হ্যামিল্টন মাসাকাদজা

জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (ইংরেজি: Hamilton Masakadza; জন্ম: ৯ আগস্ট, ১৯৮৩) হারারেতে জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারজিম্বাবুয়ে দলের পক্ষ হয়ে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। তবে দলের প্রয়োজনে মাঝে মাঝে ডানহাতি লেগ ব্রেক বোলাররূপেও আবির্ভূত হন তিনি। শিঙ্গিরাই মাসাকাদজা তার সহোদর ভাই।[] ভ্রাতৃদ্বয় উভয়েই জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। এছাড়াও তারা মাউন্টেনিয়ার্সের সদস্য।

হ্যামিল্টন মাসাকাদজা
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
হ্যামিল্টন মাসাকাদজা
জন্ম (1983-08-09) ৯ আগস্ট ১৯৮৩ (বয়স ৪১)
হারারে, জিম্বাবুয়ে
উচ্চতা৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (১.৯১ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ ব্রেক
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
সম্পর্কএসডব্লিউ মাসাকাদজা
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৩)
২৭ জুলাই ২০০১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট১২ নভেম্বর ২০১৪ বনাম বাংলাদেশ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৬৫)
২৩ সেপ্টেম্বর ২০০১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ ওডিআই২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই শার্ট নং
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০০-০৫মনিকাল্যান্ড
২০০১ম্যাসোনাল্যান্ড
২০০১-১১জিম্বাবুয়ে
২০০৩-০৪মাতাবেলেল্যান্ড
২০০৭-০৯ইস্টার্নস
২০১৩ –সিলেট রয়্যালস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৯ ১৪৭ ৩১ ১১৮
রানের সংখ্যা ১,৭১২ ৪,০৪৭ ৮৩৩ ৮,২৩২
ব্যাটিং গড় ৩০.৫৭ ২৮.৩০ ২৭.৭৬ ৪১.৫৭
১০০/৫০ ৪/৬ ৩/২৬ ০/৭ ২১/৩৬
সর্বোচ্চ রান ১৫৮ ১৭৮* ৭৯ ২০৮*
বল করেছে ৮৯৪ ১,৬০৭ ৭২ ৩,৭১০
উইকেট ১৩ ৩৭ ৫৬
বোলিং গড় ২৭.৬৯ ৩৮.৩২ ৫৬.৫০ ২৯.৩৭
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৩/২৪ ৩/৩৯ ১/৪ ৪/১১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৮/- ৫৬/- ৮/- ৯৭/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

খেলোয়াড়ী জীবন

সম্পাদনা

ফেব্রুয়ারি, ২০০০ সালে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ জিম্বাবুইয়ান হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে শতরান করেন। এর কিছুদিন পর জুলাই, ২০০১ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। হারারেতে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে তিনি ১১৯ রান করে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড করেন। হাইস্কুলের ছাত্র হিসেবে ঐ সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর ২৫৪ দিন। কিন্তু বাংলাদেশের উদীয়মান ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শতক করে তার এ রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন ঐ বছরের আগস্ট মাসে।[]

ডিসেম্বর, ২০০৭ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি পুনরায় রেকর্ড বইয়ে নিজের অবস্থান চিহ্নিত করেন। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ভুসি সিবান্দাকে সাথে নিয়ে ১৬৭ রানের জাতীয় রেকর্ড গড়েন। এক্ষেত্রে তিনি ৮০ রান করেন। টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি করেন ১৪ আগস্ট, ২০০৯ তারিখে। টেস্ট সেঞ্চুরির দীর্ঘ আট বছর পর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দলের বিরুদ্ধে ১১২ বলে ১০২ রান করেন।

দীর্ঘ ছয় বছর স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করে। মাসাকাদজাকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড দল - প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একটি টেস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিন নম্বর অবস্থানে থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন যা তার টেস্ট জীবনে দ্বিতীয়। তার সাফল্যে জিম্বাবুয়ে খেলায় বিজয়ী হয়েছিল।[]

২৬ মে, ২০১৫ তারিখে পাকিস্তান সফরে ৩ খেলার ওডিআই সিরিজের ১ম ওডিআইয়ে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে চিগুম্বুরাকে দলের ধীরগতিতে বোলিংয়ের কারণে পরবর্তী দুই খেলায় অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।[] ফলে পরবর্তী দুই খেলায় চিগুম্বুরার অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেন মাসাকাদজা।[]

ক্রিকেট বিশ্বকাপ

সম্পাদনা

২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অপরাজিত ৭০* রান করেছিলেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে তার বৃদ্ধাঙ্গুলে ফাটল ধরায় আরোগ্যলাভের উদ্দেশ্যে নিজ দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হন।

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ ৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে প্রকাশিত ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।[] তিনিও দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. cricinfo, biography of Shingi Masakadza, retrieved: 11 May, 2013
  2. Austin, Charlie, Sri Lanka v Bangladesh, Wisden Cricinfo, retrieved 2011-02-04
  3. "Masakadza’s ton boosts Zimbabwe". Taipei Times. 7 August 2011. Retrieved 14 January 2012.
  4. "Chigumbura suspended for two ODIs"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৫ 
  5. "Zimbabwe face stiffer test without Chigumbura"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৫ 
  6. Moonda, Firdose। "Hamilton Masakadza Set for First World Cup"ESPNCricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৫ 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা