯। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৯ 
  17. "Why the Rouhani administration must eliminate energy subsidies"। Al-Monitor। ৯ ডিসেম্বর ২০১৮। 
  18. "Trends in electric light-duty vehicles – Global EV Outlook 2022 – Analysis"IEA (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২২ 
  19. "How much do electric cars weigh?"EV Archive (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  20. Lowrey, Annie (২৭ জুন ২০১১)। "Your Big Car Is Killing Me"Slate। ২৫ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৫ 
  21. Sellén, Magnus (২ আগস্ট ২০১৯)। "How much does a Car Weigh? – [Weight List by Car Model & Type]"Mechanic Base (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  22. Niranjan, Ajit (২২ জানুয়ারি ২০২৪)। "SUVs drive trend for new cars to grow 1cm wider in UK and EU every two years, says report"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২৪France has …. penalties that cover the weight of a car. 
  23. Shaffer, Blake; Auffhammer, Maximilian; Samaras, Constantine (অক্টোবর ২০২১)। "Make electric vehicles lighter to maximize climate and safety benefits"নেচার (ইংরেজি ভাষায়)। 598 (7880): 254–256। এসটুসিআইডি 238747321 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1038/d41586-021-02760-8পিএমআইডি 34642477বিবকোড:2021Natur.598..254S। ১৪ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২১ 
  24. "SaferCar.gov"। NHTSA। ২৭ জুলাই ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  25. "IIHS-HLDI"IIHS-HLDI crash testing and highway safety। ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০২২ 
  26. Fran Tonkiss (২০০৫)। Space, the city and social theory: social relations and urban forms। Polity। 
  27. Sengupta, Somini; Popovich, Nadja (১৪ নভেম্বর ২০১৯)। "Cities Worldwide Are Reimagining Their Relationship With Cars"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  28. Carroll, Sean Goulding (৯ মে ২০২২)। "Switch to EVs won't solve 'road dust' pollution – in fact, it could make it worse"www.euractiv.com (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০২২ 
  29. "EEA report confirms: electric cars are better for climate and air quality"European Environment Agency (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  30. "Cars and Vans – Analysis"IEA (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০২২ 
  31. "Tesla supplier ready to make million-mile battery"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ জুন ২০২০। ৯ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০২০ 
  32. Boffey, Daniel (৩ মে ২০১৯)। "Amsterdam to ban petrol and diesel cars and motorbikes by 2030"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৯ 
  33. Lambert, Fred (৬ জুন ২০১৯)। "China boosts electric car sales by removing license plate quotas"Electrek (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৯ 
  34. Carroll, Sean Goulding (৫ জুলাই ২০২২)। "A seismic shift: Support for ICE melts as Europe warms to EVs"www.euractiv.com (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২২ 
  35. "Volvo's carbon-free car factory"Ends Report। অক্টোবর ২০০৫। ১৯ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  36. Group, Drax। "Drax Electric Insights"Drax Electric Insights। ১০ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  37. "Our Ailing Communities"Metropolis Magazine। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  38. "EV battery research projects get £55m funding boost"Air Quality News। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  39. "Wireless electric car charging gets cash boost" (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ জুলাই ২০১৯। ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২০ 
  40. "China's Hydrogen Vehicle Dream Chased With $17 Billion of Funding" (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ জুলাই ২০১৯। ২১ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৯ 
  41. "Motor Mouth: Is Mazda's e-TPV the perfect electric vehicle?"Driving (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  42. "Ammonia for fuel cells"phys.org (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  43. "Survey reveals aluminum remains fastest growing automotive material"Automotive World (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ আগস্ট ২০২০। ২১ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২১ 
  44. Vyas, Kashyap (৩ অক্টোবর ২০১৮)। "This New Material Can Transform the Car Manufacturing Industry"Interesting Engineering। Turkey। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৯ 
  45. Taeihagh, Araz; Lim, Hazel Si Min (২ জানুয়ারি ২০১৯)। "Governing autonomous vehicles: emerging responses for safety, liability, privacy, cybersecurity, and industry risks"। Transport Reviews39 (1): 103–128। arXiv:1807.05720 আইএসএসএন 0144-1647এসটুসিআইডি 49862783ডিওআই:10.1080/01441647.2018.1494640 
  46. Maki, Sydney; Sage, Alexandria (১৯ মার্চ ২০১৮)। "Self-driving Uber car kills Arizona woman crossing street"রয়টার্স। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৯ 
  47. Thrun, Sebastian (২০১০)। "Toward Robotic Cars"। Communications of the ACM53 (4): 99–106। এসটুসিআইডি 207177792ডিওআই:10.1145/1721654.1721679 
  48. Xie, S.; Hu, J.; Bhowmick, P.; Ding, Z.; Arvin, F. (২০২২)। "Distributed Motion Planning for Safe Autonomous Vehicle Overtaking via Artificial Potential Field"IEEE Transactions on Intelligent Transportation Systems23 (11): 21531–21547। এসটুসিআইডি 250588120 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1109/TITS.2022.3189741। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০২ 
  49. Gehrig, Stefan K.; Stein, Fridtjof J. (১৯৯৯)। Dead reckoning and cartography using stereo vision for an automated car। IEEE/RSJ International Conference on Intelligent Robots and Systems। 3। Kyongju। পৃষ্ঠা 1507–1512। আইএসবিএন 0-7803-5184-3ডিওআই:10.1109/IROS.1999.811692 
  50. Xie, S.; Hu, J.; Ding, Z.; Arvin, F. (২০২৩)। "Cooperative Adaptive Cruise Control for Connected Autonomous Vehicles Using Spring Damping Energy Model"IEEE Transactions on Vehicular Technology72 (3): 2974–2987। এসটুসিআইডি 253359200 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1109/TVT.2022.3218575। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০১ 
  51. Mims, Christopher (৫ জুন ২০২১)। "Self-Driving Cars Could Be Decades Away, No Matter What Elon Musk Said"দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0099-9660। ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  52. "2020 Statistics"OICA। ২ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  53. "2019 Statistics"OICA। ২০ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  54. "2018 Statistics"। OICA। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  55. "PC World Vehicles in Use" (পিডিএফ)। OICA। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৯ 
  56. "Global Transportation Energy Consumption: Examination of Scenarios to 2040 using ITEDD" (পিডিএফ)। Energy Information Administration। সেপ্টেম্বর ২০১৭। ১১ মে ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৯ 
  57. "Automobile Industry Introduction"। Plunkett Research। ২২ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  58. "Transport and health"World Health Organisation, Europe। ২৯ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০০৮ 
  59. "Global Action for Healthy Streets: Annual Report 2018" (পিডিএফ)। FiA Foundation। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  60. "EU ban on the sale of new petrol and diesel cars from 2035 explained"Topics | European Parliament (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৩-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১৭ 
  61. "European Green Deal: Commission proposes transformation of EU economy and society to meet climate ambitions"European Commission - European Commission। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১৭ 
  62. "New cars sold in EU must be zero-emission from 2035" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৩-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১৭ 
  63. "Thảm lót sàn ô tô" (ভিয়েতনামী ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১৭ 
  64. philcurry (২০২১-০৭-১৪)। "Fit for 55: EU introduces ban on petrol and diesel cars by 2035"Autovista24 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১৭ 
  65. "About Bike Share Programs"। Tech Bikes MIT। ২০ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৯ 
  66. Cambell, Charlie (২ এপ্রিল ২০১৮)। "The Trouble with Sharing: China's Bike Fever Has Reached Saturation Point"Time। ৭ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৯ 
  67. Kay, Jane Holtz (১৯৯৮)। Asphalt Nation: how the automobile took over America, and how we can take it back। University of California Press। আইএসবিএন 0-520-21620-2 

আরও পড়ুন

সম্পাদনা
  • Berger, Michael L. (২০০১)। The automobile in American history and culture: a reference guide। US: Bloomsbury Publishing। আইএসবিএন 9780313016066 
  • Brinkley, Douglas (২০০৩)। Wheels for the world: Henry Ford, his company, and a century of progress, 1903-2003। Viking। আইএসবিএন 9780670031818 
  • Cole, John; Cole, Francis (২১৩)। A Geography of the European Union। London: Routledge। পৃষ্ঠা 110। আইএসবিএন 9781317835585  – Number of cars in use (in millions) in various European countries in 1973 and 1992
  • Halberstam, David (১৯৮৬)। The Reckoning । New York: Morrow। আইএসবিএন 0-688-04838-2 
  • Kay, Jane Holtz (১৯৯৭)। Asphalt nation : how the automobile took over America, and how we can take it back। New York: Crown। আইএসবিএন 0-517-58702-5 
  • Margolius, Ivan (২০২০)। "What is an automobile?"The Automobile37 (11): 48–52। আইএসএসএন 0955-1328 
  • Sachs, Wolfgang (১৯৯২)। For love of the automobile: looking back into the history of our desires। Berkeley: University of California Press। আইএসবিএন 0-520-06878-5 
  • Wilkins, Mira; Hill, Frank Ernest (১৯৬৪)। American Business Abroad: Ford on Six Continents 
  • Williams, Heathcote (১৯৯১)। Autogeddon। New York: Arcade। আইএসবিএন 1-55970-176-5 
  • Latin America: Economic Growth Trends। US: Agency for International Development, Office of Statistics and Reports। ১৯৭২। পৃষ্ঠা 11।  – Number of motor vehicles registered in Latin America in 1970
  • World Motor Vehicle Production and Registration। US: Business and Defense Services Administration, Transportation Equipment Division। পৃষ্ঠা 3।  – Number of registered passenger cars in various countries in 1959-60 and 1969–70

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
  •   উইকিমিডিয়া কমন্সে গাড়ি সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
  •   উইকিঅভিধানে গাড়ি-এর আভিধানিক সংজ্ঞা পড়ুন।