২০০৯–১০ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর
২০০৯-১০ মৌসুমের শেষে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল বাংলাদেশে সফর করে এবং তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) এবং দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলে। ইংল্যান্ড দলের নিয়মিত অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রস বিতর্কিতভাবে ২০১০-১১ অ্যাশেজ সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে বিশ্রামের জন্য এই সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করেন। এ কারণে অ্যালাস্টেয়ার কুক দলের নেতৃত্ব দেন। অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন।
২০০৯-১০ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর | |||
---|---|---|---|
![]() |
![]() | ||
বাংলাদেশ | ইংল্যান্ড | ||
তারিখ | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ – ২৪ মার্চ, ২০১০ | ||
অধিনায়ক | সাকিব আল হাসান | অ্যালাস্টেয়ার কুক | |
টেস্ট সিরিজ | |||
ফলাফল | ২ ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড ২–০ ব্যবধানে জয়ী | ||
সর্বাধিক রান | তামিম ইকবাল (২৩৭) | অ্যালাস্টেয়ার কুক (৩৪২) | |
সর্বাধিক উইকেট | সাকিব আল হাসান (৯) | গ্রেম সোয়ান (১৬) | |
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় | গ্রেম সোয়ান (ইংল্যান্ড) | ||
একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ | |||
ফলাফল | ৩ ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড ৩–০ ব্যবধানে জয়ী | ||
সর্বাধিক রান | তামিম ইকবাল (১৫৫) | ইয়ন মর্গ্যান (১৭৯) | |
সর্বাধিক উইকেট |
শফিউল ইসলাম (৫) আব্দুর রাজ্জাক (৫) সাকিব আল হাসান (৫) | টিম ব্রেসনান (৪) | |
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় | ইয়ন মর্গ্যান (ইংল্যান্ড) |
ইংল্যান্ড টেস্ট ও ওডিআই উভয় সিরিজেই বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশীদের দ্বারা অপরাজিত একমাত্র দেশ হিসেবে নিজেদের রেকর্ড বজায় রাখে। এই সিরিজে ইংল্যান্ডের পাঁচজন নতুন খেলোয়াড়ের অভিষেক ঘটে, যার মধ্যে অন্যতম হলেন দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ক্রেগ কাইজওয়েটার, যা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে বিদেশি-বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে, বিশেষ করে প্রাক্তন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক মাইকেল ভনকে নিয়ে।
প্রেক্ষাপট
সম্পাদনাদুই দলের মধ্যকার পূর্বের ১২টি ম্যাচ – চারটি টেস্ট ম্যাচ ও আটটি ওডিআই ম্যাচে – ইংল্যান্ড একমাত্র আন্তর্জাতিক দল যারা সবগুলোতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়লাভ করে রেকর্ড গড়েছিল।[১] এর আগের বছর, বাংলাদেশের থেকে বয়োঃজ্যেষ্ঠ টেস্ট দলের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম টেস্ট সিরিজে জয়লাভ করে, যদিও তা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গিয়েছিলো তবুও একটি তীব্র প্রাতিষ্ঠানিক বিতর্কের কারণে তা সে সময়ে চাপা পড়ে যায়।[১] দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আড়াইমাসের একটি সিরিজ খেলার পরপর ইংল্যান্ড এই সফরে আসে, যাতে তারা টেস্টে এবং টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক সিরিজে ড্র করে এবং তিনদিনের ওডিআইয়ে ২-১ ব্যবধানে জয়ী হয়।
দলীয় সদস্য
সম্পাদনা
|
|
ওডিআই সিরিজ
সম্পাদনাপ্রথম ওডিআই
সম্পাদনাদ্বিতীয় ওডিআই
সম্পাদনাতৃতীয় ওডিআই
সম্পাদনাটেস্ট সিরিজ
সম্পাদনা১ম টেস্ট
সম্পাদনাদ্বিতীয় টেস্ট
সম্পাদনাদ্বিতীয় টেস্টের জন্য দলটি ঢাকায় ফিরে আসে, এবং তিনটি পরিবর্তন ঘটায়; বাংলাদেশ দল আফতাব আহমেদ ও শাহাদাত হোসেনের পরিবর্তে শফিউল ইসলাম ও জহুরুল ইসলামকে দলে নামায়, এবং ইংল্যান্ড আরেক স্পিনার ক্যারবেরিকে ট্রেডওয়েলের চাপ কমানোর জন্য দলে নামায়। বাংলাদেশ আরও একবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। নিজের ২১তম জন্মদিনে তামিম ইকবাল, প্রথম সকালে স্বাধীনভাবে ব্যাট করে ৩৪ বলে অর্ধশত রান করে।
পরিসংখ্যান
সম্পাদনাটেস্ট | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যাটিং[২] | ||||||||
খেলোয়াড় | দল | ম্যাচ | ইনিংস | রান | গড় | সর্বোচ্চ | ১০০ | ৫০ |
অ্যালাস্টেয়ার কুক | ইংল্যান্ড | ২ | ৪ | ৩৪২ | ১১৪.০০ | ১৭৩ | ২ | ০ |
ইয়ান বেল | ইংল্যান্ড | ২ | ৩ | ২৬১ | ১৩০.৫০ | ১৩৮ | ১ | ১ |
কেভিন পিটারসন | ইংল্যান্ড | ২ | ৪ | ২৫০ | ৮৩.৩৩ | ৯৯ | ০ | ২ |
তামিম ইকবাল | বাংলাদেশ | ২ | ৪ | ২৩৭ | ৫৯.২৫ | ৮৬ | ০ | ৩ |
মুশফিকুর রহিম | বাংলাদেশ | ২ | ৪ | ২০৭ | ৫১.৭৫ | ৯৫ | ০ | ২ |
বোলিং[৩] | ||||||||
খেলোয়াড় | দল | ম্যাচ | ওভার | উইকেট | গড় | সেরা | ৫ উই | ১০ উই |
গ্রেম সোয়ান | ইংল্যান্ড | ২ | ১৪৪.৪ | ১৬ | ২৫.২৫ | ৫/৯০ | ২ | ১ |
সাকিব আল হাসান | বাংলাদেশ | ২ | ১২৫ | ৯ | ৩৮.৮৮ | ৪/৬২ | ০ | ০ |
টিম ব্রেসনান | ইংল্যান্ড | ২ | ৮৩ | ৭ | ৩২.২৮ | ৩/৬৩ | ০ | ০ |
আব্দুর রাজ্জাক | বাংলাদেশ | ২ | ৯৫.৩ | ৭ | ৫৮.৪২ | ৩/১৩২ | ০ | ০ |
জেমস ট্রেডওয়েল | ইংল্যান্ড | ১ | ৬৫ | ৫ | ৩০.১৬ | ৪/৮২ | ০ | ০ |
ওডিআই | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যাটিং[৪] | ||||||||
খেলোয়াড় | দল | ম্যাচ | ইনিংস | রান | গড় | সর্বোচ্চ | ১০০ | ৫০ |
ইয়ন মর্গ্যান | ইংল্যান্ড | ৩ | ৩ | ১৭৯ | ৮৯.৫০ | ১১০* | ১ | ০ |
অ্যালাস্টেয়ার কুক | ইংল্যান্ড | ৩ | ৩ | ১৫৬ | ৫২.০০ | ৬৪ | ০ | ২ |
তামিম ইকবাল | বাংলাদেশ | ৩ | ৩ | ১৫৫ | ৫১.৬৬ | ১২৫ | ১ | ০ |
মুশফিকুর রহিম | বাংলাদেশ | ৩ | ৩ | ১৩৮ | ৪৬.০০ | ৭৬ | ০ | ১ |
ক্রেগ কাইজওয়েটার | ইংল্যান্ড | ৩ | ৩ | ১৩০ | ৪৩.৩৩ | ১০৭ | ১ | ০ |
বোলিং[৫] | ||||||||
খেলোয়াড় | দল | ম্যাচ | ওভার | উইকেট | গড় | সেরা | ৫ উই | ১০ উই |
টিম ব্রেসনান | ইংল্যান্ড | ৩ | ২৮ | ৮ | ১৫.৮৭ | ৪/২৮ | ০ | ০ |
গ্রেম সোয়ান | ইংল্যান্ড | ৩ | ৩০ | ৭ | ১৭.৪২ | ৩/৩২ | ০ | ০ |
সাকিব আল হাসান | বাংলাদেশ | ৩ | ৩০ | ৫ | ২৩.৮০ | ৩/৩২ | ০ | ০ |
আব্দুর রাজ্জাক | বাংলাদেশ | ৩ | ৩০ | ৫ | ২৬.৬০ | ৩/৫২ | ০ | ০ |
স্টুয়ার্ট ব্রড | ইংল্যান্ড | ২ | ১৫ | ৫ | ২৬.৬৬ | ২/৪৬ | ০ | ০ |
প্রস্তুতিমূলক খেলা
সম্পাদনা৫০-ওভারের খেলা: বিসিবি একাদশ ব ইংল্যান্ড একাদশ
সম্পাদনা ২৩ ফেব্রুয়ারি
স্কোরকার্ড |
ব
|
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ
২৫৮/৯ (৫০ ওভার) | |
- বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি
স্কোরকার্ড |
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ
১৫১/৮ (৩৭ ওভার) |
ব
|
|
- বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- বৃষ্টির কারণে উভয় দলের ইনিংস ৩৭ ওভার নির্ধারণ করা হয়।
৩-দিনের খেলা: বাংলাদেশ এ ব ইংল্যান্ড একাদশ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;banglahist
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Records / England in Bangladesh Test Series, 2009/10 / Most runs" (ইংরেজি ভাষায়)। ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-২০।
- ↑ "Records / England in Bangladesh Test Series, 2009/10 / Most wickets" (ইংরেজি ভাষায়)। ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-২০।
- ↑ "Records / England in Bangladesh ODI Series, 2009/10 / Most runs" (ইংরেজি ভাষায়)। ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-২০।
- ↑ "Records / England in Bangladesh ODI Series, 2009/10 / Most wickets" (ইংরেজি ভাষায়)। ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-২০।