টিম ব্রেসনান
টিমোথি টিম থমাস ব্রেসনান (ইংরেজি: Tim Bresnan; জন্ম: ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৫) পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের পন্টেফ্রাক্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[২] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ব্রেসনান ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও তিনি তার সামর্থ্যতা যথাসাধ্যভাবে প্রদর্শন করে থাকেন। কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের পক্ষাবলম্বন করে মাঠেন নামেন। সাধারণতঃ তিনি ডিপ অঞ্চলে ফিল্ডিং করেন। ২০০২ ও ২০০৩ সালে এনবিসি ডেনিস কম্পটন পুরস্কার লাভ করেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | টিমোথি থমাস ব্রেসনান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পন্টেফ্রাক্ট, পশ্চিম ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড | ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ব্রেজ, ব্রেজি ল্যাড[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলিং অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৪৩) | ৬ মে ২০০৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৯৪) | ১৭ জুন ২০০৬ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৮ মে ২০১৫ বনাম আয়ারল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ২০ (পূর্বে ৩১) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩-বর্তমান | ইয়র্কশায়ার (জার্সি নং ১৬) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪-২০১৫ | হোবার্ট হারিকেন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনারে এবং জুলি দম্পতির সন্তান হিসেবে ব্রেসনান জন্মগ্রহণ করেন। ক্যাসলফোর্ড হাই স্কুল টেকনোলজি এন্ড স্পোর্টস কলেজে পড়াশোনা শেষে পন্টেফ্রাক্টের নিউ কলেজে অধ্যয়ন করেন। টাউনভিল ক্রিকেট ক্লাবের জুনিয়র ক্রিকেটের মাধ্যমে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে। এ ক্লাবেই তার বাবা, ভাতৃদ্বয় - নিক এবং রিচি ক্রিকেট খেলেছিলেন। তারপর তিনি ক্যাসলফোর্ড ক্রিকেট ক্লাবে স্থানান্তরিত হন ও ইয়র্কশায়ারে স্থায়ীভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি লিডস ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের একনিষ্ঠ সমর্থক।
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনাজুন, ২০০৬ সালে তিনি ইংল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিক দলে খেলার জন্য আমন্ত্রিত হন ও আয়ারল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা সফরে যান। ১৫ জুন, ২০০৬ তারিখে রোজ বোলে অনুষ্ঠিত টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক ঘটে তার। খেলায় তিনি ৬* রানে অপরাজিত ছিলেন ও ২ ওভারে ২০ রান দেন। দুইদিন পর লর্ডসে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে একই দলের বিপক্ষে ৯ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ১ উইকেট লাভ করেন। খেলায় তার দল ২০ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়।
এরপর ২৯ এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে টেস্ট দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে বিপক্ষে আঘাতপ্রাপ্ত অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের বিপরীতে তার এ অন্তর্ভুক্তি। এক সপ্তাহ পর লর্ডসে গ্রাহাম অনিয়ন্সের সাথে তারও টেস্ট অভিষেক ঘটে। খেলায় তিনি ৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন ও কোন উইকেট লাভ করতে সক্ষমতা দেখাতে পারেননি। দ্বিতীয় খেলায় ব্রেন্ডন ন্যাশকে আউট করার মাধ্যমে তিনি তার প্রথম উইকেট লাভ করেন।[৩] পরের বলেই দিনেশ রামদিনকে আউট করেন। খেলায় তিনি তিন উইকেট লাভ করেন। ২০১০-১১ মৌসুমে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজে দলের সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। এমসিজিতে অনুষ্ঠিত বক্সিং ডে টেস্টে ৬ উইকেট লাভ করেন। তন্মধ্যে শেষ উইকেটটি দখল করে ইংল্যান্ডকে বিজয়ে নিয়ে যান ও ইংল্যান্ড অ্যাশেজ ট্রফি ফিরে পায়। এ সময়ে ইংল্যান্ড একটিমাত্র টেস্টে পরাজিত হয়। ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে প্রথম ১৩ টেস্টে জয়ী হয়, ১৪তম টেস্ট ড্র এবং পরেরটি দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কাছে ১৯ জুলাই, ২০১২ তারিখে পরাভূত হয়েছিল।[৪][৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Tim Bresnan"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১১।
- ↑ Warner, David (২০১১)। The Yorkshire County Cricket Club: 2011 Yearbook (113th সংস্করণ)। Ilkley, Yorkshire: Great Northern Books। পৃষ্ঠা 365। আইএসবিএন 978-1-905080-85-4।
- ↑ Miller, Andrew (১৮ মে ২০০৯)। "Bresnan and Anderson swing through Windies"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০০৯।
- ↑ "Statistics: TT Bresnan"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৪।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে টিম ব্রেসনান (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে টিম ব্রেসনান (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)