প্রবেশদ্বার:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ

(উইকিপিডিয়া:BDLIB থেকে পুনর্নির্দেশিত)
প্রবেশদ্বার:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ

ভূমিকা

১৯৭১ এ বাংলাদেশের পতাকা
১৯৭১ এ বাংলাদেশের পতাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর বুকে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ এই যুদ্ধের সূচনা ঘটে, যখন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী রাতের অন্ধকারে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পঁচিশে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ হত্যা করে। গ্রেফতার করা হয় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙ্গালীর প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গ্রেফতারের পূর্বে ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সারাদেশে শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙ্গালী সদস্য এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ দেশকে মুক্ত করতে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালিয়ে মুক্তিবাহিনী সারাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য লাভ করে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যখন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র তখন পাকিস্তান পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এভাবে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরিভাবে জড়িয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনীভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমনে পাকিস্তানের দখলদারী বাহিনীর পতন ত্বরান্বিত হয়। ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান ৯৩,০০০ হাজার সৈন্যসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের।

সেরা নিবন্ধ

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র একটি অস্থায়ী সম্প্রচার কেন্দ্র যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবার পর এর নাম বদলে বাংলাদেশ বেতার করা হলে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা থেকে প্রথমবারের মত সম্প্রচার শুরু করে বাংলাদেশ বেতার। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবাসীর মনোবলকে উদ্দীপ্ত করতে এই বেতার কেন্দ্র অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছিল। যুদ্ধের সময়ে প্রতিদিন মানুষ অধীর আগ্রহে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শোনার জন্য অপেক্ষা করত। “জয় বাংলা, বাংলার জয়” গানটি এ বেতার কেন্দ্রের স্বাক্ষর সঙ্গীত (Signature Tune) হিসাবে প্রচারিত হতো।


নির্বাচিত যুদ্ধ

অপারেশন সার্চলাইট (ইংরেজি ভাষায়: Operation Searchlight) ১৯৭১সালে ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যা, যার মধ্যমে তারা ১৯৭১ এর মার্চ ও এর পূর্ববর্তী সময়ে সংঘটিত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছিল। এই গণহত্যা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাষকদের আদেশে পরিচালিত,যা ১৯৭০ এর নভেম্বরে সংঘটিত অপারেশন ব্লিটজ্‌ এর পরবর্তি অনুষঙ্গ। অপারেশনটির আসল উদ্দেশ্য ছিল ২৬ মার্চ এর মধ্যে সব বড় বড় শহর দখল করে নেয়া এবং রাজনৈতিক ও সামরিক বিরোধীদের এক মাসের ভেতর নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। বাঙালিরা তখন পাল্টা প্রতিরোধ সৃষ্টি করে,যা পাকিস্তানি পরিকল্পনাকারীদের ধারনার বাইরে ছিল। মে এর মাঝামাঝি সময়ে সকল বড় বড় শহরের পতন ঘটার মধ্যে দিয়ে অপারেশন সার্চলাইটের প্রধান অংশ শেষ হয়। এই সামরিক আক্রমণ ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে তরান্বিত করে। এই গণহত্যা বাঙালিদের ক্রুদ্ধ করে তোলে যে কারনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয় এবং বহু মানুষকে শরণার্থী রূপে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়।


নির্বাচিত জীবনী

মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, যিনি জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী নামে অধিক পরিচিত (সেপ্টেম্বর ১, ১৯১৮ - ফেব্রুয়ারি ১৬, ১৯৮৪), বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন। ১২ এপ্রিল, ১৯৭১ তারিখ থেকে এম. এ. জি. ওসমানী মন্ত্রীর সমমর্যাদায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন৷১৯৭১ সালের ২৬শে ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সের জেনারেল পদে নিযুক্ত হন। ১৯৭২ সালে দায়িত্ব থেকে অবসর নিয়ে তৎকালীণ মন্ত্রীসভায় অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৩ এর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ডাক, তার, টেলিযোগাযোগ, অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন। ১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওসমানী 'জাতীয় জনতা পার্টি' নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন।


সেরা ছবি

শিবনারায়ন দাশ কর্তৃক ডিজাইনকৃত বাংলাদেশের প্রথম পতাকা।
শিবনারায়ন দাশ কর্তৃক ডিজাইনকৃত বাংলাদেশের প্রথম পতাকা।
কৃতিত্ব:

বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা পতাকা, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হতো। পতাকাটি নকশা করেছিলেন ছাত্রনেতা শিবনারায়ন দাশআ স ম আবদুর রব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ইতিহাসে প্রথম এই পতাকা উত্তোলন করেছিলেন ১৯৭১ সালের ১৩ই মার্চ তারিখে। প্রতিবছর ২৩ই মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

আপনি জানেন কি...

নির্বাচিত উক্তি

"এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।"
শেখ মুজিবর রহমান, ৭ই মার্চ, ১৯৭১

বিষয়শ্রেণী

বিষয়শ্রেণী ধাঁধা
বিষয়শ্রেণী ধাঁধা
উপবিষয়শ্রেণী দেখার জন্য [►] ক্লিক করুন

নির্বাচিত বিস্তৃত দৃশ্য

বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও মেজর নাজমুল আলমের সমাধি।

মূল আলোচ্য বিষয়

যুদ্ধক্ষেত্র উল্লেখযোগ্য ঘটনা উল্লেখযোগ্য জীবনী অংশগ্রহণকারী আরও দেখুন


আপনি যা যা করতে পারেন

প্রস্তাবিত/অনুরোধকৃত নিবন্ধ

হেমায়েত বাহিনীমুজিব বাহিনীআফসার ব্যাটেলিয়নজেড ফোর্সএস ফোর্সকে ফোর্সসৈয়দ মনসুর আলীরাও ফরমান আলীএ. কে. খন্দকারএ. টি. এম. হায়দারকে. এম. শফিউল্লাহএ. এন. এম. নুরুজ্জামানচিত্তরঞ্জন দত্তমীর শওকত আলীএম. কে. বাশারনাজমুল হককাজী নুরুজ্জামানআবু ওসমান চৌধুরীএম. এ. মনজুরএম. এ. জলিলএম. এ. তাহেরহামিদুল্লাহআফসার উদ্দিন আহমেদগোবরা ক্যাম্প

সম্প্রসারণ প্রয়োজন

কাদেরিয়া বাহিনীমুসলিম লীগযুক্তফ্রন্টআগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাআইয়ুব খানইয়াহিয়া খানছয় দফা আন্দোলনএগারো দফা কর্মসূচীজুলফিকার আলী ভুট্টোটিক্কা খানআমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজীরফিকুল ইসলাম (মুক্তিযোদ্ধা)হেমায়েত উদ্দিন

উইকিমিডিয়া


উইকিবইয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
উন্মুক্ত পাঠ্যপুস্তক ও ম্যানুয়াল


উইকিভ্রমণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
উন্মুক্ত ভ্রমণ নির্দেশিকা