রোগ
রোগ/ব্যাধি/অসুস্থতা হল কোন জীবের দেহের (বা মনের) কোনো অস্বাভাবিকতা, অক্ষমতা বা স্বাস্থ্যহানি। রোগ মূলত জীবদেহে হয়ে থাকে। এই শব্দের বিপরীত শব্দ সুস্থতা বা আরোগ্য। প্রাণীদেহ শারীরিক,প্রাকৃতিক,সামাজিক বা পরিবেশগত কারণে বিভিন্নধরনের জীবানু,ভাইরাস,ব্যাকটেরিয়া সহ অন্যান্য অনেক উৎসের মাধ্যমে বা কারণে রোগাক্রান্ত হতে থাকে। প্রতিটি প্রাণীদেহেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সংক্রিয় ভাবে কার্যকর থাকে। বর্তমানের উন্নত চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে ফলে সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ জীবন যাপন সহজ হয়েছে। নীরোগ অটুট ভালো স্বাস্থ্যের সঙ্গে উৎকৃষ্ট জীবনযাপনের অন্য সব উপাদান নিয়েই সুস্বাস্থ্য। প্রদান করেছে রোগের অন্যান্য নিয়ম অনুযায়়ী় বিভিন্ন রোগের বিভিন্ন ঔষধ বার হয়েছে কিন্তুু কিছু রোগ আছে যা
যে ব্যক্তি বা জীব রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে সে হল রোগী বা অসুস্থ। চিকিৎসা শাস্ত্রে নানা রোগের, বাহ্যিক উপসর্গ বা সিম্প্টম এবং রোগ নির্ধারণের লক্ষণ বা সাইন ইত্যাদি দ্বারা রোগ নির্ণয় বা ডায়াগনোসিস, রোগের উৎপত্তির কারণ বা ইটিওলজি, রোগের দ্বারা সংঘটিত দেহবিকার বা প্যাথলজি, রোগনিরাময় বা ট্রিটমেন্ট, ও সুস্থ মানুষের রোগ হওয়া থেকে পরিত্রাণের উপায় বা প্রোফাইল্যাক্সিস,রোগপ্রতিরোধ ইত্যাদি চর্চা হয়ে থাকে। যখন কোন বিশেষ রোগের উপসর্গ কেবল মৃদু, পুরোমাত্রায় হয়নি বা সব উপসর্গের প্রকোপ পূর্ণাঙ্গমাত্রায় প্রকাশিত হয়নি তখন এই অবস্থাকে বলে সাবক্লিনিকাল রোগ বা ডিজিজ। কোন রোগের কারণ হতে পারে শরীরের বাইরে থেকে আসা সংক্রামক কীটাণু/বীজাণু/জীবাণু অথবা শরীরের ভিতরের কোন কিছুর অভাব (যেমনঃ ভিটামিনের অভাব, ইমিউনিটির অভাব বা ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ) অথবা অসংগতি(যেমনঃ অতিপ্রতিক্রিয়া (অ্যালার্জি) বা অস্বাভাবিকতা যেমন অটোইমিউন রোগ (যাতে আমাদের নিজেদের ইমিউনিটি বা অনাক্রম্যতা আমাদেরই শরীরের কোন অংশকে আক্রমণ করে) ইত্যাদি।
রোগ বা অসুস্থতা ব্যাপ্ত অর্থে যে কোন শারীরিক অসুবিধা, বেদনা, দুঃখ বা দুস্থতা বোঝাতে পারে। এই ব্যাপ্ত অর্থের মধ্যে কখোনো কখোনো চোট, আঘাত, পঙ্গুত্ব, বিকলাঙ্গতা, নানা সিনড্রোম, সংক্রমণ, রোগ ব্যতিরেকে কেবল মৃদু উপসর্গ (যেমন সাব ক্লিনিকাল ডিজিজ), অস্বাভাবিক ব্যবহার, অঙ্গসংস্থানিক গাঠনিক পরিবর্তন বা শারীরবৃত্তীয় অস্বাভাবিকতা ইত্যাদিকেও একরকম রোগ বলে গণ্য করা যেতে পারে। শারিরীক ছাড়াও মনন, অনুভূতি, ব্যক্তিত্ব ও জীবনযাপনের অনেক কিছুর অসংগতিকেও এর আওতায় ফেলা যেতে পারে। বৃদ্ধ বয়সে রোগজনিত মৃত্যুকে প্রাকৃতিক কারণ ঘটিত মৃত্যু বা স্বাভাবিক মৃত্যু বলা হয়।
পরিভাষা
সম্পাদনাধারণাসমূহ
সম্পাদনাবেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগ, বিকার, রুগ্নতা, অসুস্থতা, ইত্যাদি পরিভাষাগুলি সমার্থকভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে কিছু কিছু পরিস্থিতিতে বিশেষ বিশেষ পরিভাষা ব্যবহার করা শ্রেয়।[১]
- রোগ
- রোগ বলতে এমন কোনও অবস্থাকে বোঝায় যার ফলে দেহের স্বাভাবিক ক্রিয়াপদ্ধতিতে ব্যাঘাত ঘটে। এ কারণে রোগগুলিকে দেহের স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা-রক্ষক প্রক্রিয়াসমূহের কর্মবিচ্যুতির সাথে সম্পর্কিত করা হয়।[২] সাধারণত এই পরিভাষাটি দিয়ে বিশেষ করে সংক্রামক রোগগুলিকে নির্দেশ করা হয়, যেগুলি হল রোগীদের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণযোগ্য কিছু রোগ যেগুলি দেহে রোগসৃষ্টিকারী সংঘটক বা জীবাণুর (যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, আদ্যপ্রাণী বা প্রোটোজোয়া, বহুকোষীয় জীব এবং প্রিয়ন নামক লক্ষ্যবিচ্যুত প্রোটিন) উপস্থিতির কারণে সৃষ্ট হয়। যদি কোনও অণুজীবের সংক্রমণ বা উপনিবেশ স্থাপনের ফলে সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে সুস্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণযোগ্য স্বাভাবিক ক্রিয়াপদ্ধতিতে ব্যাঘাত না ঘটে বা না ঘটার সম্ভাবনা থাকে, যেমন অন্ত্রে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকসমূহ, কিংবা কোনও যাত্রী ভাইরাস, তাহলে সেগুলিকে রোগ হিসেবে গণ্য করা হয় না। এর বিপরীতে কোনও সংক্রমণ যদি এর পরিস্ফোটন পর্বে উপসর্গহীন থাকে, কিন্তু পরবর্তীতে উপসর্গ প্রকাশ প্রত্যাশা করা হয়, তাহলে সেই সংক্রমণটিকে রোগ হিসেবে গণ্য করা হয়। অন্য সব ধরনের রোগকে অসংক্রামক রোগ বলা হয়, যেমন ক্যান্সার বা কর্কটরোগ, হৃদরোগ ও বংশগত রোগ।
প্রকারভেদ
সম্পাদনারোগ প্রধানত চারপ্রকার :
- সংক্রামক রোগ ,
- অভাবজনিত রোগ,
- বংশগত রোগ (বংশাণুবাহিত ও অ-বংশাণুবাহিত),
- শারীরবৃত্তীয় রোগ।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Mental Illness – Glossary"। US National Institute of Mental Health। ২৮ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ "Regents Prep: Living Environment: Homeostasis"। Oswego City School District Regents Exam Prep Center। ২৫ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১২।