ভূত্বকে ও সমুদ্র উপকূলভাগে তৈলকূপ থেকে প্রাপ্ত গ্যাস। সাধারণত মিথেন (CH4) গ্যাস হয়ে থাকে(৮০%)। অন্যান্য উচ্চতর অ্যালকেনগুলি ছাড়াও এতে খুব কম পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন সালফাইড এবং হিলিয়ামের মতো গ্যাসও উপস্থিত থাকে।[১] প্রাকৃতিক গ্যাস মাটির ১৫০০-৪০০০ ফুট নিচে অবস্থান করে। কুপ খননের মাধ্যমে উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের বিদ্যুতের সবচেয়ে বড় কাঁচামাল। এছাড়াও সি এন জি, এল এন জি, এল পি জিইউরিয়া সার প্রভৃতির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ,পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভারত সহ বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস আছে এতে - ইথেন(৭%), প্রোপেন(৬%), বিউটেন ও আইসোবিউটেন(৩%) এবং পেন্টেন (3%) থাাকে।

সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক অনুযায়ী দেশগুলি দ্বারা প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন।

উপাদান সম্পাদনা

প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল উপাদান মিথেন হলেও এর সাথে অল্প পরিমাণ অন্যান্য প্যারাফিন হাইড্রোকার্বন যেমন ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন, পেন্টেন, হেক্সেন ইত্যাদি থাকে। এছাড়া আরও থাকে নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইডহাইড্রোজেন সালফাইড

প্রাকৃতিক গ্যাসের অনুপাত:-

(a.) মিথেন- ৯৭.৩৩%

(b.) ইথেন- ১.৭২%

(c.) প্রোপেন - ০.৩৫%

(d.) ঊচ্চতর কার্বনের শিকল যুক্ত অংশ- ০.১৯%

(e.) কার্বন ডাই অক্সাইড- ০.০৫%

(f.) অক্সিজেন- ০.০২%

(g.) হাইড্রোজেন- ০.০৩%

(h.) হাইড্রোজেন সালফাইড- ০.০১%

(i.) অন্যান্য- ০.৩%

মোট - ১০০%

প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপত্তি সম্পাদনা

জীবাশ্ম তৈরি হওয়ার সময় প্রাকৃতিক তেল এর ওপর স্তরে প্রাকৃতিক সঞ্চয় হয় এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের স্তর তৈরি করে। এই প্রাকৃতিক গ্যাস অভ্যন্তরে পাওয়া যায়। শুধুমাত্র সচ্ছিদ্র পাললিক শিলায় এই গ্যাস থাকে। এটিতে প্রায় ৮০ শতাংশ মিথেন এবং বাকি 20% নানান যৌগ উপস্থিতি বর্তমান।

প্রাকৃতিক গ্যাসের অনুসন্ধান সম্পাদনা

গ্যাস-তেলের অনুসন্ধান একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি। প্রধানত তিনটি পদ্ধতিতে অনুসন্ধান চালানো হয়ে থাকে। যেমন:- (ক) ভূ-তাত্ত্বিক (geological), (খ) ভূ-পদার্থিক (geophysical) ও (গ) ভূ-রাসায়নিক (geochemical) পদ্ধতি। এর মধ্যে ভূ-পদার্থিক পদ্ধতির একটি প্রচলিত ব্যবস্থা হচ্ছে ভূ-কম্পনের (seismic) সাহায্যে গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান লাভ করা হয়। যে এলাকাতে ভূ-কম্পন জরিপ করতে হবে, সে এলাকা ব্যাপি প্রায় ২০০ মিটার অন্তর আড়াআড়িভাবে অনেকগুলো লাইন টানা হয়। অতপর বিস্ফোরক এবং জিও ফোন (geo phone) সাড়িবদ্ধভাবে রাখা হয়। সাধারণত ২৫ ফুট দূরত্বে প্রতিটি বিস্ফোরক চার্জ এবং ২টি চার্জের মধ্যবর্তী স্থানে ডাটা গ্রাহক হিসেবে একটি জিওফোন রাখা হয়। সাড়িবদ্ধভাবে চার্জগুলোকে মাটির ১৫ ফুট গভীরে রাখা হয়। রিমোট কন্ট্রোল সুইচ এর মাধ্যমে চার্জগুলিকে বিস্ফোরিত করা হয়। এর ফলে সৃষ্ট কম্পন তরঙ্গ সমূহ (wave propagation) তরঙ্গাকারে মাটির অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্তর ভেদ করে পুনরায় গ্রাহক জিওফোন (geo phone)-এ ফেরত আসে। seismic এর গ্রাহক জিও ফোন এর মাধ্যমে সংগ্রহকৃত উপাত্ত লেখচিত্র আকারে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে। অতপর রেকর্ডকৃত লেখচিত্রের পরিশোধন, পরিমার্জন এবং বিশ্লেষণ করেই ভূগর্ভে গ্যাস ও তেলের অস্তিত্ব এবং simulation এর মাধ্যমে reserve estimate করা হয়।

কূপ খনন যন্ত্র সম্পাদনা

কূপ খননের জন্য প্রয়োজন প্রধান খনন যন্ত্র (RIG) ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।

প্রাকৃতিক গ্যাসের উত্তোলন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Background"। Naturalgas.org। ২০১৪-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-১৪ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা