উলিপুর উপজেলা
উলিপুর উপজেলা বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। এটি দেশের বৃহৎ উপজেলা সমূহের মধ্যে একটি।
উলিপুর | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে উলিপুর উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৩৯′৪৮″ উত্তর ৮৯°৩৮′১৪″ পূর্ব / ২৫.৬৬৩৩৩° উত্তর ৮৯.৬৩৭২২° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | কুড়িগ্রাম জেলা |
আসন | কুড়িগ্রাম-৩ |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | এম. এ. মতিন (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ৫০৪.১৯ বর্গকিমি (১৯৪.৬৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৪,১০,৮৯০ [১] |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৮.৬% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৪৯ ৯৪ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তন সম্পাদনা
কুড়িগ্রাম জেলা সদর হতে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ২৫°৩৩´ থেকে ২৫°৪৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৯´ থেকে ৮৯°৫১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে উলিপুর উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলার উত্তরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ও রাজারহাট উপজেলা, দক্ষিণে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ও চিলমারী উপজেলা, পূর্বে রৌমারী উপজেলা ও ভারতের আসাম, পশ্চিমে রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলা ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা।
আয়তন সম্পাদনা
উলিপুর উপজেলার আয়তন ৫০৪.১৯ বর্গ কিলোমিটার।
প্রশাসনিক এলাকা সম্পাদনা
উলিপুর উপজেলায় রয়েছে একটি পৌরসভা, ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১৪৭টি মৌজা এবং ৩৫৮টি গ্রাম। এ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম উলিপুর থানাধীন।
জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী উলিপুর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৪,১০,৮৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৯৮,৬২৫ জন ও মহিলা ২,১২,২৬৫ জন।
শিক্ষা সম্পাদনা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী উলিপুর উপজেলার সাক্ষরতার হার ৫৫.৪০% (পুরুষ ৫৮.৪৫%, মহিলা ৫৩.৯১%)। এ উপজেলায় ৮টি কলেজ (১টি সরকারি কলেজ), ৬২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়), ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়), ৫৫টি মাদ্রাসা (৪০টি দাখিল, ৬টি আলিম, ৮টি ফাজিল ও ১টি কামিল মাদ্রাসা) রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা
- কলেজ
- উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৪)
- উলিপুর মহিলা মহাবিদ্যালয় (১৯৮৬)
- পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজ (১৯৮৭)
- মন্ডলেরহাট মহাবিদ্যালয় (২০০০)
- এমএ মতিন কারিগরী ও কৃষি কলেজ (১৯৯৫)
- উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজ (১৯৯৯)
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৬৮)
- বুড়াবুড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৭)
- মন্ডলহাট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৫)
- দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৪)
- বকশিগঞ্জ রাজিবিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৫)
- উলিপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় (১৯০৯)
- প্রাথমিক বিদ্যালয়
- উলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯০৯)
- বুড়াবুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮৯)
- যমুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৩৭)
- দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯১৪)
- মাদ্রাসা
- সাতদরগা নেছারিয়া আলীয়া মাদ্রাসা (১৯৫২)
- কামাল খামার দ্বিমুখী সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৫৪)
- নুরেশ্বর আমীনিয়া মাদ্রাসা (১৯৫৪)
স্বাস্থ্য সম্পাদনা
অর্থনীতি সম্পাদনা
- মোট আবাদী জমির পরিমাণঃ ২৮,২৫০ একর
- অর্থকরী ফসলঃ ধান, গম, সবজি,আলু, পাঠ, আখ প্রভৃতি
- শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাঃ মোট ৭৩০টি, কুটির শিল্প- ৭৩০টি
- পেশাঃ প্রাধান পেশা হচ্ছে কৃষি কাজ,তাছারাও আছে চাকরিজীবী,কামার,কুমার,জেলে ইত্যাদি।
- পাকা রাস্তাঃ ১৮০কি. মি
- কাঁচা রাস্তাঃ ৪৪৬ কি. মি.
ধর্মীয় উপাসনালয় সম্পাদনা
দর্শনীয় স্থান সম্পাদনা
- টুপামারী বিল
- জালার পীরের দরগাহ
- সাত দরগাহ মাজার
- কাজীর মসজিদ
- ঠাঁকুরবাড়ি মন্দির
- ব্রহ্মপুত্র নদ
- তিস্তা নদী
- নাওডাঙ্গার বিল
- দাগারকুটি বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ
- পাঁচপীর রেল স্টেশন, দুর্গাপুর
- পানের বড়জ, পান্ডুল
- কাঁচারী পুকর
- কাশির খামার জমে মসজিদ
- বাহারের ঘাট
- টি বাধ, নাগরাকুঁড়া
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি সম্পাদনা
- এ কে এম মাইদুল ইসলাম (সাবেক মন্ত্রী)
- ভূপতি ভূষণ বর্মা (বিখ্যাত ভাওয়াইয়া শিল্পী)
জনপ্রতিনিধি সম্পাদনা
আরও দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "একনজরে উলিপুর উপজেলা"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |