এনামুল হক জুনিয়র
এনামুল হক (জন্ম: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৮৬) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার । তিনি বর্তমানে জাতীয় ক্রিকেট লীগে তার হোম দল, সিলেট বিভাগের হয়ে এবং ঢাকা প্রিমিয়ার বিভাগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেন । এনামুল হকের সাথে দ্ব্যর্থতা নিরসনের জন্য তিনি এনামুল হক জুনিয়র নামেও পরিচিত।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | এনামুল হক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সিলেট, বাংলাদেশ | ৫ ডিসেম্বর ১৯৮৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | জুনিয়র | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডান হাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বাঁ-হাতি অর্থোডক্স স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৭৫) | ২১ অক্টোবর ২০০৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭৫) | ২৪ জানুয়ারি ২০০৫ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৫ নভেম্বর ২০০৯ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০১–বর্তমান | সিলেট বিভাগ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ ২০১৫ –বর্তমান | চিটাগং কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কর্মজীবন
সম্পাদনাতিনি একজন ডান হাতি ব্যাটসম্যান এবং একজন স্লো লেফট আর্ম ডেলিভারির বোলার। তিনি ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকায় টেস্টে অভিষেক করেন। ২০০৪ এর এপ্রিলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এনামুলের সাথে ছয় মাসের রুকি চুক্তি সই করে।[১]
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল ২০০৫-এর জানুয়ারিতে ২-টি টেস্ট এবং ৫-টি ওডিআই খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে। ২০০৪-এ জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়দেরকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সাময়িক বরখাস্ত করায়, তাদের বাংলাদেশ সফর তাদেরকে অনেক ভোগান্তিতে ফেলে। কারণ তাদের ১৬ সদস্যের দলের মধ্যে শুধু তাদের অধিনায়ক-ই এমন একজন খেলোয়াড় ছিলেন যিনি ৯-টির বেশি টেস্ট খেলেছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ছিল তাদের ক্ষেত্রে অনেক অভিজ্ঞ দল। এবং বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই তাদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়লাভ করে।[২] প্রথম ইনিংসে কোন উইকেট না নিলেও এনামুল হক জুনিয়র দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে দলকে বিজয় আনিয়ে দেন। ৬/৪৫ এটি ছিল তখন বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে করা কোন খেলোয়াড়ের বেস্ট বোলিং ফিগার।[৩] দ্বিতীয় টেস্টটি ড্র করার মাধ্যমে বাংলাদেশ তাদের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় করে। এক ইনিংসে এনামুল হক জুনিয়র ৭/৯৫ নেন এবং নিজেই নিজের গড়া পূর্বের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন।[২] এবং এক টেস্ট ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি ১২/২০০ দিয়ে তিনি সর্ব যুবা খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড করেন যিনি মাত্র ১৮ বছর ৪০ দিন বয়সে টেস্টে ১০ উইকেট নিয়েছেন। এনামুলের আগে এই রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরামের।[৪]
রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে এনামুল প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শততম উইকেট নেন রফিকুল ইসলামকে আউট করার মাধ্যমে, যা ছিল কট এন্ড বোল্ড।[৫] ২০০৭ সালে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে তিনি ইমরুল কায়েসকে আউট করার মাধ্যমে ২০০-তম প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের উইকেট নেন।[৬]
তিন বছরের বিরতির পর, ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় দলের হয়ে ওডিআই খেলাতে ফিরে আসেন। তাকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ এবং শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে তাকে দলে নেওয়া হয়। তাকে দলে নেওয়া হয় বাংলাদেশের নিয়মিত স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের জায়গায় এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার ভাল রেকর্ড রয়েছে বলে।[৭] ২০০৯ সালের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ে ৫-টি ওডিআই খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এনামুল তার ওডিআই ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার ৩/১৬ করেন এবং তার ওডিআই ক্যারিয়ারের ৫০-তম উইকেট নেন যখন তিনি এলটন চিগাম্বুরাকে কট এন্ড বোল্ড করে আউট করেন।[৮] ডিসেম্বরে এনামুল সেই ১৩ খেলোয়াড়ের একজন হন যাদের সাথে বিসিবি এক বছরের সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্ট করেছে।[৯] কিন্তু বোর্ড যখন ২০১০ সালে সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্টের তালিকা প্রকাশ করল সেখানে এনামুল ছিলেন না।[১০] এক ইনিংসে চার উইকেটের বেশি না নিয়ে চার বছর অতিবাহিত হওয়ার পর, নভেম্বর ২০১১-তে তিনি এক ম্যাচে পরপর ৫ উইকেট করে নেন এবং এক ম্যাচে তার বোলিং ফিগার দাড়ায় ১০/৭৭। ম্যাচটি ছিল ঢাকা মেট্রোপলিসের বিপক্ষে।[১১] ২১-ই ডিসেম্বর ২০১১, খুলনা বিভাগের বিপক্ষে তিনি ৫/৯৫ ফিগারের মাধ্যমে তিনি প্রথম বাংলাদেশি বোলার হন যিনি তার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৩০০ উইকেট নিয়েছেন।
২০১২ সালে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে ৬-টি দল দেওয়া হয় (বর্তমানে ৭-টি)।[১২] খেলোয়াড় ক্রয়ের জন্য একটি নিলাম অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়,[১৩] এবং এনামুলকে ৫৫,০০০ ডলার ব্যয় করে চিটাগং কিংস কিনে নেয়।[১৪] সেখানে তিনি দলের হয়ে ৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট নেন।[১৫] বিপিএল শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তাকে এশিয়া কাপ ২০১২-র বাংলাদেশের ওডিআই স্কোয়াডে নেওয়া হয়।[১৬]
২০১৩ সালে ওলভারহ্যাম্পটন ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে বারমিংহেম প্রিমিয়ার লীগ খেলার জন্য বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়। এই টুর্নামেন্টে তিনি ১১ ম্যাচ খেলে ৩০ উইকেট নেন। এবং বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেন।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Youthful pair given 'rookie' contracts, ESPNcricinfo, ৩০ এপ্রিল ২০০৪, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২২
- ↑ ক খ Shuvro, Utpal, Bangladesh v Zimbabwe, 2004–05, Wisden Cricketers' Almanack, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-১৪
- ↑ Imam, Rabeed (১০ জানুয়ারি ২০০৫), Enamul ends the long wait, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২১
- ↑ Records / Test matches / Bowling records / Youngest player to take ten-wickets-in-a-match, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২১
- ↑ f48988 Sylhet Division v Rajshahi Division: Ispahani Mirzapore Tea National Cricket League 2005/06, Cricket Archive, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২১
- ↑ f50299 Khulna Division v Sylhet Division: Ispahani Mirzapore Tea National Cricket League 2007/08, Cricket Archive, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২১
- ↑ Shahadat and Kayes dropped for ODIs, ESPNcricinfo, ৭ জানুয়ারি ২০০৯, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-১৯
- ↑ a20130 o2920 Bangladesh v Zimbabwe: Zimbabwe in Bangladesh 2009/10 (4th ODI), Cricket Archive, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২১
- ↑ Mashrafe Mortaza to lead Bangladesh in tri-series, ESPNcricinfo, ২২ ডিসেম্বর ২০০৯, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২২
- ↑ Ashraful handed top-level central contract, ESPNcricinfo, ১ নভেম্বর ২০১০, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-০৪
- ↑ Isam, Mohammad (১৭ নভেম্বর ২০১১), Sylhet end Dhaka Metro's winning streak, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২১
- ↑ Engineer, Tariq (২৮ ডিসেম্বর ২০১১), Bangladesh Premier League to begin on February 9, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২০
- ↑ Isam, Mohammad (১৯ জানুয়ারি ২০১২), Afridi and Gayle fetch highest BPL prices, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২০
- ↑ Bangladesh Premier League: players standing after auction (PDF), ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২০
- ↑ Isam, Mohammad (১ মার্চ ২০১২), The BPL XI, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-০৬
- ↑ Tamim out of Bangladesh squad, Mortaza returns, ESPNcricinfo, ৫ মার্চ ২০১২, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-০৬
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে এনামুল হক জুনিয়র (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে এনামুল হক জুনিয়র (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)